নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত

১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩



ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক কাম্য, বৈষম্য নয়। 'ভারতবিরোধী' এই শব্দটি শুনলেই আমার রাগ হয়। ভারতবিরোধিতা করা যেন একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। '৭১ এ আমাদের স্বাধীনতার জন্য ভারত হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল- সেটা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ভারতের গুনগান করলে কি জাতি হিসেবে আমরা ছোট হয়ে যাবো? এত হীনম্মন্যতা কেন আমাদের?

আমাদের দেশের সাহিত্যিকরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দারুন সব লেখা লিখেছেন। কিন্তু তারা তাদের লেখায় ভারতের সেনাবাহিনীর অবদানের কথা খুব সূক্ষ্ম এড়িয়ে গিয়েছেন। হয়তো ভয়ে তারা এ কাজ করেছেন। যদি তাদের ভারতীয় দালাল বলা হয়। জাতি হিসেবে আমরা এত নীচু মনের কেন?

আমরা ভারতীয় কাপড় পরবো, বই পরবো, মুভি দেখব, টিভি সিরিয়াল দেখব, গান শুনবো। আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভারতে পড়তে যাবে। বেড়াতে যাবো, চিকিৎসা নিতে ভারতে যাবো, কিন্তু তারপরও ভারতীয় গরুর হাড্ডি চিবিয়ে খেতে খেতে বলব- শালার ইন্ডিয়া! ভারত দেশ থেকে আমাদের বাঁচতে হবে, ভারত আমাদের শত্রু। ভারতের দালাল গুলো জুটাপেটা করে দেশ থেকে বের করতে হবে।

বর্তমান দেখে বা অতীতকে স্মরণ করে যে কোনো মন্তব্য করা মোটেও সমীচীন হবে না। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে, নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করার জন্য চেষ্টা না করলে স্রষ্টাও সে ব্যক্তির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

মুখে যাই বলা হোক, বাস্তবে তাদের মূল চাওয়া হলো আত্মকেন্দ্রিক। বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই চায় ভারতের বিশেষ আস্থাভাজন হয়ে যাবতীয় রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে। আমাদের উচিত হবে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করা, দাসত্ব নয়। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একাজে কতটা সফল হবেন তা প্রশ্নাতীত নয়।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ উপভোগ করলাম। হা হা হা।

শুভ সকাল। অনেক অনেক ভাল লাগা প্রিয় ছোট ভাইকে।

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা স্বাধীনতার সময় ভারত-বিরোধী ছিলো, তাদের জেনারেশন এখন আরো বেশী ভারত বিরোধী, নতুন কররে যোগ দিয়েছে বাকীরা।

সমস্যাও আছে,ইন্দিরা গান্ধীর পর, ভারতের বাকীরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তেমন সহানুভুতি দেখায়নি

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০১

এমজেডএফ বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ সহায়ক দেশ ভারত। একাত্তরে প্রাণ বাঁচাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে এককোটির বেশি বাঙালি শরণার্থী ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। উদার গণতান্ত্রিক দেশ ভারত তখন এসব বিপদস্ত প্রতিবেশীদের আশ্রয়-খাবার-চিকিৎসা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ-অস্ত্র দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের। এসব করতে গিয়ে তার দেশে অর্থনৈতিক-সামাজিক-রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছিল। মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল চরমপন্থীরা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তার এগারো হাজারের বেশি সৈনিকের প্রাণ গেছে। মুক্তিযুদ্ধে এই সহায়তার জবাবে এখনও এখানকার পাকিস্তানি পক্ষ বলে ভারততো তার স্বার্থ ছাড়া সহায়তা করেনি। তাতো বটে। কারণ ভারত কোন রামকৃষ্ণ মিশন না। বাংলাদেশও আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম না। আমাদের জীবন বাঁচাতে আমরা ভারতে গিয়েছি, তাদের সাহায্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি। ভারতও তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে তার চিরশত্রু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করেছে। সেদিন ভারত আমাদের পাশে না দাঁড়ালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো অনেক দীর্ঘস্থায়ী হত, শহীদের সংখ্যা হত কয়েক কোটি আর পাকিস্তানী বর্বর হায়েনাদের হাতে এদেশের প্রায় পুরো নারী জাতিই ধর্ষিত হয়ে যেতো! এতোকিছুর পরও আমাদের স্বাধীনতা পাওয়া অনিশ্চিত ছিল।

