নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজের চোখে দেখা কয়েকটি মৃত্যু

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:১৭



১। ভদ্রমহিলা আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার দুইটা মেয়ে দশ-বারো বছর। স্বামী রেড ক্রিসেন্টে চাকরি করেন। কথা নেই, বার্তা নেই মহিলা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। প্রচুর বমি করে বিছানায় লুটিয়ে পড়লেন। স্বামী এসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। ডাক্তার বললেন, দুর্বলতা থেকে এমনটা হয়েছে। বিশ্রাম এবং প্রচুর ফলমল খেতে হবে। সাতদিনের মধ্যে মহিলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলেন। কিছুই খেতে পারেন না। খেলেই বমি। সারাক্ষন বিড়বিড় করে যেন কি বলেন। অদৃশ্য মানুষদের সাথে কথা বলেন। আমি তাকে দেখতে দেখলাম- তিনি পাগলের মতো আচরন করছেন। ছটফট করছেন। নানান আবোল তাবোল কথা বলছেন। রুগ্ন শরীর নিয়ে ইশারায় কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। বলতে পারলেন না। তিনি মারা গেলেন। আমার জীবনে দেখা প্রথম মৃত্যু।

২। আমার খালুর ছিল লোহা লক্করের ব্যবসা। তিনি প্রতিদিন বাসায় ফেরার সময় দুই হাত ভর্তি ফল নিয়ে বাসায় ফিরতেন। তার অনেক গুলো ছেলেমেয়ে। এখন সবাই বড় হয়েছে। নামী দামী চাকরি করে। একদিন খালু সাহেব তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলেন। সেদিন তার হাতে ফল ছিল না। খালা বললেন, আজ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলে যে! খালু বললেন, আজ আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। তিনি বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকলেন। আমি তার রুমে গিয়ে দেখি- তার নাক দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। তিনি দুইহাতে নাক চেপে বসে আছেন। খালু চোখের ইশারায় আমাকে কিছু বলতে চাচ্ছিলেন। আমি এত রক্ত দেখে দিশেহারা হয়ে গেলাম। খালু সাহেব আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাত বাড়িয়ে দিলেন। আমি তার কাছে গিয়ে তার হাত ধরলাম। তিনি আমার কোলে মারা গেলেন।

৩। আমার বন্ধুর বাবা ওয়াদুত সাহেব বারডেম হাসপাতালে ভর্তি। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমাকে খুব পছন্দ করেন। আমি রোজ তাকে দেখতে হাসপাতালে যাই। তার কি অসুখ ডাক্তাররা ধরতে পারছেন না। তবে রক্তে সমস্যা এইটুকু ডাক্তাররা বলেছেন। সতের দিন তিনি হাসপাতালে আছেন। এক সন্ধ্যায় তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। তখন তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। আমাকে রেখে আমার বন্ধু আর তার মা বাসায় গেল। তারা রাতের খাবার খেয়ে হাসপাতালে ফিরবেন। তারা হাসপাতালে ফিরে এলে আমি বাসায় ফিরব। আমি ওয়াদূত সাহেবের পাশের সিটে বসে পত্রিকা পড়ছি। হঠাত ওয়াদুত সাহেবের ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি এখানে কেন? আমার খুব ভয় করছে। আমি বললাম, আংকেল কোনো ভয় নেই। আমি আছি। আমি ওয়াদুত আংকেলের পাশে বসে তার হাত ধরলাম। তিনি দরজার দিকে তাকিয়ে বললেন, আমি যাবো না, আমি যাবো না। আমার ভয় লাগছে। আমাকে নিও না। প্রচন্ড ভয়ে তার চোখ মুখ সাদা হয়ে গেছে। তার পুরো শরীর কাঁপছিল। কাঁপতে কাঁপতে তিনি আমার কোলে মাথা রেখে মারা গেলেন।

