নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমোদাচির ব্লগবাড়িতে স্বাগতম!!

তোমোদাচি

শিকড়ের টানে শিকড় গেড়ে বসতে শিকড়ের কাছে ফিরছি .।

তোমোদাচি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু পরামর্শ চাই! ছোটখাট একটা সোশ্যাল বিজিনেসের ধারনা দিতে পারবেন কেও??

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০



ব্লগে হয়ত অনেকে আমার “অন্যের জন্যে” নামক স্বপ্নের কথাটা জানেন। খুব সংক্ষেপে আমার মটিভেশনটা এরকম – আমরা জীবনের প্রায় সবটা সময় ধরে নিজের বা নিজের পরিবারের উন্নতির জন্য ব্যয় করি; অনেক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়ও, কিন্তু চাহিদার কি শেষ হয়? উন্নতির সাথে সাথে আমাদের চাহিদাও বাডতে থাকে। এভাবেই চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলাতে মিলাতে একদিন জীবন শেষ হয়ে যায়। তাই আর একটু সমর্থ হলে, বয়স হলে বা আর্থিক অবস্থা আর একটু ভাল হলে সমাজের মানুষের জন্য কিছু করব এই চিন্তার কোন যুক্তি নেই। আমার মতে আমরা যেমন নিজের উন্নতি বা পরিবারের উন্নতির জন্য সারাক্ষণ সচেষ্ট থাকি, সেই একই সময়ে আমার পাশের অনগ্রসর পরিবারটির জন্যও কিছুটা চিন্তা করা উচিত। হতে পারে নিজের জন্য ৯৯% আর অন্যের জন্যে ১%, কিন্তু দুটো বিষয় একসাথে চলা উচিৎ।



এই চিন্তা থেকে ৭ বছর আগে থেকে আমি প্রতি মাসে বেতন পেয়ে খুব সামান্য কিছু টাকা একটা খামে তুলে রাখতাম। আমার বেতনের খুবই সামান্য একটা পারসেন্টেজ; আয় বাড়ার সাথে সাথে সেই এমাউন্টটাও একটু একটু করে বাড়িয়েছি। এখান থেকে মাঝে মাঝে দরকার হলে লোন নিয়েছি কিন্তু হাতে টাকা আসলে সেটা আগে শোধ করেছি। কারন আমি এই টাকা টাকে আমার টাকা মনে করিনা; এটা অন্যের, এই টাকাটা অন্যের জন্যে।



৩ বছর আগে যখন দেশে গেলাম তখন “অন্যের জন্যে” প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলাম আমার গ্রামের কিছু গরীব ছাত্র কে পড়াশুনার খরচ দেওয়ার মাধ্যেমে; সেই আইডিয়াটাও নিয়েছিলাম এই ব্লগে আলোচনা করে। বর্তমানে এই প্রকল্পে ১৫ জন ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দিচ্ছি, ওদের কে নিয়ে কয়েক মাস আগে একটা পোষ্ট।



গত বছর থেকে এই প্রজেক্টে আর একটা জিনিস যোগ করেছি; কিছু পরিবারকে তাদের ইচ্ছা মত কোন একটা জিনিস করে দিয়েছি যা দিয়ে তারা ইঙ্কাম করে নিজেদের আর্থিক অবস্থা কিছুটা উন্নত করতে পারে সেই সাথে আমার মূল টাকাও ফেরত দিতে পারে। কাওকে ভ্যান কিনে দিয়েছি, কাওকে মাছ ধরার জাল কিনে দিয়েছি বা কাওকে হাটে সবজির বিক্রি করার জন্য নগদ টাকা দিয়েছি। তারা এটা কাজে খাটিয়ে নিজেদের সংসার চালানোর পাশাপাশি সাপ্তাহিক কিস্তি বা মাসিক কিস্তিতে আমার মূল টাকা শোধ করে দিচ্ছে। এভাবে এখন পর্যন্ত ৫ জনকে সাহায্য করেছি।



