নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী পুরুষ

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫



'পুরুষ যেন মেয়েদের না কাঁদায় স্বয়ং ঈশ্বর রাখেন তাদের চোখের জলের হিসাব'। কথাটা সমরেশ মজুমদারের একটা বইয়ে পেয়েছিলাম। ঈশ্বরের কি খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই! মেয়েদের কান্নার হিসাব রাখতে যাবেন! জন্মের সময়ই তো মানুষ কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবীতে আসে। মেয়েরা হাসেও বেশী, কাদেও বেশী। তাদের হাসি কান্নার হিসাব রাখবে কে! যিনি হাসি দেন, তিনিই কান্নাও দেন। তবে এক একটি মেয়ে আছে, হাসলে চারপাশ পবিত্র মনে হয়। একবার হাসলেই সেই হাসির রেশ অনেকক্ষন থাকে মনে-প্রানে। প্রতিটা মেয়েকে আল্লাহ তিনটি সম্পদ দেন- প্রথমটি হচ্ছে চোখ, দ্বিতীয়টি হচ্ছে- কন্ঠস্বর।

একজন নারী বুঝতে চায় না, ঠিক দুপুরবেলা মাথার ছায়া পায়ের তলায় থাকে- খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের সমাজে বেশীর ভাগ পুরুষই জানোয়ার। পুরুষের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী সাদাসিধে, তারও মন একটা বাঘের মনের চেয়ে অনেক বেশী প্যাঁচানো। নোংরা। এই রকম পুরুষদের উপর আমি চিরকাল রেগে থাকি। গোলাপ যখন ফোটে দেখতে ভালো লাগে কিন্তু সেই গোলাপের সব পাপড়ি যখন একে একে খসে পড়ে তখন কি সেই ভালো লাগাটা আকড়ে ধরে রাখতে হয়? হয় না। আমি চারিদিকে খুব মন দিয়ে দেখি-শুনি আর বুঝতে চেষ্টা করি! কিছুটা বুঝে ফেলার পর আমার হাঁসফাঁস লাগে। অস্থির লাগে।

মানুষের মন! বড় অদ্ভুত!
মানুষে মানুষে হৃদয়ে হৃদয়ে রোজ কত টক্কর, কত ঠক্কর, কত মিথ্যা, কত অভিনয়, কত ছলচাতুরী, একটু দেখা, একটু কথা, একটুখানি হাসি বিনিময়, লম্বা দীর্ঘশ্বাস, হাতে হাত, চোখে চোখ! আরও কত কি! 'আমায় আপনার চেয়ে আপন যেজন/ খুঁজি তারে আমি আপনায়/ আমি শুনি যেন তার চরনের ধ্বনি/ আমারি তিয়াষী বাসনায়'। আজ থেকে অনেক বছর আগে প্রেম ছিল এই রকম- একটু দূর থেকে দেখা, আলতো হাসি এবং খুব সাহসী হলে চিঠি লেখা। স্বচ্ছ পবিত্র প্রেম এরকমই ছিলো। যেটা এযুগে নেই। এযুগের প্রেম ভালোবাসা মানে বেহায়াপনা। চারিদিকে চলছে বেহায়াপনার খেলা। পুরুষদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, তারা স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না- অস্পষ্টতা রয়ে যায়। তার প্রধান কারন তারা নিজেদের কাছে স্বচ্ছ নয়। নারীর মানসিকতা কোমল, আত্মকেন্দ্রিক এবং শান্তি প্রিয়। যদিও একটু আধটু ঝগড়া করে। ইদানিং নারীরা নিজেদেরকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শুরু করেছে। আমি মনে করি নারীপুরুষের সবচেয়ে বড় দু্র্বলতাটিই আসলে সবচেয়ে বড় শক্তি।

আমাদের দেশে অনেক সমস্যা।
খাদ্য সমস্যা, বিদ্যুৎ নেই, যানজট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, কুসংস্কার, অতি ধার্মিকতা, অফিসে- পার্কে -বাড়িতে, ফুটপাতে, ফেসবুকে, ব্লগে, টিকটকে, এমনকি হাসপাতালেও শান্তি নেই। প্রত্যেক মানুষের মন নিজ নিজ কামনা বাসনার আঁধারে সজ্জিত। উপাদানে যদিও এক কিন্তু কামনা-বাসনায় মানুষ বিচিত্র এবং আলাদা। বিভিন্ন কামনার প্রলেপ লেগে প্রত্যেক মানুষ'ই স্বতন্ত্র এবং আলাদা। প্রতিটা মানুষ মহৎ এবং মানবিক হলে অতি সহজেই একটা দেশ বদলে যেতে পারে।

শরৎ শেষে হেমন্ত আসে।
মেলা বসে শহরে-গ্রামে। সার্কাস, গানের আসর, পিঠা উৎসব, নাটকের সপ্তাহ, রমনার বটমূলে, টিএসসি'তে, চারুকলায়, পাবলিক লাইব্রেরী, যাদু ঘরের চত্বরে, বইমেলা, একজিবিশন, বৃক্ষমেলা, বা্নিজ্য মেলা, সংসদ উদ্যানে, আর্ট ইন্সটিটিউটের বকুল তলায়- দু'জনে একসঙ্গে যায় সে-সবে। হাত ধরে হাতে। পথের ধারে বসে ছেলেমেয়েরা চটপটি-ফুচকা খায়। প্রেমিকার কোমরে হাত রেখে রিকশায় করে, সারারাত মোবাইলে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেতে থাকে একজন আরেকজনে। আমি ঢাকা শহরের দুষিত বাতাস গায়ে মেখে এই সব দেখি। আমি মাস্তান নই, সমাজ সেবকও নই, কোনো রাজনৈতিক দলের আঞ্চলিক কমিটির সদস্যও নই। আমি অতি সাধারণ, অতি তুচ্ছ মানুষ।