৪। কোনো এক শুক্রবার, বিকেলবেলা। উত্তর বাসাবো যাচ্ছিলাম। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। আমার সামনে এক মেয়ে ও তার বাবা হেঁটে হেঁটে গল্প করতে করতে যাচ্ছে। নিরিবিলি রাস্তা। হঠাৎ মেয়েটির বাবা বুকে হাত দিয়ে রাস্তায় পড়ে গেলেন। মনে হচ্ছিল তীব্র ব্যথায় তিনি ছটফট করছিলেন। মেয়েটা চিৎকার করে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। আমি দৌড়ে কাছে গেলাম। মেয়েটি তার বাবাকে আমার কোলে দিয়ে রিকশা সিএনজি খুজছে। পুরো রাস্তা খালি, কোনো সিএনজি রিকশা নাই। লোকটি ব্যথায় বিকট আর্তনাদ করতে করতে মনে হয় আমার কোলেই মারা গেলেন। প্রায় বিশ মিনিট পর আমি আর মেয়েটি তার বাবাকে টেনে হেচড়ে বড় রাস্তায় নিয়ে যাই। তারপর সিএনজিতে করে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা দেখে বললেন, উনি মারা গেছেন।

৫। সুরভির মা কিভাবে মারা গেলেন সেই ঘটনাটা বলি। তখন অবশ্য সুরভির সাথে আমার পরিচয় ছিল না। পুরো ঘটনা সুরভির কাছ থেকে শুনেছি। হুমায়ূন আহমেদের যে রোগ হয়েছিল, সুরভির আম্মুর সেই অসুখটাই হয়ে ছিল। সুরভির আম্মু তিন মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। পানির মতো টাকা খরচ হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে এক লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। বাংলাদেশে অসুখ বিসুখ মানেই টাকার খেলা। প্রচুর টাকা লাগে।
সুরভির মা বিছানা থেকে নামতে পারেন না। মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে। পুরো শরীর শুকিয়ে গেছে। একটূ কথা বললেই হাঁপিয়ে উঠেন। সুরভি সারারাত জেগে মায়ের পাশে বসে থাকে। একদিন রাত দুইটায় ঘুম থেকে উঠে তিনি সুরভিকে বললেন, আজ শরীরটা খুব ভালো লাগছে। আমাকে একটা সুন্দর শাড়ি পড়িয়ে দে, মাথায় তেল দিয়ে চুল আচড়ে দে। সুরভি তার মাকে শাড়ি পড়িয়ে দিন, মাথায় তেল দিয়ে চুল আচড়ে দিল। তারপর দুইজন নানান বিষয় গল্প করতে থাকলো। দুইজনই খুব হাসছিল। গল্পে গল্পে ভোর হতে শুরু করেছে। মসজিদে আযান দিল। মা মেয়ে দুইজন একসাথে নামাজ পড়লো। তারপর তিনি মেয়েকে জড়িয়ে ধরে খুব কাঁদলেন। সুরভিকে অনেক আদর করে দিলেন, দোয়া করে দিলেন, কপালে চুমু দিয়ে দিলেন। তারপর সুরভিকে অনেকক্ষন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখলেন নিজের বুকের মধ্যে। কিছুক্ষন পর সুরভি বুঝতে পারলো তার মা মারা গেছে।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

জাহিদ অনিক বলেছেন: আপনার কোলের উপরে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতে আপনার জীবন সম্পর্কে অনেক গভীর জীবনবোধ জন্মেছে। যা আপনার বেশকিছু লেখায় দেখা গিয়েছে।
অন্যের মৃত্যু আমাদের অনেকিছু শিখিয়ে যায়।

আমার নানু অসুস্থ থাকার সময় একমাস রাতে হস্পিটালে ছিলাম। প্রতি রাতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে হত।
রাত গভীর হলে বাউন্ডারি পেরিয়ে যেতাম পাশের টি-স্টলে যেতাম। রাত দুপুরেও প্রচুর রোগী আসত। মৃত লাশ নিয়ে ট্রলিগুলো বয়ে বেড়াতো ঘড় ঘড় শব্দ করে মহাসমারোহে এক তলা থেকে আরেক তলায়।
এবং বেশ সশব্দে এ্যাম্বুলেন্সগুলো লাশ বয়ে চলে যেত। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়দের যেখানে কষ্ট হত তাদের স্বজনদের মৃত্যুতে, হস্পিটালের আয়া কর্মী, সিকিউরিটি গার্ড ও এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের বরং মনে মনে কিছুটা যেন আনন্দই হত। কেননা, কেউ মারা গেলে তবেই তাদের কিছু আয়-রোজগার হয়। এটা আসলে জীবনের একটা নির্মমতাই !

