নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমোদাচির ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!

তোমোদাচি

শিকড়ের টানে শিকড় গেড়ে বসতে শিকড়ের কাছে ফিরছি .।

তোমোদাচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু আলোচনা আশা করতে পারি?? বিষয়ঃ ইমিগ্রান্ট ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ কি?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১



২০০৮ সালে দেশ ছেড়েছিলাম উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে; ৫ বছর প্রবাসী জীবন কাটালাম! প্রথম মিশন শেষ, এখন পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা করার সময় এসেছে। এতদিন এরকম দোদুল্যমান অবস্থার কথা অন্যের মুখে শুনেছি, এখন সেই অবস্থায় পড়েছি নিজে । দেশে ফিরব, নাকি বাইরে সেটেল হব???? ছোট্ট একটা প্রশ্ন, উত্তরও হয়ত খুবই ছোট, হ্যাঁ অথবা না! কিন্তু সবদিক মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে কতটা কঠিন তা ভুক্তভুগী না হলে বোঝান কঠিন!



বিদেশে সবসময় যে খুব ভাল কেটেছে সেটা বলব না, কিন্তু এই ৫ বছর লাইফটা কেটেছে একদম স্মুথ! অপ্রত্যাশিত কোন ঝামেলা হঠাত সামনে এসে হাজির হতে পারে সেটা প্রায় ভুলেই গেছি। সুইচে টিপলে লাইট জলবে, ট্যাপ খুললে পানি পড়বে, চুলার সুইচ ঘুরালে আগুন জ্বলবে, বাসা থেকে সঠিক সময়ে বের হলে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিসাবের বাইরে ১ মিনিটও দেরী হবে না, লাখ টাকা পকেটে নিয়ে বের হলেও সেটা কেও ছুরি ঠেকিয়ে নিয়ে যাবে না, কোন অফিসে কাজে গেলে কর্মকর্তারা ছুটে আসবে হেল্প করার জন্য ... ... ... এমন অনেক ব্যাপার এই ৫ বছরে ছিল স্বতঃসিদ্ধ! একবারের জন্য এসবের ব্যাতয় ঘটেনি।



এসব নাগরিক সুবিধার ব্যাপারে দেশের অবস্থা না-ই বলি; কারো অজানা নয়! কিন্তু দেশে যা আছে তা বিশ্বের অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়, সে যত উন্নত দেশই হোক না কেন। মা; মাটি; মায়া... নাড়ীর টান উপেক্ষা করি কেমনে! বিদেশে যত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই থাকি না কেন, এ তো সোনার খাঁচা ব-ই অন্য কিছু নয়। মাঝে মাঝে খুব হাঁসফাঁস লাগে!!



যায় হোক; আবেগের কথা বাদ দিয়ে কাজের কথায় আসি! নিজেদের আবেগ-বাস্তবতার কথা বাদ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু আলোচনা করতে চাই। আমাদের জীবনে যা হওয়ার অনেকটাই হয়ে গেছে, এখন বাকী জীবনের সফলতা ব্যর্থতা অনেকটাই নির্ভর করছে আমাদের সন্তানদের উপরে। সন্তানের জন্য সুন্দর একটা পরিবেশ সব পিতা-মাতার ই কাম্য। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে “প্রকৃত সুন্দর পরিবেশ” কোনটি? উন্নত বিশ্বের উন্নত জীবন ব্যবস্থা? নাকি নিজ দেশের মায়াময় পরিবেশ???



এই বিষয় নিয়ে আমার ছেলের বাবা-মায়ের মধ্যে কিছুদিন থেকে তুমুল যুক্তিতর্ক চলছে! বাবা’র বক্তব্য, সন্তান দেশের মাটিতে দেশের মানুষের সাথে সুখে-দুখে বড় হলেই প্রকৃত মানুষ হতে পারবে। একজন মানুষ যত বড়ই হোক না কেন তার ভিতর যদি শিকড়ের টান না থাকে তাহলে তা তার নিজের জীবনের, পরিবারের, দেশের, এমনকি বিশ্বের কোন কাজে আসে না। ডিফ্রেন্ট কালচারে বাচ্চা বড় হলে কিছুদিন পরেই তার সাথে আমাদের কালচারাল কনফ্লিক্ট শুরু হবে সেটা আমাদের কারো জন্য সুখকর হবে না। আর ছেলের মায়ের বক্তব্য; এসব পুরাণ সেন্টিমেন্ট! এখনকার প্রজন্ম হবে গ্লোবাল জেনারেশন; এখনকার বাচ্চারা পুরা পৃথিবীকে নিজেদের দেশ মনে করবে। সুতরাং যেখানেই সে বেশী উন্নত পরিবেশ পাবে সেখানেই সুযোগ থাকলে তার যাওয়া উচিত!



অবশ্য আমরা দু’জনেই একটা ব্যাপারে একমত হয়েছি যে প্রকৃতপক্ষে কোনটা (দেশ নাকি বিদেশ) সন্তানের বড় হওয়ার জন্য বেটার পরিবেশ; কোন পরিবেশে বড় হলে বাচ্চারা কেমন হয় সেটা কম্পিয়ার করার জন্য পর্যাপ্ত ডাটা আমাদের হাতে নেই। বিশেষ করে যে সব বাচ্চারা বিদেশের বড় হচ্ছে তারা জীবনে কেমন করছে অথবা তারা পরবর্তীতে কি কি সমস্যায় পড়ছে বা তাদের দ্বারা পরিবার কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কি না... ইত্যাদি বিষয়ে খুব বেশী জানা শোনা আমাদের নেই। আসলে দুই দশক আগেও দেশের বাইরে সেটেল হওয়া পরিবার খুব বেশী ছিল না। ইদানিং পরিবার সহ বিদেশের স্থায়ীভাবে বসবাসকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বিদেশে সেটেল হওয়ার পিছনে সবার মূলত একটাই যুক্তি, সন্তানের জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ রেখে যাওয়া! তাই ব্যাপারটা আলোচনার দাবী রাখে!



শুধু আবেগ দিয়ে নয়, আবার আবেগ বর্জিত হয়েও নয়, আমি আপনাদের কাছে যুক্তিযুক্ত আলোচনা আশা করছি। অভিজ্ঞতার আলোকে আলোচনা হলে সেটা আরো ভাল হয়, আপনার পরিচিত কারো সন্তান বিদেশে বড় হয়ে কেমন আছে সেটা শেয়ার করার অনুরোধ রইল!

আপনার মতামত দিনঃ সার্বিক দিক বিবেচনা করে আপনি আপনার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনটা বেটার পরিবেশ মনে করেন? উন্নত বিশ্বের উন্নত জীবন ব্যবস্থা???? নাকি নিজ দেশের মায়াময় পরিবেশ????



মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১২

তোমোদাচি বলেছেন: আমি জাপান সম্পর্কে আমার মতামত দিই... ! জাপান ইমিগ্রান্ট ফ্রেন্ডলী দেশ নয়; এদের কালচার, লাইফস্টাইল আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আমার জানা মতে এখানে বড় হওয়া বাচ্চারা কালচারাল কনফ্লিক্টের স্বীকার হচ্ছে, সেই প্রভাব পরিবারের উপর ও পড়ছে! তারা না হতে পারছে জাপানীজ, না থাকতে পারছে বাঙ্গালী। জাপান অল্প সময় থাকার জন্য ভাল একটা জায়গা হলেও এখানে সেটেল হওয়ার চিন্তা করলে পরবর্তী প্রজন্মের উপর ব্যাপক নেগেটিভ প্রভাব পড়বে!

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমরা একভাবে যে গ্লোকাল পরিবেশে আছি, সেটার সাথে নিগোশিয়েট করার বিষয়টি এই সময়ে বড় একটা চ্যালেঞ্জ। হয়ত আমরা খানিকটা বাধ্যও এই পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেবার বিষয়ে। মূল বিষয়টা অর্থনৈতিক যেমন, তেমন সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় ধারণ করার যে চাপ তা খুব সহজ নয়। এর মধ্যে এক পক্ষ বেশ রক্ষণশীল এবং অপর পক্ষ খানিকটা উদার কিন্তু বিষয়টা প্রতিনিয়ত, প্রতিদিনকার বোঝাপড়ার মধ্য দিয়েই নির্মিত। সম্ভ্যাব্য প্রলোভন এবং চাপ মানুষের শান্তি বা স্বস্তিকে নানাভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সেকেন্ড হোমের ধারণা তাই বেশ জোড়ালোভাবেই বিবেচনা হচ্ছে। ফলে অত্যন্ত অসাম্যপূর্ণ একটি সমাজে কারো কাছে যেটা লাক্সারী কারো কাছে সেটা একটা চয়েস মাত্র। বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৈশ্বিক হওয়া একটা আবশ্যিকতা নিঃসন্দেহে কিন্তু তার আরো বড় চ্যালেঞ্জ এর সাথে খাপ খাইয়ে "নিজ" কে প্রতিষ্ঠিত করা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

তোমোদাচি বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ আপনার চমৎকার মতামতের জন্য। আপনার মত এত কঠিন করে ভাবতে পারিনা, তবে সহজে যেটা বুঝেছি সেটা হচ্ছে - আপনি বুঝাতে চাইছেন গ্লোবাল পরিবেশে (আরো সরলীকরণ করলে বিদেশে) বসবাস করলেও নিজস্ব সংস্কৃতি ধারন করে চলার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।


বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৈশ্বিক হওয়া একটা আবশ্যিকতা নিঃসন্দেহে কিন্তু তার আরো বড় চ্যালেঞ্জ এর সাথে খাপ খাইয়ে "নিজ" কে প্রতিষ্ঠিত করা- কথাটার সাথে সহমত জানাচ্ছি।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

মুনসীমাহফুজ বলেছেন: ভাই, ছোট মুখে একটা বড় কথা বলি,

আপনি যেমন মাগুরার গ্রামের স্কুল থেকে জা:বি, বুয়েট হয়ে জাপান পর্যন্ত আসতে পেরেছেন আপনার সন্তানদের জন্যেও তেমন হতে পারে না কেন ? তবেই তারা উভয় পরিবেশের বাস্তবতা বুঝতে পারবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

তোমোদাচি বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু ভাই এক্সেপশনাল কখনও উদাহরণ হতে পারে না; আমি একজন মানুষ নিজের চেষ্টায়, পরিবারের সাপোর্টে, সর্বোপরি পরম করুণাময়য়ের কৃপায় এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। কিন্তু যারা আমার সমসাময়িক সময়ে আমার এলাকায় এই পৃথিবীতে এসেছিল তাদের অবস্থান কি?? আমি দেখেছি আমার চেয়ে অনেক মেধাবী ছেলেমেয়েরা এখন জীবিকা নির্বাহ করার মত কোন রকমে একটা চাকুরী করছে। অথচ সুযোগ পেলে তারা আরো অনেক ভাল কিছু করতে পারত!

উন্নত বিশ্বের দেশ গুলোতে বাচ্চারা তাদের প্রতিভা বিকাশে কত সুযোগ পেয়ে থাকে, সেই তুলনায় আমরা শুধু পিছিয়ে নয়, প্রতিযোগিতাতেও থাকতে পারছিনা। এখন তো আর সেই দিন নেই ১০/১২ টা বাচ্চা বানালাম, তাঁর মধ্যে কোন রকমে ২/১ টা মানুষ হলেই হলো!