১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকেই শুনে আসছি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ ভারতের করদ রাজ্য হয়ে যাবে। প্রতিটি নির্বাচন আসে আর বিএনপি-জামাত প্রচারণা চালায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ হিন্দুদের দখলে চলে যাবে, দেশের সব মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানাবে! শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে পার্বত্য শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নিলে এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া লং মার্চের নামে গাড়ি মার্চ নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন ওই চুক্তি হলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে! ওই চুক্তির পরও খালেদা জিয়া তার ফেনী আসন থেকেও নির্বাচন করে এমপি হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন। ফেনী পর্যন্ত ভারতও হয়নি। ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য শান্তি চুক্তিকে তিনি এক রকম নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিলেন। কিন্তু বাতিল করেননি। উল্লেখ্য, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। এ প্রকল্পের প্রথম ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ এরমধ্যে শুরু হয়েছে। তারপরেও দলকানাদের চোখে আওয়ামী লীগ মুসলিম বিদ্বেষী!

বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজ দল বা জোটের পক্ষে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করলেও তলে তলে ভারতের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছে। যেমন: ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের সময় বিজেপির নেতা অমিত শাহ খালেদাকে ফোন করেছেন এমন একটি প্রচারও ছড়ানো হয়। কিন্তু অমিত নিজে বিষয়টিকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিলে সে বেলুনটিও ফুটো হয়ে যায়। মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা করছে যে তারা কখনো ভারত বিরোধী রাজনীতি করবে না। মোদির সফরকে স্বাগত জানিয়ে তারা স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাসকেও স্বাগত জানিয়েছে। (যে চুক্তির আলোকে এই বিল পাস হয়েছে, মুজিব ইন্দিরা চুক্তি, সেটিকে এতোদিন তারা গোলামীর চুক্তি বলেই প্রচরাণা চালিয়ে এসেছে। ) ভারতীয়দের আস্থায় আসতে বিএনপির চেষ্টার শেষ নেই। পথ পাচ্ছে না বলে পথহারা পথিকের মতো ছড়িয়ে চলেছে পুরনো ভারত বিরোধিতা।

যতদিন এদেশে জামাতের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে, ততদিন জামাতের সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক থাকবে এবং যতদিন বিএনপি জামাতের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলবে ততদিন বিএনপির ভারতবিরোধী রাজনেতিক কৌশলও বহাল থাকবে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বিস্তারে ভারতের আতঙ্ক এবং বিএনপির সাথে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসএইয়ের কথিত সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের প্রশমন না করা পর্যন্ত ভারতও বিএনপির দিকে ঝুঁকবে না।
আবার এটাও শিকার করতে হবে যতদিন সীমান্তে হত্যা বন্ধ না হবে, দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি না কমবে, তিস্তা চুক্তি না হবে, গঙ্গায় পানি না আসবে ততদিন এদেশে ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্ট কিছু মানুষের মধ্যে বহাল থাকবে। এই সেন্টিমেন্টকে প্রতিটি আন্দোলন-নির্বাচনে বিএনপি-জামাত তুরুপের তাস হিসাবে ব্যবহার করবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ভারত বিরোধী মনোভাবকে পূঁজি করে রাজনীতির যে ধারা চালু হয়েছে বিশ্ব রাজনীতির পালাবদলে সেই কৌশল এখন অচল হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ‘অচল মুদ্রা’ই স্বর্ণমুদ্রার মতো বিএনপি-জামাত এখনো কাজে লাগাবার চেষ্টা চালাচ্ছে।

