নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাজীব নুর

আমি একজন ভাল মানুষ বলেই নিজেকে দাবী করি। কারো দ্বিমত থাকলে সেটা তার সমস্যা।

রাজীব নুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ডায়েরী- ১৩৭

০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২০



১। গতকাল রাতে বেলীরোডে আগুন লেগেছে।
আমার বাসার কাছেই বেলীরোড। যে বিল্ডিং এ আগুন লেগেছে সেটা পুরোটাই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট। আমাদের দেশ যে পরিমান অগোছালো অবস্থা তাতে আগুন কম লাগে। সব রেস্টুরেন্টে সিলিন্ডারে রান্না হয়। সিলিন্ডার গুলো নিরাপদ ভাবে রাখা হয় না। ঢাকা শহরে প্রতিটা চায়ের দোকানে সিলিন্ডার। সিলিন্ডারের পাশে বসে লোকজন সারাদিন সিগারেট খায়। সিলিন্ডার ব্যবহারের একটা নিয়ম আছে, কিন্তু সেই নিয়মের কেউ তোয়াক্কা করে না। আগুন তো লাগবেই। যে যেখানে একটু খালি জায়গা পায় সেখানেই সিলিন্ডার রেখে দেয়। সরকার থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলাফল- আগুন এবং মৃত্যু। এই আগুন এবং মৃত্যু কি কখনও বন্ধ হবে? এই দায়ভার কে নেবে? নিরাপদ খাদ্য? ঢাকার দুই মেয়র? নাকি শেখ হাসিনা? নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক?

২। ধরুন, আপনার একটা মসজিদ বা মাদ্রাসা আছে।
কিন্তু মসজিদ মাদ্রাসার করুন দশা। কয়েক লাখ টাকা পেলে আপনি মসজিদ বা মাদ্রাসার উন্নয়ন করতে পারেন। কিন্তু আপনার টাকা নেই। টাকার জন্য আপনি একজন হুজুরকে ভাড়া করতে পারেন কোনো এক জুম্মার দিনে অথবা ওয়াজ মাহফিলে।। হুজুরকে পাচ লাখ টাকা দিবেন, সেই হুজুর আপনাকে ১৫/২০ লাখ টাকা তুলে দিতে পারবেন। সেই হুজুর খুব কান্না করতে পারেন। এবং মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করার সব রকম কৌশল জানেন। পরিস্থিতি এমন হয়- হুজুরের সামনে বসা থাকলে আপনাকেও টাকা দিতে হবে। সেই হুজুর নিজের মসজিদের জন্য মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। মসজিদ করেছেন, মাদ্রাসা করেছেন। বলেন তো হুজুরের নামটা কি? আমি একটু সহজ করে দেই, তার নামে 'ইলিয়াস' শব্দটা আছে। বাংলাদেশে যত হুজুর আছে তাদের মধ্যে টাকা আদায়ের জন্য- তিনি এক নম্বর। আমি নিজে শুক্রবার তার বয়ান শুনেছি। দেখেছি টাকা আদায়ের কৌশল।



৩। সুরভির সাথে আমার একটা ঘটনা মাঝে মাঝে আমার মনে পড়ে।
তখন আমি একা একাই হাসি, মন খারাপ করি। অবাক হই। একবার সুরভি আর আমি কলকাতা যাই। সুরভি বলল, শান্তি নিকেতন যাবো। আমি বললাম, অবশ্যই যাবো। এদিকে আমি কলকাতার কিছুই চিনি না, জানি না। কলকাতা তো আর আমার 'ঢাকা' শহর নয়। যাইহোক, খোজ খবর নিয়ে চলে গেলাম হাওড়া রেলস্টেশন। যাবো বোলপুর। বোলপুর থেকে শান্তি নিকেতন। হাওড়া বিশাল রেলস্টেশন। অনেক গুলো টিকিট কাউন্টার। মেশিন বাক্স থেকেও টিকিট কাটা যায়। বোলপুরের টিকিট কোন কাউন্টারে জানি না। মেশিন থেকে কিভাবে টিকিট কাটে সেটাও জানি না। চারিদিকে সবাই ব্যস্ত। কেউ সঠিক কথা বলতে পারছে না। ভারতের একেক অঞ্চলের মানুষ একেক ভাষায় কথা বলে। সিকিউরিটির লোকজন কি বলে তাদের ভাষা বুঝি না।