আবার সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে বিদেশে বাচ্চা বড় করবেন! দেখবেন বাচ্চা হাইব্রিড হয়ে বড় হচ্ছে; না বিদেশী, না বাঙ্গালী। দেশ বিদেশ এক করে ফেলার মত সামরথ কয়জনের থাকে!!!

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোমোদাচি ভাই। সমস্যা হল দেশের পরিবেশটা এখন অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা শহর সবদিক থেকেই বসবাসের অনুপযুক্ত, দূষিত একটা শহর। শিশুদের সামনে কোন রোল মডেল নেই, তেমন দেশপ্রেম, সংস্কৃতিমনা হয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ নেই। অস্থিরতা, আতংক এগুলোই এখন সর্বেসর্বা হয়ে গেছে।

দূষিত পরিবেশ আর কৃত্রিম পরিবেশ এ দুটোর মধ্যে কোনটা আপনি বেছে নেবেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রাবণধারা;

ঠিক বলেছেন একদিকে দূষিত পরিবেশ আর আরেক দিকে কৃত্রিম পরিবেশ !!! কৈ যায়???

দেশে এসে চাকুরী নিয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে হলে ঢাকা শহরেই থাকতে হবে; কিন্তু ঢাকা বিশ্বের বসবাসের জন্য অযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষে।

অন্যদিকে, বিদেশী কৃত্রিম পরিবেশ দূরে থেকে স্বর্গ মনে হলেও, বাচ্চার ভবিষ্যতের উপর এর ব্যাপক নেগেটিভ প্রভাব পড়ে।

অন্যমনস্ক শরৎ ভাই যে চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন, সেটা খুবই কঠিন। বাচ্চাকে বিদেশে রেখে দেশী কালচার শেখাতে গেলে অবশ্যই তাঁকে বছরে ২/১ বার দেশে এসে ২/১ মাস অবস্থান করতে হবে। সেটা কয়জনের পক্ষে সম্ভব???

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

সোহানী বলেছেন: এক বাক্যে না... অন্তত এ মুহুর্তে না। দেশে এখন বাচ্চাদের জন্য মানসিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক, সামাজিক ডিজাস্টার পরিবেশ যাচ্ছে। এ পরিবেশ কোনক্রমেই বাচ্চাদের জন্য ভালোনা.... শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তবতা। আমরা যারা আছি তারা এখন পালাবার পথ খুজছি। শুথু ইমোশন দিয়ে বাচ্চা মানুষ করা যায় না, প্রয়োজন বাস্তবিক পরিবেশ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই বাস্তবতা !! B:-)

এত দিন পর দেশে আসছি- কিন্তু এবারে দেশে আসার পুরা আনন্দ মাটি করে দিয়েছে এই দুশ্চিন্তা! কেমনে দেশে গিয়ে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে এডজাষ্ট করব!

দেশে ফোন করলে একমাত্র মা-বাবা ছাড়া কেও বলে না দেশে ফিরতে। এমন অস্থির পরিবেশে বাচ্চার ভবিয্যত চিন্তা কেমনে করব!!

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

মুহিব বলেছেন: ইচ্ছা'টা এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন বলেই মনে করি। তুলনামূলক বিচার বরাটা খুবই কঠিন। আমি দেশেই তাকি। বাংলা মিডিয়াম ভাল না ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ভাল এই চিন্তারই তো কোন সমাধান পেলাম না।

যেহেতু বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন দেশের বাইরেই তো ভাল হওয়ার কথা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

তোমোদাচি বলেছেন: আসলে বাচ্চার ভবিষ্যৎ বলতে সার্বিক দিক বুঝাচ্ছি; তার শিক্ষা, কালচার, ধর্ম সব কিছুর সমন্নয়ে প্রকৃত মানুষ। আবার উন্নত দেশে থার্ড ক্লাশ নাগরিক হয়ে বা এলিয়েন (জাপানীজ রা আমাদের এলিয়েন মনে করে) হয়ে থাকার ও একটা কষ্ট আছে।

আমার বাচ্চা এখন পর্যন্ত ডে-কেয়ারে যায় সেখানে তার বন্ধুরা তাকে "কালো" বলে টিজ করে; তার সাথে ভালভাবে মিশতে চায় না; এত কষ্ট করে বিদেশ থেকে বাচ্চা যদি তার বন্ধুদের কাছে হীনমন্যতায় ভোগে সেটা কি তার পরবর্তী জীবনে প্রভাব পড়বে না?? সামনের বছর স্কুলে গেলে এসব আরো বাড়বে। এত দিন এটা সেটা বলে বুঝ দিয়েছি; সামনে ও যখন আরো বড় হবে আর দেখবে ওর সব বন্ধু এক রকম আর ও একা শুধু অন্য রকম; সেটা কি ওর মনের উপর প্রভাব ফেলবে না?? ওর খাবার আলাদা, ওর গায়ের কালার আলাদা, ওর কালচার আলাদা ... ওকে কেন অন্যরা বন্ধু ভাববে??

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

দি সুফি বলেছেন: আমি নিজে যেই পরিবেশে বেড়ে উঠেছি, চাইব আমার সন্তানও যেন সেরকম পরিবেশেই বেড়ে উঠে! উন্নত দেশের কালচার আর আমাদের কালচারের পার্থক্যগুলোর কারনেই নিজ দেশকে আগে প্রাধান্য দিব।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

তোমোদাচি বলেছেন: কালচারের দিকটা বিবেচনা করলে আপনার কথা অবশ্যই ঠিক আছে।

কিন্তু আমাদের দেশের (বিশেষ করে ঢাকা শহরের) বর্তমান পরিস্থিতে সুস্থ-সবাভাবিক বাচ্চা পালন করা কতটা সহজ সেটাই মুখ্য বিষয়!

ধন্যবাদ মতামতের জন্য!

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ডাব্বা বলেছেন: কঠিন সিদ্ধান্ত। কোন সন্দেহ নেই। কাব্যিক আবেগে না ভেসে গিয়ে কয়েকটা দিক দেখাই এর ভাল মন্দের। সোজাসাপ্টা।

এ সমস্ত উন্নত দেশে আল্লাহ/ইশ্বর/ভগবান = ৯১১

শরীর খারাপ? কল ৯১১, মন খারাপ? কল ৯১১, কেউ ফোনে হুমকি দিয়েছে? কল ৯১১, আপনার গাড়ীতে ধাক্কা দিয়েছে কোন বাদরের গাড়ী? কল ৯১১, বাবা মা কোথাও যেতে দিচ্ছে না ঘরে থাকতে জোর খাটাচ্ছে? কল ৯১১। আল্লাহ/ইশ্বর/ভগবান কে কেউ ইনফর্ম করে না। মোটা দাগের কথা হলেও বলছি, আপনি যদি ধার্মিক হন তো এই ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নেবেন না।

জীবনের আপাত নিরাপত্তা এত বেশী এখানে যে আল্লাহ/ইশ্বর/ভগবান কে স্মরণ করার কথা কেউ ভাবে না।

আপনার ছেলে/মেয়ে যদি পিচ্চি হয় তো এটার প্রভাব এখন এত বুঝবেন না, বুঝবেন যখন ওর বয়স হবে ১৪-১৮।

ছেলে মেয়ের কথা এজন্যেই বলছি যেহেতু আপনি এদের কথাই ভাবছেন বেশী। সন্তানটিকে মানুষ করতে বাবা অথবা মা এর সার্বক্ষণিক উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরী। এটা না হলে কি হয় সেটা আমি প্রতিদিন দেখি। প্রতিদিন।

আর বাংলাদেশী ইমিগ্র‌্যান্ট পরিবারগুলো আসে মূলত ছেলেমেয়ের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে। এসে বাবা মা দুজনেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে, না করে উপায়ও নেই। কাজেই ছেলে মে্যে গুলো ওদের নিজের মত করে বেড়ে উঠে এবং উচ্ছন্নে যায়। বাবা মা'র চোখের পানি আর শুকায় না।

অবশ্য উচ্ছন্নে যাবার সংজ্ঞা আপনার কাছে কি সেটাও কিন্তু একটা ব্যাপার। কতটুকু নীচে নামলে আপনি বলবেন যে, না চরিত্রটা ঠিক ই আছে। আর নীচে নামার ব্যাপারটাও আপেক্ষিক। আপনার কাছে যেটা নিচে আমার কাছে সেটাই হয়ত উপরে উঠার ঘুরপথ।

পজিটিভ দিকগুলো আপনার জাপানের মতই প্রায় সবকিছু।

- আপনি যে কয়দিন বাঁচেন শান্তিতে বাঁচবেন ইন শা আল্লাহ্‌।
- শরীর মন ভাল থাকবে। দেশের চেয়ে বেশী সুস্থ থাকবেন।
- সময়মত সব কাজ হবে। ঘুষ নিতে বা দিতে হবে না।
- সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা থাকবে।
- সন্তানটি এমনসব স্কুলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে যেখানে পড়ার জন্যে সবাই উদগ্রীব।
- হয়ত ভাল আয় করবেন এবং দেশে জমিদার হবেন।
- বাবা মা কে নিয়ে আসতে পারলে আরো একটু ভাল থাকবেন।

আমি এমন একটা বাংলাদেশী ফ্যামিলি দেখিনি যাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশি কালচারে বড় হয়েছে এবং ধার্মিক হয়েছে অথচ তাঁরা দুজনেই ব্যস্ত ছিলেন ঘরের বাইরে।

গুড লাক্‌।


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।

প্রথম প্যারাটা মজার লিখেছেন; এদেশে শুধু নাম্বারটা ভিন্ন ১১৯ ;)

আপনি বিদেশে থাকার ভাল মন্দ সব দিকই বলেছেন, আমি আর কি বলব??

তবে একটা পয়েন্ট খুব ভাল বলেছেন, বিদেশে থাকা অধিকংশ ফ্যামিলীতে বাবা-মা দুজনকেই চাকুরী করতে হয়। সেক্ষেত্রে বাচ্চা উচ্ছন্নে যাওয়া আরো সহজ।
দেশে তবু আত্মীয় স্বজন থাকে তারা কিছুটা টেক কেয়ার করতে পারে। আর আমরা যেটাকে উচ্ছন্নে যাওয়া বলি সেটাই অধিকংশ উন্নত দেশের ইউজুয়াল কালচার!


৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

তিক্তভাষী বলেছেন: সুযোগ-সুবিধা, সন্তানের ভবিষ্যৎ আর স্মুথ লাইফস্টাইল চাইলে উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বেছে নেয়া উচিত হবে। আর বিদেশে বসবাস করে নিজস্ব সংস্কৃতি ধারনের চেষ্টা সোনার পাথর-বাটির মতো জিনিস! কাজেই, সেদেশের সংস্কৃতির সাথে মিশে যাওয়াই শ্রেয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

তোমোদাচি বলেছেন: তিক্তভাষী, শেষ বাক্যটি খেদ থেকে বললেন কি না বুঝলাম না, যদি সিরিয়াসলি বলেন, তাহলে সেটা কি সম্ভব??

আপনি বড় হয়েছেন এক রকম কালচারে, আপনার রক্তে মাংশে মিশে আছে এক সংস্কৃতি; আপনি ইচ্ছা করলেই কি বিদেশী একটা সংস্কৃতির সাথে মুশে যেতে পারবেন??