লেখাটা ভালো লাগলো খুব।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা মৃত্যু আমাকে কষ্ট দেয়।

আমার দাদা দাদীকে নিয়ে দিনের পর দিন হাসপাতাল করেছি। হাসপাতালে থাকতে হয়েছে আমাকে। সেসব গল্প অন্য কোনো সময় করবো।

রাতের হাসপাতাল কি রকম আমি খুব ভালো করেই জানি। যারা রাতে হাওপাতালে থেকেছে তারা সবাই জানে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আজ কিছু বলবোনা। আমি মৃতদেহ দেখলে ছোট থেকে অনেকদিন গুটিয়ে থাকতাম। আজও এটা কাটাতে পারিনি।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমারও একই অবস্থা।
ঘটনা চক্রে কয়েকটা মৃত্যু দেখে ফেলি।

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: সুন্দর লেখা।মৃত্যুর আগে অন্যের মৃত্যুকে কাছ থেকে ধেখতে পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভাগ্যের ব্যাপার না। ভয়ের ব্যাপার।

৪| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

করুণাধারা বলেছেন: যে কোন মৃত্যুই দুঃখজনক, তাই আপনার পোষ্ট পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।

পোস্টে প্লাস।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: মন খারাপ করবেন না।
মৃত্যু কিন্তু চরম বাস্তব এবং মহা সত্য।

৫| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৭

রেযা খান বলেছেন: মৃত্যু!

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যু কে এড়িয়ে যাবার কোনো উপায় নাই।

৬| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাঁচ পাঁচটি দুঃখজনক মৃত্যুর কাহিনী অতি সংক্ষেপে বর্ণনা করে গেলেন। কথায় কোন বাহুল্য নেই। তাই লেখাটা ভাল লেগেছে, ঘটনাগুলো নয়। আর এ ভাল লাগার কারণে প্লাস + + দিয়ে গেলাম।
আপনাকে এবং জাহিদ অনিক কে বলছিঃ মানুষ এ ইহজীবনে যত প্রকার ভাল কাজ করতে পারে, তার মধ্যে পীড়িত ব্যক্তিকে বাড়ীতে বা হাসপাতালে দেখতে যাওয়া, তার পরিচর্যা করা, তার মনে সাহস যোগানো, তার সাথে কিছু কোয়ালিটি সময় কাটানো, ইত্যাদির মত ভাল কাজ আর হতে পারেনা। আপনারা উভয়ে এ কাজ দুটো ভালভাবে করেছেন, এজন্য আপনাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সময় কাউকে নিজের কোলে ধারণ করার মত এত দরদী কাজ আর কী হতে পারে?

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহসান স্যার, প্রথমেই বলি আপনি আমার কোনো পোষ্টে মন্তব্য করলে খুশিতে আমার মনটা ভরে যায়।
আমার প্রচুর টাকা পয়সা নাই, তাই কাউকে টাকা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারি না। দু'টা হাত আছে, মন আছে তাই দিয়ে মানুষের জন্য কিছু করতে পিচপা হই না। সে হোক পরিচিত বা অপরিচিত। আমার মনে হয় সবারই করা উচিত।

৭| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২০

চক্‌চাপড়ী বলেছেন: মৃত্যুকে ভয় পেলে মৃত্যুকে জয় করা যায় না।মৃত্যু বাস্তব এবং মহা সত্য।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুকে আমি খুব ভয় পাই। বিশেষ করে যে মৃত্যু অসময়ে আসে।