এত দিন আমার এই কাজ গুলো ছিল মূলত চ্যারিটি। শিক্ষা বৃত্তিতে জাষ্ট একটা শর্ত ছিল “তারা বড় হয়ে একই ভাবে কমপক্ষে দু’জন ছাত্রকে হেল্প করবে”; বুঝতেই পারছেন এর ফিডব্যাক কতটা অনিশ্চিত!;) আর টাকা লোন দিয়েছি সম্পূর্ণ বিনা সুদে, সেটারও আসল পুরাপুরি ফিরে আসবে না এটা জেনেই দিয়েছি।:| কিন্তু আমার মূল উদ্ধেশ্য চ্যারিটি নয়; চ্যারিটির সীমাবদ্ধতা থাকে। প্রকৃতপক্ষে চ্যারিটির সাহায্য নিয়ে মানুষের দীর্ঘ মেয়াদে তেমন কোন কাজ হয় না। তাই আমি প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম, আমার সাহায্য নিয়ে যেন মানুষ তার পরিবারের কিছু উন্নতি করতে পারে এবং আমার মূলধন টাও যেন ক্ষয়ে না যায়, বরং সম্ভব হলে তা যেন কিছুটা বাড়ান যায়।



অনেকটা ডঃ ইউনুসের সোশ্যাল বিজিনেসের মত বলতে পারেন। তবে আমার সমর্থ অত বেশী নয়, আমি খুব সামান্য দিয়ে শুরু করতে চাই। আমি ডঃ ইউনুসের একান্ত ভক্ত হলেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ডঃ ইউনুস ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে বিশ্বে যযতটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন প্রকৃত পক্ষে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এর থেকে সেই পরিমাণ উপকৃত হয়নি। আমার এনালাইসিসে এর মেইন কারন ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান গুলো শুধু ঋণ দেওয়া আর আদায় করার মধ্যে তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রেখেছেন, তা কিভাবে ব্যয় করতে হবে সেই সম্পর্কে কোন আইডিয়া দেয়না। এর ফলে গ্রামের অশিক্ষিত মানুষগুলো ভাল আইডিয়ার অভাবে এই টাকা যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে পারছে না। ফলে অভাব থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে ঋনের জালে আটকা পড়ছে, সেখানে আত্মহত্যার মত ঘটনাও ঘটছে। মানুষের আর্থিক উন্নতি করার জন্য টাকার চেয়ে আয়ডিয়াটা বেশী জরুরী; একটা ভাল আইডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি এখন হাড়ে হাড়ে বুঝছি। আমার হাতে এখন হয়ত ১০ টি পরিবার কে সাহায্য করার মত যথেষ্ট টাকা আছে কিন্তু তাদের দিয়ে করানোর মত একটি ইফেক্টিভ আইডিয়াও আমার মাথায় আসছে না। আমি অবশ্যই তাদের সাথে আলোচনা করে কে কি করতে চায়, সেই বিষয়ে তার সমর্থ কতটুকু, সেটাতে রিস্ক কতটুকু ইত্যাদি আলোচনা করে সাহায্য করব। সেই সাথে আপনাদের সাথেও এ বিষয়ে একটু আলোচনা করতে চাই। আমার বিশ্বাস ব্লগে অনেকেই এরকম কাজের সাথে জড়িত বা কারো মাথায় নিশ্চয় ভাল কোন আইডিয়া আছে; আপনার আইডিয়া আমার সাথে শেয়ার করলে কৃতজ্ঞ থাকব!