আপনার সন্তান না হয় মিশে গেল, সেটা কি আপনি মেনে নিতে পারবেন??

তবে "বিদেশে বসবাস করে নিজস্ব সংস্কৃতি ধারনের চেষ্টা সোনার পাথর-বাটির মতো জিনিস!" - এই কথাটির সাথে পুরাপুরি সহমত!

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

লজিক মানুষ বলেছেন: আপনি আমার জেলার লোক জেনে অনেক ভালো লাগছে। মাগুরা কোথায়?
ইমেইল করতে পারেন: [email protected]

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

তোমোদাচি বলেছেন: আমি বাই মাইগ্রো জিলার শাইলখে থানার মানুষ ;)

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দুই দিক এত সুক্ষ্মভাবে সমান যে আপনারা পক্ষপাতিত্ব না করলে সিদ্ধান্ত নেয়া মুশকিল। যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুন না কেন তা যেন আপনাদের জন্য শুভ হয় এই কামনা করি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায় ; সিদ্ধান্ত তো একটা নিতেই হবে। এর সাথে আরো কিছু বিষয় নিশ্চয় জড়িত; তবে সবচেয়ে বড় বিবেচনা বাচ্চার সুন্দর ভবিষ্যৎ! তাই সবার সাথে আলোচনা করে দেখছি; সঠিক সিদ্ধান্ত টা নিতে চায়।

প্রকৃত পক্ষে আমি, ইমিগ্রান্ট বাচ্চারা কেমন হচ্ছে, সেই আউটপুটটা জানার জন্য এই পোষ্ট দিয়েছি!

যুক্তি বা আবেগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে একজিস্টিং ফলাফল দেখে সিদ্ধান্ত নিলে সেটা যথার্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস!

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

ময়নুল েহােসন বলেছেন: ডাব্বা কে বলতে চাই বাক্কা লিখছেন

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

তোমোদাচি বলেছেন: দেখা যাক, ডাব্বা কি উত্তর দেন!

তবে আপনি আর একটু ক্লিয়ার করলে ভাল হত!

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমি নিজে কখনই বিদেশে যাই নাই - তাই এ'ব্যাপারে একেবারেই অনভিজ্ঞ বলতে পারেন। আমি বরং আপনাকে ড. জাফর ইকবালের কোন এক লেখায় পাওয়া একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারি। উনি যখন আমেরিকায় ছিলেন তখন ওনার উপলব্ধি হয়েছিল যে ওখানে থাকলে সন্তানরা মানুষ হবে না - তাই উনি দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আর একটা কথা আমি প্রায়ই ভাবি - একটা সমাজ হচ্ছে অনেকটা রেল গাড়িরমত, যেখানে অল্প কয়েকটা সক্রিয় ইঞ্জিন আর বহু নিস্ক্রিয় বগি থাকে। উন্নত বিশ্ব নান প্রলোভন/সুযোগ/সুবিধা দিয়ে আমাদেরমত দরিদ্র দেশে জন্ম নেয়া উঞ্জিনগুলি নিয়ে যায় - ফলে ওদের গাড়ি আরো দ্রুত চলে। আর ইঞ্জিন হারিয়ে আমাদের নিস্ক্রিয় বগিগুলি আরো পিছনে পরে থাকে।

এই দিক দিয়ে চিন্তা করলে দেশ ও জাতির প্রয়োজনে উপযুক্ত শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের পর সবারই দেশে ফিরে আসা উচিত। প্রয়োজনে পরবর্তি প্রজন্মকে আবার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠান যাবে। আপনি যতটা প্রতিকুলতা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছেন, আপনার অভিজ্ঞতা ও আর্থিক উন্নতির কারণে আপনার ছেলে-মেয়েদের নিশ্চয়ই অতটা প্রতিকুলতার সম্মুখিন হতে হবে না - তাই না? আর সন্তানদেরও পিতা-মাতার পরিবর্তে নিজেদের যোগ্যতা/দক্ষতার উপর নির্ভরশীল হওয়াই ভাল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

তোমোদাচি বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশি ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে আমি যতদুর জানি স্যারের সন্তানরা বিদেশেই বড় হয়েছে।

যাই হোক, মাঝের প্যারার সাথে সহমত নই, বিদেশীরা প্রলোভন/সুযোগ/সুবিধা দিয়ে আমাদের দেশের মেধা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে না; আমরাই উন্নত জীবনের জন্য বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছি।

শেষের প্যারাটা তাত্ত্বিক ভাবে সমর্থন করি, কিন্তু বিড়ালের গলায় প্রথম ঘন্টাটা কে বাঁধবে???

তবে সেই চেষ্টা টা করা উচিৎ; আমার যুক্তি ও সেটা।

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

কেএসরথি বলেছেন: সন্তানের ভালো কে না চায়?

আমার কেন যেন মনে হয়, সন্তানের পিতা-মাতার উপর সে বড় হয়ে কেমন হবে, সেটা অনেকাংশেই নির্ভর করে। আপনার যা লেখা পড়েছি তাতে, আমি নিশ্চিত আপনার সন্তান একজন ভালো মানুষ হিসেবেই বড় হবে। মানুষের চারপাশের পরিবেশও তার উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু ততটা ফেলেনা, যতটা তার ডিএনএ পারে। আর এই জন্যই কিছু রিকশাওয়ালার লাখ টাকার ভর্তি ব্যাগ ফেরত দেন, আবার কোটিপতি কারো হাজার টাকা মেরে দিতেও দ্বিধা বোধ করেন না।

আমার দেশ আমার। বাইরের কোন দেশ আমাকে কখনও প্রথম শ্রেনীর নাগরিক হিসেবে গন্য করবে না। আমি ওদের দেশে জন্ম নিলেও, ওরা সবসময় আমাকে "ইন্ডিয়ান" বলেই মনে করবে। কিছু করার নেই - কিন্তু সেটা বাদে, বাইরের দেশে সুযোগ বেশি, হানাহানি/টানাটানি কম, একটা সুস্থ জীবনের আশা আছে।

আমার মতে, আমাদের সবার বাইরের কোন দেশের নাগরিকত্ব থাকা উচিৎ - আমরা যেমন পড়াশোনা করে ডিগ্রী নেই, ঠিক ঐ রকম ভাবে, ডুয়াল সিটিজেনশীপকে একটা ডিগ্রী হিসেবেই ধরে নেই। দেশকে অবমাননা না করি, দেশের দূর্দিনে সবকিছু দিয়ে সাহায্য করি, সন্তানদের মাঝে নিজেদের সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেই - একই সাথে বাইরের সব ভালোটাও নিজের আয়ত্বে রাখি। এর বেশি কি আশা করা যায়।

বাইরে সেটেল হন বা না হন, বাইরের একটা কাগজের ব্যবস্থা করুন। পরে ইচ্ছা হলে যাবেন, না হলে ঐ কাগজ পড়ে থাকবে।

আপনার কাজ আসলে শেষ হয়নি - মাত্র হচ্ছে শুরু।

:)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

তোমোদাচি বলেছেন: কেএসরথি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য ও শুভকামনা!

আসলে কাগজ জোগাড় করা বলতে যেটা বুঝিয়েছেন সেটা জাপানে করতে গেলে আমাকে আরো কমপক্ষে ৫ বছর থাকতে হবে; তত দিনে আমার ছেলে মাধ্যমিক প্রায় শেষ করে ফেলবে; তার কালচারাল ভিত্তি গড়ার এটাই প্রধান সময়। তাই এখন যেখানে যাব সেখানে স্থায়ী ভাবেই যাওয়ার চিন্তা করছি; দোদুল্যমান থাকতে চাই না।

শুধু শুধু ইমিগ্রেশন জোগাড় করে রাখলে আরো বিপদ; তখন দেশেও মন বসাতে পারব না। কারেন্ট গেল?? ধুর! এই দেশে আর থাকুম না!! প্লেনের টিকিট কাট!!
রাস্তায় জ্যামে ২ ঘন্টা আটকে জরুরী কাজ করতে পারলেন না?? এই দেশে আর থাকুম না!! প্লেনের টিকিট কাট!!
ছিনতাই কারী রাস্তায় ছুরি ধরল?? এই দেশে আর থাকুম না!! প্লেনের টিকিট কাট!!

এরকম প্রতি মুহূর্তে মনে হবে পালাই পালাই ...

আবার বিদেশে চলে আসলে দেশের জন্য মন টানবে

ভাই, জীবনের অর্ধেকের বেশী শেষ, এখনও যদি শুরু তেই থাকি শেষ করব কবে :( :(

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: যুক্তি বা আবেগ দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে একজিস্টিং ফলাফল দেখে সিদ্ধান্ত নিলে সেটা যথার্থ হবে বলে আমার বিশ্বাস!

সহমত পোষণ করছি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

তোমোদাচি বলেছেন: পরিচিত ইমিগ্রান্ট বাচ্চারা কিভাবে বড় হচ্ছে, তারা কি সমস্যার মধ্যে পড়ছে বা কতটা ভাল করছে সেই উদাহরণ জানা থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ রইল সবার কাছে!

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

গ্রীনলাভার বলেছেন: ভাই, আমি চিন্তা করছি সৌদি-আরবের কিং আবদুল আজিজ ইউনিতে ট্রাই মারব একটা। চারপাশে নামাযী মানুষ দেখলেও অন্তত দেশী-দেশী একটা ভাব আসে। :#)
এইটা অন্তত বুঝছি, এই ইউরোপ কান্ট্রিগুলা আমার জন্য না।
বাকীটা আল্লাহ ভরষা। দোয়া রাইখেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

তোমোদাচি বলেছেন: দোয়া রইল!

সৌদি তে গেলে ধর্মীয় আবহ পাবেন ঠিকই কিন্তু অন্য গুলো??

বাই দ্যা বাই, জাষ্ট জানার জন্য। ওরা নাকি আমাদের দেশের লোক দের খুব নিচু চোখে দেখে? এমন কি যোগ্যতা সম্পন্ন চাকুরী নিয়ে গেলেও??

জাপানে আমার কিছুদিন আগে পি এইচ ডি করেছেন, এখন ক্যানাডাতে সেটেল; উনি সৌদিতে ডাক্তারী করেছেন কিছুদিন; উনি সহ আরো কয়েকজনের কাছে শুনেছি ব্যাপার টা।

আমিও এমন একটা জায়গা খুজছি, যেখানে আমাদের সাথে কালচারাল মিল বেশী। দেশে না হলে এমন একটা দেশে সেটেল করতে চাই।
আমার জন্যও ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া নয়! নিজেকে এখনও এতটা উন্নত করতে পারিনি!

