নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাবারদাবার

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮



আমি কিছু কিছু খাবার খুব পছন্দ করি।
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কিছু দিন পরপর নানান রকম খাবার খাই। অবশ্য বাসায় বলি না। সুরভি শুনলে রাগ করবে। বাইরের খাবার খাওয়া আমার নিষেধ। কমলাপুরের কাছে একটা হোটেল আছে। সেখানে আমি মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর গরুর বট খেতে যাই। গরুর বট সাথে তন্দুর রুটি। খেতে বেশ লাগে। একদম গরম চুলা থেকে নামিয়ে দেয় বট রুটি। ঢাকার বাইরে গরুর বট খুব বেশি পাওয়া যায় না। ঝাল ঝাল বট মন্দ নয়।

পুরান ঢাকার নারিন্দা যাই নেহারি খেতে।
এই নেহারি শুধু সকালবেলা পাওয়া যায়। খুব চমৎকার বানায়। এই হোটেলে প্রচন্ড ভিড় হয়। বসার জায়গা পাওয়া যায় না- এমন অবস্থা! লোকজন পাগলের মতো খায়। সকাল দশটার আগে না গেলে নেহারি পাওয়া যায় না। নেহারির সাথে গরম তন্দুর রুটি বেশ ভালোই লাগে। পরিমানেও অনেক দেয়। গরম নেহারির উপর একটু ধনেপাতা আর আদা কুচিও দিয়ে দেয়। ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় নেহারি খেয়েছি। কিন্তু ভালো লাগে নি। ঢাকার মানুষ ঢাকার বাইরে গিয়ে খাবার খেয়ে আরাম পায় না।

মোহাম্মদপুরে মাঝে মাঝে যাই হালিম খেতে।
সেই রকম হালিম বানায়। সাথে তন্দুর রুটি বা পরোটা। বড় ডেগ ভরতি হালিম বানানোই থাকে। কষা মাংস থাকে আলাদা। যে যেটা খুশি খায়। কেউ মূরগী, কেউ গরু, কেউ কেউ গরুর পায়া। প্রচন্ড ভিড় থাকে। বসার জায়গা পাওয়া যায় না। অনেকে দাঁড়িয়ে দাড়িয়েই খায়। একবাটি গরম হালিম। হালিমের উপর পেঁয়াজ ভাজা, বিট লবন, আদা কুচি ছিটিয়ে দিয়ে দেয়। লেবু ও তেতুলের টকও থাকে। আমি লেবু ও তেঁতুল টক নিই না। হালিম ঢাকার সব এলাকাতেই পাওয়া যায় কিন্তু সব জায়গার হালিম খেতে স্বাদ না। ফরিদপুর আর খুলনা শহরে একবার হালিম খেয়েছিলাম। আরাম পাই নি।

মোহাম্মদপুর জেনিভা ক্যাম্প দারুন জায়গা।
বিহারিরা অনেক রকম খাবারের দোকান দিয়েছে। নানান রকম খাবার পাওয়া যায়। সন্ধ্যার পর তো সেখানে পা রাখাই কষ্ট- এত মানুষের ভিড় হয়। বাইক আর গাড়ি করে অনেক দূর দূর থেকে লোকজন আসে। লুচি, কাবাব, গ্রীল, গরু, মুরগীর চাপ সবই পাওয়া যায়। গরম গরম লুচি দিয়ে খেতে ভালোই লাগে। সাথে সালাদ দেয়, সালাদের উপর কি একটা দেয়। টক টক, ঝাল ঝাল। একসময় সুরভি আর আমি এখানে প্রতি সপ্তাহে একবার করে যেতাম'ই।

পুরান ঢাকার হানিফ বিরানিটা আমার ভালো লাগে।
কাজী আলাউদ্দিন রোডে। সিদ্দিক বাজারের ঠিক পশ্চিম পাশেই। এই খাবারটা প্রতিমাসে একবার না খেলে ভালো লাগে না। দীর্ঘদিনের অভ্যাস। ওদের মতিঝিল, কাওরানবাজারেও শাখা আছে। তবে আলাউদ্দিন রোডেই যাই। একই রাস্তায় হাজির বিরানির দোকান। ওরাও ভালো বানায়। হানিফ, হাজি একই রকম বানায়। দুটোর খাবারই এক স্বাদ লাগে আমার কাছে। ছোটবেলা হাজির বিরানি বেশি খেতাম। এখন খাই হানিফ। একই নাম দিয়ে ঢাকা শহরে অনেক দোকান আছে। তবে খাবারের স্বাদ এক না।

বাসাবো আর গিলগাওয়ে প্রচুর খাবারের দোকান হয়েছে।
খাবারের মান আহামরি কিছু না। কিন্তু প্রচুর ভিড় হয়। এখন ধানমন্ডি বা বেলী রোডের চেয়ে খিলগাও বেশি জনপ্রিয়। সন্ধ্যার পর রাস্তায় লম্বা জ্যাম লেগে যায়। বিশেষ দিন গুলোতে তো এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও বসার জায়গা পাওয়া যায় না। এজন্য ফোন দিয়ে আগে থেকে বসার জায়গা বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। সেসব দোকানে খাবার তেমন স্বাদ না। বার্গার, পিজা, নুডুলস, চিকেন ফ্রাই, কাবাব বা জুস কিছুই স্বাদ না। তবে প্রচুর দাম নেয়।

ঢাকা শহরে কিছু চায়ের দোকান আছে।
এই সমস্ত চায়ের দোকানের নাম গুলো বড় অদ্ভুত। যেমন- এক কাপ চা, চায়ের বাড়ি, চা'টা, আড্ডা, ইত্যাদি। দোকান গুলোতে এত ভিড় হয়! এত ভিড় হয় যে- এক কাপ চা অর্ডার দেওয়ার বিশ মিনিট পর চা পাওয়া যায়। প্রচণ্ড ধাক্কাধাক্কি হয়। সেই চায়ের দোকানে বসার জায়গা নেই। লোকজন রাস্তায় দাড়িয়েই চা খায়। দোকানে সারাক্ষণ খুব জোরে হিন্দি আর ইংলিশ গান চলতেই থাকে। নানান রকম লাইট জ্বলে নিবে। চায়ের দাম বেশি না। ২০/৩০ টাকা করে। তবে এসব দোকানে সব ধরনের চা পাওয়া যায়। জলপাই চা, তেঁতুল চা, মালটা চা, কাঁচা মরিচ চা। লোকজন পাগলের মতো চা খায়। আসলে এসব দোকানিরা চা নিয়ে ফাজলামো শুরু করেছে। তবে তাদের বেচাবিক্রি দেখার মতোন। লাইন ধরে এসব দোকানে চায়ের অর্ডার দিতে হয়। বেচা বিক্রি ভালো দেখে দোকানিরা দোকানে এখন বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোক আরও হাবিজাবি নানান রকম খাবার বিক্রি শুরু করেছে। সেসব খাবারও বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।

আমি পেটুক নই। খুব সামান্য খাই।
তবে খাবার স্বাদ হতে হবে। তা না হলে আমি ছুঁয়েও দেখব না সে খাবার। হাঁসের মাংস ঢাকার সব হোটেলে পাওয়া যায় না। নতুন বাজার পার হয়ে, বসুন্ধরা পার হয়ে কিছু দূর গেলেই একটা হোটেল আছে। সেখানে হাঁসের মাংস ভূনা পাওয়া যায়। ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা এখানে সব সময় খেতে আসে। অনেক টাকা দাম রাখলেও খাবারটা খুব স্বাদ হয়। পরোটা বা তন্দুর রুটি দিয়ে খাওয়া যায়। ফরিদপুর শহরে বেশ কয়েকটা হোটেলে সারা বছর হাঁসের মাংস পাওয়া যায়। তবে খেতে মজা না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকার খাবারে গরুর চর্বি ও চীন থেকে আনা কেমিক্যাল মিশায় স্বাদের জন্য। ঢাকার মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে থাকবে খাবারের কারণে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: খাবারের স্বাদের জন্য বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট গুলোতে- সোডা মেশায়, টেস্টিংসল মিশায়। ইদানিং কেউ কেউ ম্যাগির মশলা মেশায়। এসব শরিরের জন্য ক্ষতিকর।

আসলে ভারতে চিকিৎসা করানো ভালো। কারন দেশে চিকিৎসা করাতে গেলে খরচ বেশি। আবার চিকিৎসাও ভালো হয় না।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

অক্পটে বলেছেন: এই খাবার গুলো নিয়মিত খেলে অসুখ হয়। ২/৩ মাস পর পর খেলে নো প্রবলেম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: না আমি নিয়মিত খাই না।
একেক দিন একেকটা খাই।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জানলে খবর আছে!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তা তো আছেই। তবে সেই সুযোগ আমি রাখি না।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খারাপ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: খেলেও মরবো। না খেলেও মরবো।

৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৩

জনৈক অভদ্রলোক বলেছেন: আপনি আমার চাচার কথা মনে করিয়ে দিলেন। ভদ্রলোক ড্রাইভারকে প্রায়ই এখানে সেখানে নামিয়ে দিতে বলে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যেতে বলতেন। আর উনি হেঁটে হেঁটে রাস্তার পাশে এটা সেটা কিনে খেতেন। এখনও যে করেন না তা নয়। তবে এখন বাসা থেকে প্রায়ই হেঁটেই বের হন। কারণ বছর দুয়েক হলো অবসরে গিয়েছেন। এখনও নাকি তার নিউমার্কেটের সামনের বাদাম চিবোতে বেশ লাগে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: বাহ!
আপনার চাচা ভালো লোক।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আমি পান্থপথের শোভন হোটেলে সন্ধ্যায় হালিম লুচি খেতাম। নীলক্ষেতের তেহারি খেতাম যখন সস্তা ছিল ( প্লেট ১৩ টাকা ) , সন্ধ্যায় পরোটা সবজি। মিপুরে থাকতে সন্ধ্যায় প্রতিদিনই আলুপুরি , ডাবল ডিম্ দিয়ে মোগলাই খেতাম। রাসায় ফেরি করা ভ্যান থেকে বট পরোটা খেতাম প্রচুর। এখন আর বৌ খেতে দেয় না এসব।

:| :||

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: নীলোক্ষেতের তেহারি মোটেও মজা না।
এসব খাবার না খাওয়াই ভালো।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নীল ক্ষেতের তেহারী আপনি কোনটা খেয়েছেন আমার জানা নেই। তবে রয়েল তেহারী যদি আপনি আগের যুগে খেয়ে থাকতেন আর যদি বলেন টেস্ট ভালো না, তাহলে আপনার টেস্ট নিয়ে আমার প্রশ্ন আছে। হা হা।

যাইহোক, নারিন্দার কোন হোটেলে আপনি যান নেহারী খেতে ?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে নীলক্ষেতের তেহারি লোকজন বাধ্য হয়ে খায়। খুব ভিড়। আরাম করে বসাও যায় না। অতি অল্প পরিমানে দেয়। দাম বেশী রাখে। মাংস দেয় না বললেই চলে।

রয়েল এর খিচুরীটাও ভালো।

নারিন্দা খৃষ্টানদের কবরস্থান যে রাস্তায়। তার থেকে একটু সামনে। হোটেলের টার নামটা ঠিক এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদিন চলেন সারাদিন এসব যায়গায় ঢু দেই,

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: মন্দ হয় না।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: আপনিতো ভাই জমিদার মানুষ। আপনার ব্যাপার স্যাপারই আলাদা। রাস্তায় ঘুরে বেড়ান, হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেন...... ।

তবে নীরব হোটেলের ভর্তার কথা যে বললেন না????
কলাবাগান এর কাদেরের চাপের কথা মনে হয় ভুলে গেছেন।
মীরপুর সাড়ে এগারোর ফুটপাথের চাপের কথাতো মিস হবার কথা না!!!!!
গাউসিয়ার হালিম কি ভুলে গেছেন?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দাদা ছিলেন জমিদার। খাটী জমিদার। অত্যাচারি জমিদার না। দানশীল জমিদার। গ্রামে রকিছু মানুষ এখনও আমাদের আমার দাদার কথা বলেন।

আসলে লিখতে গেলে আরো অণেক কথাই লেখা যায়। পোষ্ট বড় হয়ে যাবে। তাই লিখি নাই।
কলাবাগান অসুস্থ মানুষের মতোন আচরন করছেন।
মিরপুর সুরভিদের বাসা। সারা মিরপুরের এমন কোনো গলি বাদ নেই যেখানে সুরভি আর আমি যাই নি। মিরপুর এলাকার এমন কোনো রেস্টূরেন্ট বাদ নেই আমাদের।
হ্যা গাউসিয়ার হালিমও খেয়ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.