নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কেন চাকরি করছেন?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮


আমার পরিবার।

ভদ্র মহিলা চাকরি করেন। যদিও তাকে কেউ চাকরি করতে বলেন নি। তার চাকরি না করলেও কোনো সমস্যা নাই। তার স্বামী বড় চাকরি করেন। অনেক টাকা মাইনে পান। সংসারে কোনো অভাব নেই। উনি চাকরি করেন কারন, উনার কাছে চাকরি করাটা একটা ফ্যাশন। বেশ আধুনিক সাঁজা যায়। বান্ধবীদের কাছে উঁচু থাকা যায়। ঘর সংসার করতে হয় না। স্বামীর সাথে উঁচু গলায় কথা বলা যায়। অনলাইন থেকে ফালতু শপিং করা যায়। শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সাথে ভাব দেখা যায়। চাকরি করে উনি নানান তাল বাহানা করতে গিয়ে- নিজের মেয়ের প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেন না। এখন বাইরের দুনিয়া'ই তার কাছে ভালো লাগে। যে মহিলা নিজের মেয়ের প্রতি সব দায়িত্ব পালন না করে, বাইরের দুনিয়া নিয়ে মেতে থাকতে চায়- সে অবশ্যই নির্বোধ।

লেখার খাতিরে ভদ্র মহিলার নাম ধরে নিলাম- সুলতানা। সুলতানার স্বামী একদম সহজ সরল ভালো মানূষ। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। তিনি গাড়ি-বাড়ি সবই করেছেন। আমি এই পরিবারটিকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। সবাইকেই চিনি জানি এবং বুঝি। সুলতানা'র বাচ্চাটা মাশাল্লাহ খুব কিউট। আর কি ভদ্র। কি যে সুন্দর করে কথা বলে! কিছু দিন আগে স্কুলে ভরতি হয়েছে। বাবা- মা দুইজনেই সারাদিন অফিসে। এখন বাচ্চাটার হয়ে গেছে কষ্ট। আমি নিজের চোখে দেখেছি, বাচ্চাটা স্কুল থেকে এসে এতিমের মতো ঘুরাঘুরি করে। ঠিকভাবে খাওয়া হয় না, ঘুম হয় না, গোছল হয় না। দিনের পর দিন একই অবস্থা। এর মধ্যে মেয়ের বাবা মা অফিস থেকে ফিরে মেয়েকে ধমক দেয়, খাওনি কে? ঘুমাও নি কেন? গোসল করনি কেন? একদিন দেখি মেয়ের মা মেয়েকে চড় থাপ্পড় দিচ্ছে। ক্ষিপ্ত মেজাজে চোখ মুখ কুঁচকে মেয়েকে গালমন্দ করছে। আমি দৌড়ে গেলাম মেয়েকে বাঁচাতে। নির্বোধ মহিলা বুঝে না- সে যদি আজ বাসায় থাকতো, তাহলে মেয়েটির সময় মতো খাওয়া, গোসল, ঘুম সবই হতো। মেয়েটির চাচা, মামা বা নানা-নানীর পক্ষে সম্ভব না মায়ের মতো করে গোসল খাওয়া আর ঘুম পাড়াতে। মেয়েটিও তাদের কাছে সাচ্ছন্দবোধ করে না। কিন্তু সুলতানা এসব কিছুই বুঝতে চায় না।

মেয়ের বয়স ৪/৫ বছর হবে (আমার মেয়ের বয়সই)। খুব লক্ষ্মী একটা মেয়ে। আমার ইচ্ছা করে মেয়েকে নিজের কাছে এনে রাখি। মেয়েটার কি অপরাধ আমি ভেবে পাই না। একজন মা ঘরে না থাকলে- ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে কিভাবে পারে খেতে, গোসল করতে, ঘুমাতে? আমি বুঝি না সুলতানার চাকরি করার কি ধরকার? যদি এমন হতো সুলতানা অভাবী তাহলে একটা কথা ছিল। আসলে কিছু মেয়ে আছে বাহিরমূখী। এরা বিয়ের আগেও প্রতিদিন কোনো না কোনো উছিলায় বাইরে যায়, বিয়ের পরও যায়, এমনকি বাচ্চা হলে, বাচ্চার দেখা শোনার ভার কাজের লোকের কাছে দিয়ে বাইরে যায়। কি এত মজা বাইরে? আমি অনেক মাকে দেখেছি বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে- যতই ভালো চাকরি হোক ছেড়ে দেয়। বাচ্চার হওয়ার পর সব ধ্যান-জ্ঞান থাকে বাচ্চাটিকে ঘিরে। আর সুলতানা- আছে চাকরি নিয়ে। চাকরিতে এত মজা? নিজের মেয়ের চেয়ে বড় চাকরি? আমার ধারনা, সুলতানার স্বামী অতিশয় ভদ্রলোক। তাই ঘরে অশান্তি হবে বলে চুপ করে থাকেন। শুক্র শনি দুই দিন তিনি বাসায় থাকেন- এক মুহূর্তের জন্য বাইরে যান না। মেয়েকে আগলে রাখেন। মেয়েটাও সারাক্ষন বাবার কাছে থাকে। কত যে গল্প করে বাপ আর মেয়ে। দেখতে বড় ভালো লাগে।

