নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমোদাচির ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!

তোমোদাচি

শিকড়ের টানে শিকড় গেড়ে বসতে শিকড়ের কাছে ফিরছি .।

তোমোদাচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠা (৩) : চুরি-চামারীর হাতেখড়ি ;) :P

২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪



ধুলোবালি মাখা দিন গুলোর গল্প করছিলাম! যাদের ছোট বেলাটা আমার মত গ্রামে কেটেছে, তাদের সাথে হয়ত অনেক ঘটনা মিলে যাবে। তবে শহুরে বাবুদের কাছে এই পোষ্ট গুলো ফালতু প্যাঁচাল বলে মনে হতে পারে ... ... ... কি আর করা! এই ফালতু প্যাঁচাল গুলোই যে আমার জীবনের সবচেয়ে মধুময় সৃতি!!!

আজ বলছি ছোটবেলায় করা ছোটখাট চুরি-চামারীর গল্প! ;)



বলি মা তোর চরণ ধরে,

ননী চুরি আর করব না,

আর আমারে মারিস নে মা ... ... ...


লালনের সেই বিখ্যাত গানটার কথা মনে আছে???



ছোট বেলায় চুরি করে মায়ের লুকিয়ে রাখা মিষ্টি/চকলেট/আইসক্রিম খায়নি এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট বেলায় আমাদের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না, তার উপর ছিলাম ৫ ভাই বোন! সো, খাবার নিয়ে আমাদের পিছনে মা’কে ছুটতে হতো না (আমার ছেলের ক্ষেত্রে তার মা’কে যেমন ছুটতে হয় ;) ) আমরাই ছুটতাম মজাদার খাবারের পিছনে। এমন অনেকবার হয়েছে, হাট থেকে বাবা মিষ্টি কিনে এনেছেন, আমাদের ভাগ করে দেওয়াও হয়েছে। কিন্তু ওই যে বললাম, পাঁচ ভাগ হওয়ার পর ওটা খেয়ে পেট ভরলেও মন ভরত না! মা কিছুটা মিষ্টি লুকিয়ে রাখতেন হঠাত যদি কোন আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসে তাঁকে যেন নাস্তা দেওয়া যায়! আমার নজর থাকত ঐটার উপর; চাঞ্চ পাইলেই সাবাড়! মা টের পেয়ে জিজ্ঞাসা করলে ভাল মানুষের মত মুখ কাচুবাচু করে বলতাম, কৈ জানিনাতো, মনে হয় বিড়ালে খেয়েছে; মা’র যা বুঝার বুঝে নিতেন!!! :-*



মিষ্টি নিয়ে আর একটা কথা মনে পড়ল- আব্বার সাথে হাটে যেতাম এই লোভে যে, আব্বা বাজার শেষে ২/১ টাকা দিবে সেটা দিয়ে মিষ্টি কিনে খাব। আব্বা টাকা দিতেনও; কিন্তু তা দিয়ে একটা/দুইটার বেশি মিষ্টি কিনতে পারতাম না! দোকানের থরে থরে সাজিয়ে রাখা মিষ্টি দেখে মনে মনে ভাবতাম, বড় হয়ে আমি যখন অনেক টাকা ইনকাম করব তখন শুধু মিষ্টি খাব! হায়রে... এখন ইচ্ছা করলে ওই রকম মিষ্টির দোকান ২/৪ টা একবারে কিনতে পারি কিন্তু এখন আর মিষ্টি খেয়ে আগের মত মজা পায় না!! /:)



যাহোক চুরি নিয়ে বলছিলাম, সেটাতেই থাকি ...