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: সূর্যের চেয়ে বালি গরল বেশি।

৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩২

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ভারত সমস্যা না, সমস্যা বাংলাদেশের কূটনীতিতে।

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: একদম সঠিক কথা বলেছেন।

৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সহমত।

১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: ভালো লাগলো

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ চাচাজ্বী।

৮| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বৃহৎ দেশ গুলো সব সময় চায় মাতবরী ফলাতে। ভারতও তাই। তবে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন না হলে ভারতের সাথে প্রতিযোগিতায় টেকা কঠিন হবে।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভারতের সাথে প্রতিযোগিতা করার দরকারটাই বা কি?
আমরা আমাদের মতো থাকি।

৯| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:


ভারতের জাতীয় সংগীতটা আমার কাছে ভালোই লাগে

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদেরটা বেশি ভালো লাগে।

১০| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: অতীত দিয়ে বর্তমান চলেনা

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: অতীত বাদ দিয়ে বর্তমানও চলে না।

১১| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

*কালজয়ী* বলেছেন: ভারতের সাথে দাসত্ব নয়, সুসম্পর্ক। ঠিক বলেছেন।

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজীব ভাই চমৎকার বলেছেন। আপনার দ্বিতীয় প্যারাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্নটা আমারও। আর তৃতীয় প্যারায় আমার জাতি হিসাবে যে দেউলিয়া তা স্পষ্ট।


বরাবরের মত চমৎকার পোস্ট। প্রথম রমজানের শুভেচ্ছা।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার স্যাটালাইট নিয়ে পোষ্ট টি খুব ভালো হয়েছে।

আমার তিনজন বন্ধুকে পড়তে দিয়েছি।

১৩| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইহা আমাদের দ্বিচারিতা সন্দেহ নাই ! যাহারা মাইগ্রেট করিয়া ভারত হইতে আসিয়াছে এবং বিএনপিপন্থীদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ইহারা সারাক্ষন ইন্ডিয়ান টিভি, গান, পোশাক , সিনেমাতে বুদ্ থাকে আর ইন্ডিয়ার নিন্দা করিতে থাকে !

তবে ভারত বিরোধিতা ফ্যাশন নহে , ইহা ভারত অর্জন করিয়াছে তাহাদের মানসিকতার কারণে !

শৈবাল দিঘিরে কহে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো এক ফোটা দিলেম শিশির !

কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে ,
দাদা বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে,
হেনকালে উঠিলেন গগনেতে চাঁদা,
কেরোসিন শিখা বলে এস মোর দাদা !

ভারতীয়দের ছোটলোকি মানসিকতার প্রকৃষ্ট বর্ণনা আছে উপরের দুই কবিতায়।যুদ্ধকালীন সক্রিয় সমর্থন ও আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। জাতি এই ৫০ বছর পরেও ভারতীয়দের ঋণ পরিশোধ করিতেছে সীমান্তে গুলি খেয়ে , পানিতে বঞ্চিত হয়ে, রাজনীতিতে অন্যায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে, সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স ভারতকে প্রদান করে, বৈধ-অবৈধ সবচেয়ে বড় বাজার ভারতের জন্য খুলে দিয়ে ! বৈদেশিক বিষয়ে ভারতকে সমর্থনে ! ভারতের মানসিকতার কারণেই বন্ধু থেকে ভারত আপামর জনসাধারণের কাছে শত্রু হিসেবে গণ্য হইতেছে।

একটা কথা খুব প্রচলিত ছিল একসময়। আমেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার নাই। ভারত যেহেতু আমেরিকার কাছে নিকাহ বসিয়াছে, এবং আমেরিকাকেই অনুসরণ করিতেছে, তাই বলিতে হইবে ভারত যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার হয়না । X(( X(

নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল সবার পাছায় আঙ্গুল দিলেও রাজনৈতিক দলগুলো হয়ত রাজনীতির স্বার্থে ভারত বন্দনা করিবে, জনগনের ভারতের ইয়েতে তৈল মর্দনের কোনোই দরকার নাই ! তাই ভারত বিরোধিতা বাড়িবে স্বাভাবিক !

