নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার যত পাগলামী

১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫



আমার জীবনে আমি খুব বেশি পাগলামী করেছি। পাগলামী করে-করেই জীবনের মূল্যবান সময় গুলো নষ্ট করেছি। সেসব দিনের কথা ভাবলে এখন খুব আফসোস হয়! এরকম পাগলামী হয়তো অনেকেই করে। মুরুব্বীরা হয়তো বলবেন বয়সের দোষ। আসলে মানূষ যখন ভুল করে তখন সে বুঝতে পারে না। যদি বুঝতোই তাহলে তো সে আর ভুল করতো না। কেউ যদি চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দেয়, তবু ভুল শুধরে নেবার চেষ্টা করতাম না। ভাবতাম আমারটাই ঠিক। কিন্তু অনেক বছর আগের সেই সব কথা ভাবলে মনে হয়, কি নির্বোধই ছিলাম।

১। একবার মা'র সাথে খুব ঝগড়া হলো। ঝগড়ায় আমি হেরে গেলাম। অথচ আমার হেরে যাবার কথা ছিল না। রাগে জিদ্দে বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটা শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে এয়ারপোর্ট চলে গেলাম। আমার বাসা খিলগা। রাত তখন এগারোটা। এমন ক্ষুধা পেয়েছে। পকেটে নাই কোনো টাকা। রাগের মাথায় খালি পকেটে বের হয়ে গেছি বাসা থেকে।

২। একবার ভাবলাম আমি জীবনে চাকরি বাকরি করবো না। ব্যবসাও না। আমি হব লেখক। আমি গেলাম বুদ্ধির জন্য আমার খালাতো ভাইয়ের কাছে। খালাতো ভাই খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। খুব জ্ঞানী একজন মানূষ। তিনি আমাকে নানান বিষয়ে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। (বর্তমানে তিনি নোয়াখালি জেলা স্কুলের ইংরেজীর শিক্ষক) বললাম, ভাই আমি লেখক হতে চাই। এখন আমাকে কি করতে হবে? ভাই বললেন, তোর সব বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আমি মাঠে নেমে পড়লাম অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য।
কিছুদিন একটা গ্যারেজে কাজ করলাম। গাড়ির নিচে শুয়ে গাড়ির নাট বল্টু খুলতাম। তারপর একটা ইলেট্রিকের দোকানে কাজ করলাম। একটা মুদি দোকানে কিছুদিন কাজ করলাম। জ্ঞান অর্জনের জন্য ঢাকার বাইরে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়ালাম। খালাতো ভাই একদিন বললেন, কোনো অভিজ্ঞতাই হেলা ফেলা করা যাবে না। অতি তুচ্ছ একটা অভিজ্ঞতাও অনেক বড় কাজে লাগতে পারে। আগামীকাল আমরা ভিক্ষাও করতে বের হবো। একদিন ভিক্ষুক সেজে আমি আর আমার খালাতো ভাই ভিকারুন নেসা স্কুলের সামনে গেলাম। মানূষ বুঝে ফেলল আমরা আসল ভিক্ষুক নই। পুলিশ আমাদের ধরে নিয়ে গেল থানায়।

৩। একদিন মহাখালী তিতুমীর কলেজে গিয়েছি বন্ধুর সাথে দেখা করতে। বন্ধুর ক্লাশ চলছিল। আমি ক্লাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। স্যার ডেকে বললেন, তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছো কেন? আমার ক্লাশ চলবে পয়তাল্লিশ মিনিট। এতক্ষন কি তুমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে? ভিতরে এসে বসো। আমি আমার বন্ধুর পাশে গিয়ে বসলাম।
স্যার অর্থনীতির ক্লাশ নিচ্চিলেন। বোর্ডে চিত্র একে মানূষের চাহিদা বুঝাচ্ছিলেন। স্যার বললেন, এডাম স্মিথ চাহিদার খুব সুন্দর ব্যখ্যা করেছেন। সেই ব্যাখ্যাটা কেউ বলতে পারবে। আমি হাত তুললাম। স্যার বললেন, বলো। আমি বললাম, স্যার মানূষের চাহিদার শেষ নেই। স্যার বললেন উদাহরন দাও। আমি বললাম, স্যার আপনি তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, তাতে আপনার মন ভরে না। কিন্তু আপনার ইচ্ছা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে। স্যার হঠাৎ রেগে গেলেন। আমাকে ক্লাশ থেকে বের করে দিলেন।

৪। একবার মনে হলো আমাকে রংবাজ হতে হবে। ভালো রংবাজ। রবিন হুড টাইপ। (তখন খুব হিন্দি সিনেমা দেখতাম) লাল শার্ট, জিন্স প্যান্ট আর কেডস পড়ে থাকতাম সব সময়। চুল গুলো পানিয়ে ভিজিয়ে উলটো করে আচড়াতাম। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে খুব আড্ডা দিতাম। খুব ভাব নিয়ে, কায়দা করে সিগারেট টানতাম। গলি দিয়ে কে আসলো, কে গেল খুব নজর রাখতাম। কোচিং এর মেয়েদের দিকে নায়কদের মতো করে তাকাতাম। কোনও রিকশাওয়ালা না জেতে চাইলে, গিয়ে বলতাম 'বদ'। ফাজলামি করিস। যেখানে যেতে চায় হাসি মুখে নিয়ে যা। হোটেলের সামনে টুলের উপর বসে ইশারায় বলতাম চা দিয়ে যা। হোটেল বয় তাড়াহুড়া করে চা আর পানি দিয়ে যেত। চা শেষ করে খুব ভাব নিয়ে ম্যানেজারকে বলতাম লিখে রাখেন।