মেয়েটার বাবা প্রতিদিন অফিস থেকে এসেই মেয়েকে পড়াতে বসায়। আর তখন মেয়ের মা সুলতানা বান্ধবীদের সাথে মোবাইলে ফালতু কথা বলে। ছুটির দিনও সুলতানা মেয়েকে সময় দেয় না। সেদিন সে যায় পার্লারে, মার্কেটে আর বান্ধবীদের বাসায়। সুলতানা প্রায়ই বলেন বান্দবী ছাড়া লাইফ ইমপসিবল। সুলতানা চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে সব মনযোগ মেয়ের দিকে দিচ্ছে না কেন? যদি সে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আসলো, নিয়ে আসলো। স্কুল থেকে ফেরার পর নিজের হাতে গোসল করিয়ে দিল, খাইয়ে দিলো। কোলে করে ঘুম পাড়িয়ে দিল। বাচ্চা মেয়েটা তো এটাই চায়। মেয়েটিকে এতটুকু দিতে সুলতানার সমস্যা কি? কেন সুলতানা চাকরির জন্য এত অস্থির? সুলতানা মেয়ের জন্য এখন নিয়ম করে দিয়েছে, একদিন সে থাকবে তার দিদার কাছে, একদিন নিনা'র কাছে, একদিন চাচীর কাছে, একদিন ঘরের বুয়ার কাছে। কিন্তু মেয়ে এদের কারো কাছেই থাকতে চায় না। সুলতানা মানূষ হিসেবে খারাপ না। আধুনিক, রুচিশীল, শিক্ষিতা। তার হাতের রান্নাও বেশ ভালো। আমি সুলতানাকে বুঝাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। সে উলটো আমাকে ময়না বুঝ দিয়ে দিল। আমার মেয়ে আমার কলিজার টুকরা। আমার দুনিয়া। ইত্যাদি ইত্যাদি।

মায়ের মতো করে ছেলে মেয়েকে আর কেউ পালতে, ভালোবাসতে পারে না। তা একেবারেই সম্ভব না। কোনো দিনও সম্ভব না। আমার মেয়েকে আমি যেভাবে আদর-মায়া-মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে বড় করবো তা কি অন্য কেউ পারবে? আমার মতো করে- সম্ভব? মা যখন তার ছেলে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে, এর চেয়ে শান্তি দুনিয়াতে আর কিছুতে নেই। চাচা মামা খালু নানী দাদী ইত্যাদি লোকজন যত ভালোবাসা নিয়েই আদর ভালোবাসা দেখাক- মা'র মতো সম্ভব নয়। কাজেই সুলতানা তার মেয়েকে নানীর কাছে রাখুক, দাদীর কাছে রাখুক, মামা বা চাচার কাছে রাখুক- তাতে কোনো লাভ নেই। মায়ের ভালোবাসা মায়া মমতা আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কিছুতেই না। মায়ের মতো করে নানা নানী, চাচা মামা বা অন্য কেউ পারবে না। হয়তো তারা অনেক ভালোবাসবে কিন্তু এই ভালোবাসায় মেয়ের কোনো উন্নতি হবে। আমি মনে করি, সুলতানা ভুল করছে। তার চোখে রঙ্গিন চশমা। সুলতানার উচিত চাকরি ছেড়ে দিয়ে মেয়ের দিকে সম্পূর্ণ মনযোগ দেয়া। মেয়েকে সময় দেয়া। তাহলেই মেয়ের ভবিষ্যত সুন্দর হবে। মা কাছে থাকলে, মেয়ের সময় মতো খাওয়া হবে, গোসল হবে, ঘুম হবে, লেখা পড়া হবে। আর এগুলো সব হলেই মেয়ে এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে বড় হতে পারবে। যে সমস্ত বাবা মা ছেলে মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই সময় দেয় না, সেসব বাবা মা'র সন্তানরাই দুষ্ট হয়। ছেলে মেয়ে একবার বেলাইনে চলে গেলে- হাজার কান্না কাটি করেও লাভ নেই।

নিজের কথা একটু বলি- আমি অফিস থেকে ফিরে দৌড়ে বাসায় চলে যাই। কোথাও এক মিনিট সময় নষ্ট করি না। বন্ধু বান্ধন আত্মীয় স্বজন কারো কাছে যাই না। আমার মাথায় একটা চিন্তাই থাকে, কখন বাসায় যাবো, মেয়েটাকে দেখবো। সুরভি আর আমার মেয়েটা আমার অপেক্ষায় আছে। যদিও সারাদিনে অনেক বার তাদের সাথে মোবাইলে কথা হয়। আমি যেমন অফিস শেষে অস্থির হয়ে থাকি, কখন বাসায় যাবো, প্রিয় দু'টা মুখ দেখবো। জড়িয়ে ধরবো। তারা আমার চেয়ে বেশি অস্থির হয়ে থাকে। তাদের এক নজর দেখলেই আমার সারাদিনের কষ্ট ক্লান্তি সব পানি হয়ে যায়। খুব শান্তি। খুব আনন্দ।

(বিঃ দ্রঃ আমি কি এই লেখাটা সুলতানা কে পড়তে দিব?)

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পেটের দায়ে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: কেউ কেউ পেটের দায়ে করে না।

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, ভাবির প্রতি কি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কিনা বুঝলাম না!! নাকি গল্প তাও বুঝলাম না। তবে বাস্তব মনে হল বেশ।

সুন্দর লিখেছেন।
আসলে বাচ্চাকাচ্চা সবসময় বাবা মায়ের সাথে সাথেই থাকতে বেশি আগ্রহী। এতে ছেলেমেয়েরা অনেক সুখানুভব করে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: সুরভি'র প্রতি ক্ষোভ না। সুলতানা'র প্রতি ক্ষোভ।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: ভালো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি দেশে কামলা খাটি।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

ওমেরা বলেছেন: ভাইয়া গল্প লিখলেন সুলতানার ছবি দিলেন আপনাদের ঘটনা বুঝলাম না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানাকে দেখতে চান?

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:
স্বামী অথবা স্ত্রী একজনের আয়ে যদি সংসার চলে তাহলে একজনের জব করাই উত্তম।
ভাবীর আয়ে যদি সংসার চলে যাওয়ার মত হয় তাহলে আপনি চাকরি ছেড়ে দিন। মেয়েটাকে সময় দিন।

আমার বউ যদি কাজ করতে চায় আমি বাচ্চা কাচ্চাকে সময় দেয়ার জন্য হলেও জব ছেড়ে দিব।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: জাহিদ সাহেব-
আসলে লেখাটা আমার বড্ড অগোছালো হয়েছে। তাই আপনি মুল সমস্যাটা হয়তো ধরতে পারেন নি।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

ওমেরা বলেছেন: না, না ভাইয়া তাকে দেখে আমি কি করব ! আপনার লেখার ষ্টাইল দেখে মনে প্রথমে মনে করেছিলাম আপনি কথা গুলো ভাবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, শেষে এসে দেখলাম সে সুলতানা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

