নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পলিটেকনিক্যালের থার্ড ইয়ার। বাড়ি থেকে তখন অভাবের দরুন টাকা পাঠানো বন্ধ। দুইদিন ধরে হোস্টেলের গেইটের সামনের রকিবের চায়ের দোকান থেকে বাকিতে কেবল তিন কাপ চা আর একটা বিস্কিট দিয়েই পেটের ক্ষুধাকে দূরে ঠেলে রেখেছি। শুধুমাত্র এক প্লেট ধোঁয়া-ওঠা গরম ভাতের জন্য মনটা আকুলি-বিকুলি করছে। শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না বন্য এই ক্ষুধা প্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখতে। তাই প্রিয় সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটরটা বিক্রি করে দিয়ে ধার-দেনা শোধ করে এক প্লেট ভাত কপালে জোটে কেবলমাত্র।
এমন দুঃসময়ে আরেকটি খবর এসে পৌঁছোয়। তিনশত সাতাশ কিলোমিটার দূরে ফেলে রেখে আসা ভালোবাসার মানুষটার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। গাল বেয়ে নিঃশব্দে নেমে আসতে থাকে অশ্রু। বিধাতার বিধান কি এতই নির্মম? পৃথিবীতে হৃদয় চুরমার হয়ে যাওয়ার প্রতিধ্বনি যদি শোনা যেত, তাহলে সাগর উত্তাল-উন্মক্ত হয়ে যেত, মেঘ অগ্নিশর্মা হয়ে গর্জে উঠতো, ভূমি থরথর করে কেঁপে উঠতো; কিন্তু হায়! শুনার ক্ষমতা যে কারও নেই।
দিন শেষে সস্তায় পাওয়া মদের বোতলেতেই শপে দিতে হল ভাগ্যটাকে। পরিহাস এখনও প্রতিক্ষায়মান।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
মোঃ রাফিদ বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিক বলেছেন
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
সিলা বলেছেন: ভালোবাসার মানুষ টা হয়ত পরিস্থিতির শিকার ছিল।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
মোঃ রাফিদ বলেছেন: তা অবশ্য ছিল, কিন্তু গল্পটা এখানেই শেষ না। একদম শেষ এ গিয়ে তাদের মিলন ঠিকই হয় এবং তাদের ১৯ বছরের ছেলেও আছে একটা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২১
পিলিয়ার বলেছেন: ভাই ছিলেন মাটি ...। হইলেন পুইরা ইটা ...। এখন ভাস্তব দুনিয়া গরতে পারবেন ....