আপনাদের বাবার পকেট থেকে পয়সা চুরির অভ্যাস ছিল?? :) আমার ছিল; তবে সাহস খুব বেশি ছিল না বলে কখনও ৫ টাকার উপরে সরানোর সাহস হয় নাই। তবে আমার টাকা মারার আর একটা চরম খাত ছিল; সেটা হচ্ছে যখন ছোট খাট বাজার করা শুরু করলাম তখন! বুদ্ধিটা হচ্ছে, মা বাজারের যে লিষ্ট করে দিত তার সব কিছুই কিনতাম কিন্তু পরিমানে একটু কম করে। ধরুন একটা জিনিস ৫ কেজি কিনতে বলেছেন, আমি কিনতাম সাড়ে চার কেজি, এক্ষেত্রে মা’র বুঝতে পারার কোন কারন ছিল না, আবার জিনিষ পত্রের দাম বাড়িয়ে বলে ধরা পড়ার সম্ভাবনাও থাকত না!! বুদ্ধিটা কেমন??? ;)



আর একটা চুরির কথা মনে পড়ছে; যদিও একটু লজ্জার!:P! আমি ছোট বেলায় চুরি করে কয়লা খেতাম! এই জন্য মার হাতে কত যে মার খেয়েছি!! একদিনের ঘটনা বলি, আমরা গেছি নানা বাড়ি বেড়াতে। রান্না ঘরের পিছনে ছিল বিশাল ছায়ের গাদা। আমি লুকিয়ে ওখানে গিয়ে মজা করে গাদার পাশে বসে আপন মনে কয়লা খাচ্ছি। ওদিকে সবাই আমাকে বাড়িতে খুঁজে অস্থির; হঠাত দেখে আমি কয়লা খেয়ে মুখ কালো করে ফেলেছি ... ... সেবার মা’ এমন প্যাঁদানি প্যাঁদাইছিল যে এক প্যাঁদানিতেই সারাজীবনের মত কয়লা খাওয়া ছেড়েছি আর জীবনে কখনও ছুয়েও দেখিনি। এত ছোট বেলার কথা কিন্তু আমার কেন যেন মনে আছে। এক এক কয়লার ছিল এক এক টেষ্ট! কাঠের কয়লা ছিল শক্ত, ভাংতে গেলে দাঁত ব্যাথা করত; ঘুটের কয়লা ছিল ঘিন্না; পাটকাঠির কয়লা ছিল নরম পানসে; সবচেয়ে বেশি টেষ্টি কয়লা ছিল বাঁশের কয়লা; চরম! মচমচে, একটু ঝাঁঝাল টেষ্ট!! :P



অনেক গুলো চুরির কাহিনী রিমান্ড ছাড়ায় অকপটে স্বীকার করে ফেললাম, এবার একটু বিজ্ঞাপন বিরতী নিই ... ... ... চলে যাইয়েন না, আরো আছে!!

----- ---------------------------------------------

প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠা সিরিজের আগের ২ টি পোষ্ট এখানে

প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠা (২)ঃ হাফপ্যান্ট বয়সের খেলাধুলা ;)



প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠা (১) – ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর সুখ!!! :) B-)

---- -------------------------------------------------





আর যে সব চুরির কথা মনে আছে তার মধ্যে শীতকালে রস চুরি অন্যতম। এই চুরিতে রীতিমত সিদ্ধহস্ত ছিলাম! খেজুর গাছে উঠে পাটকাঠির নল দিয়ে রস খাওয়া। নিজেদের গাছ, কাওকে বললেই পেড়ে গ্লাসে করে দিত, তাছাড়া পরদিন সকালে তো যত খুশি খেতেই পারতাম! তারপরও কেন যেন চুরি করে খেতেই বেশি মজা লাগত!! :D



