নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্টিগমা

রাফিন জয়

স্টিগমা

রাফিন জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিটলার

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯


দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে এডলফ হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি বাহিনী ৬ মিলিয়নের বেশি মানুষ খুন করলেও, আউশবিৎজ ডেথ ক্যাম্পে রক্ত বন্যা বয়ে গেলেও এডলফ হিটলার কিন্তু পূর্ণরূপে একজন ভিগান ছিল। এমনকি সে পশু হত্যার বিরুদ্ধে জার্মানে আইনও করেছিলো। কেননা সে একজন ধার্মিক।
কিন্তু স্বার্থের আগে তো ধর্মের কোন ট্যাবু থাকে না। ইহুদী বিদ্বেষী এডলফ হিটলার নির্বিচারে ইহুদী খুন করে গেলেও তিনি প্রেমে পড়েছিলেন একজন ইহুদী নারীরই। এই উধারন ইতিহাসের পাতায় থাকলেও, সমাজের কীট লাল সালুর মজিদের চরিত্র গুলোরেই আমরা সাধারণ মানুষ পূজা করি।
কোন এক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতার সাথে একদিন আড্ডা দেয়ার সুযোগ হয়েছিলো। যেহেতু তার সাথে ক্লোজ ছিলাম, তাই সে নিজের মত করে আমায় বলেছিল, এবার সাধারণ মানুষদের গালি দেয়ার সময়। বাইঞ্চুত তোমার মাথায় ঘিলু নাই? এতো গুলা মানুষ অমানুষের মত সিলেটের ইস্কন মন্দিরে, রামুতে, নাসির নগরে, ঠাকুর পাড়ায় একজন মজিদের বয়ানের উস্কানিতেই আক্রমণ করার জন্য অমানুষ হয়ে গেলো?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ধর্ম কখনো সহিংসতা শেখায় না। এটা আমাদের ভুল।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৬

রাফিন জয় বলেছেন: অসংখ্য প্রমাণ দিতে পারবো ধর্মের হিংস্রতার। কথাটা বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য নয়। আর পোষ্টে আমি স্বার্থান্বেষীরা যে শুধু ধর্ম ব্যবহার করে, সেটাই বোঝাতে চেয়ে ছিলাম।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

বারিধারা ২ বলেছেন: মসজিদের বয়ানে কেউ মন্দিরে হামলার উস্কানি দেয় বলে আমি শুনিনি কোনদিন।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৪

রাফিন জয় বলেছেন: আপনি যে এই বিষয়গুলোর কিছু জানেন না, তার প্রমাণ এইযে। ২০১৫ সালে জুম্মার নামাজ শেষে ইমাম সাহেবের উস্কানিমূলক বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে সিলেটের ইস্কন মন্দিরে আক্রমণ করেছিলো। নাসির নগরে তো দল বেধে গিয়ে আক্রমণ। রামুর ঘটনা তো অজানার কথা নয়। ঠাকুর পাড়া সম্পর্কে শুনেছেন তো? প্রত্যেকবার সবাই কোথা থেকে এসেছিলো বলতে পারেন?
ব্যক্তিগত ভাবে আমি বস্তুবাদী নাস্তিক হলেও আমি সাধারণ ধার্মিকদের সম্মান করি। আমার পরিবারও মুসলিম পরিবার। একটা মুসলিম পরিবারের সন্তান আমি। তবে কোন কালেই ধর্মের এমন হিংস্রতা সমর্থন করি না। আমার ধার্মিক পরিবারও করে না।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: তবে ধর্মের নামে অনেক স্বার্থন্বেষী গালিগালাজ ও বাজে ভাষা ব্যবহার করতে পিছপা হননা। আহমদী হওয়ার ও আহমদীয়া মুসলিম জামাত সম্পর্কে লেখার কারণে ব্লগে বহু ধর্মান্ধ ও অজ্ঞরা আমার সাথে বিভিন্ন সময়ে ভয়াবহ রকম গালিগালাজ ও অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছেন।

যদিও তারা অন্যান্য জায়গায় ভদ্র, কারণ ইসলাম ভদ্রতা শেখায় এটা তারাও বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমার সাথে এমন আচরণ কীভাবে তাদের পক্ষে সম্ভব হয় বুঝতে পারিনা আমি।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

রাফিন জয় বলেছেন: থোন। কোপ তো আর খান নাই। এই যা!

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে কোয়ান্টাম ফিজিক্স নয়, জ্বীন-ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা হয়। আধুনিক বিজ্ঞান নয়, কোরআনী কেচ্ছা-কাহিনী নিয়ে গল্প হয়। যুক্তিবিদ্যা নয়, বেহেশতী হুরের লোভই এদেশে মূখ্য।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৬

রাফিন জয় বলেছেন: এখানেই তো সমস্যা দাদাভাই!

