নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বন্ধু জাহাঙ্গীর

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫০



দুই যুগের বেশি সময় ধরে জাহাঙ্গীরের সাথে আমার পরিচয়। আমরা একই সাথে স্কুলে পড়তাম। ভীষন দুষ্ট ছিল জাহাঙ্গীর। মেয়েদের পিছে খুব ঘুরঘুর করতো। পেরি নামের একটা মেয়েকে ভালোবেসেছিল। এই মেয়ের বাসায়ও আমরা গিয়েছি। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের এক কোয়াটারে। আমার মনে আছে ঈদের দিন গিয়েছিলাম পেরিদের বাসায়। পেরি মা সেমাই খেতে দিয়েছিলেন। যেদিন পেরি'রা গ্রামে যাবে, সেদিন আমি আর জাহাঙ্গীর ভোর থেকে দাঁড়িয়ে ছিলাম পেরিদের বাসার সামনের পুকুর পাড়ে। কিন্তু সেদিন পেরি গ্রামে যাবার বেলা এক মুহূর্তের জন্য জাহাঙ্গীরের সাথে দেখা হলো না। শেষে জাহাঙ্গীর আর আমি চলে গেলাম সিলেট। নানান কাহিনির পর পেরিদের বাসা খুঁজে বের করি। এক পলকের জন্য পেরিকে জাহাঙ্গীরের সাথে দেখার ব্যবস্থা করে দেই। এগুলো বহু বছর আগের কথা। এই ঘটনার ৩/৪ বছর পর জাহাঙ্গীর চলে গেল সৌদি আরব। সৌদি আরব থেকে অনেক বছর পর ফেরার পর একদিন আমি আর জাহাঙ্গীর আড্ডা দিচ্ছিলাম শাহবাগ। তখন হুট করে আমরা পেরিকে দেখতে পাই, সে ফুলের দোকান গুলোর সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। অসংখ্য চিঠি দুজন দু'জনকে লিখেছিল। জাহাঙ্গীরের কাছে থাকা পেরি চিঠি গুলো আগুনে পোড়ানো হয়েছিল।

জাহাঙ্গীর আর আমি আমরা এক এলাকায়'ই থাকতাম। প্রতিদিন'ই দেখা হতো আড্ডা হতো। হাজার লক্ষ সৃতি আছে আমার জাহাঙ্গীরের সাথে। জাহাঙ্গীর প্রথম বার সৌদি থেকে আসার পর আমরা দু'জন চলে যাই কক্সবাজার। সেখানে আমাদের আড্ডা আর গল্প শেষ হয় না। বিদেশে থাকতে জাহাঙ্গীর আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিন চার বার করে ফোন দিত। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতো। সেই আমলে মোবাইল ছিল না। আমরা দুইজন দুজনকে নিয়মিত চিঠি লিখতাম। জাহাঙ্গীর বিদেশ যাওয়ার সময় আমাকে বলে গিয়েছিল- আমি যেন তাদের বাসায় নিয়মিত যাই, তার মা বোনদের খোজ খবর রাখি। আমি জাহাঙ্গীরের কথা মতো নিয়মিত তাদের বাসায় যেতাম। মা, ভাই বোনদের খোজ খবর রাখতাম। জাহাঙ্গীরের মা, বোন এবং ভাই আমাকে খুব পছন্দ করেন। এমন কোনোদিন হয় নাই, ওদের বাসায় গিয়েছি আর ভাত না খেয়ে ফিরেছি। জাহাঙ্গীর'রা আমাদের এলাকা ছেড়ে প্রথম গেল, বাসাবো, তারপর নন্দীপাড়া এবং সব শেষে নারায়ণগঞ্জ। এই তিন বাসাতেই আমাকে অসংখ্যবার যেতে হয়েছে। জাহাঙ্গীর খুব খরচে ছিল। প্রচুর টাকা খরচ করতো।

জাহাঙ্গীরের বড় ভাই করিম। করিম ভাই সৌদি থাকতেন তিনিই জাহাঙ্গীরকে সৌদি নিয়ে যান। করিম ভাই খুব ভালো মানুষ। তিনি যতবার দেশে ফিরেছেন আমি তাকে এয়ারপোর্টে থেকে আনতে গিয়েছি। তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখেছি। সেই বিয়েতে আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম। করিম ভাই এর কথা অন্য কোনোদিন বলব। জাহাঙ্গীরের জন্য মেয়ে দেখা হলো। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম। বিয়েতে আমাদের আরেকজন বন্ধু 'বুলবুল' ছিল। বুলবুল বর্তমানে দুবাই আছে হয়তো। জাহাঙ্গীরের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি আমিই তুলি। বিয়ের পর জাহাঙ্গীর বউ নিয়ে আমার বাসায় বেড়াতে আসে। সেদিন আমরা খুব আড্ডা দেই। আরেকদিন আমরা সবাই মিলে বাইরে যাই। রেস্টুরেন্টে খাবার খাই একসাথে। জাহাঙ্গীরের বেশ কিছু ঘটনা আছে যা আমাদের অন্য কোনো বন্ধু বান্ধব জানে না। শুধু আমি জানি। একমাত্র আমি। সেই সব ঘটনা গুলো আমি লিখতে চাই না। জাহাঙ্গীর যখন প্রতিদিন আমাকে বিদেশ থেকে ফোন দিত, আমি বলতাম এতবার ফোন দিস না, অনেক টাকা খরচ হয়। এর চেয়ে ভালো তুই ফেসবুক শুরু কর। সেখানে আমরা কথা বলব।

জাহাঙ্গীর তখন ফেসবুক কি কিছুই বুঝেই না। আমি তাকে ফেসবুক একাউন্ট খুলে দেই। ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করতে হয়- আমিই তাকে ফোনে ফোনে সব শিখাই। একদিন জাহাঙ্গীর বলল, দোস্ত একটা ছদ্ম নাম দিয়ে দে। তারপর আমি মোঃ জাহাঙ্গির আলম নামের শেষে 'জীবন' নামটা যোগ করে দেই। আমাদের বন্ধুর নাম একটাই ''মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।'' জীবন নয়। জীবন নামটা দেওয়ার পেছনে একটা কারন আছে। সেই কারন আজ আর বলার দরকার নেই। জাহাঙ্গীরের বয়স ৩৮ নয়। আরও কম। বড়জোর ৩৪/৩৫ হবে। আমি শুধু জাহাঙ্গীরের সাথে নয় ওর পরিবারের সবার সাথে জড়িত। জাহাঙ্গীর'রা তিন বোন, দুই ভাই। সুলতানা আপা, জোছনা আপা আর সবার ছোট মলি। জাহাঙ্গীরের বাবা অনেক আগেই মারা যান। সম্ভবত তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমি যতবার ওদের বাসায় গিয়েছি- ওদের বসার ঘরের দেয়ালে আংকেলের একটা ছবি দেখেছি। তার মূখ ভরতি দাড়ি, সাদা পাঞ্জাবি পরা। জাহাঙ্গীরের ছোট বোন মলি। মলিকে হাফ প্যান্ট পরা অবস্থায় দেখেছি। এখন তার দুই সন্তান। মলির জামাই খুব সহজ সরল ভালো মানূষ।

দুই বছর আগে জাহাঙ্গীরের সাথে আমার একটা ফালতু বিষয় নিয়ে খুব তর্ক হয়। সৌদি থেকে জাহাঙ্গীর বারবার ফোন করলো, ফেসবুকে অনেক চ্যাট হলো। আমি জাহাঙ্গীরকে বুঝাতে পারি না, জাহাঙ্গীরও আমাকে বুঝাতে পারে না। শেষমেষ দুই বন্ধুর মনোমালিন্য দেখা দিল। আমি তাকে নক করি না, সে-ও আমাকে নক করে না। আমি মনে করি, সে আমাকে স্যরি বলবে, সে মনে করে আমি তাকে স্যরি বলব। এইভাবে দুই বছর পার হয়ে গেল। যদিও জাহাঙ্গীরের সাথে আমার কথা বার্তা বন্ধ কিন্তু তার পরিবারের সাথে আমার দেখা সাক্ষাৎ, কথাবার্তা চলতে থাকলো আগের মতোই নিয়মিত। এর ভিতরে আরও অনেক কাহিনি আছে। আন্টি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, তাকে বারডেমে দেখতে গেলাম। সুলতানা আপা'র ছেলের জন্মদিনে গেলাম। জাহাঙ্গীরদের গাজীপুরে জায়গা রাখলো সেই জায়গা দেখতে গেলাম। সবশেষে জাহাঙ্গীর সৌদি থাকতেই নারায়ণগঞ্জ জায়গা কিনলো। সেই জায়গা দেখতে গেলাম। বাড়ির কাজ শুরু হলো। বাড়ির কাজ দেখতে গেলাম। আন্টিকে বুদ্ধি পরামর্শ দিলাম। মিস্ত্রীদের সাথে কথা বললাম।

কয়েকদিন আগে, মানে ঈদের দিন বিকেল তিনটায় জাহাঙ্গীরের বড় ভাই কাঁদতে কাঁদতে আমাকে ফোনে জানালেন, জাহাঙ্গীর স্ট্রোক করে মারা গেছে। এই কথা শুনে- আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। আমি সত্যি সত্যি ঠাস করে মাটিতে পড়ে যাই। সুরভি দৌড়ে এসে আমাকে ধরে। টানা দশ মিনিট আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। সুরভি আমাকে মাথায় পানি দেয়। অনেকক্ষন পর সুস্থ হয়ে আমি সুরভিকে জাহাঙ্গীরের কথা বলি। সে-ও প্রচন্ড কষ্ট পায়। জাহাঙ্গীরের সাথে অনেকবার কথা হয়েছে সুরভি'র। আমাকে যতবার ফোন দিত, ফোন রাখার আগে বলতো ভাবীকে দে। সুরভি'র সাথে নানান বিষয় নিয়ে গল্প করতো। ফোন রাখার আগে বলতো, ভাবী আপনার হাতের রান্না অনেক মজা। আমি দেশে আসলে আমাকে এটা ওটা (লম্বা একটা লিস্ট দিত) রান্না করে খাওয়াতে হবে। মিষ্টি আর ফল নিয়ে জাহাঙ্গীর সুরভি'দের বাড়িতেও গিয়েছেল। অবশ্য আমি বিয়ে করার সময় রাগ করে জাহাঙ্গীরকে জানাই নাই, এই নিয়ে জাহাঙ্গীরের অনেক রাগ ছিল। অবশ্য যখন আমি বিয়ে করি তখন জাহাঙ্গীরের সাথে আমার কঠিন মনোমালিন্য চলছিল। যাই হোক, আমি আমাদের বন্ধু রকিবকে ফোনে জাহাঙ্গীরের মৃত্যু সংবাদ জানাই। রকিব প্রথমে ভেবেছিল আমি মজা করছি। শেষে রকিব কেদে দেয়।

আমাদের বন্ধু রাকিব হাসান ফেসবুকে খুজে খুঁজে সব বন্ধুদের বের করে। সবার সাথে সবার দেখা করার ব্যবস্থা করে। একদিন খুব ধুমধাম করে একটা গেটটুগেদারের ব্যবস্থা করে। ফেসবুকে গ্রুপে নিয়মিত সব বন্ধুদের আড্ডা চলতে থাকে দিনের পর দিন। পুরনো দিনের সৃতি মনে করে সব বন্ধুরা আবেগে আপ্লুত হলো। সবার সাথে সবার যোগাযোগ আরও গভীর হলো। ফেসবুকে গ্রুপ হবার আগে আমি জাহাঙ্গীরকে মোবাইলে সব জানাতাম, যে বন্ধুর যতটুকু খবর জানতাম- সবই জাহাঙ্গীরকে মোবাইলে বলতাম। যাই হোক, এখন মনে প্রানে চাই পরপারে জাহাঙ্গীর ভালো থাকুক। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত দান করেন। জাহাঙ্গীরের একটা ছেলে আছে। এই ছেলেটা যেন সুস্থ সবল থাকে। আমার খুব ইচ্ছা ছেলেটার লেখাপড়া খরচের দায়িত্ব নিই। আল্লাহ যেন আমাকে সেই দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা দান করেন। শুধু মুখে মুখে বন্ধু বললে হবে না। দায়িত্বও পালন করা উচিত। আমি তো ভুলে যেতে পারব না- জাহাঙ্গীর আমার বিপদের সময়, সব সময় আমার পাশে ছিল। আমার জন্য তার সীমাহীন টান ছিল, ভালোবাসা ছিল। জাহাঙ্গীর বারবার আমাকে বলতো ''তুই আমার বন্ধু না, তুই আমার ভাই''। সেসব যদি আজ আমি অস্বীকার করি, তাহলে মানুষ হিসেবে আজ আমি অমানবিক হয়ে যাবো।