আপনার সুবিধার জন্য কিছু তথ্য সংক্ষেপে দিচ্ছিঃ

আগেই বলেছি, আমার উদ্দেশ্য কিছু পরিবার কে এমন কিছু করার জন্য সাহায্য করতে চাই যা দিয়ে সে নিজের আর্থিক অবস্থা উন্নত করতে পারে, এবং আমার টাকা ব্যাক করতে পারে। অথবা কয়েকজন মানুষ মিলে কোন ব্যবসা করতে পারে যা থেকে লভ্যাংশ তারা পাবে আর মূল টাকাটা আমাকে ফেরত দিবে, আমি সেটা অন্যকে দিব। আমি খুব কাছ থেকে এই প্রকল্প মনিটর করতে পারব এমন কথা দিতে পারছি না। এতদিন আমার মা টাকা আদান প্রদানের কাজটা করেছেন, এখন যেহেতু আর একটু বড় পরিসরে করতে চাচ্ছি তাই ছোটখাট একটা সমিতি মত করে কাজটা পরিচালনা করা যায় কিনা? প্রকল্পটা আমার গ্রামে হবে যেখানে অধিকংশ মানূষ কৃষি কাজ করে। আমি ইসলামিক সূত্রানুসারে সরাসরি কোন সুধ নিতে চাই না, কিন্তু আমি চাই আমার মূলধনের পরিমান বাড়ুক যা দিয়ে আরো বেশী মানুষকে হেলপ করতে পারি; মূলধন হারানোর রিস্ক যত কম রাখা যায়। আগেই বলেছি, আমি এই টাকা গুলোকে আমার নিজের টাকা মনে করি না, এই টাকা আমি কখনও আমার নিজের প্রয়োজনে খরচ করব না, তবে পিঁপড়ার মত একটু একটু করে জমান টাকা আমি চোখবুজে বিলিয়ে দিতেও চাই না। আপাতত আমার কাছে খরচ করার মত ৫০ হাজার টাকা আছে।



আমার এই পোষ্ট নিয়ে কারো পেটে কোন রকম গুড়গুড়ি অনুভব করলে তাদেরকে বলছি; এটা কে আত্মপ্রচারনা ভেবে থাকলে ভাবতে পারেন। আমাদের সমাজে একটা আজব কালচার আছে, আমরা আমাদের ভাল কাজের প্রচার করতে লজ্জা পাই (প্রচারবিমূখ থাকা আর কি! ;)), কিন্তু খারাপ লোকেরা বুক ফুলিয়ে তাদের খারাপ কাজ প্রচার করে বেড়ায়। আমার এই উদ্যোগ দেখে আর একজন মানুষও যদি আমার মত করে ভাবে তাহলে আমার ভাল লাগবে!

শুভকামনা সবার জন্য!

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

আরহাসান বলেছেন: https://www.facebook.com/groups/uddokta/

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্ক টির জন্য;
দেখব ওখান থেকে আমার জন্য উপযুক্ত কোন আইডিয়া পাই কি না!

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ভাল্লুক আকবর বলেছেন: ভাইয়া আপনার প্রচেষ্টাকে অনেক সাধুবাদ জানাই। আমারও এই ব্যাপারে কাজ করার আগ্রহ আছে। আমার চিন্তা হচ্ছে গ্রামের মহিলাদের যদি প্রশিক্ষন দিয়ে কোন পণ্য উৎপাদন করা যায় আর তা যদি দেশে অথবা দেশের বাইরে বিক্রি করা যায় তাহলে সবাই উপকৃত হবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

তোমোদাচি বলেছেন: সেটা ভাল উদ্যোগ; কিন্তু স্পেসিপিক কি করা যেতে পারে তেমন কোন চিন্তা করেছেন??

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মদন বলেছেন: +

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সেফানুয়েল বলেছেন: আগের এক ভাইয়ের কমেন্টসে দেখলাম যে প্রশিক্ষন এর কথা। আসলে প্রশিক্ষন যদি করতে হয় তাহলে আমি বলবো যে গ্রামে যে কাজ গুলো বেশি হয়ে থাকে যেমন সেলাই, সাইকেল/মোটরসাইকেল মেকানিক্স, পার্লারের কাজ, লেদ/ ওয়েল্ডিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিং এই সব আরকি। আর এই সব প্রশিক্ষন কোন ট্রেনিং ইন্সটিটিউট না দিয়ে বরং সরাসরি বিষয় সম্পর্কিত কোন দোকনে থেকে প্রশিক্ষন নিলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাতে আপনার ট্রেইনিং এর উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৯০%। এসব আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। পরিশেষে কামনা করি যেন আপনার উদ্দেশ্য যেন সফল হয়। ধন্যবাদ
[email protected]

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমি আমার গ্রামে এটার সম্ভাব্যতা এবং কার্যকারিতা সম্পরকে খোজ নিব!