যাহারা ভারত বন্দনা করিতে চায় তাহারা শান্তিতে আছে !
যাহারা পাকিস্তান বন্দনা করিতে চায় তাহারাও শান্তিতে আছে !
যাহারা বাংলাদেশ বন্দনা করিতে চায় ইহারাই আইজুদ্দিন হইয়া যাইতেছে !


১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিকেল থেকেই আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে।
তা না হলে খুব সুন্দর করে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতাম।

ভালো থাকুন।

১৪| ১৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভারত বিরোধীতা বেড়েছে তাদেরই স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে। তার উপর সেখানে মুসলিমদের সাথে বঞ্চনা, বাবরি মসজিদ সহ আরো কিছু ধর্মীয় কারণে এই বিরোধীতা বেড়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা এটা এমন এক প্রতিবেশী দেশ যার কারণে বর্ডারে প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশী মারা যায়। বিশ্বের আর কোন বর্ডারে এত কিলিং হয় না। এমনকি তাদের চিরশত্রু পাকিস্তানের বর্ডারেও এত মানুষ মারা যায় না। ইউ হেভ টু হেভ বুঝতে হবে...

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

১৫| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমস্য হলো আমাদের পক্ষপাত মূলক ভাবনা।
আপনিও বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করতে গিয়ে ভারত বন্ধনা করেছেন দৃষ্টিকটু ভাবে। যা বর্তমানের সকল বাস্তবতা বিবর্জিত।
আক্ষরিক ভাবে ভারত হয়ে যাও মানে পতাকা বদল নয় এটা বোঝার মতো বুদ্ধি আপনার আচে বিশ্বাস করি।
স্বাধীনতার পর থেকে আজকে পর্যন্ত ভারতে সাথৈ বানিজ্য থেকে ধরে সকল বিষয়কে মূল্যায়ন করুন। তথ্য সংগ্রহ করুন। সত্য সামনে এসে যাবে।

বর্তশান সরকার ক্ষমতার লোভে ভারতে একতরফা এত এত সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে যা অনেকাংশে স্বাধীনতা সার্বভৌমদ্বকে হুমকির মাঝৈ ফেলে রেখেছ। করিডোর নিয়ে আওয়ামীলীগের চাপাবাজি ভুলে যাননি নিশ্চয়ই। করিডোর দিলে যে আয় হবে বাংলাদেশ সিংগাপুর হয়ে যাবে বলে বাণী দিয়েছিলেন তখন। বাট বাস্তবতা কি? করিডোরের কতটাকা ফি আপনি পাচ্ছেন?
করিডোরে ভারতে পণ্য পরিবহনে আপনার নিয়ন্ত্র কতটুকু? আদৌ আছৈ কি?
ভারতের ঋন সমূহের চুক্তি কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে সই করা সম্ভব?
ভারতের ডাম্পিং ষ্টেশন বানানো কয়লা ভিতইক বিদ্যুত প্রকল্প আপনি খুশি মনে গ্রহণ করলে কি আর বলার আছে?
আত্ম মর্যদা সম্মান বিষয়গুলো এমন পুথিগত কিতাব দিয়ে বোঝানের নয়? পরিসংখ্যান দিয়েও নয়। এটা অনুভবের।

৫৪টা অভীন্ন নদীতে তারা আমাদের মরুকরণে ঠেলে দিয়েছে। আমরা ৭১ এর কৃতজ্ঞতায় বুদ হয়ে আছি!
আজ আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি বলে কি কাল মিয়ানমার আমাদের লুটেপুটে খেতে দেবে?