৮| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি স্রেফ একটা মৃত্যু দেখেছি।আমার দাদা ভাইয়ের।তখন আমার বয়স ৫/৬।তেমন কিছুই মনে নেয়।খালি এটা মনে আছে,সবাই সুরা পড়তিছিল আমার মৃতপ্রায় দাদার পাশে বসে।আর আমি আমার দাদাকে বাতাস করতিছিলাম,হাত পাখা দিয়ে।

ঈদ মানে আনন্দ,কিন্তু গত ৪বছর ধরে রমজানের ঈদ মানেই কান্নার রোল।আমার বড় নানা,নিজের দাদু,তারপর নানাভাই এবং এবার আরেকটা নানু।
৪বছর ধরে ঈদে হাসির চেয়ে কান্না বেশী দেখছি।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---
তারপরও বলল, একটু শক্ত হোন। এবং এই ব্যাপার গুলো মেনে নিন। সহজ ভাবে মেনে নিতে শিখুন।

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৮

সনেট কবি বলেছেন: এভাবেই একদিন মানুষ মায়ার পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।

১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: চলে যাওয়ার আগে মহৎ কিছু করে যাওয়া বড্ড দরকার।

১০| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: এসেছি যখন যেতে তো হবেই। সেই অনন্ত
কাল শুধু মনে হয় কেন এসেছিলাম কি
করতে, পুর্নতা কি পেয়েছি। যা করতে
চেয়েছি কিছই তো পারলাম না কোন মুখে
যাব অনন্ত পূনর্জনমে। তবুও সে জনম
দেখার খুব ইচ্ছা। তন্দ্রায় যা দেখি তা কি
পাবো। আপনার মৃত্যু গল্পে আবেগে জড়ালাম।
তবুও ভাললাগল।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ তার এক বইতে বলেছিল,“মৃতদেহ নিয়ে যে গাড়ি যায়, সেই গাড়ির দিকে সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে তাকায়। গাড়িতে একটা লাল নিশান উড়ে। লাল নিশান মানেই শব বহনকারী গাড়ি। তবে সবাই আগ্রহ নিয়ে তাকালেও মৃতদেহের মুখ কেউ দেখতে চায় না। মৃতদেহ নিয়ে যারা যাচ্ছে তাদেরকে দেখতে চায়। মৃত মানুষ দেখে কি হবে? মৃত মানুষের কোন গল্প থাকে না। মানুষ গল্প চায়।”...

১১| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর কাছ থেকেই এসেছি এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে”।

মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের সহায় হউন।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: পৃথীবির অধিশ্বর বলে খ্যাত মোঘল সম্রাট শাহজাহানের শেষ জীবন ভীষণতর দুর্বিষহ ও অসহায়ভাবে কেটেছিল। আপন ঔরসজাত পুত্রের কাছে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, বিত্ত, বৈভব সব হারিয়ে ফেলে জীবন্মৃত হয়ে গিয়েছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী এ মোঘল সম্রাট। সম্রাট শাহজাহান তাঁর জীবনের শেষ ৮ বছর আগ্রার দূর্গে বন্দী হয়ে কাটান।

১২| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি অত কাছে থেকে মৃত্যু দেখি নাই ,জানি না আল্লাহ ভাগ্যে কি রেখেছেন।
তবে রোকেয়া হলে থাকবার সময় মাঝে রাতে অসুস্থ্য হয়ে গেলে কয়েকজন কে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল,তখন রাতে হাসপাতাল দেখেছিলাম।
আমার আব্বা ও রাত ১২ টার পর মারা গিয়েছিলেন, আমি সাথে ছিলাম না। খবর পেয়ে তারপর গিয়েছিলাম।

আপনার লেখা ভালো লাগলো ।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়ায় দয়ার্দ্র কোন মানুষ দেখিনা!
আশেপাশে সবাই চাকুর ফলার মতো তীক্ষ্ণ স্বার্থপর লোকজন...