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

ভাল্লুক আকবর বলেছেন: ভাইয়া স্পেসিফিক ভাবে বলতে হলে আমার চিন্তা হচ্ছে নকশীকাঁথা ও আর বিভিন্ন হস্তশিল্প নিয়ে কাজ করার। সঠিক ভাবে এগুতে পারলে বাইরের অনেক দেশে এই সব জিনিসের ভাল চাহিদা আছে আর দামও ভাল পাওয়া যায়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

দি সুফি বলেছেন: নকশীকাঁথাকে এগিয়ে রাখব। শুভকামনা রইল আপনার এই উদ্যোগের জন্য।

আমার পাশের অনগ্রসর পরিবারটির জন্যও কিছুটা চিন্তা করা উচিত

এটার ব্যাপারে বলব, যদি সকল সম্পদশালী সঠিকভাবে সম্পদের যাকাত আদায় করত, তাহলে কিন্তু এইরকম অনগ্রসর পরিবারগুলো অনেক সহজেই এগিয়ে যেতে পারত।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

তোমোদাচি বলেছেন: সঠিক ভাবে যাকাত আদায় হলে অবশ্যই সেটা সম্ভব

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৬

খাটাস বলেছেন: আমার নিজের একটা চিন্তা আছে, একটু গোজা মিল ধরনের কেমন লাগবে বুঝতে পারছি না।

প্রকল্প ঃ পুরো কর্ম জীবী পরিবার

এখানে প্রথমে কিছু দরিদ্র কৃষক পরিবার কে সিলেক্ট করা হবে।
কৃষক দের জন্য জমির বেবস্থা করা হবে, যেখানে তারা কোন না কোন ফসল উৎপাদন করবেন- কিন্তু তা সম্পূর্ণ রাসায়নিক সার যত টা পারা যায় কম ব্যাবহার করে। জৈব সার বেশি ব্যাবহার করে।
ফসল বিক্রির সময় সবুজ সারের টাটকা বা ( আসলে শব্দ খুজে পাছছি না, তবে কেমিক্যাল মুক্ত কিছু একটা হবে) ফসল এর কথা বলে সবুজ প্রকৃতির প্রচারনা চালানো হবে। এই উদাপাদন পদ্ধতির মর্ম মানুষ কে জানালে মানুষ কিছু সামাজিক কাজের মাধ্যমে নিজের কাজ হবে বলে দাম একটু বেশি হলে ও কিনবে।

মাছ চাষ করে সম্পূর্ণ ফরমালিন মুক্ত মাছের প্রচারনা।


কৃষক স্ত্রীদের সেলাই বা অন্য কোন কোন ছোট খাট কুটির শিল্পের কাজ দেয়া হবে। ভাল্লুক ভাইএর কথা ভাল লেগেছে, নকশী কাথা হতে পারে।

একটা স্কুল খোলা হবে । কৃষকের একদম কম বয়সীরা সেখানে ফ্রিতে পড়বে। আর ৯ বা ১০ এ যারা পড়ে তারা সেখানে বৃত্তির টাকার পরিবর্তে সিক্ষক হিসেবে থাকবে বেতনে। তবে তাদের যেন নিজের পড়াশোনা নষ্ট না হয়, সে হিসাবে সময় রাখতে হবে।


আর ফসল উৎপাদনের এবং ফসল না বিক্রি করা পর্যন্ত সংসার এর বেসিক খরচ প্রকল্প থেকে দেয়া হবে।