কৃতজ্ঞথা এক জিনিষ আর বাস্তবতার আলোকে বার্গেইন করা আরেক জিনিষ।
আপনার নিজ দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলা ভারত বিরোধীতা নয়। আপনার স্বদেশাধীকার প্রতিষ্ঠা!
বাংলাদেশের স্বার্ত যখন সামনে আমি অবশ্যই ভাবত বিরোধী। তাদের প্রমাণীত কার্য্ক্রমে। কোন অন্ধ আবেগে নয়।

আপনি যেমন অন্ধ আবাগে ভেসে ভারতে পক্ষ নিতে গিয়ে নিজের দেশেরই বিরুদ্ধ দাড়িয়ে গেছেন। যা প্রকান্তরে ভারতের অন্ধ দালালীর পর্যায়ে পড়ে।

ভারত একটা দেশ । আমি আমরাও একটা দেশ। আমাদের আর্গুেমন্ট হবে ভদ্রোচিত আইনত আন্তর্জাতিক বিধি বিধান মতে। তাতে তা অকৃতজ্ঞতার মাঝে পড়ে না।
যুদ্ধের পর ভারতের লুটের ইতিহাস ভুলে গেলেন কি করে?
মেজর জলিল যে কারণে বাধ্য হয়ে আবার অস্ত্র ধরেছিলেন তা প্রতিহত করতে।
ইতিহাস একপাক্ষীক মনে না রেখে সার্বিক মনে রেখে যদি বাবি তখনই প্রকৃত দেশাত্ববোধী চেতনার প্রকাশ।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন।

১৬| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৬

নীলপরি বলেছেন: আপনি বাস্তব বিষয়গুলো নিয়ে খুব ভালো লেখেন । এটাও ভালো লিখেছেন ।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ পরী। নীল্পরী।

১৭| ১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

রসায়ন বলেছেন: দারুন

১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ভারতের অবদান খুব কম ছিল। কিন্তু এই কমটাই অনেক কিছু ছিল আমাদের জন্যে।

আমিতো ভারতকে দোষ দিব না... প্রতিটি দেশ তার দেশের উন্নতির জন্য অন্য কোন দেশ (পাশের দেশ) এর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখে...
কিন্তু আমাগো বাঙ্গালীরা তোহ পাশের দেশের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখতে গিয়ে স্রেস দাসত্ব করে...

অথচ তাদের প্রত্যেককেই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ, বঙ্গবন্ধু ও সৌদি বাদশাহ কথোপকথন থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ...

কি আবুল তাবুল বকতাছি... আমার তোহ মনেই নাই,

"""ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না'''

১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা
ধন্যবাদ।

১৯| ১৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫০

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব হতে পারে স্বার্থহীন। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারটা ভিন্ন। রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে বন্ধু ভাবতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ, জনগণের স্বার্থের কথা আগে ভাবতে হয়।৭১ - এ ভারত যদি মনে করত আমাদেরকে আশ্রয় দিলে আমরা তাদের রাষ্ট্রের হুমকি হয়ে দাঁড়াব তাহলে কখনোই আশ্রয় দিতনা। ভারত আমাদের যে উপকার করেছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।আমি মনে করি, শুধু ভারত কেন? যে কোন দেশকে শত্রু বা বন্ধু ভাবতে গিয়ে আগে দেশের কথা ভাবতে হবে।

১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: তা ঠিক।

২০| ১৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৫:৪৯

অক্পটে বলেছেন: আপনি ভারতীয়দের ব্যপারে যেরকম দরাজ দিল। সমস্ত ভারতীয়রা আপনার উল্টা। জীবনে কয়টা ভারতিয়দের সাথে চলেছেন কয়জনকেই বা জানেন। আপনাকে সাচ্চা দালাল বলার আগে বলব যে, ভারত বাংলাদেশের কোন রকম ভালো হোক এটা তারা চায়না। বাংদেশের কোন ভালো তারা সহ্যই করতে পারেনা। আপনার লেখাটা হয়েছে একটা ফিল্টারের মতো। ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে কিছু খাটি দালালের দেখা পেলাম।

ও হ্যা আ.লীগের বিরোধিতা করলেই তাকে রাজাকার বলা হয়, তাকে ভারত বিরোধী বলা হয় এবং তাকে পাকি বলা হয় ঐ হিসেবে আপনি আর ওরা বাদে আমরা সবাই রাকাজার। রাজাকার বলাটাও এখন ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। উচিত বলেছেন তো হয়েছে রাজার ট্যাগ আপনার জন্যই।