তবে বউ এর আয়ে খেতে মারাত্মক ইগোতে লাগে।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আপনি দুইটা সমান্তরাল গল্প টানতে চেয়েছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: জামাই বউ তো একজন আরেকজনের পরিপূরক। কাজেই সস্তা 'ইগো' বাদ দিতে হবে।

এটা কোনো গল্প নয়। আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা। সত্য ঘটনা।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঘরে বসে আরাম করবে - এর চেয়ে আরাম আর কী হতে পারে? তবুও অনেক মেয়ে চাকুরি করে। তাদের যুক্তি সার্টিফিকেট কাজে লাগানো আর মনের তৃপ্তি, চ্যালেঞ্জ ব্লা ব্লা ব্লা। তবে সন্তানের ভালো রাখার চেয়ে নিজের চাকুরি বেশী জরুরী হতে পারে না যেখানে অলরেডি সংসার ভালোই যাচ্ছে স্বামীর টাকায়। তবে এসব ক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে বিয়ের আগেই সমঝোতা করা উচিত। প্রেম হোক, ভালো পাত্রী হোক হুট করে রাজি না হয়ে বিয়ের পর চাকুরি করা যাবে কি যাবে না এসব বিষয়ে মতৈক্য করেই বিয়ে করা উচিত। আপনি চাকুরিজীবি বিয়ে করলেন স্বচ্ছলতার আশায় আবার সন্তান হলে তাকে বলবেন চাকুরি ছেড়ে দিতে - তা তো হয় না...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: না সুলতানা চাকরি করছে বিয়ের পর। বাচ্চা হুয়ার পর।

তাছাড়া এই সমাজের মেয়েরা বিয়ের আগে যেসব কথা দেয়- বিয়ের পর সেসব কথা রাখে না।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


শহরের বেশীর ভাগ বাংগালী পরিবার সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে; তাদের ছেলেমেরা সমস্যায় ভুগছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাবা মা'র পাকনামির জন্য ছেলে মেয়ের কষ্ট।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মেয়েদের অসম্মান একদম সহ‍্য হয় না ।একার কথায় কিছু বিচার করা যায় না । সুলতানার মতবাদ দরকার ছিল । ছেলেরা অনেক কিছু বাড়িয়ে বলে । এবার আসি মেয়েদের চাকরি কেন দরকার ।
একটা মেয়ে যখোন জব করে তখন সবাই তাকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখে । শুশুর বাড়ির লোকজন আর স্বামী কখনো বলবে না সারাটা দিন তুমি কি কর । ঝগড়া হলেই বলবে না আমার টাকায় চলে আবার বড় কথা বল । তার মানে চাকরি তাকে মেরুদন্ড সোজা করে দাড়িয়ে থাকতে দেই ।একটা মেয়ের কখনো এমন হয় টাকার খুব দরকার , স্বামীর কাছে সেই দরকার অর্থহীন ,হয়তো বা মেয়ের পরিবারের জন্যে ,যেটা স্বামীর কাছে চাওয়া যাবে না।চাইলেই হয়তো হাজার টা কৈফিয়ত চাইবে । আর সব মেয়ে যদি বাসায় বসে থাকে তাহলে দেশের অর্ধেক জনগন ছাড়া উন্নতি কি আধো সম্ভব । মেয়ের পায়ে আপনি ছেলে কোন সাহসে শিকল পড়াবেন । আপনি ছেলে আর সে মেয়ে এটাই কি অপরাধ ?
বাচ্চা পালতে 2জনকেই লাগে শুধু মা না । আচ্ছা আপনি বলুন তো বখাটে আর মাদকাসক্ত যারা হয় তাদের সবার মা কি চাকরি করেন ? খোঁজ নিয়ে দেখুন অধিকাংশ মা হয়তো বাসায় এ থাকতেন । সমাধান অন্য ভাবে খুঁজতে হবে ।একটা মেয়ের মেধাকে বাসায় বন্ধী করে রাখা সমাধান না ।
এখন তো কর্মজীবী মায়েদের ৬ মাস বন্ধ দিচ্ছে । তাছাড়া সব অফিসে ডে কেয়ার রাখলে সমস্যা অনেক খানি কমে যায় ।
সব মেয়েরা চাকরি এমনিও করতে পারেন না ।হয়তো ইচ্ছে থাকে না ,আর না হলে চাকরির পিছনে ছুটে ক্লান্ত ।অমন মেয়ে কে বিয়ে করাও যেতে পারে ।
আপনার গল্পের সুলতানার প্রতি অভিযোগ সত্যি হলে তাহলে বলতে হবে ওনার এতটা কেয়ার লেস থাকা উচিত না ।
একটা মেয়ে সারা দিন বাচ্চার দেখাশুনা করতে করতে বিরক্ত আর ক্লান্ত থাকেন । সেই ক্ষেত্রে বাবারা যখন বাসায় থাকেন তখোন বাচ্চাদের নিজের কাছে রাখা উচিত ,এ তে মা কিছু টা সময় নিজের মতো করে থাকতে পারেন ।আর বাবার সাথে বাচ্চাদের সম্পর্ক ও ভালো হয় ।একটা বাচ্চা কে সারা দিন আগলে রাখা সহজ কাজ নয় , কিছু টা সময় মা কে নিজের মতো থাকতে দেয়া উচিত ।
বাচ্চা হবার কালীন কিংবা পরবর্তী সময় হরমোনাল চেন্জ এর কারনে মায়েদের মেজাজ খিটখিটে হয় অথবা ডিপ্রেশনে ভুগেন ।
শেষ কথা হচ্ছে এত অভিযোগ না তুলে , কিংবা মানুষের কাছে না বলে ,ভালোবেসে সুলতানাকে বুঝান । মেয়েরা এতো অবুঝ নয় ,ওনার ভুল থাকলে ওনি বুঝতে পারবেন । ভুলে ও ধমক দিয়ে বুঝাবেন না ।এতে হিতে বিপরীত হবে ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: বোন হাফসা, অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মন্তব্য টা বেশি বড় হয়ে গেছে দুঃখিত । তবুও কষ্ট করে পরে দেখবেন ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানা'র টাকায় কিন্তু সংসার চলে না। তার টাকা সে কি করে সে'ই জানে।
স্বামী তাকে নিয়মিত হাত খরচ দেয়। চাকরি পাওয়ার আগেও যা দিত, চাকরি পাওয়ার পরও তাই'ই দেয়।
সুলতানা'র যদি চাকরি এতই পছন্দ তাহলে সে বিয়ে করলো কেন? আচ্ছা, বিয়ে যদি করল'ই তাহলে বাচ্চা নিল কেন? এখন বাচ্চাটার কষ্ট।
সুলতানার মেধা চাকরি তে খইরচ না করে, সংসারে খরচ করলে বেশি উপকার।
সরকারি অফিস ছাড়া অন্যকোনো অফিস ৬ মাস ছুটি দেয় না। কর্পোরেট দুনিয়া খুব কঠিন।
সে চাকরি করে মানূষদের দেখানোর জন্য। মুখে রঙ চং মেখে ব্লা ব্লা---
যে মা সন্তানের দেখভাল করতে-করতে ক্লান্ত হয়ে যায়, সে মা না। ডাইনি বলা যেতে পারে। (তাহলে সন্তান জন্ম দিল কেন?) আর আমি গল্প লিখিনি- আমার চোখে দেখা একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
বেশির ভাগ সময়ই মেয়েরা চরম নির্বোধ হয়। তাদের কর্মকান্ড দেখলেই বুঝা যায়।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: নিজেই সমস্যায় আছি, অন্যের বিষয় কিছু বলব না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: গুড।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