যদি ও আমার এই প্রকল্পের জন্য একটা সিস্টেমেটিক পন্থা প্রয়োজন, তবে এক টা কর্মজীবী পরিবারের সবুজ ও বিসুদ্ধ প্রকৃতির কর্ম সালার প্রচারনা টা প্রকল্প কে বেশি তরান্নিত করতে পারে।


এটা তো বললাম আমার চিন্তা। আর আপনার ব্যাপারে আর কি বলব ভাই। আপনার মত মানুষ আছে বলেই এখন ও ভাবি যে দেশের বাহির থেকে ধার করা আদর্শে না চললেও আমাদের নিজেদের ই অনেক আদর্শবান এখন ও আছেন।
আমার প্রকল্প টা সম্ভবত আপনার প্লানের সাথে যাবে না, তবু ও বললাম।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া আর শুভ কামনা ভাই।
সালাম জানবেন, অ্যান্টি কে সালাম জানাবেন।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ কমপ্লিট একটা আইডিয়া দেওয়ার জন্য।
এই আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে পারলে অনেক ভাল হতো; কিন্তু এটা করতে হলে নিজেকে সক্রিয় ভাবে উপস্থিত থাকতে হবে, সেটা আমার জন্য আপাত কঠিন। তবে আপনার আইডিয়ার খন্ডিত অংশ বাস্তবায়নের চিন্তা মাথায় থাকল; ভবিষ্যতে পুরা পরিকল্পনা করা যায় কিনা দেখব!

ধন্যবাদ আপনাকে

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

মুহিব বলেছেন: শেষ প‌্যারার ভয়টুকু আমারও থাকে। আমার লেটেস্ট পোসট পড়লে খুশি হব।

আমার একটা প্ল্যান আছে এমন যে আমি একটি ঋনদান প্রতিষ্ঠান করব যেখানে সুদমুক্ত ঋন দেয়া হবে। তবে অল্প একটা সার্ভিস চার্জ নেয়া হবে অফিস খরচের জন্য। তবে সরাসরি টাকা দিব না। সে যা কিনতে চায় তা কিনে দেয়া হবে। এমনকি বাড়ি করতে চাইলেও কনট্রাকটর/রড-সিমেন্ট দোকানে পেমেন্ট করা হবে। এই টাকা তারা দীর্ঘ কিস্তিতে ফেরত দিবে। এখনই ব্যক্তিউদ্যোগে কাজটা শুরু করেছি। তবে গ্রামের মানুষকে আমি কিছুটা ভয়ও পাই। আর এই কার্যক্রম চালানোর জন্য একটু জায়গা আর বিশ্বস্ত মানুষ খুজছি।

এই টাকা ফেরত আসবে ন - এই ব্যাকআপ নিয়েই কাজে আগালে ভাল।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

তোমোদাচি বলেছেন: মুহিব ভাই আপনার পোষ্ট টা পড়লাম, ভাল লাগল সেইম ফিলিংস! ;)
আমাদের অনেকের ই সাধ্য থাকার পরেও পিছে লোকে কি বলে সেই ভাবনায় কিছু না করে হাত গুটিয়ে বসে থাকি।
আপনার সাহস দেখে অন্যরা উৎসাহিত হোক, এই কামনা!

যাই হোক, আপনার জন্য আমার পরামর্শ, আপনি যেটা করেছেন সেটা খুব ভাল কিন্তু চ্যারিটির চেয়ে মানুষের জন্য স্থায়ী কিছু করা যায় কিনা চিন্তা করে দেখবেন!
চ্যারিটির মানুষ কে ভিক্ষুক বানায়, তাদের নিজেদের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য কিছু করার চেষ্টা করেন, আরো ভাল হবে। আপনার সমর্থ, সুবিধা অনুযায়ী স্থায়ী কিছু একটা শুরু করে দিন; আমার সাথে শেয়ার করতে ভুল্বেন না।

সম মানসিকতার মানুষরা এক সাথে থাকলে সবারই উপকার হতে পারে, তাই আপনাকে অনুসরণে নিলাম।
শুভ কামনা!

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মুহিব বলেছেন: ওহ অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে তাহলে আরেকটু বলি। চাদরাতের কাজটা একান্তই আমার নিজের ইচ্ছা। পরিবারকে কিনে দিয়ে যে আনন্দ পাই তেমন। চ্যারিটিটা মুখ্য ছিল না্।
চ্যারিটি করব না বলেই ঋন দিব। কল্যানের জন্য দিব বলে সুদমুক্ত। চ্যারিটি না করার পিছনে অনুপ্রেরনা ড. ইউনূসের। তার 'গ্রামীন ব্যাংক ও আমার জীবন' বই থেকে পড়ে শিখেছি। আমিও তাকে পছন্দ করি।
আমি কিছু ছেলেকে পড়ার জন্য টাকা দেই অনিয়মিতভাবে। তাদের বলে দেই তারাও যেন ভবিষ্যতে এই টাকা অন্য কোন ছাত্রের জন্য ব্যয় করে। তবে আমার আলটিমেট ইচ্ছা এতিম ছেলেদের জণ্য স্কুলসহ (মাদ্রাসা না) হোস্টেল করা।
আপনার মঙ্গল হোক।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার ও ইচ্ছা আছে একটি এতিম খানা বৃদ্ধাশ্রম এক সাথে করা। সেটা অবশ্য অনেক দুরের স্বপ্ন।
এখন কার স্বপ্ন গুলো সফল হলেই কেবল সেটা সম্ভব!

শুভ কামনা আপনার জন্য!

১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আই টিতে আমাদের দক্ষ জনবলের খুব অভাব। অনেকেই ইচ্ছে আছে, কোর্স ফির অভাবে শিখতে পারে না।

অনেকের ভাল মানের মেধা আছে কিন্তু ঐ গোড়াতেই ঝড়ে যাচ্ছে।

তাদের নিয়ে একটা কমপ্লিট কিছু করার চিন্তা করতে পারেন।

আমার একটা কমপ্রিট সোশ্যাল বিজনেস প্লান আছে এই বিষয়ে-
কিন্তু-বুঝতেই পারছেন ;) আইডিয়া টপ সিক্রেট :)

বিজনেস মাঠে মারা যাবে না :P =p~ =p~ =p~

তবে এটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি- বিগ রিটার্ণ উইদ বিগ সোশাল চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট!
[email protected]

ভাল থাকুন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ,
মেইল দিয়েছি, উত্তর দিলে খুশি হব!

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

মুহিব বলেছেন: যাই করেন ভাই সাথে মেডিকেল সার্ভিস এড করতে পারলে মনে হয় ভাল হবে। আপনার সাফল্য কামনা করি। আমাদের জানাবেন প্লিজ। আমরাও হয়ত ভাল কোন আইডিয়া পাব।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

তোমোদাচি বলেছেন: দেখি কতটা করতে পারি,
জানাব!

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: যা'ই করেন আন্তরিকতার সাথে করলে আর পরিশ্রম করলে লস হবেনা। তবে আমরা অধিকাংশই বড্ড অসৎ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী; দেখা যাক কতটুকু করতে পারি!

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: দেশে এসে কিছু করতে চাইলে, জানবেন পাশে আছি। আমার মাথায় আইডিয়া গিজ গিজ করে। কমপ্লিট আইডিয়া নাই। আবার নাই তেমন ও না। তবে সামাজিক ব্যাবসার ক্ষেত্রে মুহিব ভাই যেভাবে করতে চাইছে সেইটা ইসলামিক ব্যাংকিং এর আওতাভুক্ত। সরাসরি টাকা না দিয়ে পণ্য কিনে দেয়া।