১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: অকপটে বলে গেলেন। বাহ কি সুন্দর।

২১| ১৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:১৩

অক্পটে বলেছেন: রাজীব নূর ভাই। স্যরি! আমার প্রথম করা মন্তব্যটি ডিলিট করে দিবেন প্লিজ। আপনার সাথে আমার পরিচয় নেই কিন্তু আপনার লেখা আমি খুব পছন্দ করি। আমার ঐ মন্তব্যে আপনার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এটা আমি চাইনা।

১৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষোভ ভালো না।
সবাইকে ভালোবাসুন।
ভালো থাকুন।

২২| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:০৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারত ইসরাইলের চেয়েও বড় ধর্ম রাষ্ট্র যা রামায়ণ -মহাভারতের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে,রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কোন সূত্র অনুযায়ী হয়নি।হলে ইউরোপের মতো ভারতেও একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র থাকতো।ধর্মের মিল অার মুসলিম বিরোধিতার কারণেই বিহারী,মারাঠি,গুজরাটি,তামিল অার বাঙ্গালীরা একে অন্যের ভাষা না বোঝার পরও কিম্ভুতকিমাকার এই “রামরাজ্য” গঠন করেছে।ইউরোপীয়রা এক ধর্মের অনুসারে হওয়ার পরও করেছে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র।
এ্যামেরিকার সাথে ক্যানাডা অার মেক্সিকোর জনসংখ্যা অার সামরিক শক্তির যে পার্থ্ক্য,বাংলাদেশের সাথে ভারতেরও মোটামুটি তাই।কিন্ত এ্যামেরিকা ওদের সাথে দাদাগিরি করেনা,ভারত বাংলাদেশ,নেপাল,ভূটান-সবার সাথে করে।আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল প্রচারের অনুমতি দেয়নি।বাংলাদেশের যে জিনিসটা ভারতে বেশী রপ্তানী হয়,সেটার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করে।আকারে ভারত বড় ক্ন্তি মনে অতি ক্ষুদ্র।
কোন মহৎ উদ্দেশ্যে ভারত ১৯৭১ এ সাহায্য করেনি।চেয়েছিলো গোয়া,পন্ডিচেরীর মতো বাংলাদেশকেও ভারতের অংশে পরিণত করতে।জাতীয়তাবাদীদের কারণে পারেনি।তারা আগেই বাংলাদেশের পতাকার মাঝখানে মানচিত্র খোদাই করে বুঝিয়ে দিয়েছিলো,সহায়তার নাম করে বাংলাদেশকে গোয়া বানানো যাবে না।
ইন্দিরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তাকারী কিন্ত এই ইন্দিরাই স্বর্ণ মন্দিরের সেনা অভিযান চালিয়ে শিখদের স্বাধীনতা সংগ্রাম দমন করেছিল।
তবে সত্য হচ্ছে ভারতে সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশ কোনদিনও স্বাধীন হতো না।কাশ্মীর,ফিলিস্তিন অার রোহিঙ্গা আর কুর্দিদের মতো শতাব্দী ধরে অত্যাচারিত হতো।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ২০ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:১২

অনল চৌধুরী বলেছেন: এমজেডএফ আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তার এগারো হাজারের বেশি সৈনিকের প্রাণ গেছেকি তথ্যে ভিত্তিতে বললেন প্রমাণ দেন।ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের ৬ই ডিস্ম্বের।বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৬ই ডিসেম্বর।তার মানে প্রতিদিন ১১১০ ভারতীয় সৈন্য মরেছে??? এতো মুক্তিযোদ্ধাও তো মরেননি।
এইসব গাজাখুররি তথ্য কোথায় পান?ঐতিহাসিক তথ্য দেয়ার সময় খুব সতর্ক থাকা উচিত।কারণ নতুন প্রজন্ম ভুল ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠবে।

২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.