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

বারিধারা ২ বলেছেন: নাঈমুর রহমান আকাশ, আপনাকে কেউ কোন গালিগালাজ করবেনা, কথা দিচ্ছি যদি.......
যদি আপনি নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয় না দেন।
আপনি নিজেকে আহমদিয়া বা কাদিয়ানি বলে যত খুশি ম্যাতকার করুন, কেউ ফিরেও তাকাবেনা।
নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন তো গদাম একটাও মিস হবেনা।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: @বারিধারা_২ আমি একজন মুসলমান।
এবং আমি খাতামান্নাবিয়্যিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিশ্রুত শেষযুগের মসীহ ও ইমাম মাহদী (আ)-এর হাতে বয়আতকৃত মুসলমান।
ইসলামের মৌলিক বিষয়ে অন্যান্য সুন্নী মুসলমানদের বিশ্বাস আর আমাদের বিশ্বাস এক ও অভিন্ন। এ প্রসঙ্গে আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.)-এর লেখার একটি অংশ উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেনঃ

“আমরা ঈমান রাখি, খোদা তা‘লা ব্যতীত কোন মা‘বূদ নাই এবং সৈয়্যদনা হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র রসূল এবং খাতামুল আম্বিয়া। আমরা ঈমান রাখি, কুরআন শরীফে আল্লাহ্ তা‘আলা যা বলেছেন এবং আমাদের নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে যা বর্ণিত হয়েছে উল্লিখিত বর্ণনানুসারে তা সবই সত্য। আমরা এ-ও ঈমান রাখি, যে ব্যক্তি এই ইসলামী শরীয়ত থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয় অথবা যে বিষয়গুলি অবশ্যকরণীয় বলে নির্ধারিত তা পরিত্যাগ করে এবং অবৈধ বস্তুকে বৈধকরণের ভিত্তি স্থাপন করে, সে ব্যক্তি বে-ঈমান এবং ইসলাম বিরোধী। আমি আমার জামা‘তকে উপদেশ দিচ্ছি, তারা যেন বিশুদ্ধ অন্তরে পবিত্র কলেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্’-এর উপর ঈমান রাখে এবং এই ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। কুরআন শরীফ হতে যাদের সত্যতা প্রমাণিত, এমন সকল নবী (আলাইহিমুস সালাম) এবং কিতাবের প্রতি ঈমান আনবে। নামায, রোযা, হজ্জ ও যাকাত এবং এতদ্ব্যতীত খোদা তা‘লা এবং তাঁর রসূল (সা.) কর্তৃক নির্ধারিত কর্তব্যসমূকে প্রকৃতপক্ষে অবশ্য-করণীয় মনে করে যাবতীয় নিষিদ্ধ বিষয়সমূহকে নিষিদ্ধ মনে করে সঠিকভাবে ইসলাম ধর্ম পালন করবে। মোট কথা, যে সমস্ত বিষয়ে আকিদা ও আমল হিসেবে পূর্ববর্তী বুজুর্গানের ‘ইজমা’ অর্থাৎ সর্ববাদী-সম্মত মত ছিল এবং যে সমস্ত বিষয়কে আহলে সুন্নত জামা’তের সর্বাদি-সম্মত মতে ইসলাম নাম দেয়া হয়েছে, তা সর্বতোভাবে মান্য করা অবশ্য কর্তব্য। যে ব্যক্তি উপরোক্ত ধর্মমতের বিরুদ্ধে কোন দোষ আমাদের প্রতি আরোপ করে, সে তাকওয়া বা খোদা-ভীতি এবং সততা বিসর্জন দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটনা করে। কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ থাকবে, কবে সে আমাদের বুক চিরে দেখেছিল, আমাদের এই অঙ্গীকার সত্বেও অন্তরে আমরা এসবের বিরুদ্ধে ছিলাম”?

“আলা ইন্না লা’নাতাল্লাহে আলাল কাযেবীনা ওয়াল মুফতারিয়ীনা” অর্থ্যাৎ - সাবধান! নিশ্চয় মিথ্যাবাদী ও মিথ্যারোপকারীদিগের ওপর আল্লাহ্‌র অভিসম্পাৎ।

(আইয়ামুস্‌সুলেহ্ পুস্তক, পৃষ্ঠা: ৮৬-৮৭)

এবং এই বিশ্বাসে আমি নিজেকে একজন মুসলমান হিসেবেই পরিচয় দেব জনাব।
আল্লাহ আপনাদের সঠিক পথে আসার তৌফিক দিন। আমীন।

৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বারিধারা ২ বলেছেন: মিথ্যা বলার জন্য আপনাকে প্রথম গদাম। কোন মাহদীর হাত ধরে বায়াত হয়েছিলেন আপনি? পায়খানায় চুবে মৃত্যু হলে লাশ কি মমি হয়ে যায়? দেখাতে পারবেন সেই মাহদীর মমির ছবি? মলমূত্র মাখা সেই হাত ধরতে রুচি হল কি করে আপনার?

শেষ নবীর প্রতিশ্রুতিতে মাহদীর কি পায়খানায় পড়ে মৃত্যু হবার কোন ভবিষ্যৎ বাণী ছিল?

আমার কথা না শুনে নিজেকে আবার মুসলমান দাবী করলেন, সেজন্যে আপনাকে মহাগদাম! নতুন নকীব সহ বাকী ব্লগাররা ধুমসে আপনাকে গদাম দেয়া চালিয়ে যাক - আমার উৎসাহ থাকবে তাদের প্রতি। তবে এটা ঠিক যে কোন গালাগালি কাম্য নয় - এ ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.