আর একটা চুরির গল্প দিয়ে শেষ করব। আগের পোষ্টে বলেছিল জাম্বুরা দিয়ে ফুটবল খেলার কথা। কিন্তু এত জাম্বুরা সাপ্লায় দিবে কে?? তাই মাঝে মাঝে জাম্বুরা চুরি করতে হতো। আমাদের বাড়ীর পাশে ছিল মুচি বাড়ী। ছোট বেলা থেকেই কেন যেন ওদেরকে আমরা নীচ চোখে দেখতাম। “চিত্রা নদীর পাড়ে” ছবিতে যেমনটি দেখিয়েছে; সত্যিই আমরা ভাবতাম মুচিরা হচ্ছে লাল পিঁপড়া আর আমরা হচ্ছি কালো পিঁপড়া তাই কামড়ায় না; মুচিরা নাকি কাঁদলে তাদের চোখ দিয়ে পানি পরে না। সাদা শাড়ী পড়া মুচি বুড়ি গুলোকে আমরা ডাইনী বুডী মনে করে ভয় পেতাম ... সেই মুচিদের ছিল বিশাল এক জাম্বুরা গাছ। একদিন আমি আর আমার চাচাত ভাই মিলে গেলাম জাম্বুরা চুরি করতে। ফেরার পথে যথারীতি মা’র কাছে খেলাম ধরা! মা’তো প্যাঁদানি দিলোওই সেই সাথে শর্ত দিল এই জাম্বুরা মুচি বুড়িকে ফেরত দিয়ে আসতে হবে আর সেই সাথে তার পা ধরে মাফ চাইতে হবে! বলেন দেখি কি অপমানের কথা!! কিন্তু যাবা কৈ বাছাধন!! মা ছিলেন খুবই কড়া!! দুইটার দুই কান ধরে টানতে টানতে নিয়ে গেলেন মুচি বাড়ী। মহিলা তো আমাদের কান্ড বান্ড দেখে হেসেই খুন! মা’কে বকা দিলেন!! আরে পোলাপান মানুষ দুইডা ছোলম (জাম্বুরা) ছিড়িছে তাই নিয়ে আপনি ইরাম করতিছেন ক্যান, ছাইড়াদেন ওগো ... “ সেদিন থেকে মনে হয় বুঝতে পেরেছিলাম, আসলে মুচিরাও আমাদের মত রক্তমাংসের মানুষ! :|



কি!! শুধু আমার চুরির গল্পই শুনবেন?? নিজেরা কি ধুয়া তুলসী পাতা??? X(X(



আপনাদের চুরির কাহিনী নির্দ্বিধায় এখানে বলতে পারেন! কথা দিচ্ছি, কাওরে কমুনা; দুর্নীতির মামলায়ও ফাসামু না!! প্রমিজ!!!! ;)

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা মজা পাইলাম ...
তা আপনার বউ জানে তো বাজার থেকে চুরি করার ঘটনা ??
নাকি বউকে ও মা এর মত সারে দুই কেজি কে তিন কেজি তে বুঝ দেন ;)

২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

তোমোদাচি বলেছেন: নাহ!! এখন আর চুরি চামারী করি না, ছাইড়া দিছি!!
মা'র প্যাদানী খেয়ে তো সেই ছোট বেলায় ই ভাল হয়ে গেছি!!

তবে বউয়ের কাছে চুরি করে একটা জিনিস এখন করি, সেটা হচ্ছে সামুতে ব্লগিং!! ;)

২| ২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

ঘাসফুল বলেছেন: লিষ্টির ব্যপকতা অনেক, শুধু একটা আইটেম শেয়ার করলামঃ ছোটো বেলায় আমার ছোটো মামার বড় একটা মাটির ব্যাংক ছিলো। চুরির অভ্যাস ছিলো না খুবেকটা :P - মাঝে মধ্যে ব্যাংকের ফাঁক দিয়া খালি পাতলা ছুড়ি সেধিয়ে দিতাম ব্যাস, লাইন ধরে সিকি-আধুলী হাতে চলে আসতো... তারপর শুধু ঘুড়ি, মার্বেল আর লাটিম- এর ষ্টক বাড়তো !:#P !:#P !:#P ঐসময় আমি ছিলাম এলাকার সবচেয়ে ধনী খেলোয়ার B-)...


দয়া করে ভাই মাইরের কতা জিগায়েন না... কাবিখা ডিফল্ট হিসেবে সবসময় শরীরের ঘাম শুকানের আগেই দিয়ে দিতো আমার আম্মা... /:)

২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

তোমোদাচি বলেছেন: হা হা হা ...