৫। মনে মনে ভাবতাম আমাকে বাংলা সিনেমার নায়ক হতে হবে। আমার চেহারা বাংলা সিনেমার নায়কদের মতোই! উদীচিতে কিছুদিন অভিনয় শিখলাম। বেলী রোডের মহিলা সমিতিতে মঞ্চ নাটক দেখা শুরু করলাম। আয়নার দিকে তাকিয়ে অভিনয় করি। নিজের অভিনয় দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ! এফডিসিতে যাই। খুব মন দিয়ে শূটিং দেখি। শিখি। পূবাইলের শূটিং এর স্পষ্ট গুলোতে ঘুরাঘুরি করি। অভিনয় শিখি। একদিন বাসায় মা'র সাথে অভিনয় করলাম। মা মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে। আমি দুই হাত দুই দিকে মেলে ধরে বললাম, না না মা। এ হয় না। আমি তোমার পছন্দে বিয়ে করতে পারব না। তাহলে আমি লাইলীকে কি জবাব দেব? মা আমাকে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিও না। প্লীজ। তুমি বাবাকে বোঝাও। লাইলী বড় ভালো মেয়ে। সে তোমার খুব টেক কেয়ার করবে। পরের দিন মা আমাকে পাগলের ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।


(যদি আপনাদের আমার পাগলামো ভালো লেগে থাকে। তাহলে এই রকম ঘটনা আরও চলবে..... চলবে?)

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের প্যাঁদানি খেতে কেমন লেগেছিল তাতো বললেন না?

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: প্যাদানি খেতে হয়নি। এক ঘন্টার মধ্যেই ছাড়া পেয়েছি।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মো ফরহাদ বলেছেন: তার কারণেইতো মাঝে মাঝে নাস্তিক হয়ে যাও

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি তো ভাই নাস্তিক না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করি। রাতে ঘুমানোর আগে আল্লাহকে স্মরণ করি।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এতদিন ধরে লিখেওমানূষকে মানুষ করতে পারলেন না।:P

বোঝা গেল আপনি নাটের গুরু।:P আপনার ভালো দিক মন্তব্যের উত্তর দেন, আর দোষ(আপনার কাছে গুনও হতে পারে) আপনার সব লেখা আত্মকেন্দ্রিক। লেখকদের উদার হতে হয়। সারাদিন নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকলে কী চলে???

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ মানুষ

এবার আর ভুল হবে না মানুষ লিখতে গিয়ে। তবে একটা কথা বলতে চাই, মানুষকে 'মানূষ' লিখলে তার মহাত্ম কিছুটা বেড়ে যায় কিনা।

আমি তো নানান ধরনের লেখা লিখি। শুধু নিজেকে নিয়ে লিখি না।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এতদিন ধরে লিখেওমানূষকে মানুষ করতে পারলেন না।:P

বোঝা গেল আপনি নাটের গুরু।:P আপনার ভালো দিক মন্তব্যের উত্তর দেন, আর দোষ(আপনার কাছে গুনও হতে পারে) আপনার সব লেখা আত্মকেন্দ্রিক। লেখকদের উদার হতে হয়। সারাদিন নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকলে কী চলে???

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


৫টা ছিল খুবই সুন্দর

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যখন বলেছেন, তখন আমি নিশ্চিন্ত।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: Thanks.
Please delete 4 no. and this comment..
Have a nice day----- :)

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ নিজাম ভাই।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪২

সিফটিপিন বলেছেন: চলুক

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হ্যা এমন আরো পাগলামী চরতে পারে, তবে শর্ত ছবি কিছু ফুল, লতা, গাছ গাছালি, গরু -মহিষ , চাঁদ -সূরজ আমি বুঝাতে চাই প্রকৃতির দিয়েন তাতে পোস্টে সবরকম সুবিদা ভোগ করতে পারবো। এক আপনার ছবি দেখতে এতো ভালো লাগেনারে ভাই।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে ছবি দিব না।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভিক্ষুক হওয়ার চিন্তাটা হুমায়ুন থেকে এসেছে ।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

ফয়সাল সোহাগ বলেছেন: প্রতিটা পয়েন্ট পড়েছি মুখে হাসি নিয়ে। শুভ হোক পাগলামী! অপেক্ষায় রইলাম পরেরগুলোর জন্য।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ ভাই।

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

খাঁজা বাবা বলেছেন: ড্যাব ড্যাব করে মেয়েদের দিকে তাকালে তো লোকে বুঝবেই

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কথাটা তো ভুল বললেন। আমার এই অভ্যাসটা ছোটবেলা থেকেই নেই।
অনেক সময় বন্ধুবান্ধব বলে কি পাশ দিয়ে গেলেও দেখিস না।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই কোনো ভাবে কি আপনি খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র?আসলে আমি নিজে কিনা তাই ; )

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: না।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৪০

বনসাই বলেছেন: আজ এ কাকে দেখছি! এই ছেলের সাথে তো আগে পরিচয় হয় নি।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা ---

হিরো।

১৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনি তো ভবের পাগল!

১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আলগা ভাব ধরেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.