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

ঝটিকা বলেছেন: ঠিক আমার পরিবারের সমস্যা। যেখানে আমার স্বামী আপনার ভুমিকায় আমি আপনার স্ত্রীর ভুমিকায়। আমারো ছোট বাচ্চা, আমার স্বামীরও পিএইচডি শেষ হওয়ার পথে :)

আমরা সিডনিতে আছি। সেক্ষেত্রে আমার পয়েন্টের সাথে আপনার নাও মিলতে পারে। কারণ আমরা যে এলাকায় থাকি সেখানে প্রচুর বাঙালী এবং লেবানীজ, মুসলিমও অনেক। মুসলিম কালচার, হালাল/বাংলাদেশি প্রায় সব খাবার সহজলভ্য। বাঙালী কালচার ধরে রাখা কিছুটা সম্ভব।

১। শুধুমাত্র খাবার-দাবারের সুবিধার চিন্তা করে আমি ঢাকায় ফেরত যেতে চাই না। আমি মা' হয়ে কিভাবে পারি বাচ্চার মুখে নিজ হাতে বিষ তুলে দিতে? আমার বাড়ি যশোরে, ঢাকায় থাকতে আমি নিজেই অনেক ফল মুখে দিতে পারতাম না তীতা লাগত, স্পষ্ঠ পার্থক্য বুঝতে পারতাম।

২। সাহসী/কনফিডেন্স, সহজ-সরল, মন-মানষিকতা সার্বিক ভাবে এখানকার বাচ্চাদের সাথে দেশের বাচ্চাদের অনেক পার্থক্য।

৩। একটা বড় বেনিফিট লেখা-পড়ায়। কোন প্রেসার নেই, বাড়িতে মা-বাবার কোন বাড়তি চিন্তা নেই।আমার বন্ধুর বাচ্চার দেখি ব্যাগ ভরতি করে স্কুল লাইব্রেরী থেকে গল্পের বই নিয়ে আসে। এগুলো ঢাকাতে এখন চিন্তায় করা যায় না।

৪। বাচ্চা পালার সাথে সাথে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কাজে লাগাতে চাইলে চাকরি করারও সুযোগ পাব। দেশে এটা সম্ভব হবে না। কাজের লোকের হাতে বাচ্চা রাখার ইচ্ছা নেই, মা/শাশুড়ি কেউ স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে না।

৫। বিনোদনও একটা ব্যাপার। আপনি চাইলেই সপ্তাহান্তে দুইদিন বাচ্চাদের সাথে বাইরে ভালো সময় কাটাতে পারবেন, যা দেশে যেয়ে পারবেন না।


আর যদি বড়দের কথা ধরি, শেকড়ের টান বলেন আর যায় বলেন বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে যেটা খুব প্রয়োজন সেটা হল দেশকে সত্যিকারের সেবা করা। দরিদ্র দেশের জন্য অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য সবচেয়ে বড় সেবা। সেটা বিদেশে থেকে বিদেশি টাকা দিয়ে যতটা পারবেন দেশে থেকে তার ১০০ ভাগের ১ ভাগও পারবেন না(এখানকার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম)।

প্রত্যক্ষ পরোক্ষ আরো অনেক প্যারামিটার আছে। অসুবিধাও আছে কিছু। সব মিলিয়ে আমার ইচ্ছা বাচ্চাটা ফাইভ/সিক্সে উঠলে দেশে ব্যাক করা। ততদিনে এদেশে সিটিজেনশিপও হয়ে যাবে।





০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঝটিকা আপু;
শুধু ১ নং বাদে আমার স্ত্রীর সাথে সব যুক্তি মিলে গেছে; আমার ও এসব পয়েন্টে দ্বিমত নেই।

কিন্তু আপনি যে ভাবছেন ফাইভ/সিক্স পর্যন্ত পড়িয়ে দেশে ব্যাক করবেন, সেটা কি আপনার বাচ্চার জন্য ভাল হবে? তত দিনে সে তো আরো ম্যাচিউরড হয়ে যাবে।
সে কি তখন দেশে এসে এডজাষ্ট করতে পারবে??

যদি মাইন্ড না করেন, একটা প্রশ্ন করতে পারি???
আমার দেখা মতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা দেশে ফেরার ব্যাপারে বেশী আপত্তি; এর মূল কারন কি?? ফ্রাঙ্কলী আপনার মতামত দিবেন প্লীজ??

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: তোমোদাচি ভাই আরেকটা কথা। আপনার বাচ্চারা যেহেতু কিছুটা বড় হয়েছে। আপনি তাদের মতামতটাও জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমার কিন্তু ধারনা, তারা বিদেশেই থাকতে চাইবে :), যদি তাদের দেশে থাকার অভিজ্ঞতাটা বিশেষ করে ঢাকায় থাকায় অভিজ্ঞতা হয়....।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

তোমোদাচি বলেছেন: হা হা হা ... আমার বাচ্চা এতটা বড় হয় নি।

ওকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কেন বাংলাদেশে যাচ্ছ?
ও উত্তর করে, আমার জন্য আমার দাদা-দাদি আর নানা-নানী গিফট কিনে রেখেছেন সেটা আনতে!! ;)

হ্যাঁ, সে এখানে এসেছে দেড় বছর বয়সে; এখন বয়স ৬; এর মধ্যে মাত্র এক বার দেশে গেছে। তাঁর কাছে তো এটাই জন্মভুমী!!

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

ঝটিকা বলেছেন: কেএসরথি ভাইয়ের মন্তব্য ভালো লাগলো। এখানে আর একটা কথা মনে পড়ল, সিডনী এতো বেশি মাল্টিকালচারাল, এখানে কারো একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। সিডনীকে আমার মনে হয় এটা সবার দেশ, তাই নিজেকে পর পর মনে হয় না। যেটা ভারতে গেলেও মনে হবে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

তোমোদাচি বলেছেন: আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার কিছু শহরের ক্ষেত্রে শুধু এই কথা সত্য। কিন্তু অধিকংশ দেশ এতটা মাল্টিকালচার না। জাপানের অবস্থা তো পুরা উল্টা। এখানে সারাজীবন কেও থাকলেও কালচারাল এডজাস্টমেন্ট করতে পারবে না!
এদের সব কিছুই আমাদের থেকে আলাদা; এরা ফরেনারদের কখন আপন করে নেবে না।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "যাই হোক, মাঝের প্যারার সাথে সহমত নই, বিদেশীরা প্রলোভন/সুযোগ/সুবিধা দিয়ে আমাদের দেশের মেধা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে না; আমরাই উন্নত জীবনের জন্য বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছি। "

তারও নিচ্ছে, আমরাও যাচ্ছি - ঘুরে ফিরে কথা একই। আমাদের দেশের ইঞ্জিন বাইরের দেশের বগি টেনে গতি বাড়াচ্ছে, আর আমরা পিছিয়ে পরছি।

একটা মানুষের জন্ম থেকে নিয়ে কর্মক্ষম হয়ে উঠতে অন্তত ২০-২৫ বছর সময় লাগে। তার পরও দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ ততটা যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারে না। আর বিদেশীরা সেখানে একেবারে রেডিমেড কর্মক্ষম মানুষ পেয়ে যাচ্ছে, তাও যাচাই বাছাই করে সবচেয়ে সেরাটা!!

সুতরাং আমাদের আগ্রহে আমরা যেমন যাচ্ছি তেমনি আমাদের সেরা মেধাগুলিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওদের আগ্রহও কম থাকার কথা নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

তোমোদাচি বলেছেন: একটা মানুষের জন্ম থেকে নিয়ে কর্মক্ষম হয়ে উঠতে অন্তত ২০-২৫ বছর সময় লাগে। তার পরও দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ ততটা যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে পারে না। আর বিদেশীরা সেখানে একেবারে রেডিমেড কর্মক্ষম মানুষ পেয়ে যাচ্ছে, তাও যাচাই বাছাই করে সবচেয়ে সেরাটা!

খুব যৌক্তিক কথা!


আমাদের দেশ সেই পরিবেশ দিতে পারছে না; ট্রেন ক্যামনে চলবে???

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @ঝটিকা

আপনারাতো সিডনি প্রায় দখল করে ফেলেছেন!! লন্ডনে ইতিমধ্যেই আমাদের একজন এমপি এবং একজন মেয়র আছে। এই হারে চলতে থাকলে আগামী পঞ্চাশ-একশ বছর পর আমরা লন্ডন, সিডনি, টেরন্টোসহ বিশ্বের বড় বড় প্রায় সব শহরই দখল করে ফেলব - কি বলেন?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

তোমোদাচি বলেছেন: ৫০ বছর পর আমরা বলতে পারব, আমরা শুধু বিশ্বে শ্রমিক সাল্পাই দেই না; রাজনীতিবিদ ও সাপ্লাই দেই ;)

২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: দেশটি যেন এক ডুবন্ত টাইটানিক - লাইফবোটের পানে ছুটছে সকলেই। কিন্তু সেখানে গিয়ে যা জুটছে, তাতে কি সকলেই সন্তুষ্ট? আপনার প্রশ্নটি শুধু যারা বিদেশে দীর্ঘদিন ধরে আছে তাদের জন্যই নয়, স্বদেশে যারা আছে তাদের জন্যও খাটে।

জাপানে ইমিগ্রান্ট হওয়া যায় না, সেটি তো আপনিই বললেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়াতে যারা ইমিগ্রান্ট হয়ে ছুটে যায়, তারা কেমন আছেন? সেই উত্তর থেকে কিছু পাওয়া যাবে, আজকের প্রশ্নের জন্য। তারা কিন্তু দেশের শিক্ষিত এবং যোগ্য জনগোষ্ঠীর অংশ! অতএব ব্রেইনড্রেইনের বিষয়টিও খেয়াল করতে হবে।

বিষয়টি সত্যিই চিন্তা করার মতো অবস্থায় চলে এসেছে। ডক্টর তোদোমাচিকে শুভেচ্ছা :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাই!

আমাদের নেতা/নেত্রীরা রেমিটেন্সের জোয়ারে খুশিতে আত্মহারা।

এই রেমিটেন্স এর সাথে কত মানুষের দীর্ঘশ্বাস; কত স্যাক্রিফাইস যে জড়িত তা কেও ভেবে দেখে না।

যারা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তারা তাদের সমস্ত শক্তি + মেধা খরচ করেন বিরোধী পক্ষের ক্ষতি সাধনে। আসল কাজ করবেন কখন!!!
এই দেশের মানুষ এত পরিশ্রমী; বিদেশে গিয়ে কত উন্নতি করছে; দেশে যদি একটু ভাল পরিবেশ থাকত কে পরে থাকত পরদেশে!!!

একটা কথা আছে, ঘরে যদি শান্তি না থাকে তাহলে বাইরের শান্তি ও নষ্ট হয়ে যায়; সেই রকম দেশে যদি শান্তি না থাকে ভাই দুনিয়ার কোথাও তাঁর শান্তি নেই!!

২৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ ভাই, ইন্ডিয়ানরা যদি সারা বিশ্ব দখল করতে পারে, আমরা করলে সমস্যা কি?

এই ব্যাপারে কোনো সাহায্য করতে পারছিনা তমোদোচি ভাই। দুঃখিত। তবে জ্ঞান আহরণ হলো।

যে সিদ্ধান্তই নিন ভালো থাকুন। আনন্দে থাকুন। এইটাই প্রয়োজন। নিরানন্দে ভালো থাকার কোনো মানে খুঁজে পাইনা। এমন কি বেঁচে থাকারও।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

তোমোদাচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সজীব ভাই!

তবে যেখানেই যায় এই অক্টোবরে দেশে আসছি, ইনশাল্লাহ!

আপনার দাওয়াতের কথা ভুলিনি!

২৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

গ্রীনলাভার বলেছেন: ব্লগার মধুমিতা ভাইয়ের ব্লগ পড়ে মনে হল টিচারদেরকে ভালই সম্মান করে ওরা। (আমি ধরে নিচ্ছি আপনি টিচিং প্রফেশনেই থাকবেন।)
পরদেশের বৈষম্য নিয়ে আর কি বলব ভাই? নিজ দেশেই কি কালচারাল পলিটিক্সের শিকার হইনা?
তবে আরবদেরকে একটু গা-ছাড়া টাইপের মনে হয় আমার কাছে। পেট্রো-ডলারের কল্যানেই কিনা কে জানে? আমার পকেটে পয়সা থাকলে আমিও কাউকে তোয়াক্কা করতাম না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই; দেশে বিদেশে যেখানেই থাকি টিচিং এ ই থাকব, এটা ফাইনাল!
ঐ একটা কাজই পারি এবং এঞ্জয় করি!

ভাল থাকবেন!

২৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

হিবিজিবি বলেছেন: সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিন!! আমি নিজেও এ নিয়ে দ্ধিধা দ্ধন্দে আছি! শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলাম দেশেই ফিরে যাবো। আছি ইউরোপে (ইউকে নয়), আর ইউরোপে বাংলাদেশি ইমিগ্রেন্টদের বেশির ভাগই শ্রমিক শ্রেনীর। খ্যাতিবান যে কয়জন হয়েছে তাদের মাঝে তারাই যারা পড়াশুনার জন্য এসে পরে সেটেল হয়েছেন! তাদের প্রজন্ম যারা এখানে বড় হচ্ছে (ছেলে মেয়ে) তাদের মাঝ থেকে ভালো পজিশনে আছে এমন সংখ্যা খুবই কম!!

উদাহরণ সরূপ বলা যেতে পারে যে, আমি অন্তঃত ২০ জন বাংলাদেশিকে চিনি/জানি যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক/গবেষক, নাম করা চিকিৎসক বা ইজ্ঞিনিয়র কিন্তু তাদের কারো ছেলে মেয়েই সে রকম কিছু হতে পারেনি! এই ছেলে মেয়েরা বাংলাদেশে বড় হলেই যে আরো ভালো কিছু করে ফেলতে পারতো তা হয়তো ন!!
আমার পরিচিত একটা ছেলে আছে (সেকেন্ড জেনারেশন) ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে সে বাংলা বলতে পারে কিন্তু পড়তে পারে না! কেন জানি তার এই বাংলা পড়তে না জানাটা আমাকে খুব কষ্ট দেয়! তাকে দেখে আমার যেটা মনে হয়েছে সে না পেরেছে এখানকার সংস্কৃতিতে মিশতে না পেরেছে ঐতিয্য ধরে রাখতে! তবে ইউএসএ, কানাডা বা অস্ট্রেলিয়াতে হয়তো যারা থাকেন তারা হতো আরো ভালো আলোচনা করতে পারবেন এ ব্যাপারে। তবে ওসব দেশেও
বোধ হয় ইমিগ্রেন্ট বাবা মায়ের সাফল্যের তুলনায় সন্তানদের সাফল্য কম (তার মানে বকে গেছে এমন না!! :) )!

সামাজিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে বিদেশে সেটেল হওয়া অনেক ভালো। তবে একটা জিনিস মনে রাখা উচিত আগামী ১০ বছর পর কিন্তু দেশের অবস্থা এমন নাও থাকতে পারে!! আর দেশের বাইরে আস্তে আস্তে রেসিজম বাড়তেছে। একজন ইমিগ্র্যান্ট নাগরিকের অধিকতর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও একই পোস্টে একজন নেটিভ( চামড় ভিন্ন!) নিয়োগ পাচ্ছে, ইদানিং এটা অনেক বাড়ছে এবং ধীরে ধীরে বাড়তেই থাকবে!!

যাই হউক বিদেশে সেটেল হতে চাইলে ইংলিশ স্পিকিং দেশ গুলোতে হওয়া উচিত! যদিও অন্য ভাষাবাসি উন্নত দেশের লোকজন বেশি ভদ্র ওদের তুলনায়! এটা ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত বদলাতে অনেক সহায়ক!

সর্বোপরি দেশে ভালো থাকার সুযোগ থাকলে বাইরে সেটেল না হওয়াই ভালো! দেশে আগে একটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। যদি কোন ভাবেই সম্ভব না হয় তখন আবার চেষ্টা করবেন অন্য কোথাও সেটেল হতে। আর আপনার লেভেলের যে কেউ যে কোন সময় যে কোন দেশে সেটেল হওয়ার যোগ্যতা রাখে!

সবই আমার ব্যক্তিগত ধারণা!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

তোমোদাচি বলেছেন: নাম হিজিবিজি হলেও কমেন্ট করেছেন যথার্থ! ধন্যবাদ ভাই; আমি এরকম কমেন্টই চাচ্ছিলাম।
আপনার পরিসংখ্যান আমার উদ্বেগ এর সাথে মিলে গেছে।
পরবর্তী জেনারেশন বখে যাওয়া নয়, তারা যদি আমাদের থেকে ভাল কিছু যদি না-ই করতে পারে তাহলে তাদের জন্য এত স্যাক্রিফাইস করে লাভ কি হলো!!
দেশে বিদেশে যেখানেই চেষ্টা করি আজ না হোক কাল একটা ভাল কিছু হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ!
কিন্তু এত চিন্তা করছি তো বাচ্চাদের জন্য ই। শুধু যদি নিজের কথা চিন্তা করতাম, তাহলে তো চোখ বুজে দেশে চলে যেতাম। কারন আমি ঐ পরিবেশের সাথে অভ্যস্ত, আমার ওখানেই বেশী কমফরট লাগে।

চিন্তাটা আরো বেড়ে গেল!

২৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যুর অবতারণা করেছেন। ইমিগ্রান্ট ছেলে মেয়েরা কি কি সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।তাদের ভবিষ্যৎ কি ফুলশয্যা নাকি কন্টকশয্যা ।বা তাদের ভবিষ্যৎ কতটুকু উজ্জ্বল সে ব্যাপারে সচেতন নাগরিক মাত্রই জানা থাকা উচিৎ। খুব চমৎকার পোস্ট ।ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই;
এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই খুব টেনশনে আছি।
তাই সহ ব্লগার দের সাথে শেয়ার করলাম; ইমিগ্রান্ট ছেলেমেয়েরা কেমন করছে সেটা জানার জন্য।

এই ব্যাপারটা এখন অনেক ফ্যামিলির কাছেই বারনিং কোশ্চেন!

২৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

প্লাটো বলেছেন: ফিলজফিকাল ইসু্ , অপটিমাইজেসন প্রব্লেম :) । তবে পুরানো ও সলভড । আসলে ভালমন্দ দুদিকেই আছে। যার যেটা ভাল লাগে সেটাই ঠিক।

তবে এখন জাপানে জব পেতে হবে । পি-আর নিতে টোটাল ১০ বছরের রেসিডেন্সে ৫বছর ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে বলে জানি। কিছু স্কলারসিপ দেয়, যেগুলতে ডিগ্রী শেষ করে দেশে ফিরতেই হবে এরকম শর্ত থাকে। এনিওয়ে আপনি মিনটাইম কি জবে ঢুকে পড়েছেন? সেখানে জব মার্কেটের অবস্থা কেমন? ভাল থাকবেন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

তোমোদাচি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ফিলজফিকাল ইসু্ , অপটিমাইজেসন প্রব্লেম ; তাই রিয়েল ডাটা সংগ্রহের চেষ্টায় পোষ্ট টা দিয়েছি।

না ভাই জাপানে জবে ঢুকিনি; মাত্র পি এইচ ডি শেষ করলাম। চাইলে ২/১ বছরের জন্য একটা পোষ্ট ডক হয়ত যোগাড় হয়ে যেত; কিন্তু বাচ্চার বয়স ৬, স্কুলে দেওয়ার সময় হয়েছে; ওকে নিয়ে কোথায় সেটেল হতে চাচ্ছি।
জাপান আবার ঘুরতে/ অল্প সময়ের জন্য আসতে পারি কিন্তু জাপানে সেটেল হওয়ার ইচ্ছা নেই!

২৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
কমেন্টগুলো পড়লাম। উচ্ছন্নে যাওয়ার ব্যাপারে দুটো উদাহরণ দেই। আমার দুই চাচাত ভাই বোন, আমেরিকায় বর্ন। ওদেরকে দেখি কি নম্র, ভদ্র, চমৎকার ব্যবহার, বাবা মা আত্মীয়স্বজনের সাথে। একজন পড়ে নিউইয়র্কের ওয়ান অব দা বেস্ট স্কুলস এ। আবার আমাদের বাসায় এক ফ্যামিলি থাকে, তাদের ছেলে মেয়েও আমেরিকায় বর্ন, আমার আব্বু, আম্মু বা বড় কাউকে দেখলে সাথে সাথেই সালাম দিবে। দিনের মধ্যে ১০ বার দেখা হলে ১০ বার।

আমার বাবা মা উন্নত দেশে থাকে আমার জন্য, আমার মনে হয় এ বিষয়ে মন্তব্য দেয়া ঠিক না ;)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বর্ণা , আপনার কমেন্টের জন্য; এখন পর্যন্ত একমাত্র বিপরীতমুখী কমেন্ট।

এই বিষয়ে আমার একটা অবজারভেসন আছে; যারা কয়েক প্রজন্ম ধরে বিদেশে আছে বা যারা এক সাথে কয়েকটা পরিবার (আত্মীয়) একই দেশে আছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম অপেক্ষাকৃত সিঙ্গেল প্রবাসী পরিবারের থেকে ভাল অবস্থানে আছে।
আপনারা আমেরিকাতেই অনেক আত্মীয় স্বজন আছেন, আপনারা ওখানেই দেশের আবহ পাচ্ছেন, সো আপনাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু আপনাদের মত কয়টি পরিবার এই সুযোগ পাচ্ছে???
অবশ্য, সন্তান মানুষ হওয়ার জন্য পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশী, সেটা যেখানেই থাকুক না কেন।

আপনার কমেন্ট পেয়ে আমার অব্জারভেশন আরো পোক্ত হলো। আপনার পরিচিত সিঙ্গেল ফ্যামিলির (মানে যারা শুধু একটা ফ্যামিলি ইমিগ্রান্ট হয়েছে) সন্তানদের অবস্থা একটু বলবেন কি??

২৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা টপিক নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। আসলে আমি করি বিষয়টি বেশ জটিলই। ব্যক্তিগত ভাবে আমি চাইব আমি যেভাবে মানুষ হয়েছি, আমার সন্তানরাও সেভাবে মানুষ হোক। পরিপূর্ন মানুষ যে বিদেশে থেকে হওয়া সম্ভব না তা কিন্তু নয়। কিন্তু এখানে মূল বিবেচ্য বিষয়, কাদের দেশ কোনটা? অর্থাৎ আমি এই দেশে জন্মেছি, এটাই আমার দেশ, এখানে হাজারো সমস্যার সাথে লড়াই করে আমরা নিজেদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করি। আমাদের দেশে যে ব্যাপারটা খুব নগ্ন ভাবে ধরা পরে তা হলো, সারভাইবাল ফর দ্যা ফিটেস্ট।

আমার বাবা খুব চেয়ে ছিলেন, আমি বিদেশে চলে যাই, সেখানে গিয়ে পড়ালেখা করি, মানুষ হই। যদিও আমার বাবা অজপাড়া গাঁ থেকেই লেখা পড়া করেছিলেন। কিন্তু আমার কেন যেন আর যাওয়া হয় নি। এখানেই রয়ে গিয়েছি। আমি মনে করি, সন্তানদের বেড়ে উঠাটা তার নিজ নিজ দল বা গোত্রের সাথে হলেই ভালো। একটি নির্দিষ্ট স্বকীয়তা তারা অর্জন করবে। সঠিক পুথিগত এবং পারিবারিক শিক্ষা পেলে সন্তানরা যে কোন পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।

তবে, আপনি যেখানে আছেন, সেখানে যদি আপনি মনে করেন, আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ভবিষ্যতে কোন রুপ ডিসক্রিমিনেশনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে না, এবং আপনি তাদেরকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষার মাঝ দিয়ে নিতে পারবেন, তাহলে যেখানেই থাকেন না কেন, ব্যাপারটা খুব বেশি একটা মন্দ হবে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ,

লড়াইটা যখন একার উপর থাকে তখন সেটা অতটা কঠিন হয় না, কিন্তু যখন পরিবারের অন্য সদস্য দের নিয়ে এডজাষ্ট করতে হয় তখন সেটা কঠিন হয়ে যায়।

৩০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আমাদের মেয়ে যখন নিজে হারমোনিয়াম বাজিয়ে হায়রে আমার মন মাতানো দেশ গান টা গায় অথবা ২১শে ফেব্রুয়ারীর অনুস্টানে ভায়োলিনে আমার ভাইয়ের রক্ত রাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারীর গান বাজায়, তখন দেশ থেকে একেবারে চলে আসার জন্য কোন গিল্টি ফিলিংস হয় না।

তবে জাপানে স্বল্প সময়ের জন্য থাকা যায়... আমেরিকা এখনও ইমিগ্র্যান্টদের জন্য স্বর্গরাজ্য.....নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

তোমোদাচি বলেছেন: আমাদের মেয়ের জন্য শুভকামনা

৩১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

অ্যানোনিমাস বলেছেন: দেশে চলে আসেন, সেটাই বেটার। কারণ দেশে আসলেই আপনি আবার বাইরে যাবার জন্য প্রস্তুত হবেন :p

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

তোমোদাচি বলেছেন: হা হা হা ... বুঝতে পারছি।

এক কথায় অনেক কথা বলে দিয়েছেন।

৩২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: বিদেশে যত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেই থাকি না কেন, এ তো সোনার খাঁচা ব-ই অন্য কিছু নয়

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

তোমোদাচি বলেছেন: ভাই, ভুক্তভুগি ছাড়া এটা কাওকে বুঝান যাবে না!
ঘরে যার শান্তি নেই, দুনিয়ার কোথাও তাঁর শান্তি নেই!!

৩৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ডিএইচ৫০০ বলেছেন: দেশে আসলে কিছু জিনিস হয়ত অনেক খারাপ লাগতে পারে । এখন দেশের যা অবস্থা তাতে আপনাকে একটা গাড়ি কিনতে হবে কারণ রিক্সা আর সিএনজি গুলা রামপুরা থেকে মতিঝিল যেতে ২০০-২৫০ টাকা চায়। গাড়ি কিনতে গেলে লাগবে আরো খরচ। বাংলাদেশ এখন মোটেও খরচ কম নয়। কিন্তু সে তুলনায় আয় বাড়েনি । এখনো ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৮-১০ থেকে শুরু হয়। খাবারে ভেজাল । দেখার কেঊ নেই। হরতাল, ভাংচুর , অবরোধ, ঘরে বাইরে সব জায়গায় পলিটিক্স। এদেশের ছেলেমেয়েরাও এখন আমেরিকান কালচার ফলো করছে। আমিও ইউরোপে ছিলাম। সেখানে ছেলেমেয়েদের অনেককে দেখেছি পার্ট টাইম জব করে পড়তে । ২৫ বছরের আগে প্রতিষ্ঠিত হতে।কিন্তু আমাদের দেশে চাইলেই আপনি সব কাজ করতে পারবেন না। এখানে আছে discrimination.
আর ছেলেমেয়ে মানুষ করা বলছেন, ঐশী তো বাংলাদেশে বড় হয়েছে। তার বাবা মা কি জানত একদিন তার সন্তান তাকে হত্যা করবে?

দেশের টান দেশের বাইরে খুব অনুভব করা যায়। কিন্তু দেশে আসলে তখন টান আবার অতটা থাকে না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

তোমোদাচি বলেছেন: এটা খুব ভাল বলেছেন; ঢাকা শহরের খরচ এখন উন্নত বিশ্বের শহর গুলোর মত, কিন্তু সেই তুলনায় বেতন বাড়েনি।
অসত উপায়ে মানুষের আয় ও কম নয়; আমার বন্ধু বান্ধব ই কয়েক জন কোটিপতি হওয়ার পথে। সেই তুলনাই আমি তো ছা পোষা।
এক টাকা অবৈধ উপায়ে আয় করব না, আবার কাওকে এক টাকাও ঘুষ দিব না; এই নীতিতে থাকাটা দেশে খুব কঠিন হবে জানি।
প্রথমটা মেইটেইন করতে পারলেও পরেরটা অনেক সময় ছাড় দিতে হয়।

৩৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

ডাব্বা বলেছেন: ('নম্র ভদ্র' থাকার গন্ডাখানেক উদাহরন দিতে পারি উনার স্টাইলে যিনি উপরে দুটি উদাহরন দিয়ে গেলেন উচ্ছন্নে যাবার)

মি: তমোদাচি, যেখানেই যান ব্রাদার যদি ছেলে মেয়ে মানুষ করতে হয় নিজেকে অনেক এফোর্ট দিতে হবে। পাড়া প্রতিবেশী কিন্তু কিছু করবে না। আত্মী্য় স্বজন থাকলে অনেক সুবিধা।

আপনি যদি আমার ব্যক্তিগত মতামত চান তো আমি বলব চলে আসুন। ছেলেটার বিয়ে শাদী দিয়ে ২০ বছর পর থেকে দেশে ফিরে যান। ফিরে রিসার্চ টাইপ কিছু শুরু করুন, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিন বা নিজেই একটা ইনডিপেনডেন্ট কিছুতে জড়িয়ে যান আপনার ফিল্ড এ। মানুষের উপকারে লাগুন।

ভাল থাকুন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, সন্তানের জন্য ফ্যামিলি থেকে যতটুকু দেওয়ার তা আমরা দুজনেই চেষ্টা করি;
বিদেশে থাকলে সমস্যা হচ্ছে আত্মীয় স্বজনের সাথে কমিউনিকেশন অনেক কমে যায়।

৩৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৪৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নিজের দেশই সেরা কিন্তু সাথে আবার উন্নত জীবনের পিছুটান- আজব দোটানা মানুষের , ঠিকটা বুঝতে বুঝতেই জীবন পার হয়ে যায়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

তোমোদাচি বলেছেন: ঠিকটা বুঝতে বুঝতেই জীবন পার হয়ে যায় - ঠিক বলেছেন তনিমা

৩৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

মামুন রশিদ বলেছেন: দুদিকেই সুবিধা-অসুবিধা আছে, মতামত দেয়া কঠিন ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

তোমোদাচি বলেছেন: ডিসিশন নেওয়া আরো কঠিন।
দেখা যাক...

৩৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: Dilemma :( :( :(

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

তোমোদাচি বলেছেন: #:-S

৩৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

শাহরিয়ার নীল বলেছেন: আমার মনে হয় দেশে এসে আপনার বাচ্চাকে graduation পর্যন্ত পরিয়ে বাইরে পাঠাতে পারেন তাহলে সে এখানে বড় হল আবার ভাল কিছু করার জন্য সুযোগও পেল

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য।
দেখা যাক...

৩৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

ভিয়েনাস বলেছেন: দারুন টপিক। দেশ বলুন বিদেশ বলুন সুবিধা - অসুবিধা সব জায়গায় আছে। আমার নিজের চেনা ৩টা ফ্যামিলি ঠিক আপনাদের মতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন ছেলে মেয়েদের কোথায় কোন কালচারে বড় করবেন। তার মধ্যে আমার আপন বড় ভাই একজন। ইউরোপের একটা উন্নত দেশের সিটিজেনশীপ নিয়ে উনারা দেশে চলেন আসেন শুধু ছেলে মেয়েদের নিজ দেশের কালচারে মানুষ করবেন বলে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় হলো উনারা ১-২ বছরের বেশি বাংলাদেশে থাকতে পারেন নাই নানা মুখী সুযোগ সুবিধার অভাবে।

তবে যার যার সিদ্ধান্ত তার তার। আপনি যেহেতু দেশ বিদেশের মধ্যে পার্থক্যটা দেখার বা জানার সুযোগ পেয়েছেন সুতরাং আপনি একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আশা করছি।

শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০০

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

আমার অবস্থা আপনার বড় ভায়ের মত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখছি!! ;)

৪০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


মতামত দেয়া আমার পক্ষে সহজ নয়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

তোমোদাচি বলেছেন: এই জন্যই কি আপনার নাম কান্ডারী অথর্ব??? ;)

কান্ডারী অথর্ব হলে আমাদের মত ফলোয়ারের গতি কি হবে??

৪১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

ঝটিকা বলেছেন: আমার করা মন্তব্যটা হাওয়া হয়ে গেছে। যাই হোক আপনি জানতে চেয়েছেন কেন মেয়েরা ছেলেদের থেকে বিদেশে থাকার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। আমিও ফ্র্যাংলি বলছি- বিয়ের পর মেয়েদের সংসারই প্রধান হয়ে দাড়ায়, নিজের সংসারে সুখ - শান্তি তার প্রথম চাওয়া (সুখ-শান্তির ডেফিনেশন বিভিন্ন মেয়েদের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে)। তারও মুলে যে কারন তা হল, মেয়েদের মনে অবচেতনে প্রথিত থাকে সে ভবিষ্যতের মা এবং সংসার হল তার ভবিষ্যত বাচ্চাদের আশ্রয়স্থল। বাবারা কখনোই বাচ্চার সার্বিক ব্যাপারে একটা মা'য়ের মত চিন্তা করতে পারে না।

আর আমার একান্ত ব্যাক্তিগত যে ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ন(এটা একটা কারন) বিয়ের পর পরই বাংলাদেশে থাকতে আন্ডারস্
ট্যান্ডিং এর এমন সমস্যা তৈরি হয়েছিল(এ্যারেন্জ ম্যারেজ), সংসারই ভেঙে যাবার উপক্রম হয়েছিল। বাইরে আসার পর এখন আল্লাহর রহমতে অনেক অনেক ভালো আছি, আন্ডারস্ট্যান্ডিংও অনেক ভালো।

এখানে আমরা কিন্তু অনেক সিম্পল থাকি। যেকোন রকম ভাবিদের প্রতিযোগিতা, পরচর্চা এড়িয়ে চলি। নিজেদের মত করে থাকি। সংসারে শান্তিটাই আমার কাছে মুখ্য, তা যে দেশেই থাকি না কেন। ধন-সম্পদ ডলারের মোহ আমারও আছে, কিন্তু যতটুকু থাকলে ছেলে/মেয়েরা বখে যাবে না ঠিক ততটুকে। বাংলাদেশেই বরং সবাই সারাজীবন ধরে সম্পদের পিছনে ছুটতে বাধ্য হয়ে। কেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