নাহিদ০৯ বলেছেন: এরকম ঘটনার ক্ষেত্রে দেখি অবস্থা বিবেচনা না করেই মেয়েদের কে গুটিকয়েক কমন অজুহাত দেখাতে দেখেছি বিভিন্ন লিখায়:-

< একটা মেয়ে যখন জব করে তখন নাকি সবাই তাকে সম্মানের(!) দৃষ্টিতে দেখে।
< শুশুর বাড়ির লোকজন আর স্বামী নাকি প্রতিদিন নিয়ম করে কোন কারন ছাড়াই বলতে থাকে ’সারাটা দিন তুমি কি কর?’
< স্বামী সবসময় বলে 'আমার টাকায় চলে আবার বড় কথা বল'।
< স্বামীর কাছে টাকা চাইতে পারে না। (অহেতুক টাকা নাকি কোন হেতুতে টাকা সেটা উল্লেখ্য নয়)

আমি জানিনা এরকম ধরাবাঁধা কারন দর্শানো’র পেছনে কি যুক্তি থাকতে পারে, তবে প্রতিটি কারনের ও কারন হয়তো থাকে পেছনে। শুধু একটা কথা গায়ে না লাগানোর অজুহাতে পুরো জীবন টাকে অস্থিতিশীল করার কোন মানে দেখি না। এত অজুহাত বানাতে পারলে সেই বুদ্ধির অর্ধেক খাটিয়েও সমাধান বের করা যায়। সেটা চাকুরি করেও হতে পারে আবার কোন কিছু ছাড় দিয়ে হতে পারে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

কানিজ রিনা বলেছেন: ছবিতে বাবার কোলে মেয়ে যেন ঐশর্গীক।
স্বামী স্ত্রীর চেহারাও অনেক মিল।
আমার সংশারে যখন অভাব ছিল চাকুরী
করেছি ছেলেটাকে কাজের মেয়ের কাছে
রেখে। ভিষন কষ্ট পেতাম সারাদিন মন
পড়ে থাকত ছেলেটার দিকে।
সংশারে স্বামীর টাকায় একটু সচ্ছলতা
আসতেই চাকরী ছেড়ে দেই। তারপর
একটি মেয়ে। পুরো সংশার ছেলে মেয়ে
ওদের পড়াশুনা যাবতীয় সব দেখেছি।
স্বামীর বেতনের টাকা মাসে মাসে কিছু
জমা রেখেছি। আমি বাড়তি বিলাসিতা
পছন্দ করিনাই। আমার স্বামী অত্যান্ত
উচ্ছৃংল মানুষ। মনে অনেক কষ্ট নিয়ে
ছেলে মেয়ের লেখাপড়া করে বড় হবে
সেই প্রতিজ্ঞা ছিল তাই হয়েছে।
কিন্তু আমার জমানো টাকাটা আমার
বলতে পারিনাই, সংশারে প্ররিশ্রম করেও
মাঝে মাঝে উচ্ছৃংখল লোকটির কাছে
খাওয়া পড়ার খুটা শুনতে হয়েছে। তার
নাকি ব্যক্তিগত জীবন ছিল সেখানে আমি
আমার কোনও অধিকার খাটানো নিষেধ
ছিল। তার মাতলামী অন্যনারীর সাথে
উপড়ি আনন্দ প্রতিবাদ করলে নেমে
আসত প্রহসন নির্যাতন। শুধু ছেলে মেয়ে
বড় হওয়ার আশায় দিন গুনেছি, ওরা
বড় হতে হতে ওরাও বাবার অসংলগ্ন
জীবন চায়নাই। ওরাও প্রতিবাদ করত
আমার সাথে সাথে সাথে নির্মমতা সয্য
করেছে। এখন আমি তার থেকে আলাদা
ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকি আজ দশ বছর।
কিছু বাবাদের পিতৃত্ব এত জঘন্য
হয় কি ভাবে ভাবতে খুব কষ্ট হয়।
অথচ আমার চোখের সামনে কত বাবারা
তাদের ব্যক্তিত্ব সন্তানদের জন্য জীবন
উৎসর্গ করেন। আমি তাই দেখে দুঃখ
পাই। ছেলে মেয়ে মাঝে আমাকে বলে
মা আমাদের এত দুর্ভাগ্য বাবার নিয়ে
কারো কাছে প্রশংসা করতে পারিনা।
আপনার গল্পের মাকে ধিক্কার দিব কারন
পৃথিবীতে সন্তানের থেকে বড় সম্পদ আর
কিছু হতে পারেনা। যদি সেই সন্তানকে
সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়। অসংখ্য
ধন্যবাদ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই কথার পরে আর কোনো কথা থাকতে পারে না- ''পৃথিবীতে সন্তানের থেকে বড় সম্পদ আর কিছু হতে পারেনা।''