গতকাল জাহাঙ্গীরের বোন সুলতানা আপার সাথে কথা হলো। তার কাছে থেকে জানলাম জাহাঙ্গীরের অনেক ঋণ। বাড়ি করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়েছে। ঋণের পরিমান প্রায় ৫/৭ লাখ টাকা। আমি বুঝি না এত বছর বিদেশ করার পর ঋণ কেন থাকবে? জাহাঙ্গীর তো বিদেশে ভালো টাকা ইনকাম করতো। জায়গা কিনেছে আর সেই জায়গাতে বাড়ি করতে গিয়ে ধারদেনা কেন করতে হবে? তাহলে এত বছর বিদেশে থেকে লাভ কি হলো? আজও বাড়ির কাজ কমপ্লিট হয়নি। ব্যাপারটা যেন কেমন? এদিকে জাহাঙ্গীরের ভাই করিম ভাইও দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। তাহলে তার টাকা পয়সা কোথায়? তার কাছেও নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই। সে একেবারে দেশে ফিরে এসেছেন! এখন এক বছর ধরে বেকার বসে আছেন। তাহলে এখন জাহাঙ্গীরদের সংসার চলবে কেমন করে? আর ৫/৭ লাখ টাকা দেনা শোধ হবে কেমন করে? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। আমার মাথা কাজ করছে না।

গতকাল জাহাঙ্গীরের বোন সুলতানা আপার সাথে কথা হলো। তার কাছে থেকে জানলাম জাহাঙ্গীরের অনেক ঋণ। বাড়ি করতে গিয়ে অনেক টাকা ঋণ করতে হয়েছে। ঋণের পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা। আমি বুঝি না এত বছর বিদেশ করার পর ঋণ কেন থাকবে? জাহাঙ্গীর তো বিদেশে ভালো টাকা ইনকাম করতো। জায়গা কিনেছে আর সেই জায়গাতে বাড়ি করতে গিয়ে ধারদেনা কেন করতে হবে? তাহলে এত বছর বিদেশে থেকে লাভ কি হলো? আজও বাড়ির কাজ কমপ্লিট হয়নি। ব্যাপারটা যেন কেমন? এদিকে জাহাঙ্গীরের ভাই করিম ভাইও দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। তাহলে তার টাকা পয়সা কোথায়? তার কাছেও নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই। সে একেবারে দেশে ফিরে এসেছেন! এখন এক বছর ধরে বেকার বসে আছেন। তাহলে এখন জাহাঙ্গীরদের সংসার চলবে কেমন করে? ১০ লাখ টাকা দেনা শোধ হবে কেমন করে? আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছি না। আমার মাথা কাজ করছে না।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

চাঙ্কু বলেছেন: আপনার পোষ্টটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। জাহাংগীর ভাইয়ের পরিবারের কথা ভেবে খারাপ লাপগে। সৌদি আরবে মানুষ অমানুষিক পরিশ্রম করে! আর মধ্য প্রাচ্য অনেককেই দেখেছি এই রকম ঋনের বোঝা বইতে!!

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে আমরা যারা দেশে আছি তারাই খুব ভালো আছি আল্লাহর রহমতে।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বন্ধুর জন্য বন্ধুর আকুতিটা খুব ভালো লেগেছে । জাহাঙ্গীর ভাইকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন । আমীন ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমীন।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: খুব ভাল হয়েছে।
পরিবর্তন

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: কি ভালো হয়েছে??
আমার বন্ধু মরে গেছে এটা ভালো হয়েছে?

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

সনেট কবি বলেছেন: বর্ণনার ধরণ খুব ভাল হয়েছে। আর এখানে মরে যাওয়া মানে বেঁচে যাওয়া। সে হিসেবে যে মরে যায় সে বেঁচে যায়। তবে সে যাদের রেখে যায় তারা অনেক সময় তার মৃত্যুতে অনেক ভোগে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ চাচা খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

মৌরি হক দোলা বলেছেন: জাহাঙ্গীর ভাই মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাদের কোনো কথাই হয় নি শেষ পর্যন্ত?

বাস্তব ঘটনা লিখেছেন, কিন্তু যেন গল্প। জীবনটা গল্পের মতোই। না কি গল্প জীবনের মতো?

আল্লাহ পাক তাঁকে ওপারে শান্তিতে রাখুক এই দোয়াই করি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: ছেলেটা ভালো ছিল। সহজ সরল। কিন্তু নিজেকে খুব বুদ্ধিমান ভাবতো।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