চরম বলেছেন!! মায়ের মাইর ছিল রুটিন খাবার !!

৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

বুঝিনাই বলেছেন: ছোটবেলায় চুরির অনেক হিস্টোরি আছে, যদিও বাবার পকেট কোনদিন মারিনাই, কিন্তু ভাইয়াদের গোপন সেভিংস থেকে প্রায়ই কিছু গায়েব করে দিতাম আর দোকানে গিয়ে ভিডিও গেমস খেলতাম :D :D
এই জন্য যে কত মাইর খাইসি তার হিসাব নাই।

২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

তোমোদাচি বলেছেন: মাইর খাওয়ার লোকের দেখি অভাব নেই!!

৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি খুবই ভদ্র শিশু ছিলাম। না বলে কখনও কিছু খেতাম না। প্রথম চুরি কৈরা খাই মনে হয় ক্লাশ ওয়ানে থাকতে। ফ্রিজ থেকে একটা মিষ্টি বাইর কৈরা খাইসিলাম। তারপর সে কী টেনশন! মাইরের ভয় তো ছিলোই এছাড়াও মনে হচ্ছিল বিশাল কোন পাপ করে ফেলসি। পরে অবশ্য ভয়টা কেটে যাওয়ার পর ধুমায়া চুরি করসি! ফ্রিজ বা টিনের কৌটা থেকে মিষ্টি-বিস্কুট খাওয়া শুরু করে বাপের পকেট থেকে ঝালমুড়ি কেনার পয়সা নেয়া পর্যন্ত! B-)

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

তোমোদাচি বলেছেন: যাক! একটা ভদ্র চোরের সন্ধান পাওয়া গেল !!!;)

৫| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: হা হা হা মজারু।

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

তোমোদাচি বলেছেন: =p~

৬| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: আমিও খুব ভাল বাচ্চা ছিলাম, কোনদিন কিছু চুরি কইরা খাই নাই! তবে কুমড়োর মোরব্বা আর আমের মোরোব্বা...রেগুলার....এখনও......ইয়ে এই আরকি /:)

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

তোমোদাচি বলেছেন: কুমড়োর মোরব্বা বুঝলাম, আমের ও মোরব্বা হয় নাকি?

আমরা একটা জিনিস খেয়েছি সেটা হলো আম সত্ত!

এর পরে কোন দিন আপ্নে আমের মোরব্বা চুরি করতে পারলে একটু ভাগ দিয়েন! ;)



বাই দ্যা ওয়ে, আপ্নেরে থাঙ্কু !!! =p~ =p~

৭| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৮

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: বাবার পকেট থেকে।একবার নিয়া ধরা খাইছি। পেদানির ঠেলায় ওই কাজ ভুলে গেছি। আর বাজার করতে যেয়ে টাকা সরাইতাম বৈধভাবে। আম্মারে বলতাম বাকি টাকা সার্ভিস
ফি বাবদ কেটে রাখা হল। অনেকটা এখনের সুপার শপগুলার মতন।

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

তোমোদাচি বলেছেন: এক প্যাঁদানিতেই সারাজীবনের জন্য ভালা হয়ে গেলেন!!! B:-) B:-)

আপনার বাবাকেই দরকার দুর্নীতি দমন কমিশনের নেক্সট চেয়ারম্যান হিসাবে !!

দেশের বুড়া চোর চুট্টা গুলারে যদি একটু সাইজ করা যেত!! X( X((

৮| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: বলি মা তোর চরণ ধরে,
ননী চুরি আর করব না,
আর আমারে মারিস নে মা ... ... ...
লালনের সেই বিখ্যাত গানটার কথা মনে আছে???
কী যে অপূর্ব গান। কত কিছু যে মনে পড়লো আপনার পোস্ট পড়ে।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

তোমোদাচি বলেছেন: আসলেই এই গানের আবেদন কখনও শেষ হবার নয়!!


