নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য কেন ভাঙ্গা হবে?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০১


সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর এতো হিন্দোল কেন দেখা যাচ্ছে? থেমিসের ভাস্কর্য দিয়ে ন্যায় বিচারের প্রতীকী তুলে ধরা হয়েছে, এতটুকো কি তার জন্য বোধগম্য হয়নি? প্রশ্ন আসতে পারে পরের সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের এতো হিন্দোল কেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” নামটা কি কারো অজানা? গণতন্ত্র তো প্রথম গ্রীসে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্লিসথেনিস, সলোন এবং পেরিক্লিস এদের নেতৃত্বে প্রথম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কোথায়, গণতন্ত্রের বেলায় তো কেউ বলেনি এটা পরের সংস্কৃতি? ন্যায় বিচারের ধারণা গ্রীস থেকেই প্রথম পাওয়া যায়। গ্রীকদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী তারা থেমিসকে ন্যায় বিচারের দেবী মনে করেন। তাই ন্যায় বিচারের প্রতীকী হিসেবে গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অনেক বিচারালয়ের প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়। এটার বেলায় কেন তা পরের সংস্কৃতি বলা হচ্ছে?

কারণ ইসলাম ভাস্কর্য এবং কোন জীবের ছবি স্বীকার করে না, তার জন্য কি বলা হয়নি? হ্যা তার জন্যই বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে গণভবনে এক বৈঠকে কওমি মাদ্রাসাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধি ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী সহ অনেক আলেম ছিলেন। আলেমগণরা সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলার দাবী উত্থাপন করে। প্রধান তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন,“প্রধান বিচারপতির সঙ্গে খুব শিগগিরই বসব। আপনারা ধৈর্য ধরেন, এটা নিয়ে হৈ চৈ করা নয়। আমার উপর আপনারা এটুকু ভরসা রাখবেন। এটায় যা যা করা দরকার আমরা তা তা করব।”

তা হলে সাংবিধানিক অসাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি গেল কোথায়?

তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি… আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। এটা কেন করা হল? কারা করল? কীভাবে, জানি না।”
সাথে তিনি থেমিসের ভাস্কর্যকে বাঙ্গালী পোশাক নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন,“গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”

তার প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি, তার পছন্দ করা না করা নিয়ে আমাদের রাষ্ট্র চলবে না, রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি সংবিধান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সংবিধানের অবস্থা এখন পাবলিক টয়লেটের মতই। যখন যার যেভাবে ইচ্ছা হয়ে, ব্যবহার করে চলে যায়। আর বাঙ্গালী সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য তৈরির জন্য শাড়ি পরানো হয়েছে কিনা তা জানি না, তবে নারীদের তেঁতুল উপাধি যেন আর না পেতে হয় সেদিক থেকে নির্মাতা হয়তো আগে ভেবে দেখে ছিল। তবে শাড়ি দিয়ে আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতির সামঞ্জস্য করে প্রদর্শন করা হয়েছে।

গণতন্ত্র যদি ভালোর দলে হয়, তবে ন্যাবিচার কেন নয়? গণতন্ত্র পরের সংস্কৃতি থেকে তুলে আনতে পারলে, ন্যায় বিচারের প্রতীকী নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কেন?

প্রকৃত একটা সত্য এটাই যে, সত্য ও সততাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি।

প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিশ্রুতি আলেমগণদের দেয়ার কারণ হয়তো এই যে, মৌলবাদকে মদদ দিয়ে ক্ষমতা বেশি দিন অবধি টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সংবিধানে উল্লেখিত অসাম্প্রদায়িকতা হয়তো উনি ভুলেই গিয়েছে। তাই মৌলবাদকে মদদ দেয়া তার পক্ষে অস্বাভাবিক কিচ্ছু না! এই প্রসঙ্গে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, “হেফাজত আজকে যেভাবে বলছে, তাতে মনে হচ্ছে এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয়, মনে হচ্ছে এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র।”

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

রিফাত হোসেন বলেছেন: তার পছন্দ অনুযায়ী রাষ্ট্র চলা উচিত নয়। কথা সত্য ১০০ ভাগ

কিন্তু গ্রীক বা নারী মূর্তির পক্ষেও নাই। সিম্পল দাড়িপাল্লার স্থাপত্য ই যথেষ্ট হবার কথা। চিন্তা করছি শেখ মুজিবের না দিয়ে দেয়, তা হলে ব্যাপারটা বিদঘুটে হবে। ঠিক নাই, কি চাচ্ছে এখন উনি!

