নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগন্তুক

রাফেল

মোসাফির

রাফেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎ কি লাভজনক ব্যবসায়িক পণ্য?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও গবেষণা সংস্থা বিল্ড (বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট) এর সহায়তায় ঢাকার তারা ভরা রেডিসন হোটেলে দুই দিন ব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে (২৪ ও ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬) জ্বালানি খাতে ৩০০ কোটি মার্কিন হলার বিনিয়োগুলো ঘোষণা দিয়েছে সামিট গ্রুপ।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে ভারতের রিলায়েন্স ও আদানী গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে বাংলাদেশে মোট ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথা জানান। [সূত্র: প্রথম আলো ২৫/১/২০১৬]

একটি ধর্মনিরপেক্ষ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশে মালিকানার অবাধ স্বাধীনতা স্বীকৃত। তাই বাংলাদেশের শাসক শ্রেণি বিদ্যুখাতকে দেশি-বিদেশি পুঁজিপতিদের মুনাফা অর্জনের আনন্দময় ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। বিদ্যুৎ খাতকে শুধু কিছু কোম্পানির ব্যবসার ক্ষেত্রে পরিণত করেই সরকার থেমে যায়নি বরং দেশকে বিদ্যুৎ আমদানি নির্ভর করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। অবশ্য বর্তমানে জনগণের গণতান্ত্রিক শাসক (আপদ এবং বিপদ) এর প্রতি আস্থা নেই এবং ভাল কিছু আশাও করে না। মুনাফার জন্য বিদ্যুৎ খাতকে ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া এমন একটি চিন্তা যা পুঁজিবাদ তার আদর্শিক অবস্থান থেকে সমর্থন করে এবং এই চিন্তাই বাংলাদেশের চলমান বিদ্যুৎ সংকটের মূল কারণ। যেখান থেকে মুনাফা তুলতে উদ্গ্রীব সামিট-আদানি-রিলায়েন্স।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “তিনটি জিনিসের মাঝে সকল মানুষ শরিক। এগুলো হচ্ছে পানি, ঘাস (চারণভূমি) এবং আগুন।”

বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু সমাজের সকল কিছু সমাজের সকল মানুষের সমানভাবে প্রয়োজন এবং যেগুলোর অভাবে মানুষ এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে তা গণ মালিকানাধীন সম্পদ। তাই বিদ্যুতের সামষ্টিক উপযোগিতা(প্রয়োজন) থাকার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট, বিদ্যুতের খুটি, সঞ্চালন লাইন/ সরবরাহ তার(supply line) গণমালিকানাধীন সম্পদ।

ইবনে হাম্মাল (রা.) বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুল (সা.) এর নিকট মারিব নাম স্থানের কিছু সম্পত্তি অনুদান হিসাবে তাকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রাসুল (সা.) তা তাকে দিয়ে দিলেন। যখন তিনি চলে গেলেন। তখন লোকেরা বলল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি কি জানেন? আপনি তাকে কী দিয়েছেন? আপনি তাকে অফুরন্ত পানির উৎস দিয়ে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন,“এরপর রাসুল (সা.) এটি ফেরত নিয়ে নিলেন।

সুতরাং এমন খনি যাতে বিপুল পরিমাণ সম্পদ মজুদ আছে তা গণমালিকানাধীন সম্পদ যেমনঃ বাংলাদেশে প্রাপ্ত তেল, গ্যাস, কয়লা এবং ইউরেনিয়ামের বড় আকারের খনি।

সুতরাং, বিদ্যুৎ. তেল, গ্যাস, কয়লা তথা জ্বালানি খাত কোনো কোম্পানি কিংবা ব্যক্তির মালিকানায় ছেড়ে দিয়ে মুনাফা অর্জনের আরামদায়ক খাতে পরিণত করা ইসলামে নিষিদ্ধ কিন্তু পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় যা খুবই জনপ্রিয় এবং প্রসিদ্ধ। ইসলামের দৃষ্টিতে গণমালিকানাধীন যৌথভাবে সকল নাগরিকের মালিকানা রয়েছে, এগুলো ব্যবহার করা ব্যক্তির জন্য বৈধ কিন্তু ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে নিতে নিষেধ করা হয়েছে। যেমন: বিদ্যুৎ খাত।

খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার সাথে সাথে খলিফা বিদ্যুৎ খাতে দেশি বিদেশি কোম্পানির মুনাফার উৎস বন্ধ করবেন। খিলাফত রাষ্ট্র সুলভ মূল্যে (উৎপাদন মূল্যে) জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে যা কৃষি ও শিল্পখাত বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এবং উৎপাদন খরচ হ্রাস জনিত কারণে পণ্যমূল্য হ্রাস করবে।

প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ(হারবি হুকমান রাষ্ট্রে) রপ্তানি করে প্রাপ্ত আয় মুসলমানদের কল্যাণমূলক খাতে ব্যয় করা হবে। বাইতুল মালে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকলে অস্ত্র ও সৈন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।

আসুন খিলাফত রাষ্ট্রের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণসংযোগ অব্যাহত রাখি।

“তোমাদের মাঝে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে এবং সৎ কাজের নির্দেশ দিবে আর অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং এরাই সফলকাম।” [সূরা আল ইমরানঃ১০৪]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

বিজন রয় বলেছেন: হতে পারে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.