তোমোদাচি বলেছেন: আমি অবশ্য আপনার আগের সব মন্তব্য ই দেখতে পাচ্ছি।
যাই হোক, ফ্রাঙ্কলী আপনার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। এটা শুধু আপনার একার ক্ষেত্রে নয়, অধিকংশ পরিবার এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। আমি এক পক্ষের দোষ দিচ্ছি না; দেশে পরিবার মেন্টেন করতে গেলে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়। শশুর বাড়ীর সদস্যদের মেইন্টেইন তার মধ্যে অন্যতম। সেক্ষেত্রে সংসারের মধ্যে অশান্তি এমনকি সংসার ভেঙ্গে যাবার বহু উদাহরন আছে। বিদেশে সেই ঝামেলা থাকে না, মাঝে মাঝে ফোন করে একটু খোজ খবর নেওয়া আম কিছু টাকা পাঠিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ করা যায়।
দোষ যার ই থাকুক না কেন, এই সমস্যাটা পুরাপুরি আমরা বড়রা সৃষ্টি করি, এর স্বীকার হয় বাচ্চারা। সমস্যা এড়ানোর জন্য বিদেশে বাচ্চা বড় করা কি ভাল সমাধান??
যদি রাখঢাক না রেখে বলি, আজ যদি আমারদের মা-বাবাদের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে সন্তান কে নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে আইসোলেট থাকি তাহলে কি আমার সন্তান আমাদের ক্ষেত্রে একই জিনিস এপ্লায় করবে না? আমাদের মা-বাবা দের তো আরো অনেক গুলো সন্তান আছে বা তাদের দেশে একটা সমাজ আছে, তারা সেটা নিয়ে থাকতে পারে; আল্লাহ না করুক আমাদের ক্ষেত্রে যদি একই পরিনতি হয় তাহলে আমরা বুড়া বয়সে কি নিয়ে থাকব??

৪২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি কোন সিঙ্গেল ফ্যামিলি দেখিনি :( :( :( :( :( :(

আপনি ঠিকই বলেছেন। আরেকটা ব্যাপার আছে, আত্মীয় স্বজন থাকলে অনেক কিছু চাইলেও করা যায় না, কারণ আত্মীয়রা দেখবে।

কিন্তু বাবা মা ই হল মেইন, বাবা মা ঠিকভাবে ট্রেইন করলে সবকিছু ভালই হবে। আমার মনে হয় আপনারা ভালভাবেই থাকবেন।

আমেরিকাতে কিন্তু গ্রীনকার্ডের নামই এলিয়েন রেজিস্ট্রেশান কার্ড :P

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ জাপানেও কিছুদিন আগে আমাদের কার্ডের নাম ছিল এলিয়েন রেজিস্ট্রেশান কার্ড ;) ; এখন নাম দিয়েছে রেসিডেন্স কার্ড!

এখানে বিদেশীরা আসলেই এলিয়ান।

আমারিকার অবস্থা জাপানের তুলনায় অনেক ইমিগ্রান্ট ফ্রেন্ডলী; জাপানিজরা বিদেশীদের তাদের অতিথি হিসেবে দেখতেই পছন্দ করে।

৪৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমার বক্তব্যের যৌক্তিকতা অনুধাবনের জন্য ধন্যবাদ।

"আমাদের দেশ সেই পরিবেশ দিতে পারছে না; ট্রেন ক্যামনে চলবে??? "

সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই দুর্ভেদ্য চক্রের কথা মনে আছে? "বই এর দাম বেশী বলে মানুষ বই কেনে না, আর বই বেশী বিক্রি হয় না বলে বই এর দাম কমানো যায় না।"

সেই একই চক্র এখানেও কাজ করছে - "দেশে পরিবেশ তৈরী হয়নি বলে মেধাবীদের ধরে রাখা যায় না, মেধাবীরা দেশে থাকে না বলে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী হয় না" - এই চক্র ভাঙ্গার উপায় কী?

এটাতো সম্ভব নয় যে আসমান থেকে কোন ফেরেশতা নেমে এসে দেশের পরিবেশ তৈরী করে দেবে যাতে মেধাবীরা দেশে থাকতে পারে। তবে এটা সম্ভব যে মেধাবীরা একটু কষ্ট স্বীকার করে হলেও বিদেশ থেকে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে এসে পরিবেশ তৈরীর চেস্টা করবে - ফলে পরবর্তি প্রজন্মের মেধাবীরা দেশে আগের চেয়ে ভাল পরিবেশ পাবে।

আমি এটাই সঠিক মনে করি। এক প্রজন্ম বিদেশে গিয়ে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে দেশে ফিরে আসুক। প্রয়োজনে পরের প্রজন্ম আবার বিদেশে যাক এবং দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে আসুক। এই ফিরে আসার মাধ্যমে যে অভিজ্ঞতা বিদেশ থেকে দেশে স্থানান্তরিত হবে তা দেশেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীতে সহায়ক হবে। কিন্তু একবার বিদেশে সেটেল হয়ে গেলে মনে যত আশা/আন্তরিকতাই থাকুক দেশে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে তেমন কিছু করার সুযোগ কখনই হবে না।

আশা করি আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

তোমোদাচি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, আপনার বক্তব্য না বুঝার কারন নেই।
আমরাও যে এবাভে চিন্তা করি না সেটা নয়; এরকম একটা চিন্তা ভিতরে আছে বলেই এত দ্বিধা দন্দ। নইলে এত সুযোগ সুবিধার মধ্যে থেকেও কেন দেশের জন্য খারাপ লাগবে, দেশে ছূটে যাওয়ার ইচ্ছা জাগবে। দেখা যাক আল্লাহ্‌ কোথায় রিজিক রেখেছেন। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরো কিছু ম্যাটার জড়িত।

তবে, স্থায়ী বসবাসের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক কিছুদিন পর দেশে আসছি এটা কনফরম, টিকিট ও কাটা হয়ে গেছে।
দোয়া করবেন; ভাল থাকবেন!

৪৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: বাস্তবতা ১
আমার এক বন্ধু আমেরিকা থাকে। তাদের ছেলেকে কিছুতেই ট্যাকেল করতে পারছে না। শাষন করতে গেলে, পুলিশ চলে আসে। তাই ছেলেকে ম্যনার শেখানোর জন্য বাংলাদেশে কিছুদিনের জন্য পাঠিয়ে দিল। এতে লাভ হয়েছে কিনা পরে আর জানা হয় নি।

বাস্তবতা ২

আমাদের দেশ থেকে এক সাথী আমেরিকার এক স্টেটে গেছেন তাবলীগ জামাতে। ওখানে একজন তাকে বাসায় নিয়ে গেল এবং তার ঘটনা খুলে বললো। তার গাড়ী বাড়ী কোন কিছুর অভাব নাই কিন্তু মনে সুখ নাই। তার স্ত্রী গৃহিনী ছিল। তার পিড়াপিড়িতে চাকুরীতে ঢুকলো। এর পর থেকেই তার সাথে দুরত্ব তৈরী হতে হতে এক সময় ছাড়াছাড়ি।

বাস্তবতা ৩

প্রবাসী বাংগালী পরিবারের মেধাবী কন্যা। মেয়েকে নিয়ে তারা সুখী। হঠাৎ মেয়েটি ইন্টারনেটে তার শরীর দৈনিক ভাড়া খাটানোর এড দিল।

বাস্তবতা ৪

হঠাৎ ছেলে কাল বা সাদা চামড়ার গার্ল ফ্রেন্ডকে বাসায় নিয়ে আসলো।

বাস্তবতা ৫

মুসলমানের সন্তান। অথচ কালিমা কি, নামাজ কি কোন ধারনা নাই।

ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক বাস্তবতার সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,

তবে সব ক্ষেত্রে ঘটনা গুলো এমন হয় না।
এমন হাজারটা উদাহরন তো দেশে বড় হওয়া ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ও আছে।

৪৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১০

ঝটিকা বলেছেন: সবই বুঝি, কিন্তু যে খারাপ সময় আমি পার করেছি!! মনে পড়লে এখনো হাউমাউ করে কাদি। আমি পুরো সিক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি সবাইকে নিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। কিন্তু কি করব, আগে তো সংসার ঠেকাতে হবে। এজন্য তো উপরে বলেছি বাচ্চারা ফাইভ/সিক্সে উঠলে ব্যাক করতে চাই। ততদিনে সংসার পাকা পক্ত হয়ে যাবে। আর একটা কথা, এসময় আমারোতো আমার মা/বাবা ছাড়া থাকতে হচ্ছে। অথচ যে মা'কে দেখার জন্য আমি ভার্সিটির চার বছর প্রতি সপ্তাহ বাসায় চলে যেতাম, বান্ধবিরা তা নিয়ে খেপাত।
অনেক অফটপিক কথা বলে ফেললাম, সরি ভাই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

তোমোদাচি বলেছেন: সংগত কারণে আমি আপনার সাথে এই ব্যাপারে এতটা আলোচনা করলাম, বুঝতেই পারছেন!
কোন পক্ষকেই স্পেসিপিক্যালী দোষ দিতে পারি না, তবে কেন যেন এক সাথে মিলছিল না, খুব খারাপ সময় পার করেছি; দেশে গেলে আবার সেই সময় আসবে কি না সেই আতঙ্ক তো আছেই!
তবে এটা ঠিক বাচ্চাদের অশান্তির সংসারে বড় করার চেয়ে আইসোলেট সংসার অনেক ভাল। শুভ কামনা আপনাদের জন্য, ভাল থাকবেন!

৪৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

ধানের চাষী বলেছেন: ১) দেশে থাকতে হলে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সাথে মানিয়েই থাকতে হবে। এবং লাখ লাখ ভালো পরিবারের সন্তানরা এভাবে থাকছে!

২) একজন লিখেছেন শ্বশুরবাড়ির সাথে মানিয়ে নিতে না পারার কারণে বিদেশে অবস্থানের কথা। এটাতো পরিবারের সদস্যের মানসিকতার ব্যাপার। ভবিষ্যতে কিন্তু আপনাকেও শ্বশুর/শাশুড়ির পর্যায়ে যেতে হতে পারে :) দেশের বাইরে থাকার পরেও আপনার ছেলে/মেয়ে অথবা তাদের স্বামী/স্ত্রী'রা যদি আপনার সাথে মানিয়ে নিতে না পারে তাহলে দোষ দিবেন কাকে ?

৩) ঐশীর কথা লিখেছেন এক ব্লগার। আরে ভাই ঐশী তো একদিনে এমন হয় নি তাই না! নাকি বলতে চান সে আসলে খারাপ হয়েই জন্মেছে ? এমনটা কি সব সমাজেই নেই ? বাইরের দেশে থেকেও শিশুরা কি মাদকাসক্ত হচ্ছে না? অপরাধ করছে না ? এসব কিছুই তো পরিবার/ সমাজের অসচেতনতার ফল। বিদেশে থাকলে যে সব সন্তান ভালো থাকবে তার নিশ্চয়তা কি ?

