নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিমু তুমি কোথায়?

২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১০



অনেকদিন ধরে হিমুর কোনো খোঁজ খবর নাই। তাকে আমার বিশেষ দরকার। তার সন্ধানে পথে নেমেছি। মাজেদা খালার বাসায় গিয়েছি। উনি যথেষ্ট আদর আপ্যায়ন করলেন। নানান বিষয় নিয়ে গল্প করলেন। বেশির ভাগ'ই রান্না নিয়ে গল্প। কিন্তু আমি তার কাছে রান্না বিষয়ক গল্প শুনতে যাইনি। আমি গিয়েছি হিমুর খোঁজে। উনি আমার দেড় ঘন্টা সময় নষ্ট করার পর জানালেন হিমুর কোনো খোঁজ-খবর জানেন না। হিমুর খালু সাহেবের খোঁজে গেলাম ছাদে। উনি বোতল নিয়ে বসে গেছেন। আজ বৃস্পতিবার তার মদ্যপান দিবস। আমি খালু সাহেবকে সালাম দিয়ে বললাম, আমি এসেছি হিমুর খোঁজে। আপনি কি তার ব্যাপারে কিছু জানেন? উনি গ্লাসে লম্বা একটা চুমুক দিয়ে বললেন, দুষ্টলোকের আমি কোনো খোঁজ খবর রাখি না। আমি বললাম, খালু সাহেব হিমু মোটেও দুষ্টলোক না। যার মানুষের জন্য সীমাহীন ভালোবাসা আছে সে মোটেও দুষ্টলোক হতে পারে না। নো, নেভার। খালু সাহেব গ্লাসে মদ ঢালতে ঢালতে বললেন, বিদায় হও। এক্ষুনি বিদায় হও।

এখন যাচ্ছি বাদলের বাসায়। শুনেছি সে এখন একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রছাত্রীদের ফিজিক্স পড়ায়। দেখি সে হিমুর কোনো খোঁজ দিতে পারে কিনা। বেল বাজালাম। বাদলের বাবা আখলাক সাহেব দরজা খুলে বললেন, বাদল বাসায় নেই। ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরতে ফিরতে তার সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। আমি বললাম, ফুপা আপনি কি হিমুর কোনো খোঁজ জানেন? দীর্ঘদিন যাবত তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমার বিশেষ দরকার হিমুকে। আখলাক সাহেব চোখ মুখ খিচিয়ে বললেন, ও যত দূরে থাকে তত সমাজের মঙ্গল। আমি বললাম, হিমু খারাপটা করেছি কি? আখলাক সাহেব বললেন, আমার একমাত্র সন্তান বাদল তার কারনে অসংখ্যবার বেলাইনে গিয়েছে। আমি আমার সন্তানকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসি। কারো প্ররোচনায় সে ভুল পথে যাক, একজন পিতা হিসেবে আমি তা চাইতে পারি না। আমি আখলাক সাহেবের কাছ থেকে বিদায় নিতে নিতে বললাম, আজ যে আপনার ছেলে ইউনিভার্সটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ায় তা হিমুর জন্যই সম্ভব হয়েছে। আখলাক সাহেব আমার মুখের উপর ধাম করে দরজা বন্ধ করে দিলেন। যত অপমানই হই হিমুকে আমি খুঁজে বের করবোই। নিজেকে বারবার বলি- 'দেরী হোক, যায়নি সময়।'