চোরাবালি- বলেছেন: চোখের কোনায় তো জল চলে এল।
২০১২ - আমার বন্ধু যখন মৃত্যু সয্যায় তখন আমাকে আরেক বন্ধু ফোনে জানায় আমাকে দেখতে চায়। আমি ফোন দেয় তার বোন ধরে, বলে এখন ঘুমায় পরে ফোন দিয়েন। ও যে কথা বলতে পারছে সেটা লুকিয়ে যায় আমার কাছ থেকে। কাজের ব্যাস্ততায় ১০/১৫ দিন আর খোজ নিতে পারি নাই। তরপর যখন ফোন দিলাম সে ওপারের বাসিন্দা। হাজারও স্মৃতি। মনে হলে চোখের জল লুকাতে কষ্ট হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব যন্ত্রনাদায়ক।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: শুরুতেই বোঝেছিলাম জাহাঙ্গির আর থাকবেনা, আপনি সেদেন বলেছিলেন, ঈদের দিনের মৃত্যুর নিউজটা। মধ্যপ্রাচ্যে এখন আকাল, বিশেষ করে সওদি আরবে, কেউ কেউ ভাতের পয়সাও যোগাড় করতে পারছেনা, দেশে পাঠানো দূরের কথা, খুবই জুলুম হচ্ছে। ঘাড় ধরে বের করে দেবার মতো অবস্থা। ওরা প্রবাসীদের আর রাখতে চাইছেনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তাছাড়া ও থাকতো বর্ডারের কাছে। সেখানে খুব বেশি কাজ পেত না। ওইখানে অত গ্যারেজ ছিল।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আপনার বন্ধুর কথা শুনে কান্না আসলো।
আর একটা কথা, বিদেশ মানেই যে টাকা তা কিন্তু না।
বিদেশের জীবন অনেক ধৈর্য আর কষ্টের।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোর অবস্থা বেশি খারাপ।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ বাজে লাগছে। কি বলে সান্ত্বনা দেবো বুঝতে পারছিনা। জাহাঙ্গীরের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি । পরিবার ও বন্ধুবর্গদের সমবেদনা জানাই । আর ঋনের ব্যাপারটি উদ্বেগের। জানিনা কোনও একটি উপায় বার হয় কিনা ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: খোজ নিয়ে জানলাম অল্প কিছু জমি আছে সেগুলো বিক্রি করে নাকি ঋণ শোধ করা হবে।

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যি কারো কারো বিদায় স্তব্ধ করে দিয়ে যায় সবকিছু,

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: দোয়া করি সবাই যেন সুস্থভাবে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রবাসী‌দের অ‌নেক কষ্ট। আ‌মি জা‌নি।
প্রবাসী‌দের অ‌নেক কষ্ট। আ‌মি জা‌নি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের প্রবাসীদের বেশি কষ্ট।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

লায়নহার্ট বলেছেন: {আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন}

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমারও এক প্রিয় বন্ধুর সাথে মনোমালিন্য হয়ে অনেকদিন কথা বন্ধ ছিল। পরে আমিই স্বাভাবিক করেছি সম্পর্ক। যাই হোক। মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের এই এক সমস্যা ১০/১৫/২০ বছর থাকার পরও তাদের কোন সেভিংস থাকে না। এত টাকা যায় কোথায়? এই জন্য প্রবাস জীবন পছন্দ করি না...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমিও প্রবাস জীবন পছন্দ করি না।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৮

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার বন্ধুর অকাল মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানাই, আল্লাহ তাকে জন্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং তার পরিবারকে এ শোক কাটিয়ে উঠে এগিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুন .
একটা তিক্ত সত্য না বললেই নয় , যারা বিদেশে হার ভাঙা খাটুনি খেঁটে টাকা দেশে পাঠান তাদের মা বাবা ভাইরা সবটাই দয়া করে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে খরচ করে (কোনো কোনো ক্ষেত্রে উড়িয়ে ) দিবেন না। যে ছেলেটি টাকা পাঠাচ্ছে তার জন্য, তার স্ত্রী পুত্রের জন্যও, এর কিছু অংশ আলাদা করে ব্যাংকে বা কোনো খাতে বিনিয়োগ করে রাখুন যাতে একসময় ফিরে এলে ওই ছেলে কিছু করার সুযোগ পায় ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।
সহমত।

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৩

ঢাকার লোক বলেছেন: আর যারা বিদেশে আছেন তারাও তাদের নিজের জন্য, স্ত্রীপুত্রের জন্য কিছু টাকা আলাদা ভাবে জমা করার ব্যাবস্থা করুন যাতে দেশে ফিরে কিছু একটা করার চেষ্টা করতে পারেন . সবক্ষেত্রে শুধু ইমোশন তাড়িত হলে চলে না !

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: ১০০% সহমত।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: স্মৃতিচারণ পড়ে হৃদয়ে দাগ কাটলো। আমার বাবাও দীর্ঘদিন সৌদি ছিলেন, তেমন কিছু করতে পারেন নি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে প্রবাসীরা ভালো নেই।

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

ওমেরা বলেছেন: মৃত্যু নির্মম সত্য ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এত তাড়াতাড়ি??

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু এত তাড়াতাড়ি??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.