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৯

মেরিনার বলেছেন: Most women do a great amount of work at home, and most men do a different sort of work in the office or on the factory floor, and in truth one sort of work is not necessarily ‘better’ than the other. One happens to be paid, but that should not confer a special sort of honour on the work involved. Prostitutes are paid, but that does not make their work better than that of mothers. ( দেখুন: page#189, Brainsex – Anne Moir & David Jessel )

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সুরভির দায় সুলতানার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন? কিছু বলব না! সুলতানার স্বামীর ঘরকন্না করলে কেমন হয়? তিনি না হয় চাকরি করুন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: উফ এখানে সুরভি কে কোথায় পেলেন।
সুরভি খুবই লক্ষী মেয়ে। আমি তাকে অনেক ভালোবাসি।

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কেন চাকুরী করছি? অর্থ একটি ফ্যাক্টর, তবে সেটাই সবকিছু নয়। নিজের আইডেনটিটি একটি বিষয়। চাকুরীতে যতটা সময় দেই, তারচেয়ে বহু গুন বেশী সময় সংসারে দেই। অথচ চাকুরীতে যেভাবে শ্রমকে মূল্যায়ন করা হয়, সংসারে সেভাবে কখনও করা হয় না। এবং আর দশটা চাকুরীজীবী নারীর মত আমিও "সন্তানদের অবহেলা, অযত্নে ফেলে রাখা" জাতীয় অভিযোগ অহরহ শুনেছি। তবে দিন পাল্টে যায়। সন্তানরা বড় হয়ে মায়ের পাশে দাড়ায়, মানুষের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। সুলতানার সার্থকতাও সেইদিনই আসবে যেদিন তার সন্তানরা তার পাশে হাসিমুখে দাড়াবে। সেইটা সুলতানার আন্তরিকতা থাকলেই সম্ভব। চাকুরী করা বা না করা কন ফ্যাক্টর নয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষন করতে পারছি না।

১৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের দেশে কেউ চাকুরি করে প্রয়োজনে আবার কেউ ভাবে পড়াশুনা করে ঘরে বসে থেকে কি লাভ, তাই চাকুরি করে।

ঘর সংসার সব সামলে চাকুরি করাতে কোন সমস্যা দেখিনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানা যদি ''ঘর সংসার সব সামলে চাকুরি ককরতো, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না।

২০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: চাকুরি করার কারন হল যাতে করে জমিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া এবং উঁচু গলায় কথা বলা যায় :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: রাইট।

২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪১

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: স্বামীর টাকায় যদি সংসার ভালোমত চলে তাহলে কষ্ট করে জ্যামে বসে , ধুলা-বালি খেয়ে চাকরী করার দরকার দেখি না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই জিনিশটাই সুলতানা বুঝে না।

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

হাঙ্গামা বলেছেন: বাহির থেকে বুঝানো হয় যে সুলতানারা চাকরি করে সংসারের সচ্ছলতার জন্য।
বিপরীতে নিজের ক্যারিয়ার আর স্বাধীনতার নামেই বেশিরভাগ সুলতানা চাকরি করে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ''নিজের ক্যারিয়ার আর স্বাধীনতার নামেই বেশিরভাগ সুলতানা চাকরি করে।'' সহমত।

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: এই রকম স্ত্রী থাকার চাইতে না থাকা ভালো। আমি হলে সোজা বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিতাম। সুলতানার হাজব্যান্ডের উচিৎ ভদ্রতা না দেখিয়ে হার্ডলাইনে যাওয়া।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

শোভ বলেছেন: এখানে যারা সুলতানাকে সমর্থন করছেন তাদের কে বলছি দয়া করে থামুন , এই ভাবে কথা বলে আর জ্বালা বাড়াবেন না । স্বামীর আয়ে যদি সংসার ভালো ভাবে চললে স্ত্রীদের চাকুরি করার কোন দেরকার নেই , স্ত্রীর যে মেধা আছে তা সন্তানের প্রতি ঢালুক অনেক উপকার হবে ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মনের কথা বলেছেন।

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টে আর কখনও কমেন্ট করব না ঠিক করে রেখেছিলাম। আগেও এরকম গাছভুদাই মার্কা পোস্ট দিয়েছেন। আপনারা নারীশিক্ষার জন্য সারা দেশ গরম করবেন আবার তুচ্ছ অজুহাতে নারীর কাজে যাওয়া আফগান মোল্লাদের মত বন্ধ করবেন, হিপোক্রেসি না এইটা? নারীরা তাহলে এত উঁচু লেভেল পর্যন্ত পড়াশোনা করবে কোন বালটা ফেলতে?


যাওয়ার আগে একটা প্রশ্ন রেখে যাই, উত্তর দেবেন কিনা আপনার খেয়ালি মন জানে। আজকে আপনার বউ যদি আপনার চেয়ে বেশি ইনকাম করে এবং সে যদি মনে করে তার ইনকামেই ফ্যামিলি ভাল চলছে; আপনার আর চাকরি করার দরকার নেই বরং আপনি ঘরের বাজার সদাই এবং বাচ্চা দেখাশোনার কাজ করলেই ভাল:::: আপনি মানবেন?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার প্রতিটি লেখা আলাদা। একটার সাথে আরেকটা মেলাবেন না।

একটা জটিল প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। সময় লাগবে।


ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য পরে মনে হলো- আপনি আমার উপর রেগে আছেন। প্লীজ রেগে থাকবেন না।

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সাবলীল একটা লেখা। যুগোপযুগী লেখা। বর্তমান সময়ে নারীরা সন্তান ঘরে রেখে বাইরে ঘুরে বেড়াবে চাকরি করবে, পার্টি করবে, বন্ধু বান্ধবীদের সাথে আলতু ফালতু সময় নষ্ট করবে এগুলাই ধ্যান ধারণা।
আপনি আপনার লেখায় যথেষ্ঠ বলেছেন। তারপরও একটা কথা বলি, সন্তানদের বাবা মা বিশেষ করে মা যদি সময় না দেয় বা আগলে না রাখে তাহলে সন্তান উশৃঙ্খল হয়ে যায়, পরবর্তীতে দেখা যায় যে সে সকল সন্তানেরা অধঃপতনের দিকে চলে। তখন কিন্তু সেই মায়েরই কষ্ট হয়। তবে সে বিষয়টা বুঝতে পারে না। কারণ ওইযে বললেন চোখে রঙ্গীন চশমা দিয়েছে চোখে সেটাই। জীবনের মূল্য বুঝে না এরা আসলে চোখে রঙ্গীন চশমা না এরা চোখ থাকিতে অন্ধ!

