নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোনার খাঁচায় বদ্ধ কোকিলনী
বাধ্য হইয়া সে করে কাকলি।
প্রভু বলে, তোকে তো রাখিছি সুখে
তিন বেলা পেটপুরে দিছি যে খেতে,
কত দরে কিনিছিনু, তু মোর সোনা পাখি
দিবা রাত্র তোকে আমি কাম-তরে শুধু চাহি।
কিন্তু সে ভাব বুঝে নাকো বিষণ-বরণ পাখি
মনখানা তার পরিয়া রয়
দূর সখীরই বাড়ি।
আকুল নয়ন-কাতর হিয়া,
কপোল বাহি ঝরি
মৃত ঝরণার
দু’ফোটা অমৃত বারি।
ভাবি,
সখী মোর করিতেছে আনচান,
একটি বার পরশ পাইবার টান।
স্মৃতিচারণ হয় সেই বরষের দিনে
দু’জনাতে জড়াইয়া তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলেছিলে।
কত কথা, কত গান, ছিল কত মিথ্যে অভিমান
সবই যেন আজ দিবালোকে তারাদের ন্যায় ম্রিয়মাণ।
দেহ মোর আজ বন্দী কেন,
সোনার কারাগারে,
ওগো তবু এ মন পরিয়া রহিছে,
প্রিয় প্রেয়সীরই দারে।
একদিন কোকিলনী ছটফট ছটফট করি
এই বুঝি তার প্রাণ-বায়ু
অতি সুখেরই জাঁতাতে,
নিঃসারিয়া পরি।
শালিক দিলে খবর; কোকিল উড়িয়া আসে
দূর গ্রাম দিয়া পাড়ি;
পাষাণ প্রভু তাহারে দেখিয়া,
বেঁধ দিয়া বাণ মারি ছুড়ি
ক্ষত হৃদয়ে বাণাঘাত আর কি-ই বা ক্ষরণ করিবে,
যাইবারে দাও প্রেমিকার কাছে
লিয়া লাও মোর খুন, বিনিময়ে দিও তারে দেখিতে।
ওদিকে প্রেমিকার চোখ বুজি আসে
মণিতে অঘোর-অমাবস্যা ঘনে;
যেন জ্যোঁৎস্নারে মেঘ
কালো ঘোমটা সহিত ঢাকে।
হায় রে দুনিয়া, দেখাইলে কত কিছু
নাচন করাইয়া নিলা, দু’জনারে লীলা-বাসে
শেষ দেখাও হইলো নাকো মরণেরও কালে
দু’টি প্রাণের প্রেমগীত
সাঙ্গ হইলো কি চিরতরে?
যাবার আগে শুনো শ্রোতা, তোমাদিগরে কহি
ভেবে নিও না এ ভালবাসার এইখানেতেই বলি,
রোমিও যেমত জুলিরে পায় নাই
দেবদাস তেমত পারুরে নাহি পায়।
কিন্তু চরম নিয়তি, সত্য এ ভালবাসা
অংশুকান্যায় চিরতরে ছড়াবে কিরণাভা;
স্বগগ থেকে যে পবিত্র অনুভূতিটি জন্ম নিয়েছিলে,
ফের ফিরিয়া পায় সে ঠাঁই,
ঈশ্বর চরণেতে!
২| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: কবিতার মগ্ধ হলাম।
৩| ১১ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মোঃ রাফিদ বলেছেন: জ্বী ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা।