নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"চিত্ত যেথা ভয়শূণ্য উচ্চ সেথা শির\"...

রুদ্র সৌরভ

বাস্তববাদী মানুষ।বাস্তবতার সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টায় ব্যাস্ত।এই নগরীর রাস্তায় হেটে চলি একাকী...

রুদ্র সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রেট ফায়ার অফ লন্ডন-পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ড

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

ওয়ালটার গোসতেলো নামে এক জ্যোতিষী ১৬৫৮ সালে বলেছিলেন, 'লন্ডন শহর যদি দশ বছরের মধ্যে পুড়ে ছাই না হয়, তবে আমাকে চিরদিনের জন্য তোমরা মিথ্যাবাদী বলো'।



কিন্তু তার কথা ফলেও যায়।১৬৬৫ এর প্লেগ এর ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর লন্ডন আক্রান্ত হয় এক ভয়ানহ অগ্নিকান্ডের। যা ইতিহাসে" গ্রেট ফায়র অফ লন্ডন " নামে পরিচিত।খ্রিষ্টীয় সপ্তাদশ শতাব্দীর এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের সময় ব্রিটেনের শাসনকর্তা ছিলেন রাজা দ্বিতীয় চার্লস। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দের ২ থেকে ৫ সেপ্টেম্বরের সেই অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় লন্ডনের কেন্দ্রীয় অংশ।

১৬৬৬ সালে যে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে, তার সূত্রপাত হয়েছিল থমাস ফেরিনারের পুডিং লেনের বেকারি থেকে। রাতে বেকারি ছেড়ে যাওয়ার আগে চুলার আগুন না নেভানোয় আগুন ক্রমে চুলার পাশের কাঠে লাগে। প্রবল বাতাসের টানে সেই আগুন ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে গোটা লন্ডনে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, ওই অগ্নিকান্ডে ফেরিনার পরিবারের কোনো ক্ষতিই হয়নি!সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে লন্ডন শহরের বেশিরভাগ ঘরবাড়িই ছিল কাঠ ও খড় দিয়ে তৈরি। ফলে প্রবাহিত বাতাসে আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।

একটু উদ্যোগ নিলে আগুনের ভয়াবহতা হয়তো কিছুটা কমানো যেত, কিন্তু মেয়র ছিলেন ভীষণ উদাসীন। ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৩ হাজার ২শ' বাড়ি, ৮৭টি চার্চ, ৪৪টি কোম্পানি, রয়্যাল এক্সচেঞ্জ, কাস্টম হাউসসহ শহরের জেলখানা। আগুনের ধ্বংসলীলায় নষ্ট হয়ে যায় শহরের রাস্তা, ব্রিজ। ধারণা করা হয়, চার দিনের সেই অগ্নিকান্ডে এক হাজারের বেশি প্রাণহানি ঘটে। পুড়ে যাওয়া লন্ডনকে পরে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়।অবশ্য এর আগে অর্থাৎ ১১৩৩ ও ১২১২ সালেও লন্ডন শহরে আগুন লেগেছিল। ১৬৬৬ সালের এই অগ্নিকান্ডের পর লন্ডনের বিখ্যাত স্থপতি ক্রিস্টোফার রেইন নিজ হাতে সাজিয়ে তোলেন লন্ডন। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনিই প্রথম ইট ও পাথরের বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনার পর মানুষ অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা বিষয়েও সতর্ক হয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২০

বিজন রয় বলেছেন: ইতিহাস জানালাম।
++

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একই পোস্ট ইস্টিশন ব্লগেও দেখা যাচ্ছে। আপনি কি এই পোস্টটি পূর্বে কোথাও প্রকাশ করেছিলেন?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: হ্যা।ইস্টিশন ব্লগেও আমি লিখেছিলাম।আমার ইস্টিশনে নিক"ইমরুল কায়েস"।লেখাটির নিচে আমার নাম লেখা আছে দেখতে পারেন।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯

সুমন কর বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একই পোস্ট ইস্টিশন ব্লগেও দেখা যাচ্ছে। আপনি কি এই পোস্টটি পূর্বে কোথাও প্রকাশ করেছিলেন? -- উত্তর আশা করছি !!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: হ্যা।ইস্টিশনে যে লেখাটি দেখেছেন ওটা আমারই লেখা

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইতিহাসটা জেনে ভাল হল। মাথার একটা অংশে অটোমেটিক্যালি সেভ হয়ে গেল।

পোষ্টে +। তবে বিস্তারিত আরো লিখতে পারতেন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: :)

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

মাদিহা মৌ বলেছেন: অজানা বিষয়ে জানতে আগ্রহ সবসময়ই। এইটা অজানা ছিল। ধন্যবাদ :)

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৬

আজিব আমি বলেছেন: ধন্যবাদ, এইসব পোষ্ট দেখার আশাই থাকি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩১

রুদ্র সৌরভ বলেছেন: ধন্যবাদ।সাথে থাকবেন :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.