আমি ভালো পোষ্টে লাইক না দিয়ে যায় না +++++++

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুলতানাকে লেখাটি পড়তে দিন, তবে 99% ক্ষেত্রে এদের সুবোধ হয় না।
কারণ এরা জেগেই ঘুমিয়ে আছে। হ্যা একদিন বুঝবে, সেদিন অবশ্য সময় থাকবে না।


এই ব্লগে একজন ব্লগারের মন্তব্য দেখছি না, আমি আশা করছি তার মন্তব্য দেখবো। দেখবো সে কি মন্তব্য রাখে এই পোষ্টে।
তার মন্তব্যের জন্য আমি ঘুরাঘুড়িও করতে পারি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই পড়তে দিব। মন্তব্য সহ পড়তে দিব।

কোণ ব্লগার?

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কালীদাস আপনার সাথে একমত ।
যাওয়ার আগে একটা প্রশ্ন রেখে যাই, উত্তর দেবেন কিনা আপনার খেয়ালি মন জানে। আজকে আপনার বউ যদি আপনার চেয়ে বেশি ইনকাম করে এবং সে যদি মনে করে তার ইনকামেই ফ্যামিলি ভাল চলছে; আপনার আর চাকরি করার দরকার নেই বরং আপনি ঘরের বাজার সদাই এবং বাচ্চা দেখাশোনার কাজ করলেই ভাল:::: আপনি মানবেন?
এই প্রশ্নের জবাব আমার ও চাই ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এই প্রশ্নের জবাব পড়ে দিব। তাড়াহুড়ার কি আছে?
আমি তো চলে যাচ্ছি না।

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: সুলতানার মত হাজারো মেয়ে নিজের স্বাধীনতার জন্যই চাকুরী করে আমি মনে করি।

লিখাটা সুলতানাকা শেয়ার করলে, আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা হবে নাতো?

আপনার সাথে সম্পর্ক যেমন আপনিই ভালো জানেন, বিষয়টি সহজভাবে নিলে শেয়ার করতে পারেন। আর আপনিতো উনাকে অনেক বুঝিয়েছেন কাজ হয়নি, লিখাটি পড়লে বুঝবে কিনা আপনিই ভালো জানেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানা লেখাটি পড়ার পর- বাকি জীবনে আর আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না।

৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

মুকতাফী বলেছেন: আমারও এই প্রশ্নটার উত্তর জানা দরকার।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩

নতুন বলেছেন: কাহিনিতে সুলতানা আর তার স্বামী মাঝে ভালোবাসার কমতি আছে।

হয়তো পারিবারিক মতে বিয়ে।

সন্তান নেবার সময় হয়তো সুলতানা রাজি ছিলো না। স্বামীই চেয়েছে তাই নিয়েছে।

স্ত্রী বা স্বামীকে যদি পছন্দ কম করে তবে বন্ধু/বান্ধবীর সাথেই বেশি সময় কাটাতে চায় ছেলে বা মেয়েরা।

যদি স্বামী/স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা থাকে এবং তারা তাদের সন্তানের জন্য সবকিছুই করতে পারে..... এমনি কি জীবন দেওয়া পযন্ত.... চাকুরি ছাড়া তো কোন ব্যপারই না।


আর কে টাকা আয় করছে সেটা অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রন করে কিন্তু তাতে সন্তানের প্রতি অনাদর করে না।

বাস্তবতা হইলো নারী যেহেতু টাকা আয় করেনা তাই তাদেরর কথা শুনতে হয়। কিন্তু তারা যদি স্বামীকে ভালোবাসা তবে সেই কথা শুনতে হয় না এবং তারাও এডজাস্ট করে...স্বামীও তাদের স্ত্রীর প্রতি যন্তবান হয়।

এখানে সুলতানা এবং তার স্বামীর মাঝে বিরাট ফারাক আছে.... যার কারনেই এই মেয়েটি কস্ট করছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুলতানার স্বামী বছর দুইবার বিদেশ থেকে ঘুরিয়ে আনে।

সুলতানার এক সময় ঘুম কাদতে হবে।

৩২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনি সহমত পোষন করবেন - এই ধারনা আমি করছি না। আপনি আপনার উপরের পোস্টে জানতে চেয়েছেন "কেন চাকুরী করছেন?" তার একটি জবাব দেবার চেষ্টা করা মাত্র। মানুষের সংসার সবসময় কোন ধ্রুব সত্য নয়, অত্যন্ত ছোটখাট কারনে তা ভেংগে যায়। কিন্তু তার অফিস (কিংবা পেশা যাই বলুন) পাশে পাশে থাকে বন্ধুর মতন করে। বিপদে অর্থ দেয়, কাজের ব্যস্ততায় ভুলিয়ে দেয় জীবনের হতাশাকে।

পুরূষতান্ত্রিক সমাজ চায় নারী তার সমস্ত প্রতিভা অর্পন করুক তার জন্য। কিন্তু তার যোগ্যতার স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাই নানান অজুহাত বের করতে থাকে, যার বেশীর ভাগই বেশীর ভাগ সময় মিথ্যা। উপরের পোস্টে সুলতানাকে টেনে এনে দাবী করা হয়েছে সুলতানা আসলে কতবড় দায়িত্ব জ্ঞানহীন একজন মা কারন সে সন্তান ফেলে দিয়ে অফিস করে। আসলে খোজ নিলে দেখা যাবে বিষয়টি সর্বৈব মিথ্যা। যে অফিসে দায়িত্ব নিয়ে অভ্যস্ত, সে বাসায় নিজের সন্তানের দায়িত্ব নেবেনা - এটা খুব আনকমন। ব্যতিক্রম থাকে, কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে প্রচলিত অফিস কখনও সন্তানের দেখভালের বাধা হয়ে দাড়ায় না। এটা মানুষের ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, তার পেশাগত জীবনের সাথে জড়িত নয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সংসারে অভাব নেই। কাজেই সুলতানার চাকরি করার কোনো দরকার নাই।
সে সংসার আর মেয়েকে দেখভাল করবে।

