নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের গল্প- ৪১

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৬



মধ্য দুপুর। মধ্য দুপুর সময়টা খুব অদ্ভুত!
বুকের মধ্যে যেন কেমন করে! সূর্য ঠিক মাথার উপর থাকে বলে- নিজের ছায়াও খুঁজে পাওয়া যায় না। চারপাশে যা দেখা যায় সবই ভালো লাগে। দুপুর এবং সন্ধ্যার সময় আমার মন বিষন্ন হয়ে যায়। বড় একাএকা লাগে। নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হয়। দম যেন বন্ধ হয়ে আসে। কিচ্ছু ভালো লাগে না।

ঢাকা শহরের রাস্তার পাশের চায়ের দোকান গুলো আমার খুব প্রিয়। আসলে এই চায়ের দোকান গুলো জ্ঞানের ভান্ডার। আমি নিয়মিত রাস্তার পাশের চায়ের দোকান গুলোতে যাই। চা খাই আর আশে পাশের লোকজনদের কথা গুলো খুব মন দিয়ে শুনি। কত রকম বিষয় নিয়ে যে আলোচনা হয়- তা চায়ের দোকানে না গেলে বুঝা সম্ভব নয়। আমার খুব ইচ্ছা ছিল- বড় করে একটা চায়ের দোকান দিবো। সারাদিন দুনিয়ার মানুষজন এসে আমার দোকানে চা খাবে-গল্প করবে। আর আমি খুব মন দিয়ে তাদের গল্প শুনব। এই ইচ্ছাটা আমার এখনও আছে।

আজ দুপুরবেলা চারিদিকে কাঁচের মতোন স্বচ্ছ রোদ ছিল।
আমি রোদে পুড়তে পুড়তে রাস্তার পাশের এক দোকান থেকে এক কাপ চা খেলাম। খুব মুগ্ধ হলাম। আশ্চর্য ব্যাপার সাথে সাথে আমার রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ল। আমার এক সময় ধারনা ছিল রবীন্দ্রনাথ চা খেতেন না। বিশেষ করে রাস্তার পাশের কোনো দোকান থেকে।
রবীন্দ্রনাথ কি কখনও এমন কড়া রোদে মধ্যদুপুরে রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খেয়েছেন আমার মতো? খেলেও আমার মতো মুগ্ধ কী কখনও হয়েছিলেন?

আমার চা খাওয়া শেষ।
আরেক কাপ খাবো কিনা ভাবছি- ঠিক এই সময় আমার সামনে একটি ছেলে এসে দাঁড়ালো। হাসিখুশি মুখ। কাধে ক্যামেরার ব্যাগ । ছেলেটিকে আমার খুব অস্থির মনে হচ্ছিল। ছেলেটির সামনে দিয়ে একটা মেয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটিকে খুব রুপসী বলা যাবে না। শুধু চোখে মোটা করে কাজল দেওয়া। আর কপালে একটা টিপ।
ছেলেটা, মেয়েটিকে বলল- শুনুন।
মেয়েটি এক আকাশ অবাক দৃষ্টি নিয়ে ফিরে তাকালো।
ছেলেটি বলল- আচ্ছা, ক’টা বাজে বলেন তো?
মেয়েটি বলল, আমার হাতে ঘড়ি নেই, জানি না কয়টা বাজে।
ছেলেটি বলল- আহ হা আন্দাজে বলুন।
মেয়েটি বলল- আমার আন্দাজ ভালো না।
ছেলেটি বলল- আচ্ছা, মোবাইলে সময় দেখে বলুন।
মেয়েটি হেসে বলল- আমার মোবাইল আজ ভুলে বাসায় রেখে এসে পড়েছি।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সময় করে কোন একটা মাস্টারপিস রচনায় হাত দিন।

আপনার হাতের লেখা ভালো ।
ছোটখাট জিনিস না লিখে ভালো কোন অসাধারণ রচনা শুরু করুন।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: কি হবে লিখে?
কিচ্ছু হবে না। এদেশ এবং এদেশের মানুষ ভালো না।

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যখন রাজীব ভাই নিজেই অসাধারন হয়ে যাবে তখন এই লিখা গুলোই অসাধারন যাবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অতি তুচ্ছু!

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার এলাকায় ১টা চায়ের দোকান দেন।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সেই ইচ্ছা আছে।

৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রুশো, ভলতেয়ার প্রমূখ লেখকদের রচনার কারণেই ফরাসি বিপ্লব অনেকটা তরান্বিত হয়েছিল।
ইহা ইতিহাসের কথা।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সেই সময় আর আজকের সময়টা এক না। বড় ভাই।

৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: জীবন নদীর মত একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে ।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস আলি ভাই।
নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হবে।

৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আহা, কতদিন চোখে মোটা করে কাজল দিয়ে বিকেলে হাঁটতে বের হয় না, টং দোকানের চা ও খাওয়া হয় না।
পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: চলেন একদিন যাই। টং থেকে চা খাই।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লোকাল বাসে উঠলে আপনি দেশের যে কোনও সমস্যার উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুনতে পাবেন। সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেক ভালো ভালো সমাধান দেয় দেশ ও দশের স্বার্থে। দেশের নেতাদের উচিত এগুলিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা।
চায়ের দোকানে বিনিয়োগের তুলনায় লাভ বেশী।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সিনেমাটা আজ আবার দেখলাম।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ছেলেমেয়ের এই কথোপকথন আপনার অন্য লেখাতে পড়েছি মনে হচ্ছে।

যাইহোক, চা এর দোকান দিতে পারেন। বাংলাদেশে তৈরি এলুমিনিয়ামের সবচেয়ে ভালো চা কেটলি তৈরি করে রহমানিয়া এলুমিনিয়াম (চট্টগ্রাম) আপনি মিটফোর্ড এলুমিনিয়াম মার্কেটে পাবেন। আর ভারত থেকে কিনে আনলে ব্লগার পদাতিক চৌধুরি ভাইকে ধরবেন তিনি আপনাকে ভালো চা কেটলি খোঁজ করে দিতে পারবেন। ভারতীয় এলুমিনিয়াম ভালো।

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে। খুব শ্রীঘই শুরু করবো। আপনাকে অগ্রীম দাওয়াত দিয়ে রাখলাম।

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাকে একা দাওয়াত দিলেতো ভাই আসবো না।
সকল ব্লগারদের দাওয়াত দিতে হবে। অবস্যই প্রথম দিন। আমরা চা খেয়ে বিল পরিষোধ করবো। আফটার অল বিজনেস ইজ ব্যবসা - বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে। সবাইকেই আমন্ত্রন জানানো হবে।

১০| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

খানসাবের গল্পে আবারো সেই মেয়ে !!!!!

১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: কোণ পুরুষের জীবনে নারী নেই?

১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার দোকানে আপনার হাতের চা খাবার ইচ্ছা রইলো।

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.