নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবনা শহরের ভুত

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০১



পাবনা শহরের একটি রাস্তায় এই ঘটনাটি ঘটে।
আমি এক জরুরী কাজে পাবনা গিয়েছিলাম। পাঁচ দিনের জন্য। একটা সিএনজি ছিলো- আমার সার্বক্ষনের সঙ্গী। সিএনজি চালক হাবীব ভালো মানুষ। দেখতে সুন্দর। বয়স আনুমানিক ত্রিশ হবে। হাবীব বললো, সারাদিন যেখানেই যেতে বলবেন যাবো কিন্তু সন্ধ্যার পর কোথাও যাবো না। আমি বললাম, ওকে। হাবীবের কাছ থেকেই এই ঘটনাটি জেনেছি। এই ঘটনা হাবীবের জীবনের।

তখন রাত প্রায় ২ টা বাজে।
হাবিব তখন তার সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরছিল। সে হঠাৎ দেখলো দুইজন মধ্যবয়সী হুজুর তাকে সিএনজি থামানোর জন্য অনুরোধ করছে। হাবীব থামল এবং একজন হুজুর তার সাথে কথা বললো।

হুজুরঃ ভাই আমরা খুব বিপদে পড়েছি।
হাবিবঃ আপনাদের কি হয়েছে জানতে পারি?
হুজুরঃ সামনে আমাদের এক বন্ধু একটি লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ওই লাশটাকে নিয়ে আমাদের সামনের গ্রামে যেতে হবে। তুমি কি আমাদের পৌঁছে দিতে পারবে?

হাবিব কিছুক্ষণ ভাবলো।
দুই হুজুরের জন্য তার মায়া হলো। হাবিব বলল, আমি আপনাদের পৌঁছে দিব।
হুজুরঃ ধন্যবাদ তোমাকে। এটা বলে দুই হুজুর সিএনজি'তে উঠে বসলো।

কিছু দূরে যেতেই হাবিব দেখলো-
আরেকজন হুজুর লাশ নিয়ে দাড়িয়ে আছে। লাশটি সাদা কাপড় দিয়ে প্যাচানো। হাবিব উনার সামনে এসে সিএনজি থামালো। এরপর দুই হুজুর নামলো এবং তিন হুজুর লাশটি নিয়ে সিএনজি'তে উঠলো। তারপর তারা হাবিবকে সিএনজি চালাতে বললো। আর একজন হুজুর হাবীবের সাথে কথা বলতে থাকলো।

হুজুরঃ সামনের গ্রামে যেতে কতক্ষন লাগবে?
হাবিবঃ প্রায় ৪০ মিনিট।
হুজুরঃ তুমি পেছনের দিকে চাইবে না। লাশের অবস্থা বেশি ভালো না। দেখলে ভয় পাবে।
হাবিবঃ আচ্ছা হুজুর।

তারপর হাবিব সিএনজি চালাতে শুরু করলো।
কিন্তু হাবীব দেখার আকর্ষণ অনুভব করলো কিন্তু সে সাহস পেলো না। এর ৫ থেকে ৭ মিনিট পর হাবীব এক অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলো। এক অজানা ভয় হাবীবকে গ্রাস করলো। হাবীব তার মনের ভয় দূর করার জন্য সামনের লুকিং গ্লাস দিয়ে পেছনের দিকে চাইলো। চেয়ে যা দেখতে পেলো, তা আমরা কেউ কোনোদিন ভাবতে পারি না। সে দেখলো ওই তিন হুজুর লাশটিকে ছিড়ে ছিড়ে শকুনের মত খাচ্ছে। কেউ কলিজা খাচ্ছে, তো কেউ বুকের রক্তপান করছে। তা দেখে হাবীব চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল।

যখন হাবীবের জ্ঞান ফিরলো তখন সে হাসপাতালে ভর্তি।
তার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ। তাকে সকালে রাস্তার পাশে একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। এখন হাবীব সুস্থ আছে। কিন্তু ওই দিনের ঘটনার পর থেকে আজও সে সন্ধ্যার পর আর সিএনজি নিয়ে বের হয় না। তাকে আজও ওই দিনের ঘটনা তাড়া দিয়ে বেড়ায়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: খুবই প্রচলিত একটি ভৌতিক ঘটনা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই ঘটনা নানান বাড়িয়ে কমিয়ে হাজার রকম করা হয়েছে।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এমন ঘটনায় আমিও পড়ে ছিলাম।স্কুটারে আমরা তিন জন।রাস্তাটা বিলের মাঝখান দিয় গেছে তাই জমি থেকে বেশ উঁচু।ডাবের খোল দেখে ড্রাইভার ভাবলো ,ডাবের খোল পিছনের দুই চাকার মাঝ খান দিয়ে পার করে দিবে।পিছনের একচাকা উঠে গেল ডাবের খোলের উপর।স্কুটার রাস্তার বাইরে চলেগেল ১০/১২ পল্টি খেয়ে জমিতে।অর্ধ চৈতন্য অবস্থায় যা দেখলাম সে সকল বললে,আপনারাই আমাকে পাবনা পাঠিয়ে দিবেন।
পাবনা গেলে এমন অনেক কাহিনি শুনাযায়।যেমন ভারতের রাঁচি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই সব ঘটনা আসলে কিছু কিছু সত্য।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

Ghost
Ghost!!
Ghost!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি এত এসব বিশ্বাস করেন না।

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: এধরনের গল্প আগেই শুনেছি------------

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইয়েস।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

এমেরিকা বলেছেন: আমি প্রথম তিন প্যারা পড়েই সব বুঝে গিয়েছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



এই টাইপের গল্প প্রচুর আছে

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা প্রচুর আছে।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগেও যেন শুনেছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো কমন গল্প।
মুখে মুখে প্রচলিত। তার গল্পের ডালপালা বদলায়। বাড়ে কমে।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাবিবের গল্পটি মিথ্যা হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। সত্য হলে, হাবিব সিএনজি চালানো বন্ধ করে দিতো। সিএনজি চালিয়ে চালিয়ে যাত্রীদের থ্রিলার হরর গল্প পরিবেশন করতো না।

তিনজন পাশাপাশি বসে একটি লাশ কোলে নিয়ে খেতে হলে সিএনজিতে কতোটুকু জায়গার প্রয়োজন আশা করি আপনি আমি জানি। অবস্য লাশটি যদি নাটা বামুন বা শিশু হয় তাহলে ভিন্ন কথা।


২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: একদম মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিবেন না। জগতে অনেক অবাস্তব ঘটনা ঘটে।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২

সপ্তম৮৪ বলেছেন: পাবনার পাগলা গারদ দেখতে গেছিলাম।
আপনার সেই সিএনজি ওয়ালা মনে হয় পাগলা গারদ থেকে মুক্ত হয়েছে মাত্র।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
না পাগলাগারদে না।
আমার বড় ভাই ক্যাডেট কলেজে পড়তো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.