রমনা থানায় গিয়ে দেখি হিমুর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় কিনা। আমার ভাগ্য ভালো ডিউটি অফিসার নাজমুল হুদাকে (যদিও তার নেমপ্লেটে লেখা নাজমুল হুদ। দ-এর আকার মুছে গিয়ে হুদা হয়ে গেছে হুদ) পাওয়া গেল। তিনি আমাকে বললেন, আপনি চা খান। দশ মিনিট পর আপনাকে সময় দিচ্ছি। একটু বিজি আছি। যদিও নাজমুল হুদ চায়ের কথা বলেছেন কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত চা দেয়নি। আমি খুব মন দিয়ে থানার কর্মকাণ্ড দেখছি। মনিটরে দেখা যাচ্ছে- হাজতের ভেতর তিনজন আসামী। একজন মনে হয় ডলা খেয়েছে, সে মরার মত ঘুমাচ্ছে। বাকি দুইজন জিম মেরে বসে আছে। অফিসার নাজমুল হুদা কাকে যেন খুব ধমকাচ্ছে মোবাইলে। কাকে ধমকাচ্ছে বুঝতে পারছি না। একবার মনে হলো তার স্ত্রীকে ধমকাচ্ছে। আবার মনে হলো- কাকে যেন বাজারে পাঠিয়েছে সে কোনো একটা গন্ডগোল করেছে। নাজমুল হুদ প্রায় পনের মিনিট পরে মোবাইল রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, না ভাই আমি হিমুর কোনো খোঁজ জানি না। ব্যাটাকে আমারই দরকার। আমার স্ত্রী আলতা তাকে ছোট ভাই ডেকেছে। আলতা প্রায়ই বলে হিমুকে অনেকদিন দেখি না একদিন নিয়ে আসো। তাকে ভালো মন্দ রান্না করে খাওয়াই।

বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে, সাত মাইল হেঁটে এলাম ময়লা বাবার কাছে। ময়লা বাবা হিমুকে খুব পছন্দ করেন। দেখি উনি কোনো খোঁজ খবর দিতে পারেন কিনা। বাবার একজন মুরিদকে বললাম, ভিতরে গিয়ে বাবাকে বলেন, আমি এসেছি বিশেষ এক দরকারে। আমার ভাগ্য ভালো প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আমার ডাক পড়লো। আজ বাবার মন মর্জি মনে হয় বেশ ভালো। বাবা আমাকে দেখেই বললেন, 'খাবলে খাবলে গু খা।' আমি অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে আছি! বাবা বললেন, কিরে ঘাবড়ে গেছিস? ঘাবড়ানোর কিছু নাই। তোর সাথে মজা করলাম। তুই কেন এসেছিস তা আমি জানি। কিন্তু আমি তোকে কোনো হেল্প করতে পারব না। তুই যেমন হিমুকে খুঁজছিস, আমিও খুঁজছি। হিমুকে আমারও অনেক দরকার। প্রিয় মানুষ গুলোকে কিছু দিন পরপর না দেখলে ভালো লাগে না। আমি বললাম, বাবা আপনার তো অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে বলে শুনেছি। আপনি একটু ধ্যান করে বলেন দেন না হিমু কোথায় আছে? ময়লা বাবা একটু হেসে বললেন, হিমু যদি সাধারন কেউ হতো তাহলে বলে দিতে পারতাম। হিমু তো সাধারন কেউ না।

আকাশ ভরা মেঘ। ঠান্ডা বাতাস ছেড়েছে। দিনের আলো নিভু নিভু করছে। ঠিক এই সময় আমি গেলাম রুপার কাছে। রুপা নিশ্চয়ই জানে হিমু কোথায় আছে। রুপা আজ খুব সুন্দর একটা নীল রঙের শাড়ি পড়েছে। শাড়িতে ছোট ছোট সাদা ফুল আঁকা। সাদা সাদা ফুল গুলোকে মনে হচ্ছে জীবন্ত। চোখে মোটা করে কাজল দিয়েছে। দুই হাত ভর্তি কাঁচের চুড়ি। রুপা আমাকে চা-নাস্তা দিলো। চায়ের চুমুক দিয়ে মনটা ভালো হয়ে গেল। চা টা চমৎকার হয়েছে। ইচ্ছা করছে রুপাকে বলি, আরেক কাপ চা কি পাওয়া যাবে? আমি কোনো ভনিতা না করে সরাসরি বললাম, আপনি কি হিমুর কোনো খোঁজ জানেন? মুহূর্তের মধ্যে রুপার চোখের কোনায় জল এসে গেল। সে শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল, না। আমি রুপার চোখ দেখেই বুঝতে পেরেছি সে হিমুকে এক আকশ ভালোবাসে। আমি রুপার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পথে নামলাম। ঠান্ডা বাতাস বইছে। বড় বড় ফোটায় বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। আজ খুব বৃষ্টি হবে। মনে হচ্ছে আজ সারা ঢাকা শহর ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। আমি মনে মনে নিজেকে বলছি- হিমুকে আমার খুঁজে পেতে হবে। হবেই।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: নিজের ম্যাসে ঘুমিয়ে ছিলো হিমু। ঘরে নড়া-চড়ার আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে মটকা মেরে বুঝার চেষ্টা করে কে হতে পারে। পুরো ঘর জুড়ে একটা মিষ্টি সুগন্ধ। অপরিচিত কোন মেয়ে তার ম্যাসে কি করছে! একটু ভাবার চেষ্টা করে। মেয়েটি কতক্ষণ হলো এসেছে? কি চায় তার কাছে? মেয়েটি কি পড়ে আছে? শাড়ি না সেলোয়ার কামিজ? নাকি প্যান্ট-শার্ট? তার বিছানার পাশের চেয়ারে যে মেয়েটি বসে আছে, তাকে মেয়ে ভাবছে কেন হিমু! মহিলাও তো হতে পারে।

'হিমু সাহেব, আপনি কতক্ষণ এভাবে চোখ বন্ধ করে বিছানায় পড়ে থাকবেন?' মেয়েটি হঠাৎ কথা বলে উঠলো।

চমকে উঠে হিমু। তার যে যে ঘুম ভেঙ্গেছে তা বুঝলো কি করে মেয়েটি! চমকে উঠলেও মনে মনে একটু নিশ্চিন্ত হয় যে একটা মেয়েই তার সাথে কথা বলছে, কোন মহিলা নয়। এমন চীকন আর মোলায়েম সুর কোন মহিলার হওয়ার কথা না।

ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকায় হিমু। এবারে শুধু চমকে যাওয়া নয়, বলা যায় বিষম খেলো। চেয়ারে বসে আছে কাঁচা-পাকা-চুলের এক মধ্যবয়সী মহিলা!


=====================================================================
এই মহিলার আনা সমস্যার সমাধানে হিমুকে এবারে দেশের দূর এক প্রান্তে যেতে হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার নোটিশে যেতে হওয়ায় কাউকে বলে যেতে পারেনি।

আসলে, হিমুরা যখন কোথাও যায়, কাউকে বলে যায় না।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: হিমু ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:১০

অচেনা হৃদি বলেছেন: হিমু নাম যদি কেউ থাকতো, তাহলে রূপা নামের এক সুন্দরীও থাকতেন, তাহলে রূপার বাবার মত একজন ভালো ধনী লোক থাকতেন । তাহলে সেই ধনী লোক হিমু নামের ভ্যাগাবন্ডের পেছনে হয়ত নিজের মেয়েকে পড়ে থাকতে দিতেন না । তাহলে হিমু আর রূপার কোন দ্বৈরথ কাহিনী থাকতো না ।
তবুও কত যে যুবক হিমু নামের পেছনে সান্ত্বনা খুঁজে বেড়ায় । :|

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: যত যা ই বলেন, সব কিছু মিলিয়ে হিমুর তুলনা হয় না।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: খুব বেশি স্মৃতিকাতর করে দিলেন।সত্যপথিক শাইয়্যানের মন্তব্যও অসাধারণ লাগলো।আমার নিজের কাছে থাকা হিমু সিরিজের বইগুলো মাঝে মধ্যে পড়ি।কি মায়া যে লাগে!আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ এই লেখার জন্য।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালোবাসা নিরন্তর।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৮

কিশোর মাইনু বলেছেন: জীবনে একদিনের জন্য হলে ও হিমু হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একদিন হলে হবে কম পক্ষে এক বছর।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৩:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


উপন্যাস অনুযায়ী হিমুর বয়ষ কেমন?