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ শত ভাগ মুসলিম
নব্বই ভাগ অন্যানন ধর্ম। গ্রীক দেবী কি
তা মুসলিমরা কতটা জানে। প্রধান মন্ত্রী
হয়ত নব্বই ভাগ মুসলিমদের কথা চিন্তা
করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারন প্রধান মন্ত্রী
নিজেও একজন মুসলমান। গ্রীকদেবীর মূর্তির
প্রতিক কতটা সামনজস্য, আমাদের বেশীর
ভাগ মানুষ মুসলিম দেশে।
সেটা প্রধান মন্ত্রূীর বিবেচনার উপর নির্ভর।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি বুঝিয়েছি মুসলিম হিসেবে নয় যে, মূর্তি পূজা হবে । আমার বিবেচনায় সংস্কৃতি এসেছে প্রথম। এই দেশে গ্রীক দেবীর মূর্তি নিষ্প্রয়োজন।
গণতন্ত্র আর গ্রীক এর তুলনা করলে আরও অনেক অন্ধকার কিছু তুলে ধরা যায়। আর দীর্ঘ করলাম না। এটাই শেষ মন্তব্য এই পোষ্টে।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৮

রাফিন জয় বলেছেন: দীর্ঘ করলেও কিছু আসে যায় না, এটাই সত্য যে ইসলাম আবির্ভাবের বহু পূর্ব থেকেই এই সংস্কৃতি চর্চা হয়ে এসেছে। তা তো আর অস্বীকার করতে পারবেন না!

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

শাহিবযাদা সোহান বলেছেন: কোনো প্রাণীর-মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামী শরীয়তে কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম । মূর্তি সংগ্রহ, মূর্তি সংরক্ষণ এবং মূর্তির বেচাকেনা ইত্যাদি সকল বিষয় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। মূর্তিপূজার কথা তো বলাই বাহুল্য, মূর্তি নির্মাণেরও কিছু কিছু পর্যায় এমন রয়েছে যা কুফরী।
কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই পরিত্যাজ্য। কুরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰
‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০
এই আয়াতে পরিস্কারভাবে সবধরনের মূর্তি পরিত্যাগ করার এবং মূর্তিকেন্দ্রিক সকল কর্মকান্ড বর্জন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো লক্ষণীয় বিষয় এই যে. উপরের আয়াতে সকল ধরনের মূর্তিকে ‘রিজস’ শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘রিজ্স’ অর্থ নোংরা ও অপবিত্র বস্ত্ত। বোঝা যাচ্ছে যে, মূর্তির সংশ্রব পরিহার করা পরিচ্ছন্ন ও পরিশীলিত রুচিবোধের পরিচায়ক।

এখন বলুন এই কথা গুলো হেফাজত কয় না কোর আন হাদিস বলে?

ভাস্কর্য নির্মাণ অত্যন্ত কঠিন কবীরা গুনাহ। আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা কুফরীরও পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
মূর্তি ও ভাস্কর্যের বেচাকেনাও হাদীস শরীফে সম্পূর্ণ হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে।

তাইলে কেনো এই ধরনের কাজ মুসলিম করবে?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৪

রাফিন জয় বলেছেন: রাষ্ট্র শুধু মুসলিমদের জন্য নয়, রাষ্ট্র সার্বজনীন। রাষ্ট্রে মসজিদে আযান হলে, মন্দিরে মূর্তি পূজায় বাঁধা কেন? আপনি কি জানেন, এই একতরফা মূল নিয়ে গোঁড়ামিই হচ্ছে মৌলবাদতন্ত্র? অনেক কিছু পড়েছেন এবং জেনেছেন, আমি আপনাকে মদিনা সনদটা আরেকবার পড়তে অনুরোধ করবো!

৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: হেফাযত কে আল্লাহ হেফাযত করুক।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

আরিফুর রহমান হাওলাদার বলেছেন: হা এটা ইসলামী প্রজাতন্ত্রই হবে শুধু সময়ের অপেক্ষায়।”

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কেন যেন মনে হচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলেই এই ইস্যু।।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: স্তালিন কহিলেন ইউরেকা ! পাইয়াছি ! :D ;) :P =p~

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:১১

রাফিন জয় বলেছেন: ব্যাপারটা অস্থির!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.