নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডায়েরী হারিয়ে ফেলি।

ৎৎৎঘূৎৎ

হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা,অল্পবিদ্যা, কুশিক্ষা এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড দৃষ্টিকোণ না থাকলে প্রকৃত বাঙ্গালি হওয়া যায় না।

ৎৎৎঘূৎৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু স্বপ্ন তোমরা দেখাও, বাকীটা আমি দৌড়ে যাই,,,,,,আলেয়ার পিছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৪

কয়েলটা বিকেলে জ্বালাতে হয়। মশারা পিনপিন শব্দে আসতে শুরু করে তখন। পড়ার সময় মুখের কাছেপিঠে ঘুরলে বড় ডিস্টার্ব হয়। একটা অর্ধেক পড়া ছোটগল্পের দিকে তাকালে মনে হয়, কি করলাম আমি সারাদিন টাতে? আরেকটা দিন চলে যায়,,,,এমনি এমনি। একটু পর বন্ধুদের সাথে মান অভিমান রাগারাগি। দৈনিক রোজনামচায় পরিণত হয়েছে ব্যাপার টা। রোজ,,,,রোজ,,,,রোজ,,,। অন্ধকার, কালো ঘরটাতে থাকার পর হঠাত বাইরে বেরুলে থমকে যেতে হয়। এত আলো,এত শব্দের ভিড়ে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে ফেলি নিজেকে। কিছু মুহুর্ত পর আবার যোগ দেই। কিছু বিশ্রী গালাগাল, কিছু বিশ্রী আকার ইংগিত এবং ভুলে যাওয়া একটু আগের সেই পবিত্র নীরব অন্ধকারটুকুকে। ঐ অন্ধকারের আমি কে ছিল? এখন গা ভাসানো আমিটাই বা কে? তখনকার আমি কে ছিলাম যখন খবরে এক রেইপের ভিক্টিম কে দেখে মনে রেপিস্টার মৃত্যু কতটা নির্মম হবে তার সিন সাজিয়েছিলাম? যখন মনে হয়েছিল তার মৃত্যু কতটা স্লো এবং যন্ত্রনায় করা সম্ভব? এখনকার আমিই বা কে? এখন আমিই বা কিভাবে একজন মেয়েকে দেখে এমন ভাবছি? কিভাবে? কেন? উপাসনালয়ে, বিদ্যালয়ে, স্মৃতিসৌধে। কোথাও রেহাই পাচ্ছেনা তারা। আমার চোখে নিয়মিত ধর্ষিত হচ্ছে । কেউ কেউ বাদ পড়ে যাচ্ছে। তারা কেন বাদ পড়ে যাচ্ছে? আমার এই আমি টাই বা কে? প্রত্যেকটা চরিত্র আসে। আমার গভীরে, আরো গভীরে আমি তাদের নিয়ে আলোচনায় বসি। প্রত্যেকটা কথার চুলচেরা বিশ্লেষণ চলে আমার গভীরে। এটা কেন বলল? এই কথায় কিভাবে সে স্বার্থ মেলে ধরল আমার কাছে? কিভাবে হারল মানুষগুলো আমার কাছে? নিজেকে জাহির করতে গিয়ে। বস্তুত, অবজার্ভ করলে সব ধরা পড়ে। তাদের নোংরামী, ঈর্ষাকাতরতা, হিংসার পোড়াগন্ধ আবার সমুদ্রের বিশালতা। কনফিউজড ব্যাপার। সবচেয়ে মজার ব্যাপার গুলো ঘটে হাসপাতালে,রেলস্টেশনে। ঐদিন দেখেছিলাম। সরে গিয়ে জায়গা করে গিয়ে দিয়েছিলাম এক এম্বুলেন্স কে। কত নীরবে লাশ বহন করে যায়। চোখের জলও। ভাবতে গিয়ে শিউরে উঠি। এক মায়ের বিলাপ এম্বুলেন্স এর গায়ে প্রতিধ্বনি করে,” এ গাড়ি দিয়া নিসিলো আমার আব্বারে, যহন হইসিল,,,,এহন