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৪:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিশু জন্ম নেয়ার সময় হলে সবাই জানে, মানুষ চলে যাবার সময়টা তেমন বুঝা যায় না

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: সময় গেলে সাধন হবে না...

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মৃত্যু জি‌নিসটা আমার ভা‌লো লা‌গে না। আ‌মি জীবন ভা‌লোবা‌সি। তারপরও মর‌তে হ‌বে। উপায় নেই।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কজন মানুষ কর্ম দ্বারা মহান হন, জন্মের দ্বারা নয় (চানক্য)।
সত্যসংকল্পঃ
লজ্জা, ঘৃনা ও ভয়; তিন থাকতে নয় (রামকৃষ্ণ পরমহংস)।

১৫| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

সিগন্যাস বলেছেন: আহা আপনি অনেক মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছেন।এইজন্যেই এতো স্বাভাবিক ভাবে একটা সিরিয়াস পোষ্ট লিখতে পেরেছেন।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: সে আগুনকে ব্যাবহার করতে পারে না, যে আগুনকে পায় ভয় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

১৬| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:০২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: মৃত্যু চিরন্তন সত্য জেনেও মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে আমরা ভয় পাই। আর আপনি আপনার জীবনের কতোগুলো কাহিনী নিয়ে লিখে ফেললেন :( সাহস আছে তো আপনার ভাইয়া অনেক।
খুব ই সেনসিটিভ একটি টপিক।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: Alhamdulillah

১৭| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দারুন একটি লেখা। ধন্যবাদ।

মৃত্যু অমোঘ। এ মহাসত্য লঙ্ঘনের কোনো উপায় নেই। পাঁচ পাঁচটি মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার যে বর্ননা দিলেন তা অন্তর নাড়া দিয়ে গেল।

মৃত্যুকে অস্বীকার করার যেহেতু কোনোই উপায় নেই। সুতরাং, আমাদের উচিত, এগুলো থেকে শিক্ষা গ্রহন করে নিজের মৃত্যুর পূর্বে প্রস্তুত হয়ে নেয়া। যেমনটি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনে আমাদের সতর্ক করেছেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ

''হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।'' সূরাহ আলে ইমরান, আয়াত-১০২

আল্লাহ পাক আমাদেরকে তাঁর নির্দেশ মেনে পরিপূর্নভাবে তাঁর নিকট আত্মসমর্পন করে মৃত্যুবরনের তাওফিক দিন।

অনেক শুভকামনা।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই।

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



দ্বিতীয়বার এসে লেখাটিতে প্লাস দিয়ে গেলাম।

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আহা নকিব ভাই।
ভালো থাকুন।

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: হসপিটালে প্রায়ই মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখি, স্বজনদের অার্তনাদ-অাহাজারি মনকে নাড়িয়ে দেয়। মনে মনে ভাবতে থাকি একদিন অামাকেও এভাবেই চলে যেতে হবে....

২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: যাদের মৃত্যু ভয় আছে তারা পাপ কম করে।

২০| ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বেদনা দায়ক। :(

২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

২১| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

আরাফআহনাফ বলেছেন: উপরে বর্ণনাকৃত সব ঘটনাই হৃদয়ছোঁয়া বিশেষ করে সুরভী ভাবীর মায়ের কথা জেনে আশ্চর্যান্বিত হলাম।
মৃত্যু অমোঘ তারপরও মনে হয় আরো যদি কিছু সময় পেতাম !!!!

