নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরনো গল্প নতুন করে

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯



১। আমি মার্শাল আর্ট আর বক্সিং শিখতে চাই।
আব্বা বললেন- ওসব শিখতে চাস কেন? সেলফ ডিফেন্স, না গুন্ডামি করবি?
আমি একটু হেসে বললাম- যারা অন্যায় করে আমি তাদের শিক্ষা দিতে চাই।
আব্বা একটু করুন হাসি দিয়ে বললেন- সব অন্যায় কি শুধু গায়ের জোরে ঠেকানো যায়? আগে নিজে ন্যায়বান হতে হয়, সাহসী হতে হয়, মানুষকে ভালোবাসতে হয়। মানুষ কোথা থেকে জোর পায় জানিস? ভালোবাসা থেকে। দেশকে যদি ভালোবাসিস, মা-বাবাকে যদি ভালোবাসিস, ভাই-বোনদের যদি ভালোবাসিস, সবাইকে যদি ভালোবাসিস তাহলে দেখবি গায়ের জোরের তত দরকার হবে না। মনে রাখবি- মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্র'ই হচ্ছে ভালোবাসা।

২। কারেন্ট নাই জেনেও ফোন চার্জে দেওয়াকে বলে- সরলতা!
কারেন্ট আসার পর ফোনে চার্জ হচ্ছে মনে করা হলো- বিশ্বাস!
তিন ঘণ্টা পর এসে দেখলাম ভুলে সুইচ দেই নি এইটা হলো- বোকামি!
যা হয়েছে বাদ দিয়ে আবার সুইচ দেওয়াকে বলে- ক্ষমা!
সুইচ দেওয়ার সাথে আবার কারেন্ট যাওয়া কে বলে- মন ভাঙ্গা!
কারেন্ট আবার আসতে দেরি হবে ভেবে ফোন সাথে নিয়ে বাহিরে যাওয়া হলো- কনফিডেন্ট!
তিন ঘণ্টা পর বাসায় এসে শুনলেন বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই কারেন্ট আসছে, এইটা হলো- কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা!
আবার তড়িঘড়ি করে চার্জে লাগানোর সাথে কারেন্ট যাওয়াকে বলে- ছ্যাকা!
কারেন্ট আসতে পারে ভেবে তিনঘন্টা বাসায় বসে থাকা হলো- অপেক্ষা!
তিনঘন্টা অপেক্ষা করে নিজের উপর বিরক্ত হয়ে মন খারাপ করাকে বলে- ডিপ্রেশন!
মোড়ে কারেন্ট আছে, ওখানে চার্জ দেওয়া যাবে ভেবে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়া হলো- বিকল্প ব্যবস্থা।
মোড়ে যাওয়ার অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে বুঝলেন কারেন্ট আসছে, একে বলে- প্রাক্তন ফিরে আসা!
বাসার কাছাকাছি আসতেই আবার কারেন্ট যাওয়াকে বলে- প্রাক্তনকে বিশ্বাস করে বাঁশ খাওয়া!
এরপর মোড়ে যাওয়ার পর কারেন্ট আসা দেখেও বাসায় না আসা হলো- প্রাক্তনকে বিশ্বাস না করা!

৩। বুদ্ধদেব বসু আমার প্রিয় সাহিত্যিক।
রবীন্দ্রনাথের পর বাংলা সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর মতো সব্যসাচী প্রতিভা আর কেউ আসেনি। তার 'আমার যৌবন' বই আমার খুব ভালো লেগেছে। তিনিই প্রথম শার্ল বোদলেয়রের কবিতা অনুবাদ করেন। জীবনানন্দ দাশের প্রকৃত মূল্যায়ন বুদ্ধদেব ছাড়া তৎকালীন কেউই করেনি।
প্রতিভা বসু ছিলেন তার স্ত্রী। প্রতিভা বসুর লেখা আত্নজীবনী "জীবনের জলছবি"র মাধ্যমে বুদ্ধদেবকে ভালোভাবে চেনা যায়।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার রাজীব দা

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব।
আসলে এটা কোনো পোষ্ট না। এটা হলো ফাঁকি বাজি।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

ফয়সাল রকি বলেছেন: এই আর্টের নাম মার্শাল আর্ট কেন?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: মার্শালআর্ট চিনের একটা আত্মরক্ষার কৌশল।
মার্সাল মানে সেরা।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বুদ্ধদেব'এর 'আমার যৌবন' বই কি নিয়ে লেখা?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: আত্মজীবনী।
মোট তিন খন্ড। এখন তিন খন্ড একসাথে পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য বুদ্ধদেব বসু ১৯২৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হন।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

ফটিকলাল বলেছেন: কৌশলী হলেই নিরাপদ থাকা যায়। মার্শাল আর্ট শেখা ছাড়াও লক্ষ কোটি মানুষ নিরাপদে আছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: হয়তো!

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি এক অকম্মার ঢেঁকি।বুদ্ধদেব বসুর কোন বই পড়া হয় নাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: পড়তে শুরু করুন।

দেরি হোক যায় নি সময়।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোনটা দিয়ে শুরু করবো?

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একটা তালিকা করেছি। সেই তালিকা কি আপনাকে দিব?

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আগে বুদ্ধকে দিয়ে শুরু করি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: তাহলে ''তিথিডোর'' দিয়ে শুরু করুন।
ভালো লাগবে।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কি আছে এই বইতে।পড়লে কি কি উপকার হবে।বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়বে,নাকি নতুন নতুন তথ্য উপাত্ত জানতে পারবে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো উপন্যাসটি একটি নিঃসঙ্গতার উপন্যাস।
বুদ্ধদেব বসুর নিজ জীবনটা কেটেছে নিঃসঙ্গতায়। তার মা মারা যাওয়ার পর বাবা সেই যে সন্ন্যাসব্রতে গেলেন, আর নিঃসঙ্গতা পিছু ছাড়েনি।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন:

বইতে কি আছে, না আছে জানার দরকার নাই।
আমি বলব বইটা পড়ুন। মনে হবে না সময় নষ্ট হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.