আর সুলতানার যদি এতই চাকরি করার শখ তাহলে বিয়ে বা সন্তান এর কি দরকার ছিল?
সুলতানার উচিত রঙ্গিন চশমা খুলে বাস্তবে ফিরে আসা।

৩৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

নতুন বলেছেন: আমি অনেক মাকে দেখেছি বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে- যতই ভালো চাকরি হোক ছেড়ে দেয়। বাচ্চার হওয়ার পর সব ধ্যান-জ্ঞান থাকে বাচ্চাটিকে ঘিরে। আর সুলতানা- আছে চাকরি নিয়ে। চাকরিতে এত মজা? নিজের মেয়ের চেয়ে বড় চাকরি? আমার ধারনা, সুলতানার স্বামী অতিশয় ভদ্রলোক। তাই ঘরে অশান্তি হবে বলে চুপ করে থাকেন। শুক্র শনি দুই দিন তিনি বাসায় থাকেন- এক মুহূর্তের জন্য বাইরে যান না। মেয়েকে আগলে রাখেন। মেয়েটাও সারাক্ষন বাবার কাছে থাকে। কত যে গল্প করে বাপ আর মেয়ে। দেখতে বড় ভালো লাগে। মেয়েটার বাবা প্রতিদিন অফিস থেকে এসেই মেয়েকে পড়াতে বসায়। আর তখন মেয়ের মা সুলতানা বান্ধবীদের সাথে মোবাইলে ফালতু কথা বলে। ছুটির দিনও সুলতানা মেয়েকে সময় দেয় না। সেদিন সে যায় পার্লারে, মার্কেটে আর বান্ধবীদের বাসায়। সুলতানা প্রায়ই বলেন বান্দবী ছাড়া লাইফ ইমপসিবল। সুলতানা চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে সব মনযোগ মেয়ের দিকে দিচ্ছে না কেন?

ভদ্র লোক বন্ধের দিন বাইরে যায় না। << মানে হয়তো তিনি মানুষের সাথে মেশে কম...
বাবা মেয়েকে নিয়ে সময় কাটায় আর মা দুরে থাকে..... << স্বামী স্ত্রী মাঝে ফারাক বেশি....

যেহেতু আপনার পরিচিত.... এই বিষয়টা খেয়াল করুন...তবে সব বুঝতে পারবেন।

এই সমস্যার পরের ধাপে যোগ হতে পারে পরোকিয়া :(

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সব জাহান্নামে যাক।
ছোট মেয়েটার অপরাধ কি? সে কেন এখন কষ্ট পাবে? শুধু মাত্র মায়ের পাকনামিতে বাচ্চা টা কষ্ট পাচ্ছে।
আল্লাহ যেন সমাজে এই রকম মা আর না দেন।

৩৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৪

নতুন বলেছেন: ভাই যদি স্বামী স্ত্রীর মিল না হয় তবে অনেক সমস্যাই আসে।

পুরো না যেনেই শুধুই মায়ের উপরে সবটুকু দোষ দেবেন না।

যদিও অনেক ক্ষেত্র স্বামীকে পছন্দ না করলেও মা তার নিজের সন্তানকে দুরে সরিয়ে রাখে না.... বুকে আগলে রাখে।

সমস্যাটা স্বামী/স্ত্রীর মাঝে.... তার প্রভাবে কস্ট পাচ্ছে মেয়েটি। :(

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটির কষ্ট মা চাইলেই মিটিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দিচ্ছে না। আর এখানেই আমার দুঃখ।

৩৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ভাই সব কিছু রাগারাগি দিয়ে হয় না । নতুন আপনার সাথে আমি ও একমত ।
নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকলে কেউ বাহিরে ছুটে না । আপনার কাছে থাকার প্রতি ভালো লাগা আপনাকেই তৈরি করতে হবে । বিদেশে ঘুরিয়ে আনা বড় কিছু না ।নিজেদের প্রতি ভালোবাসা আর বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা টাই বড় ব‍্যাপার । সম্পর্ক ভালো থাকলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্ট্রিট ফুড খাবার মাঝে ও মজা আছে ।
আপনার যুক্তি সে তখনই মেনে নিবে যখন সে ।আপনার উপর ভরসা করবে । আর তার জন্য অটুট ভালোবাসা থাকা চাই । যদি সুলতানা র কাছ থেকে কিছু জানা যেতো তাহলে বুঝা যেতো কে কতখানি সত্যি বলছে ।

যে মা সন্তানের দেখভাল করতে-করতে ক্লান্ত হয়ে যায়, সে মা না। ডাইনি বলা যেতে পারে।
কোনো এক বইয়ে পড়েছিলাম , মা সারাদিন বাচ্চা কে আগলে রাখে । দেখা যায় ঠিকমতো খাওয়া গোসল হয় না । সারাদিন বাচ্চার ডায়াপার পাল্টাতে পাল্টাতে দিন পাড় হয় । মা তখোন হতাশায় ভুগে । আগে ছিল তার উচ্ছল জীবন ।এখোন সে চার দেয়ালে বন্ধী । তাই বলা ছিল বাহিরে গেলে বাবার কোলে বাচ্চা টা দিতে ।আর বাবা যখোন বাসায় থাকেন তখোন মা কে তার নিজের মতো থাকতে দেয়া উচিত ।
বাচ্চা ছোট থেকে এই পর্যন্ত বড় কিন্তু সুলতানাই করেছেন । বাবা অফিস থেকে এসে মাত্র কয়েক ঘন্টা বাচ্চা কে দেখাশুনা করে দুনিয়া উদ্ধার করে ফেলেন নি । পারলে বাবাকে বলুন ২৪ঘন্টা টানা এক মাস বাচ্চার দেখাশুনা করুক । তাহলেই বুঝবে ।
সন্তান তো একার না ওনি গর্ভে রেখেছেন ওনি ঠিক বুঝতে পারবেন । কিছু দিন কাজ করতে দিন না ।ওনি যখোন দেখবেন বাচ্চা কষ্ট পাচ্ছে তখোন সব ঠিক করে নিবেন । আগেই এতো বাধা দেয়া ঠিক না । বাধা বেশি দিলে ওনি জিদ বজায় রাখবেন এটা ই স্বাভাবিক । সময়ের উপর ছেড়ে দিন ।কিছুদিন দেখুন ।আর ঘরের কথা বাহিরে না বলাই ভালো । সুলতানার হাসবেন্ড কেমন মানুষ , আপনার কাছে সাহায্য চেয়েছেন ।একদম ঠিক করেনি ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুনুন, দীর্ঘদিন ধরে যেসব নিয়ম হিসেবে চলে আসছে, সেসব নিয়ম ভাঙ্গা কি ঠিক হবে?
দুষ্ট নারী সুলতানা, তার সাপোর্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
শুনুন বোন, যে নারী জন্ম দেয় সে মা। কিন্তু মাতৃ্ত্ব আসে হৃদয়ের গভীর থেকে।