কত কিছু যে মনে পড়লো আপনার পোস্ট পড়ে।

দুই একটা যদি কইতেন!! ;)

৯| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬

কালোপরী বলেছেন: =p~ =p~ =p~

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩

তোমোদাচি বলেছেন: কি কালোপরী খালি ভেংচি কাটেন কেন?? চুরি চামারীর কথা কইতে শরম লাগে???

১০| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: =p~ =p~

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: সেলিম ভাই আপ্নেও তো খালি ভেংচি কাটলেন!!!

চুরি চামারী কিছু করেন নাই নাকি??

উপরে দেখেন জালে কত গুলো চোর ধরা পড়ল!!! ;)

১১| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩

খেয়া ঘাট বলেছেন:

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০১

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ, তবে আমার ভাল লাগে ফরিদা পারভীনের কণ্ঠে !

১২| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

বটের ফল বলেছেন: আমি খুব ভদ্র, শান্তশিষ্ট। আমি চুরি করিনা। খালি চিনির ডিব্বা, কলার ছরি, দুধের কৌটা, মিষ্টির প্যাকেট, মুরি আর মোয়ার টিন, বিস্কুট আর চানাচুরের গোপন ভান্ডার গুলার উপর ছিল অসাধারন লোভ। না না আমি কিছু করতামনা, খালি সুযোগ পাইলেই এই একটু মানে ইয়ে .................... হে হে ।

গানটা খুবই পছন্দের একটি গান আমার।

ভালো থাকবেন তোমোদাচি

২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

তোমোদাচি বলেছেন: ছেলের চরিত্র খুব ভাল তবে মাঝে মাঝে একটু পিয়াজ খায় আর কি ...

এই গল্পের মত হয়ে গেল আর কি!!


আপনিও ভাল থাকবেন বটের ফল ;)

১৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চুরি !!!!!!! আমিত কখনোই কিছু চুরি করিনাই। তয় না বলে এটা সেটা খেতাম এই আরকি :D

২১ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

তোমোদাচি বলেছেন: হে হে হে ...

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমারো না চুরির অভ্যাস ছিলো। কি চুরি করতাম? ওযে টাকা চুরির ব্যাপারটা আছে না, এইটা মনে হয় সবার মধ্যেই একটু আধটু ছিলো। তবে কিভাবে যেন কি হলো, বাজার থেকে চুরি করতাম না। খুব ছোট বেলা থেকেই একটা সাধু আমার ভেতর বাস করা শুরু করে।

এই সাধু বাস করার আগে যা যা চুরি করছি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে মাঞ্জা দেয়া সুতা। ম্যাকগাইভার দেখতে শুরু হলে বাত্বি নিভে যেত। আর আমার হাত চলে যেত নাটাইয়ের দিকে। কুটুস করে ছিড়ে কিছু সুতা নিয়ে নিতাম। বেচারা ঘুড়ি উড়াতে যেয়ে কি বিপদেই না পড়তো! কিছু দূর ঘুড়ি উড়িয়েই হঠাৎ দেখতো ঘুড্ডি ভাকাট্টা!

এর জন্য আজো লাজে মরি। মিষ্টির কথা মনে নেই, তবে কিছু চুরি করে খেলে বিড়াল মনে হয় খেয়েছে এইটা বলেছি। তখন বিলাইয়ের উৎপাত এখনকার চেয়ে অনেক বেশি ছিলো। :P

২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ও আরেকটা জিনিস বলতে ভুলে গেছি, আমের মোরব্বা বস হেব্বি জিনিস। এই বার আম্মা আমার মোরব্বা দেন নাই। যে বার দিবে আপনাকে ছবি পাঠিয়ে দিবো। খাওয়াতে পারলে আরো ভালো লাগতো। আমসত্ত্ব মজা, তবে আমের মোরব্বা অসাম জিনিস!

২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: মা আমের একটা মিষ্টি আচার বানাতেন, আমার খুব পছন্দের। আমের আটি হওয়ায় পর আটি সহ ফালি ফালি করে কেটে চিনি সহ জাল দিয়ে বানাতেন। ওটাই কি আমের মোরাব্বা??