আমার মনের একটা কথা শেয়ার করি - কেন যেন আমার সবসময় মনে হয় আমার মৃত্যু সময় সন্ধ্যা - ঠিক মাগরিবের আযানটুকু শুনতে শুনতে বিদায়......... ! !
এমনই এক সন্ধ্যায় -

ভালো থাকুন সুহৃদ।

২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মৃত্যুর চিন্তা করলে বেঁচে থাকাকে খুব তুচ্ছ মনে হয়।

২২| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
একদিন আমরাও চলে যাব ভাবলেই খারাপ লাগে।

আমিও খুব কাছ থেকে মৃত্যু দেখেছি।

২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার সমস্ত কাজ শেষ করে আমি মরতে চাই।
কাজ শেষ না করে মরলে যে, মরেও শান্তি পাবো না।

২৩| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

আল ইফরান বলেছেন: মৃত্যুর চিন্তা মাথায় থাকলে অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা সহজ হয়ে যায়।
তবে সর্বদা এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন কস্টসাধ্য হয়ে যায়।
আমি খুব কাছ থেকে অনেকগুলো মৃত্যু দেখেছি, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকটা ঘটনাই আমি একেবারে অবিকলভাবে বলতে পারি এতদিন পরেও (আমার স্মৃতিশক্তি আমাদের ভাইবোনদের মধ্যে সবচাইতে দুর্বল)।
প্রত্যেকটা মৃত্যুর একটা পরিপ্রেক্ষিত থাকে আর কিছু স্বল্পকাল-ব্যাপী যন্ত্রনার ইতিহাস।
আল্লাহ সবাইকে দীর্ঘ নেক হায়াত প্রদান করুন।

২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লিখে ফেলুন।

২৪| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২০

গরল বলেছেন: অনেক অকাল মৃত্যুই রোধ করা সম্ভব যদি আমরা একটু সচেতন হই, যে কোন মৃত্যুই কষ্টদায়ক আর কাছের মানুষ হলে তো কথাই নাই। আমারতো পরিচিত কোন পশুকে কুকুর, বিড়াল মরতে দেখলেও খারাপ লাগে।

২০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে চিকিৎসার মান এখনও উন্নত নয়।

২৫| ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার সাহস এখনো হয়ে ওঠে নি। তবে জীবনের নির্মম বাস্তবতাকে আপনি অনেকবার দেখে ফেলেছেন!

২০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: অভাব দেখেছি, হতাশা দেখেছি, কষ্ট দেখেছি, কান্না দেখেছি, দুর্নীতি দেখেছি, ভালো জিনিস কিছুই দেখি নাই। শুধু খারাপ ব্যাপার গুলৈ দেখছি।

২৬| ২০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আহ, সমবেদনা জানাবার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
আল্লার কাছে দোয়া করি যেন সকল মুমিন মুসলমানদের তিনি জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করেন। আমিন।

২০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমিন।

২৭| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৭

সুমন কর বলেছেন: হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মরতে ভয় করে, সুঁই-কাঁটা-ছেঁড়া-টেস্ট-রক্ত.........এসবের কারণে !! নিজের মা'কে দেখেছি দু'মাস এ হাসপাতাল, ও হাসপাতাল যুদ্ধ করতে করতে......

দুম করে হঠাৎ মরে যেতে ইচ্ছে করে.......আপনার ৪নং মৃত্যুর বর্ণনার মতো। হোক কষ্ট, তবুও হাসপাতাল না !!
+।

২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও তাই চাই।

২৮| ২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আসলেই কি মৃত্যু সকল কিছুর সমাপ্তি ????

২১ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই।

২৯| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: রানার ব্লগ, মৃত্যুই সব কিছুর সমাপ্তি নয়, চূড়ান্ত বিচ্ছেদ দুনীয়ার জীবনের সাথে কিন্তু অনন্ত কালের যাত্রা আখেরাতের।
বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী আখেরাতের জীবন হতে গুণাহগাররা দুনীয়াতে ফিরে আসার জন্য হাজার কাকুতি মিনতি জানাবে।
তাদের সেই চাওয়া পূরণ করা হবে না।
তাই, দুনীয়ার হায়াতে জিন্দেগীতেই অনন্তকালের পাথেয় সংগ্রহ যারা করে তারাই বুদ্ধিমান।

২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: ‘‘তেপান্তরের সরলরেখায় অল্প কিছু ঢেউ/ এই কথাটা সহজ হলেও/ বুৃঝল না তো কেউ।’’

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.