নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফটোগ্রাফী- ১৭

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

আড় চোখে তাকাও। এটাই চোখকে পরিণত করার উপায়, তাকাও আবারো। এবার খুটিয়ে দেখার মতো করে। এমনভাবে দেখো যেন এর ওপরই তোমার জীবন নির্ভর করছে। কারণ এখানে তুমি দীর্ঘক্ষণ থাকছো না।

- ওয়াকার ইভানস (১৯০৩-১৯৭৫)

আমেরিকান ফটোগ্রাফার



আজকে আমি আলোচনা করবো স্ট্রীট ফোটোগ্রাফী নিয়ে। 'Alex Webb' একজন স্ট্রিট ফোটোগ্রাফার। তার স্ট্রিট ফোটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে দারুন লাগে। ( নেটে সার্চ দিয়ে তার স্ট্রিট ফোটোগ্রাফী গুলো অবশ্যই দেখে নিবেন।) 'Alex Webb' এর জন্ম ১৯৫২ সালে। ফোটোগ্রাফীর মধ্যে সবচেয়ে আনন্দময় বিষয় হচ্ছে- স্ট্রিট ফোটোগ্রাফী করা, বলেন-'Alex Webb' । তিনি আরও বলেন- স্ট্রিট ফোটোগ্রাফী দেখলে- একই সাথে আনন্দ হবে, নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে গল্প তৈরি হবে এমনকি চোখে পানি চলে আসবে। একেকটা ছবি, একেকটা ইতিহাস ।



আমি মনে করি, একজন আলোকচিত্রীর সব ধরনের ছবি তোলার যোগ্যতা থাকতে হয়। স্ট্রিট ফোটোগ্রাফীর মধ্যে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। একজন স্ট্রিট ফোটোগ্রাফারকে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়। স্ট্রিট ফোটোগ্রাফারের এক-একটা ছবি হতে হয়- এক-একটা গল্প, জীবনের গল্প। একজন স্ট্রিট ফোটোগ্রাফার ফুটপাতে শুয়ে থাকা ছোট্র শিশু অথবা পার্কে বসে থাকা বুড়োর ছবি তার ক্যামেরায় ধারন করবে- এবং অন্যরা যখন এই ছবি দেখবে- তখন তারা এই ছবির মধ্যে একটা জীবনের গল্প খুঁজে পাবে। এখানেই স্ট্রিট ফোটোগ্রাফারের কারসাজি।



ব্রেসোঁর এক বিখ্যাত উক্তি – “To take photographs means to recognize – simultaneously and within a fraction of a second – both the fact itself and the rigorous organization of visually perceived forms that give it meaning. It is putting one’s head, one’s eye and one’s heart on the same axis”। ১৯৪৮ সালে গান্ধীর শেষকৃত্যের ছবি তুলে পুরো পৃথিবীতে সাড়া ফেলে দেন ব্রেসোঁ।



স্ট্রিট ফোটোগ্রাফাররা ভালো ফোটোসাংবাদিক হতে পারে। তাদের মুহূর্তের মধ্যেই ছবি ক্যামেরায় ধারন করতে হয়। ধরুন, কোথাও আগুন লেগেছে, বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে অথবা কোথাও মানব বন্ধন বা অনশন এর ছবি, এমন কি পুলিশের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ। এ ধরনের ছবি তুলতে জীবনের ঝুঁকি থাকে। একজন ফোটোগ্রাফার তার ইচ্ছে মত ছবি সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য প্রয়োজনে ছবি সাদা কালো করতে পারেন। কোন ছবি রঙ্গিন থাকবে, কোন ছবি সাদা-কালো রাখবেন এই রকম দ্বিধা থাকলে আপনি ভারতের রঘু রায় ভোপালের ছবি গুলো দেখতে পাবেন।



গ্যারি উইনোগ্র্যান্ড একজন অসাধারণ স্টিট ফোটোগ্রাফার। তিনি ৩০ বছরে প্রায় এক মিলিয়ন ছবি তুলেছেন। তার সময় মেমরি ছিল না। তার অনেক ছবি এখনও ডেভেলপ করা হয়নি। তার মানে এই না যে, আপনাকে ৩০ মিলিওয়ন ছবি তুলতে হবে। আমার মতে, প্রতিটি ছবির থাকা উচিত একটা আলাদা গল্প। গ্যারি উইনোগ্র্যান্ড এর প্রতিটা ছবি যেন গল্প।



বাংলাদেশের ফটোগ্রাফি এগিয়েছে অনেক দূর। ফটোগ্রাফ যেকোনো রিপোর্টের অক্ষরগুলোকে নিয়ে যায় আরেক মাত্রায়। রিপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়ে যায় অনেক যখন পাঠক একটা ছবিও দেখে ভাষ্যের সাথে । কে না জানে; “Seeing is believing”। বিশ বছর আগে ডার্ক রুম ছাড়া যেখানে কোন সংবাদপত্রের অফিস কল্পনাই করা যেত না, আজ সেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানেও ডার্ক রুম নেই ।



ইচ্ছা আছে সামনের দিন গুলোতে আলোচনা করবো- এভিয়েশন ফটোগ্রাফি, আর্কিটেকচারাল ফটোগ্রাফি, ক্যানডিড ফটোগ্রাফি, ক্লাউডস্কেপ ফটোগ্রাফি, ফ্যাশন ফটোগ্রাফি, ফায়ার ফটোগ্রাফি, ফুড ফটোগ্রাফি, ফরেনসিক ফটোগ্রাফি, ফটোজার্নালিজম, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, ট্রাভেল ফটোগ্রাফি, আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি এবং ভার্নাকুলার ফটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৩

নির্ঘুম লযাম্পোস্ট বলেছেন: পূর্বের পর্ব গুলোর লিংক দিলে ভালো হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.