এ যুগের মেয়েরা খুব স্বার্থপর হয়।
তারা শুধু নিজেদের সুখ, নিজেদের ক্ষুদ্রতা, নিজেদের চাওয়া-পাওয়া এবং স্বপ্ন নিয়ে সব সময় এতই ব্যস্ত যে, কখনো অন্যের কথা ভাবে না। জন্মদিনে ফুল দেয়, মোবাইলে তোতা পাখির মতন মেনি হ্যাপি রিটার্নস....বলে, নিউ মার্কেট থেকে সোয়েটার কিনে নিজের হাতে বোনা বলে প্রেজেন্ট করে, উঁচু কলারওয়ালা জামা কিনে দেয় বয় ফ্রেন্ডদের। মোবাইলে কথা শেষে চুমু দেয়। কিন্তু ভালোবাসা যে একটা ম্যাকানিকাল উশই করা নয়, জামা নয়, চুমু নয়, উপহার নয়, ভালোবাসা যে তার চেয়ে অনেক অনেক গভীরতা সম্পন্ন বোধ তা বোঝার মতন মেয়ে নেই। নেই যে তা নয়, তবে বেশী নেই। (এযুগের মেয়েরা কখনও ভালো স্ত্রী, ভালো মা হতে পারে না)। আবার জীবনে ভালোবাসা পাওয়াটাই সব নয়। শুধু ভালোবাসা পেয়েই মন ভরে না। প্রেমিক- প্রেমিকা'রা বলে, আমি ওর চুল দেখে ভালোবেসেছি বা আমি ওর চোখ দেখে প্রেমে পড়েছি। এ ধরনের সম্পর্ক গুলোর ক্ষেত্রেই জীবনে অনুপ্রবেশ করে ভুল পুরুষ বা নারী। এবং এই ধরনের সম্পর্ক গুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

'শীতের বাতাস তুমি, যাও বয়ে যাও- অকৃতজ্ঞ নির্দয় মানুষের মত তুমি নও
যদি-ও নিঃশ্বাস তব হিমেল বলয়- অদৃশ্য তোমার দন্ত তীক্ষ্ম তত নয়,
মিছে প্রেম বন্ধুত্ব করো না বড়াই- নাও ঈশ্বরের নাম
এ জীবন অবিমিশ্র সুখ আর আরাম-
শীতের বাতাস তুমি, যাও বয়ে যাও- তবু কৃতৃঘ্ন বন্ধুর মতো সূচীতীক্ষ্ম নও'।


আমি বেশ অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছি।
এখন নিত্যদিন বাইরের বাস্তবতার আঁচ খুব বেশী অনুভব করছি। মানুষের হিংস্রতা, লোভ, মিথ্যা, ভন্ডামি, কর্কশ ভাব- আগে এমন চোখে পড়েনি। আগেও জানতাম- মানুষের দুঃখ আছে, কষ্ট আছে, এগুলো ব্যক্তিগত। তার বাইরে বাতাসের স্রোতের মতন একটা আনন্দের স্রোত আছে, কিন্তু মানুষের যে ইচ্ছা করে অন্যকে কষ্ট দেয়, অন্যের সুখ কেড়ে নিয়ে আনন্দ পায়- সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারনা ছিল না। আসলে, আমরা সবাই নিজের অজান্তে সবার সাথে খেলছি। কেউ ভালো খেলছে, কেউ মন্দ খেলছে। সমস্যা হলো- মৃত্যুর আগেই ভালো কাজের জন্য ভালো হবে। এবং খারাপের জন্য শাস্তি হবে।

'তুমি যা করো তাই আমার ভালো লাগে-
তুমি প্রচন্ড ঘৃনা নিয়ে যখন তাকাও
তখন সেই ঘৃনাটাকেও মধুর বলে মনে হয়।
এ আমার এমন অসুখ হলো?
এই অসুখেই যেন আমার মৃত্যু হয়'।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন রাজীব দা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে, ভাল থাকুন।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড় লেখা পড়তে বেশি সময় লাগে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: না খুব বেশী বড় না।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

মেহবুবা বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি অত্যন্ত মেধাবী একজন। দেখায় এবং চিন্তাধারায় গভীরতা আছে।
এ জগৎ সংসার বড় জটিল এবং সেটা মানুষের তৈরী ।
তবে সহজভাবে দেখা এবং সরল আলো ফেলে মেনে নিতে পারলে ভাল; আমার তাই মনে হয় ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মোটেও মেধাবী নই।

গাধাটাইপ মানুষ আমি।

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মেয়েদের মন মানসিকতা আত্মকেন্দ্রিক কারন তারা খুদ্র উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে জড়িত।তাদের চলা ফেরার গন্ডিও সীমিত।খুব ধীরে হলেও একটা পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
এখানে পুরুষকে তার হাত ধরে এগিয়ে আসতে সাহায্য করতে হবে।তাকে সংগ্রামের সাথী হিসাবে পাশে রাখতে হবে প্রেমিকা হিসাবে নয় বন্ধু হিসাবে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.