৪) বিদেশের ব্যাপারে ধারণা খুব কম। তবে আমার মনে হয় দেশের বাইরে থেকে এই দেশের কালচার ধরে রাখাটা অসম্ভব। বছরে ২-১ দিনের ইভেন্টে দেশের গান গাইলে আসলে দেশের কালচার এর ব্যাপারে কতটা ধারণা দিবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

আমি যে বিষয়ে লেখাপড়া করেছি তাতে করে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যাওয়া খুব কঠিন কিছু না। ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার্থে যাওয়ারও। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এই দেশেই আমাকে থাকতে হবে, আমি থাকবোও। আল্লাহ যেন আমার ইচ্ছাটাকে টিকিয়ে রাখেন।

আপনারা উচ্চশিক্ষিত মানুষ। অনেক বিষয়ে ধারণা পেয়েছেন। আপনার বাবা-মা'য়ের সময়ে হয়তো অনেক ধারণা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু আপনার সন্তান তার বাবা-মা'র থেকে কোন বিষয়েই বঞ্চিত হবে না বলে মনে করি। যুগ পাল্টেছে, সন্তানরা যেমন আধুনিক হয়েছে, বাবা-মা'রাও পিছিয়ে নেই।

সারাদিন বহু ঝামেলায় পার করে প্রতি মুহুর্তেই বলি যে এই দেশে থাকবো না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, দিন শেষে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিজের কথা গুলো মনে করে অনেক স্বার্থপর মনে হয় নিজেকে। আর মনে হয় যে এই নিজের বিছানাটার চেয়ে শান্তির কিছু নেই।

দেশে ফিরে আসুন। আপনাদের মতো সচেতন মানুষের পক্ষে দেশে টিকে থাকা মোটেও কঠিন কিছু না। আপনি যে প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে উচ্চশিক্ষিত হয়েছেন, আপনার অভিজ্ঞতা আপনার সন্তানকে সেসব প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

তোমোদাচি বলেছেন: ধানের চাষী ভাই, আপনার মন্তব্য খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, ফীল করলাম।
আপনি অনেক কিছু বলেছেন, স্পেসিফিক উত্তর দিতে গেলাম না।
শুধু বলি, চেষ্টা থাকবে, ভাল কিছু করার; দেশে থাকি বিদেশ থাকি দেশের কথা ভুলব না।
দোয়া করেন যেন ভাল থাকতে পারি!

শুভ কামনা আপনাদের জন্য!

৪৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

শেষ পর্যন্ত কি ডিসিশন নিলেন ? :P

দেশে চলে আসেন ।ছেলেকে এইচ এস সি লেভেল পর্যন্ত পড়িয়ে এরপর নাহয় আবার তাকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিলেন । যেহেতু ছেলের ভবিষ্যতের জন্যই এতকিছু

আমি বয়সে আপনার চেয়ে অনেক ছোট হব কিন্তু মতামতটা জানাতে ইচ্ছা হল ;) । যাইহোক আপনার আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা

৪৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩০

মনে নাই বলেছেন: কঠিন একটা টপিকস নিয়ে লিখেছেন, অনেক সময় একা থাকলে এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি, কোন কূল-কিনারা করতে পারিনা। দেশে মা-বাবা, ভাই-বোন আত্নীয়-স্বজনের সাথে মিলেমিশে নিজের চেনা-জানা পথে বিচরন করবো, এর থেকে বড় সুখ দুনিয়াতে আর কি আছে!!!! কিন্তু বাস্তবতাটা অতটা সরল নয়। দেশের বাইরে থাকার অনেক সুবিধার মাঝেও সবচেয়ে বড় অসুবিধা দেশীয় কালচারে বড় হবেনা, ধর্মীয় চেতনার কী যে হবে কে জানে। আমার নিজের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনবরত, কনফিউজড।

তবে কিছু জিনিস খেয়াল করবেন, প্রবাসে বাচ্চাদের বড় করলেও অনেকে বাবা-মার থেকে ভালো কিছু করতে পারেনা বলে অনেকে বলে থাকেন-আমি এর সাথে দ্বিমত পোষন করি। খেয়াল করে দেখবেন বড় বড় ডিগ্রীর থেকে সহজে আনন্দের সাথে অনেক কাজ করেও বেশী উপার্জন করা যায়- অনেক সময় ইমিগ্রান্টদের ছেলে-মেয়েরা এইসব কাজে বেশী ইন্টারেস্টেড থাকে। আমাদের দেশে বড় ডিগ্রীকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, আমার মনে হয়না ইউরোপ-আমেরিকাতে ঐভাবে করা হয় (!)।

এখন উঠতে হচ্ছে, পরে আবার লিখবো হয়তো।



৪৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

সেনপাই বলেছেন: বয়সে ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে আপনার থেকে আমি অনেক অনেক ছোট। আপনার জাপান পোষ্ট গুলো ভালোবেসেই পড়তাম। আসলে অ্যানিমি দেখি বলেই আপনার পোস্টগুলোর প্রতি একটা প্রবল আগ্রহ ছিলি। আমি মনে করি আপনার এই পোস্টের উত্তর আপনার আগের জাপান-সম্পর্কিত পোস্টগুলোই। আপনিই আপনার পোস্টগুলোতে ভালো-খারাপ দুটোই লিখেছেন।

আপনার পোস্ট "জাপান, সূর্যদয়ের দেশ নাকি একাকী মানুষের দেশ! ( ১০, শেষ পর্ব) " থেকে কিছু কোট করছিঃ

১> জাপানে পারিবারিক বন্ধন আশঙ্কাজনক!

২> ওদের আবেগ ভোতা বানানোর কাজটা শুরু হয় শিশুকাল থেকেই।

৩> স্কুল লাইফে সতীত্ব হারানো বা ইম্যাচিউরড প্রেগ্নেন্সীর হার এখানে অনেক বেশী। টিনেজাররা আমেরিকার কালচার ফলো করে ফ্রি সেক্সের সবাধ নিতে চায়, কিন্তু জাপান তো আমেরিকা নয় জাপানীজ সোসাইটি মূলত কনজারভেটিভ সোসাইটি। অনেকেই এই বয়সে বাবা’মার থেকে আলাদা বসবাস শুরু করে।

৪> আমরা যেখানে থাকি তাকে জাপানীজ ভাষায় দাঞ্চি বলে। খানিকটা বাংলাদেশী সরকারী কোয়ার্টারের মত; সাধারন বাসা থেকে এখাকার ভাড়া অনেক কম। মূলত জাপানীজ গরীব বৃদ্ধদের জন্য সরকার এটা বানিয়েছে; লটারীর মাধ্যমে কিছু বিদেশীকেও এখানে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। যা বলছিলাম, আমাদের প্রতিবেশীরা সবাই এই বুড়াবুড়িরা। ৮০/৯০/১০০ বছরের এক একটা মানুষ একটা বাসায় সম্পূর্ণ একা!

৫> এই দুই সপ্তাহে ইউকি মাত্র একদিন হসপিটালে ক্লান্ট কে দেখতে গিয়েছিল! ছেলেমেয়েরাও নাকি তাদের বাবাকে দেখতে ১ বারের বেশী যাওয়ার সময় পায়নি!

এটা সত্য যে জাপানে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রয়েছে কিন্তু অন্য দিকগুলোতে হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা। ব্যাপারটা অনেকটা Trade-off করার মত। আপনি একটা জিনিস পেতে হলে অন্য আরেক টা জিনিস হারাতে হবে। একটা উদাহরণ দিইঃ

যখন ৫ বছর বয়স ছিল তখন পর্যন্ত আমরা গ্রামে ছিলাম। বাড়ির একটা ঘর থেকে অন্য ঘর থেকে দূরত্ব ছিল ৪০ থেকে ৫০ ফুট। কিন্তু কারোর ঘরে একটা থালা পর্যন্ত পড়লে সবাই ছুটে আসতো। সবাই সবার ঘরের খবর জানতো। এতে সুবিধাটা ছিল যে কোন বিপদে সবার সাহায্য পাওয়া যেত কিন্তু অসুবিধাটা ছিল কারো প্রাইভেসি তেমন ছিল না। সো এখানে একটা trade-off হয়েছে। সাহায্য এবং প্রাইভেসির মধ্যে।

এখন আমরা ঢাকায় থাকি। একটা ফ্লাট থেকে অন্য ফ্লাটের দূরত্ব মাত্র ৫ ইঞ্ছি। কিন্তু আমি আমার প্রতিবেশীকেই চিনি না। তারাও আমার বাসায় কোন সমস্যা হলে সাহায্য করার জন্য ছুটে আসে না। এখানে trade off টা হচ্ছে সেই সাহায্য এবং প্রাইভেসির মধ্যে।

কিন্তু আমার কাছে প্রথম trade-off টাই পছন্দ।

সন্তান বা নিজের ভালো ভবিষ্যতের জন্য কি trade-off করছেন সেটা দেখাও জরুরী।

বাংলাদেশে থাকলে আপনার ছেলে হয়তো বা একটু বেশি কষ্ট করবে, একটু কম টাকা কামাবে কিন্তু ভালো থাকবে সবার সাথে। বিশেষ করে তার আত্নীয় -স্বজনদের সাথে থাকবে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন; জাপানে থাকলে আপনার ছেলে/ আপনাদের অবস্থা অনেকটা এইরকমঃ অনেক সুন্দর একটা ঘর কিন্তু চার পাশে অথৈই পানি। কাছে কিনারে কেউ নেই। অন্যদিকে বাংলাদেশে থাকাটা হচ্ছে এমনঃ একটা তুলনামূলক কম সুন্দর ঘর কিন্তু তার চার পাশে আরও অনেক গুলো ঘর এবং অনেকগুলো পরিচিত মানুষ।

[ভাই আমি জাপান দেখিনি- যা জেনেছি আপনার ব্লগ/ নেট/ বা মুভি দেখেই। অনেক বড় একটা কমেন্টও করলাম। নিজেই জানিনা কথাগুলো ঠিকভাবে লিখতে পেরেছি কি না।তবে লিখাটা লিখেছি আমার কিছু কাছের আত্নীয়দের ইউএসএ-তে স্থায়ী বসবাস এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে। ছোট মুখে অনেকগুলো বড় কথা বলেছি।]

১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

তোমোদাচি বলেছেন: সেনপাই, অনেক দিন পর এই পোষ্টে আপনার কমেন্ট পেলাম, আপনার কথা গুলো ভাবনার খোরাক যোগায়।

জাপান ছেড়ে এসেছি, ৬ মাস হলো, অনেক ভেবে চিনতে মায়েশিয়া কে বেছে নিয়েছিলাম পরবর্তী থাকার প্লেস হিসাবে, এখানে একটা ইউনিভার্সিটিতে পড়াচ্ছি। সব কিছুই ভাল ... তারপরো যেন কি নেই; কি জানি কয়দিন থাকতে পারব এখানে ... দেখা যাক!!

কি আর করা ...
অন্ত বিহীন পথে চলা আর জীবন ...

৫০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫০

সেনপাই বলেছেন: যেখানেই থাকুন আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন, তিনি আপনাদেরকে এমন একটা জীবন যাপন করার সুযোগ দেয় যা তার কাছে খুবই পছন্দনীয়। তিনি যেন তার রহমত আপনাদের উপর বর্ষন করেন।

তাহলে এখন আশা করি শীঘ্রই আপনি মালেশিয়া নিয়ে লিখা শুরু করবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:২৮

তোমোদাচি বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.