খাওয়াতে না পারেন আন্টির কাছে রেসিপি শুনে জানায়েন!

১৬| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

কালোপরী বলেছেন: স্কুলে যাব আম্মু টিফিনে মিষ্টি দিয়ে দিসে, যদিও টিফিন টাইম ছিল না


বাসায় আসতে আসতে আম্মু বলল, মিষ্টি খেয়েছ? বললাম ভুলে গেছি। বাসার কাছে এসে আম্মু বলল এখন খেয়ে ফেল, নাইলে আপুরা খেয়ে ফেলবে। ব্যাগ থেকে বক্স বের করে দেখে মিষ্টি নাই


আমি কি চুরি করব, আমারই সবকিছু চুরি হয়ে যায় :( :( :(

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

তোমোদাচি বলেছেন: যাক কালোপরীকে অবশেষে কথা বলাতে পেরেছি! ;)

১৭| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০০

কালোপরী বলেছেন: হাহাহাহাহা


কথা তো ভাল বলতে পারি না সবার মত :P :P

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

তোমোদাচি বলেছেন: =p~ =p~

১৮| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভাই জান, আমের মোরব্বার রেসিপি দিয়ে দিই।

প্রথমে কাচা আম নিতে হবে। এরপর ছিলকাগুলো ছিলে দুই ফালি করে কেটে কাটা চামচ দিয়ে কাচতে হয়ে। কেচে পানির মধ্যে রেখতে হয় প্রায় ঘন্টা দুই। মাঝে মাঝে পানি চিপরে বের করে আবার ভিজিয়ে রাখতে হয়। এতে আমের টকটা বের হয়ে যায়। এরপর গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়।

এরপর চিনির সিরা তৈরি করে তার মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হয়। এরপর একটু কষাতে হয়। মানে চুলায় জ্বাল দিতে হয়। ব্যস! হয়ে গেল আমের মোরব্বা।

এইবার বোয়ামে রেখেদিন। এইটা সহজে নষ্ট হয়না। অনেক দিন ধরে খাওয়া যায়। আমের সাইজ আবার বেশি বড় হলে ভালো হয়না। আমের সাইজ হতে হবে মাঝারি ধরণের।

আমি কি রেসিপি ঠিক মতো দিতে পারলাম? এইটা রেজোয়ানা আপুকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। সায়মা আপিও বলতে পারবে। তিনি তো রেসিপি মাষ্টার! ;)

ভালো থাকবেন ভাইজান।

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!

মা'কে এই রেসিপি পাঠাতে হবে! আচ্ছা এখনও কি দেশে কাচা আম পাওয়া যাবে??? উনি অলরেডি কয়েক প্রকার আমের আচার মানিয়ে রেখেছেন আমার জন্য।
পাকা আম ও নাকি ফ্রিজে রেখেছেন কয়েকটা। ৩ মাস পর ছেলে দেশে আসছে, এসে গাছের আম খাবে এই আশায়!! কান্ডবান্ড !!!

এই খানে একটা আমি ৩০০ টাকা দিয়ে কিনে খায় এই দুঃখে তার গলা দিয়ে আর আম নামতে চায় না।

১৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ মা বলে কথা! কাচা আম এখনো পাওয়া যায়। দেশিটা। ভালো থাকবেন। দেশে এলে আমার বাসায় দাওয়াত রইলো। ঢাকাতেই আছি।

২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চুরি কে করে নাই!

২৭ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

তোমোদাচি বলেছেন: B:-)

২১| ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: স্মৃতিকথা চরম লিখছেন ভাই! যেন নিজেই ছোটবেলা থেকে একবার ঘুইরা আসলাম! :)

২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

তোমোদাচি বলেছেন: ভাল লাগল আপনার অনুভুতি !

২২| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমি ছোট বেলায় চুরি করে কয়লা খেতাম

B:-) B:-) B:-)

২২ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

তোমোদাচি বলেছেন: কথা সত্য !!! =p~ =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.