এদিকে সুরভি শান্তিনিকেতন যাবে বলে শাড়ি পরেছে।
খুব সুন্দর করে সেজেছে। আমি নিজেই মুগ্ধ! বিশ্বাসই হচ্ছে না এই মেয়েটা আমার বউ! যাইহোক, শেষমেষ ট্রেনের টিকিট কেটে বোলপুর গেলাম। বোলপুর স্টেশনে নামতেই অনেকে আমাদের ঘিরে ধরলো। তারা আমাদের শান্তিনিকেতন ঘুরে দেখাতে চায়। সামান্য কিছু টাকা দিলেই তাদের চলবে। কিন্তু আমি কোনো গাইড নিলাম না। কারন আমি নবীজি সম্পর্কে কিছু না জানলেও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিস্তর জানি। কারন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমি একটা বই লিখেছি। যাইহোক, আমি আর সুরভি শান্তিনিকেতন ঘুরলাম সারাদিন। অনেক ছবি তুললাম। দুপুরে টিকটক নামে এক রেস্টুরেন্টে ভাত খেলাম। এবং বিকেলে আবার কলকাতা ফিরে যাওয়ার জন্য বোলপুর স্টেশনে এলাম। একলোকের সাথে কথা হলো। সেই লোকের বাড়ি বাংলাদেশের বিক্রমপুরে।

বোলপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ভেতরে গরু বসে আছে।
চারিদিকে গোবর পড়ে আছে। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পর একটা বিশাল ট্রেন এলো। সুরভি আর আমি উঠে পড়লাম। এই ট্রেন কোথায় গিয়ে থামবে আমরা জানি না। ট্রেনে উপচে পরা ভিড়। পা রাখার জায়গা নাই। ট্রেনে অনেকে মূরগী, ছাগল, ভেড়া নিয়ে উঠেছে। সুরভি আর আমি কোনো রকমে দাঁড়িয়ে আছি। সুরভি খুব মজা পাচ্ছে। এর মধ্যে হকাররা চা, সন্দেশ ঝালমুড়ি, ছানা, আচার ইত্যাদি বিক্রি করছে। বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। কত ধর্মের লোক যে ট্রেনে! শিক আছে, হিন্দু আছে, বাঙালি আছে, বৌদ্ধ আছে, বিদেশী আছে, তামিল, মারাঠি, পাঞ্জাব সব অঞ্চলের লোক আছে। যাইহোক, একসময় শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেন থামলো। শিয়ালদাহ বিশাল রেলস্টেশন। আমাদের কমলাপুরের চেয়ে পঞ্চাশ গুন বড় হবে। ট্রেন থেকে নেমে হাঁটছি তো হাঁটছি। পথ আর শেষ হয় না।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০০

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনি পিতৃত্ব সুত্র কোন ধর্ম অনুসারী ছিলেন? জানা যাবে? আপনার যদি আপত্তি থাকে বলতে তাহলে বলার দরকার নেই।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি মুসলমান। ইসলাম আমার ধর্ম।

২| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: কিছু দিন আগেই কাচ্চি ভাই থেকে কাচ্চি খেয়ে দাত খিলাল করতে করতে শান্তির ঢেকুর তুলেছিলাম আর আজ সেই কাচ্চি ভাই নিজেই কয়লা খালু হয়ে গেছে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ট্রেনের পর্বটা আরেকটু বড় হতে পারতো,গরু ছাগল দেখে ছোট করে ফেলেছেন।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৫

Snowflake বলেছেন: ২০১২ তে কলকাতা গিয়েছিলাম।কলকাতা ভালো লাগে না। চারদিকে খালি ধূপের গন্ধ। আর মানুষ চালিত রিকশায় উঠলে নিজেকে পশু পশু মনে হয়। এখনো কি ওই রিকশা গুলো আছে?

৫| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



কলকাতার মানুষের সাথে ঢাকার মানুষের আচরণের মিল আছে?

৬| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: কতো দিন আগের ঘটনা।৫০ গুন বড় হবে না বড় জোর ডবল হতে পারে।প্লাটফর্ম আছে ১৮/২০টা কমলাপুরে ১২/১৪ টার কম না।তবে ট্রেনের সংখ্যা অনেক বেশি।লোক যাতায়াত ৫০ গুন হতে পারে।

৭| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: কমলাপুরের খোব কাছেই আমাদের কোয়াটার ছিলো।বিআরটিসি ডিপুর সামনের ডি টাইপ কোয়াটার স্কুলের সাথের বিল্ডিং।বহু বছর ছিলাম।কমলাপুর স্টেশনে যতবার গিয়েছি তার থেকে বেশিবার গিয়েছি শিয়ালদা স্টিশনে।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালো।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: কোলকাতা খুবই ঘনবস্তিপুর্ন হলেও মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আছে ।

১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৪

ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: আসিফের উত্তরসূরি বলে কথা।

১১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বড়ই সৌন্দর্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.