৩৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

নতুন বলেছেন: প্রিয় বন্ধুর সাথে রাস্তার পাশে চটপটি খাওয়া আর আপনার অপছন্দের মানুষের সাথে ৫তারা রেস্তোরায় ডিনার কোনটা উপভোগ করবেন আপনি?

তেমনি জীবনটাও তেমন... স্বামী স্ত্রী ভালোবাসা থাকলে দুনিয়ার কোন সমস্যাই বাধা হয়ে দাড়ায় না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: কথা ভালোই বলেছেন।
কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন।

৩৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: মনে হচ্ছে, পানি অনেক দূর গড়াবে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েদের কষ্ট দেখলে আমার খুব খারাপ লাগে।

৩৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

নিয়াজ সুমন বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান হবে যদি আমরা একক পরিবার থেকে পুর্বের মতো যৌথ পরিবার নিয়ে বসবাস করি। যেখানে ছেলেমেয়ে দেখাশুনা করার মতো যথেষ্ট লোক থাকে। যেমন দাদা-দাদী, ফুফু, চাচা-চাচী, ভাই-বোন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে অন্যের বাড়ির মেয়ে এসে- যৌথ পরিবার গুলো ভেঙ্গে দিচ্ছে- কুটুকচালি করে।

৩৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সুমন ভাই ঠিক বলেছেন । যৌথ পরিবারে ঝামেলা যেমন সুবিধা ও তেমন । আমাদের পাশের ফ্ল্যাট এর আঙ্কেল আর আন্টি কি সুন্দর ভাবে নাতিকে পালছেন ।ছেলে আর ছেলের বউ অফিস করেন ।বাসার সব কাজের জন্য কাজের লোক রেখে দিছেন । আর আঙ্কেল সকাল হলেই আমার দাদা ভাই আমার দাদা ভাই বলতে বলতে বাবু কে কোলে নেন ।আমি সকাল হলে রোজ শুনি ।ভালোই লাগে ।দাদা দাদী , ফুফু ,চাচার ভালোবাসা পাওয়া আল্লাহর নিয়ামত

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আমার খুব দুঃখ লাগে বড় পরিবার গুলো ভেঙ্গে ছোট ছোট অনেক গুলো পরিবার হচ্ছে।

৪০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আর সুলতানার যদি এতই চাকরি করার শখ তাহলে বিয়ে বা সন্তান এর কি দরকার ছিল?
সুলতানার উচিত রঙ্গিন চশমা খুলে বাস্তবে ফিরে আসা।"

সুলতানার স্বামীর দায়িত্ব ছিল এ বিষয়টা বিয়ের সময় খোলসা করে নেয়া। বাংলাদেশের বেশীর ভাগ নারী অফিসে কাজ করে না। যারা অফিস করে তারা সাধারনভাবে উচ্চ শিক্ষিত। বিয়ের সময় তিনি যদি সেভাবে খোলাসা করে নিতেন তাহলে আজ এই ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হত না।

আমার এক পরিচিত মেয়েকে বিয়ের জন্য ছেলেপক্ষ দেখতে এল। সেই মেয়ে আবার অসম্ভব ব্রিলিয়ান্ট তুখোড় ছাত্রী। তাকে ছেলেপক্ষ জানাল যে তারা চায় না বিয়ের পর বৌ অফিস করুক। মেয়ে সুন্দর জবাব দিল, "দেখুন, আমি তো সেভাবেই নিজেকে তৈরী করছি যে একটি সফল ক্যারিয়ার থাকবে আমার। সুতরাং এতে আমি তো রাজী নই। তবে আপনাদের আমি আমার বোন আর কাজিনদের কথা বলতে পারি যারা অফিস করতে ততটা আগ্রহী নয়। তারা সংসারের কাজেই হয়তবা নিজেদের ব্যস্ত রাখবে। আপনারা তাদের কথা বিবেচনা করতে পারেন।" অবাক করা বিষয় হল, ছেলে পক্ষ আবার সেইসব সংসার পাগল মেয়েদের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখায় নি। তারা চাইছিল সেই মেয়েকে বৌ করে নিতে যারা একাডেমিকভাবে স্মার্ট অথচ বিয়ের পর আর কখনও চাকুরী করবে না।

মানুষ অনেক কিছুই চাইতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে চাওয়া পাওয়া অন্যপক্ষেরও থাকতে পারে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে, আপনার কথা মেনে নিলাম।
সে সমস্ত মেয়েরা লেখাপড়া করেছে বলে এবং তারা খুব ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবে। ভালো কথা।
তাহলে তাদের বিয়ে সাদীর দরকার নাই। তারা চাকরি নিয়েই থাকুন।
ঘর সংসার বাচ্চা কাচ্চা দরকার নেই।

৪১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

ঢ্যাঙা মোস্তাফা বলেছেন: ফিডার খাও সুনামুনি। খাইতে খাইতে চিন্তা কর তুমি চাক্রি পাইছ কেম্নে।
আবালচুদা কুনখানকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.