নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেদারনাথ

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৮



কেদারনাথ মন্দির হিন্দুদের অন্যতম প্রধান তীর্থস্থান।
এটি হিমালয় পর্বতমালায় ৩,৫৮৪ মিটার (১১,৭৫৯ ফিট) উচ্চতায় মন্দাকিনী নদীর তীরে অবস্থিত। পুরো অঞ্চলটিকে ঘিরে থাকে হিমালয়ের তুষারাবৃত শৃঙ্গ। কেদারনাথ শহরে অবস্থিত কেদারনাথ। এখানকার তীব্র শীতের জন্য মন্দিরটি কেবল এপ্রিল মাসের শেষ থেকে কার্তিক পূর্ণিমা অবধি খোলা থাকে। তীব্র শীতের কারনে ছয় মাস খোলা থাকে মন্দির। এই অঞ্চলের প্রাচীন নাম ছিল কেদারখণ্ড। কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়ার জন্য কোনো সড়কপথ নেই। মহাভারতেও কেদারনাথের উল্লেখ আছে। মন্দির যত প্রাচীন হয়, ততই সেই মন্দির নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে থাকে। এই মন্দিরের উৎপত্তি সম্পর্কেও নানা অজানা তথ্য রয়েছে। সব শ্রেনীর মানুষ এই মন্দিরে আসেন। এমনকি মুসলমানরাও আসেন। কেদানাথের প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবেই।



কথিত আছে, শিবের বয়স যত, কেদারখণ্ড ততটাই প্রাচীন।
রহস্যে মোড়া কেদারনাথের মন্দির। যেখানে ৬ মাস বন্ধ থাকে পূজার্চনা। এই মন্দির যখন বন্ধ করে নীচে নেমে আসা হয় তখন প্রধান পুরোহিত সেখানে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখে আসেন। কথিত আছে, ৬ মাস পর যখন মন্দিরের দরজা খোলা হয় তখনও দেখা যায় সেই প্রদীপ জ্বলছে। বহুবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে কেদারনাথ মন্দির। পাহাড় ধ্বসে ক্ষতি হয়েছে গোটা রাজ্যের। অথচ কেদারনাথের নন্দী মূর্তির গায়ে আঁচড়ও লাগেনি। শীতকালে প্রচণ্ড তুষারপাতের কারণে কেদারনাথের সব পথ বন্ধ হয়ে যায় মন্দাকিনী ও সরস্বতী নদীর ধারে তৈরি হয় কেদারনাথ মন্দির। এখানে প্রচুর পর্যটক আসে প্রতি বছর। সুন্দরবনের চেয়ে এখানে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বেশী। যারা হেঁটে যেতে পারেন না তাদের জন্য আছে ঘোড়ার ব্যবস্থা। আবার যারা ঘোড়া ভয় পায় তাদের জন্য অন্যান্য ব্যবস্থা আছে। কাজেই ভয়ের কিছু নেই।



শিব ভারতের সকলের অতি প্রিয় দেবতা।
ভারতের বিভিন্ন মন্দির যখন পশ্চিম বা পূর্ব মুখী করে গড়ে তোলা হয়েছে, সেখানে কেদারনাথ মন্দির কিন্তু দক্ষিণমুখী, যার ফলে উত্তরদিক থেকে আসা কোন জলস্রোত মন্দিরের ক্ষতি করেত পারেনি। সেই সঙ্গে এই মন্দিরের চূড়াগুলি একটির সঙ্গে একটি শক্ত লোহার রড দিতে যুক্ত করা আছে। তাই বন্যার প্রতিকূল পরিবেশ মন্দিরের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। তবে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় একটি বড় পাথর এসে মূল মন্দিররে পেছনে এসে থমকে যায়। যা পাহাড় থেকে আসা নুড়ি পাথর যুক্ত জলকে মন্দিরের কোন ক্ষতি করতে দেয়নি। সেই পাথরকে এখনও গভবানের অংশ রূপেই পূজা করা হয়। বহুবার এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ হানা দিয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর বন্যায় ডুবে গেছে, ভেঙ্গে গেছে। কিন্তু অলৌকিক ভাবে মন্দির গুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি। যারা মুভি দেখতে পছন্দ করে তারা 'কেদারনাথ' মুভিটা দেখে নিতে পারেন। ভালো লাগবে। সত্য ঘটনার উপর নির্মিত হয়েছে মুভিটি।



কেদারনাথ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত পূণ্যভূমি।
প্রতিটা ধর্মপ্রান হিন্দুদের ইচ্ছা থাকে মৃত্যুর আগে একবার হলেও কেদারনাথ মন্দিরে যাওয়া। গুপ্তকাশী জেলায় অবস্থিত কেদারনাথ। একাধিক পাহাড় পেরিয়ে, কখনও চোখজুড়োনো সবুজ, কখনও উষ্ণ ঝরনার স্রোত আর সীমাহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে দিয়ে কেদারনাথ যেতে হয়। হাওড়া থেকে ট্রেনে হরিদ্বার/ঋষিকেশ/নাজিবাবাদ। তারপর মোটরপথে রুদ্রপ্রয়াগ ও শোনপ্রয়াগ হয়ে গৌরীকুণ্ড। শোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ হেলিকাপ্টারে করেও যাওয়া যায়।