এইডা দিয়াই নিবো গো,,”। দাড়িয়ে পড়িনা আমি। এমন আরো ঘটছে ভেবে। সামগ্রিকভাবে চিন্তা করে। আসলে,,,,আক্রান্ত হয়ে যাই বলে। হা হা হা হা হা। ধমকে উঠি বন্ধুকে,” চল এখান থেকে। আমরা কোন কাজে আসবো না তাদের। অযথাই ভীড় করা শুধু শুধু”। আমার উপস্থিত বুদ্ধিতে তার চোখ চকমক করে, বুঝতে পারি। আকাশের দিকে চেয়ে একটা খোলা নিশ্বাস ছাড়ি। আমি কোথাও থমকে যাইনা। সেদিনের মধ্যবয়সী মহিলা যখন বারবার আকস্মিক ভুলে আমার পায়ে তার পায়ের আঙুল ঘসেছিল আর বলছিল,” অটোর সিট গুলা এত ছোট?,ধুর!”। কিংবা রেলস্টেশনে। যখন প্রথম প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হাতে সিগারেট নিয়ে গুড়িগুড়ি বৃস্টিতে হাটছিলাম। হুট করে একজন হাত এগিয়ে দিয়ে এসে বলল,” আমি শফিক, আপনি কে?”। আমি চমকে উঠিনি।কারণ আমি জানতাম” আমি কে?” তার কোন উত্তর আমার জানা নেই। আগে যেমন যেসব শিক্ষকদের আমার পছন্দ হত না, হাত এগিয়ে দিতাম নির্বিকার ভাবে, ঠিক তেমন। হাতের উপরের আঘাত কে আমি দেখতাম তাদের ব্যাক্তিগত জীবনের অপমান ঝাড়ার অবলম্বন হিসেবে। হাতের প্রতি মায়া হত না। মায়া হত তাদের বন্ধ্যত্ব অনুভব করে। আমি জানতাম তাদের কিছু অসহায়ত্ব সম্পর্কে।আমি জানতাম আমার তাদের কাছে উত্তর দেয়ার নেই । ঐ ষাটোর্ধ ভদ্রলোককেও ভুলিনি। নিজেকে কোন এলাকার চেয়ারম্যান দাবী করে আমার হাত কিছুক্ষনের জন্য মুঠোয় পুড়ে হাতের তালুতে নখ দিয়ে আলতো আচড় কেটেছিল। হাতটা যখন এক ঝটকায় সরিয়ে এনেছিলাম তখন আর দাড়ায়নি। ভয় পেয়ে গিয়েছিল আমার কাছে হেরে যাওয়া ঐ লোকটা। আমি বুঝতে পারছিলাম না। এটা কি ছিল? বিকৃত কামনা না অসহায়ত্ব? করুনায় ভরে গিয়েছিল মন ঐ কুরুচিপসম্পন্ন চেহারার লোকটির প্রতি। হয়ত তারও সুস্থ একটি পরিবার আছে।সেদিনের মধ্যবয়স্কারো ছিল। আমি কি একদিন এমনই হব? আমার বিকৃতি, কি হবে? কিছু বছর পরে কেউ যদি এমনই ভেঙে পড়ে? কোন বালিকার কথাই যদি ধরি। যদি দেখতে পায়? সবাই হারিয়ে চলে যাচ্ছে নদীর অপর প্রান্তে, কম্প্রমাইজের নৌকায়। সে ঠিক কত আগে ভুল করবে? ঠিক কত আগে তার সবকিছু বিলিয়ে দেবে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে? ঠিক কত আগে নামবে বিকৃত প্রতিযোগিতায়? নৈতিকতা ধরে রাখতে রাখতে যদি টিস করে ভেঙে দেয় কয়েলের প্রান্তের মত? পরে আবার জ্বালাবে বলে........


- কিরে লাইট বন্ধ কইরা কি দেখস? নতুন নামাইসস নাকি?এহ হে! এত ধোয়া ক্যান?

- আরে নাহ!

- চল, কিছু দেইখা আসি।

- হু। একটু দাড়া কয়েলটা নিভাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

কানিজ রিনা বলেছেন: বেশ ভ াল হ য় েছ ে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.