আসলে চঞ্চলা টাকাকে বাধা যায় না অঞ্চলে। এই কথাটা যেন কার কাছে শুনেছিলাম। যাই হোক, আর একটা কথা আছে না, টাকা যার কাছে যায় তার কথা বলে। মূল সমস্যা হচ্ছে মনিটরিং। যাকে টাকা দিবেন, সে নিজের মতো করে খরচ করতে চায়। সেটা মনিটরিং এ থাক চায় না। আবার মনিটরিং না করলে ফান্ড ডাইভার্ট হওয়ার সম্ভবনাও থাকে বেশি। তাই ব্যাপারটা একটা চক্রের মধ্যে আটকে থাকে। যৌথ ব্যবসা করবেন, তাতেও রাজী হবেনা। ব্যবসার গুমর ফাঁস হয়ে যাবে এই ভয়ে। আবার অর্থ লগ্নি করে মুনাফার ভাগ নিবেন, সেখানে লস দেখাবে। এ এক অদ্ভুদ পরিস্থিতি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আছিতো, ব্যাপারগুলো খুবই কাছ থেকে দেখি। খারাপ লাগে।

বিশেষ আর কি বলবো? দেশে এসে কিছু করতে চাইলে অবশ্যই পাশে পাবেন। এইটুকুই বলতে পারি। এখন একটা প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তা করছি। কতটুকু সফল হবো জানিনা। দেখা যাক।

আমি আমার জীবনে একটা ছেলেকে ফ্রী পড়িয়েছি। এরচেয়ে বেশি কিছু করতে পারিনি। আজ তাকে একটা ফোন করলাম, ছোট একটা কাজে। সে বাসায় এসে দিয়ে যাবে। এইটুকু কৃতজ্ঞতাবোধ বাঙালী হিসেবে হয়তো সকলের আছে। তাই কিছু করার থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার কোনো মানে নেই।

অনেক ভালো লাগলো। আইডিয়া দিতে না পারায় দুঃখিত। আমার আইডিয়া গুলো আমি নিজেই পূরণ করার চেষ্টা করবো। সাথে কেউ এগিয়ে এলে যারপর নাই খুশি হবো। আশা করি দেশে আসলে একসময় আইডিয়া শেয়ার করা যাবে। (এগুলো সামাজিক ব্যবসা নয়, তাই কোনোটাই শেয়ার করা গেল না।)

ভালো থাকবেন তোমোদাচি ভাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

তোমোদাচি বলেছেন: সজীব ভাই, নরমাল ব্যবসা আর সামাজিক ব্যবসার মধ্যে মুলত তেমন পারথক্য নেই, একটাতে লাভ বিনিয়গকারী নিবে অন্যটাতে নিবেনা, শুধু আসল নিবে এই যা।

আমার গ্রামে করা যায় এমন কোন আইডিয়া থাকলে সংক্ষেপে জানাবেন
[email protected]

১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: লাভজনক কাজে ঋন প্রদান করে কিস্তিতে তা ফেরত নেওয়ার সাথে সাথে এই কাজে সহায়তা করার জন্য আপনার মূল ফান্ডে ডোনেট করার জন্য তার মানষিকতা তৈরী করা বা লাভের একটা অংশ তা যত সামান্যই হোক তা মূল ফান্ডে জমা করার মানষিকতা তৈরী করা।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

তাসজিদ বলেছেন: আপনার প্রকল্প সফল হোক, এই কামনায়।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

তোমোদাচি বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

মুহিব বলেছেন: waiting to hear..........

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

তোমোদাচি বলেছেন: ভাই এবার দেশে গিয়ে তেমন নতুন কিছু করতে পারিনি...
আগের দুইটা কাজ ই আরেকটু বাড়িয়ে এসেছি আর কি।

সব কিছু মিলাতে পারছি না; আবার বাইরে (মালয়েশিয়া) চলে আসলাম। এখানে সেট আপ হতে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।
একটু গুছিয়ে নিয়ে আবার ঐ দিকে খেয়াল দিব।

যোগাযোগ থাকবে ইনশাল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.