মন্দির থেকে দু’কিলোমিটার আগেই কেদারনাথ বেসক্যাম্পে গড়ে উঠেছে থাকার সরকারি আস্তানা। ওখানে মালপত্র রেখে সরস্বতী নালা পেরিয়ে কেদারনাথ মন্দির। কেদারনাথ যাত্রার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। কাউন্টারে নিজে উপস্থিত থেকে নথীভূক্ত করানো যায় নিজের নাম। অথবা অনলাইনেও করাতে পারেন। আপনাকে দেওয়া হবে একটি ট্রিপ কার্ড। গোটা যাত্রায় যে কার্ড আপনাকে সঙ্গে রাখতে হবে। মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ডাক্তারের সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই আপনি কেদারনাথ ভ্রমণে যেতে পারবেন। যদি সেই রিপোর্টে কোনও কঠিন অসুখের কথা বলা হয় সেক্ষেত্রে আপনার হেঁটে কেদারনাথ যাওয়া যাবে না।



একবার ভেবে দেখুন-
হিমালয়ের কোলে ১১৭৫৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত কেদারনাথ। ২০১৩ সালের ১৭ই জুন সকালে এক প্রলয়ঙ্কর বন্যায় বিধ্বস্ত হয় কেদারনাথ উপত্যকা, শুধু মন্দির বাদে প্রায় সবকিছুই ভেসে যায় মন্দাকিনীর জলে। ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায় কেদারনাথ পৌঁছানোর প্রাচীন পায়ে চলা পথটাও। উত্তরাখণ্ড সরকার, ভারত সরকার, নেহেরু ইন্সটিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং এবং ইণ্ডিয়ান আর্মির অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৪ সালেই তৈরি করা শুরু হয় কেদারনাথের নতুনপথ। বিমানপথে এখানে পৌঁছতে হলে দেরাদুন এয়ারপোর্টে নামতে হবে। সেখান থেকে কেদারের দূরত্ব ২৩৯ কিলোমিটার।



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মুভিটি দেখিনি তবে একটি ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সময় পেলে মুভিটা দেখবেন। ভালো লাগবে।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগের মানুষের অন্যতম আবিস্কার।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: অন্য রকম আবিস্কার।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যদি কোন দিন যেতে পারি তাহলে দেখে আসতে চেষ্টা করবো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের পাশেই। কোলকাতা যাবেন। তারপর চলে যাবেন। খুব সহজ।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি গিয়েছেন? কলকাতা থেকে কত দূর?

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: গিয়েছি।
কত দূর তা তো মনে নাই। তবে অনেক দূর।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সব মন্দির ফন্দির দেখার আমার কোন আগ্রহ নেই।
এই সব মন্দির ফন্দির দেখার আমার কোন আগ্রহ নেই।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার আছে।

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের লেখার সাথে আমরাও কেদারনাথ দর্শন সেরে নিলাম। পাহাড়ে যোগাযোগের অন্যতম ব্যবস্থা খচ্চর।
কেদারনাথের পাশাপাশি শিবিরের আস্তানা অমরনাথ দর্শন প্রতিটি হিন্দুর কাছে আরো কাঙ্খিত। পরবর্তীতে একদিন অমরনাথ দর্শনের পোস্ট চাই।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আপনি কেদারনাথ এখনও যান নাই কেন?

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কেদারনাথ মন্দির সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদিন নিজ চোখে গিয়ে দেখে আসবেন। খুব ভালো লাগবে।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানালাম রাজীব দা

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কেদারনাথ মন্দির সম্পর্কে কিছুটা জানা হলো। আমি গতবছর কাশ্মীরের প্যাহেলগাম গিয়ে অমরনাথ মন্দিরে ভক্তদের কষ্টসাধ্য যাত্রা সম্পর্কে জেনেছিলাম। দুটোকে অনেক দিক থেকে অনেকটা একই রকমের মনে হলো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: কেদারনাথ যাওয়া অনেক কষ্টের। লম্বা জার্নি। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: মুভির চেয়ে ডকুমেন্টারি টা অনেক সত্য!

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ডকুমেন্টারিটা দকেহি নাই। দেখতে হবে।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই,

কেদারনাথ মুভিটা দেখেছি,খুব ভাল লেগেছে কিন্তু মন্দির সম্পর্কিত তথ্যগুলি যানা ছিলনা যা আপনার লেখনির মাধ্যমে জানতে পারলাম।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: কেদারনাথ মুভি টা ভ্রমনপিয়াসী মানুষদের দেখা দরকার।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ঘরহীন বলেছেন: ফেলুদার কাহিনী পড়ার পর থেকেই খুব যাওয়ার ইচ্ছা। হয়তো, কোনো একদিন...

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই যাবেন। করোণাকাল শেষ হোক আগে।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: মুজিবুর রহমান ব্লগার আছেন, উনি কেদারনাথ মন্দিরের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। ধন্যবাদ

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.