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: একজন তরতাজা যুবক।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০

সিগন্যাস বলেছেন: মিসির আলি নিশ্চিয় জানে হিমু কোথায়।উনারে জিগাইতেন?

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: উনার কাছেও যাবো।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভাইয়া, ছেলে হয়ে জন্মালে আমি হয়তো হিমু হয়ে যেতাম। মেয়েদের কেন এত বাধ্য বাধকতা । যা মন চায় তা করতে পারিনা :((

কোন এক সময় কেউ একজন আমাকে রূপা বলে ডাকত :P তার সাথে হিমু চরিত্র টির অনেক মিল ছিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি অনেক পরে জানতে পেড়েছিলাম গল্পের হিমুর সাথে রূপার সম্পর্কের কথা। বিষয় টি কাকতালীয় ছিল।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েদের স্বাধীন ভাবে চলার অথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ধর্ম।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েদের স্বাধীন ভাবে চলার অথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে ধর্ম।

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হিমু চরিত্র হুমায়ূন আহমদের দারুন আকর্ষনীয় সৃষ্টি ছিল।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: তাই তো আজ আপনি হিমুকে নিয়ে লিখেছেন।

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent. I am also missing Binu. The great legend.

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: হিমু পড়িনি,
তবে উনার শেষের জীবনের প্রায় বই পড়েছি

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: হিমু পড়ে ফেলুন। সব মিলিয়ে হিমুর ২১ টা বই আছে।

১১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩২

তারেক ফাহিম বলেছেন: তিন পুরুষ আর যদিও সন্ধ্যা থেকে সম্ভবত নেওয়া হয়েছে প্রথমাংশের কিছুটা।

যখনি সময় পাই পড়ার চেষ্টা করি।
হিমু বইগুলো অনেক বেশি প্রিয় রাজিব ভাই।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু হিমির বই না। হুমায়ূন আহমেদ সহ সবার বই'ই পড়তে হবে।

১২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৬

যবড়জং বলেছেন: হিমুর জ্বর এসেছে যেমন তেমন জ্বর না একেবারে উথাল-পাথাল জ্বর, চিকুনগুনিয়া নামক জ্বরের কথা হিমু শুনেছে কিন্তু ওসব নামটামে তার কিচ্ছু যায় আসে না, জ্বর এসেছে এতেই তার ভালো লাগছে । এমন জ্বরটর হলে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড়ে সে সহজে চলে যেতে পারে তাই দেরি না করে চোখ বুজেলো । যে নদীর জল অপার্থিব কোনো স্ফটিকের মত।তার দুই তীরে আশ্চর্য্য কোমল দুর্বা ঘাস নেমে এসেছে একদম নদীর কিনারায়। দু একটা দারুচিনি গাছ ছায়া ফেলেছে শান্ত নীলাভ সবুজ জলে। সেই নদীর বাঁকে বাঁকে অসম্ভব বিষন্নতা।আর সে নদীর আশে পাশে ঘুরে বেড়ায় চির কালের জন্য হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলো।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি ময়ূরাক্ষী নদীর কাছাকাছি গেলে হিমুকে পাওয়া যাবে হয়তো।

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দেখেন ক্রসফায়ারে দিল কিনা? নদীর কিনারে মরে পড়ে আছে হয়তো ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: অসম্ভব।
হিমু কোনোদিন কারো ক্ষতি কোরে নাই। তার ক্ষতিও কেউ করতে পারবে না।

১৪| ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: খোঁজ পেলে জানাবো। আমিও খুঁজছি।
মিসির আলী কে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম , উনি বললনে এটা নাকি আমার অবচেতন মনের কল্পনা
তুবও আমি খুঁজে চলেছি । একদিন পাবো নিশ্চয়।

২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: পেলে আমাকে জানাবেন।

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৫১

মোঃ জিদান খান (অয়ন) বলেছেন: অনেকদিন পর আবার হিমুর কথা মনে করিয়ে দিলেন। হিমুকে কি খুজে পেলেন? না এখনো খুজে যাচ্ছেন?

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুঁজে যাচ্ছি পেয়ে যাবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.