নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াই।

মোঃ রাফিদ

বই পড়তে আর গান শুনতে ভালোবাসি

মোঃ রাফিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লজ্জাহীনতা যখন সংস্কৃতি

১১ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:১৯

কথায় আছে, বাঙালি ললনাদের মতো রূপসী, গুণবতী সারা পৃথীবিতে আর হয় না। কিন্তু আমার প্রশ্ন টা হচ্ছে, এখন যে হারে উলঙ্গ হতে শিখে গিয়েছে আমাদের দেশের রমনীরা তাতে তো মনে হয় ,যে উক্তিটা করেছিলেন তিনি এতদিন বেঁচে থাকলে বিষ খেয়ে সুইসাইড করতেন। বিষয়টা তবে এবার খুলেই বলি।
মেস থেকে বের হলাম আমি আর আমার বন্ধু। কলেজ যাচ্ছি। এমন সময় চোখ পরলো সামনের এক রূপসী রমনীর প্রতি। চোখ তো পরবেই, ফুলের প্রতি চাহনী দিতে কেই বা না চায়। কিন্তু নজর খারাপ হয়ে গেল, খারাপ হতে বাধ্য। কারন- ললনাটি পরে আছেন টাইট ফিটিং পায়জামা, যার মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ পায়ের ভাঁজ এর মধ্য দিয়ে যৌবন উতলে পরছে। আর গায়ে তারধিক টাইট জামা।
প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি যে এতটা কামুক ভঙ্গিতে কাপড় পরে রাস্তায় হাঁটছেন, এর কারন টা কি? নিজের রূপ কে দেখানোর জন্য? আচ্ছা ঠিক আছে, মানলাম। কিন্তু নিজের রূপকে এতটা বিশ্রিভাবে দেখাতে গিয়ে যখন রাস্তার কিছু বখাটে ছেলে পেলে টিজ করবে, খারাপ কথা বলবে, কিংবা উড়না টা ধরে টান মারবে, তখন সেইই মেয়েই তো একদম সতি সেজে যাবে আর দোষ পুরোটাই পরবে ছেলেদের প্রতি। আর মেয়েটা হয়ে যাবে পবিত্র। তাইনা?
রাস্তার সব মানুষ তো আর ভাল হয় না। যারা ভাল তারা না হয় এক কি দুই পলক একবার মেয়েটার দিকে তাকিয়েই নজর ঘুরিয়ে নিবে লজ্জায় নয়তো ঘৃণায়। কিন্তু যারা বখাটে তারা তো ঠিকই লোলুপ দৃষ্টিতে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকবে, টিজ করবে, এমনকি এইসব মেয়েদের রেইপ করার চেষ্টা করলেও অবাক হব না। মেয়েটার দরকার কি ছিল এরকম কাপড় পরার?
এভাবে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার? লেখক এখানে অবুঝ।
সব মেয়েরাই যে এমন তা বলি নি। কিন্ত কলেজ রোড ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় যখন অনেক মেয়েকেই দেখি এভাবে চলাফেরা করতে তখন নিজের কাছেই খারাপ লাগে, এ কোন কলিযুগে এসে পরলাম। যেই লাজুক বাঙালি রমনী নিয়ে এত বড়াই, সেইই ললনারাই আজ লাজ লজ্জাহীন হয়ে চলে ফিরে।
তাহলে কোথায় গেল সেই লাল পাড় সাদা সাড়ি পরা লাজুক চাহনী মাখা রমনীগণ??
ধিক্কার।
লজ্জাহীনতাই যখন সংস্কৃতি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:৫২

muftisiraji বলেছেন: লজ্জা : বাক্যটি তারা কুপ্রতার বলে কোন সময় বলি দিয়ে পেলেছে!

২| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

আহলান বলেছেন: এই জন্যই তো নজরের হেফাজত করতে বলা হয়েছে ... চেষ্টা করুন, পারবেন ....। যেমন ধরেন কারোর যদি উচ্চ মাত্রাার ডায়বেটিস থাকে,তাহলে সে ভুলেও মিষ্টির দিকে নজর দেয় না, নিজেকে ডায়বেটিসের রুগি আর এমন মেয়েদেরকে মিষ্টি ভাবতে শিখুন .... দেখবেন সব পরিস্কার হয়ে গেছে .... তারপরেও নফস তো, দুষ্টামি করতেই সে সিদ্ধহস্ত!! ;)

৩| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশে হিন্দু বৈদ্ধ খৃষ্টান মেয়েরা
কি বোরখা পড়ে হাটবে।

১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৮

মোঃ রাফিদ বলেছেন: আপু, মাফ করবেন। আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। মেয়েদের আমি বোরকা পরতে বাধ্য করি নি। সাধারণ পোষাক পরলেই তো হয়। কেন টাইট ফিটিং কাপড় পরে তারা? সাধারণ ঢিলা ঢালা পোষাক পরলে কি সমস্যা?

৪| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫২

মোস্তফা ভাই বলেছেন: শিশুরা ধর্ষিত হয় কেনো ভাই? নাকি ছোট শিশুও আপনাদের কাছে যৌবনবতী লাগে।

১২ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১১

মোঃ রাফিদ বলেছেন: ভাই মাফ করবেন। আমি কিন্তু শিশুদের ধর্ষণ প্রসঙ্গে বলি নি। যারা এই হীন কাজ টা করে তারা অবশ্যই নীচ।
কিন্তু আমি বলছি কিছু মেয়েদের কথা যারা নারী জাতি টার সংস্কৃতি নষ্ট করে দিচ্ছে। আমি কি কিছু ভুল বলছি ভাই?

৫| ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

বাংলার জামিনদার বলেছেন: তেতুল যারা মানে তাদের কাছে সবই তেতুল। তা যে বয়সেরই হোক না কেনো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.