নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজু আহমেদ । এক গ্রাম্য বালক । অনেকটা বোকা প্রকৃতির । দুঃখ ছুঁয়ে দেখতে পারি নি ,তবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে অনুভব করেছি । সবাইকে প্রচন্ড ভালবাসি কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে পারি না । বাবা এবং মাকে নিয়েই আমার ছোট্ট একটা পৃথিবী ।

সত্যকা

সত্যকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদের আত্মায় হাস্যকর নিবেদন

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

শহীদ বা শাহাদত ইসলাম ধর্মের একটি আরবী পরিভাষা বা পরিশব্দ । শহীদ বলতে সাধারণত আল্লাহর রাস্তায় জীবন উৎসর্গকারীকে নির্দেশ করে । শাহাদত শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে স্বাক্ষ্য, সনদ, সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র ইত্যাদি । ভাবার্থে শহীদ শব্দের অর্থ জান্নাতের দিকে অগ্রসর অথবা আল্লাহর নিকট উপস্থিত হওয়া বুঝায় । পারিভাষিক অর্থে যারা আল্লাহ মনোনীত ধর্ম ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার রাহে জীবন কুরবানী করেন তাদেরকে শহীদ বলা হয় এবং ইসলামে শাহাদতের মৃত্যুর গুরুত্ব অপরিসীম । কেননা যিনি/যাদের শাহাদতের মৃত্যু নসীব হয় তারা পরকালে বিনা হিসাবে জান্নাতে দাখিল হবেন মর্মে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সাঃ) পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা হয়েছে । মহাপবিত্র আল কুরআন এবং কুরআনের জীবন্ত ব্যাখ্যা তথা আল হাদীসে অসংখ্যবার শহীদদের মরর‌্য্যাদার বাণী বর্ণিত হয়েছে । মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সর্ব বৃহৎ সুরা আল বাকারার ১৫৪ নম্বর আয়াতে ঘোষিত হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হন, তাদেরকে তোমরা মৃত বলোনা, বরং তারা জীবিত অথচ তোমরা তা জান না’ । সুরা আল ইমরানের ১৬৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘আল্লাহর পথে যারা নিহত হন তোমরা তাদেরকে মৃত বলে ধারণা করো না, বরং তারা জীবিত, তারা তাদের রবের(আল্লাহর) নিকট থেকে রিজিক প্রাপ্ত হন’ । মানবতার মুক্তির দুত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শহীদদের অসংখ্য মর্তবা বর্ণনা করেছেন । সহীহ বুখারীরর কিতাবুল জিহাদ অধ্যায়ে এসেছে, ‘হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি; ‘সেই সত্তার শপথ যাঁর মুঠির মধ্যে আমার প্রাণ, আমার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় হচ্ছে, আমি আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে যাই, অতপর জীবন লাভ করি এবং পুণরায় শহীদ হই, তারপর আবার জীবন লাভ করি এবং পুনরায় শহীদ হই’ । এছাড়াও রাসূল (সাঃ) এর ঘোষণানুযায়ী শহীদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সকল মর‌্যাদা ঘোষিত হয়েছে তার মধ্যে ফেরেশতা কর্তৃক শহীদদের লাশের উপর ছায়া দান, শহীদদের কাছে মানুষের পাওনা ঋণ ছাড়া সকল গুনাহ মাফের নিশ্চয়তা, সামান্য চিমটি কাটা পরিমান কষ্টে শহীদদের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে । এছাড়াও অন্য এক হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শহীদদের জন্য বিশেষ ছয়টি মর‌্যাদার কথা উল্লেখ করেছেন । সেগুলো হল-১.শহীদের শরীর থেকে প্রবাহিত রক্তের প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তার সকল গুনাহ ক্ষমা করা হয়, ২.জান্নাতে শহীদের আবাসস্থল চোখের সামনে দেখানো হয়, ৩.শহীদের কবর আযাব হয় না, ৪.ভয়ানক-আতঙ্কজনিত কিয়ামতের বিভীষিকা থেকে শহীদ ব্যক্তি নিরাপদ থাকবে, ৫. শহীদদের মাথায় মহাসম্মানিত টুপি পড়ানো হবে, যে টুপি তৈরি করা হবে ইয়াকুত নামক পাথর দ্বারা । যে পাথরের ক্ষুদ্রাংশ দুনিয়া এবং দুনিয়ার সমুদয় সম্পদের চেয়েও উত্তম । শহীদের সাথে বাহাত্তর জন মহাপবিত্রতমা জান্নাতী হুরের বিয়ে দেয়া হয় এবং ৬. প্রত্যেক শহীদকে তার নিকটাত্মীয় থেকে ৭০ জন লোকের জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতা দেওয়া হবে’ (জামে আততিরমিযী, আবওয়াবুল ফাদায়িলিল জিহাদ১/২৯৫)। প্রতিটি মু’মিন মুসলিমের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য জান্নাত লাভ । ঝঞ্ঝাটময় দুনিয়ার ফ্যাসাদ মুক্ত থেকে জান্নাত লাভের জন্য সফলভাবে কাজ করা প্রায় অসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে । সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম শহীদি মৃত্যু প্রাপ্তির জন্য প্রত্যাশা করে এবং কায়মনোবাক্যে মহান রবের কাছে অহর্ণিশি আরজি জানায় ।

মুসলিম জনগোষ্ঠীর বৃহদাংশ প্রধানত ৪টি মাযহাবে বিভক্ত । প্রসিদ্ধ প্রত্যেকটি মাযহাবে উত্তমভাবে শাহাদতের পরিচয় দেয়া হয়েছে । সর্বাধিক অনুসারিত হানাফী মাযহাবে শহীদ বলতে বুঝানো হয়েছে, ‘শহীদ ঐ ব্যক্তি (যে মুসলমান) অত্যাচারিত বা নির‌্যাতিত অবস্থায় নিহত হয়েছে । চাই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন অথবা কোনো বিদ্রোহী কিংবা কোন শত্রু তাকে হত্যা করুক অথবা কোন চোর বা ডাকাত তাকে নিহত করুক’ ।(আব্দুর রহমান আল-জাযাইরী, কিতাবুল ফিকহ ‘আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ ১/৫২৭-৫২৯) । শাফেয়ী মাযহাব অনুযায়ী, ‘দুনিয়া ও আখিরাতের শহীদ হলেন, যিনি গনীমতের মাল গোপনে আত্মসাৎ অথবা মানুষের বাহবা কুড়ানোর উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কালিমার আহ্বান ব্যাপৃত করার উদ্দেশ্যে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন’ । (‘আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ প্রাগুক্ত) । হাম্বলী মাযহাবে বলা হয়েছে, ‘শহীদ তিনি, যিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে যুদ্ধ করার সময় নিহত হয়েছে’ ।(‘আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ প্রাগুক্ত ) । মালিকি মাযাহাবের ভাষ্যমতে, ‘শহীদ ঐ ব্যক্তি, যাকে কোন কাফির যোদ্ধা হত্যা করেছে অথবা মুসলমান ও কাফিরদের মধ্যে লড়াইয়ে মারা গিয়েছে’ । (‘আলাল মাযাহিবিল আরবা’আ প্রাগুক্ত । শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূলের (সাঃ) এর ঘোষণা মতে, আল্লাহর পথে যুদ্ধে শহীদ হওয়া ছাড়াও আরও ৭ ধরণের শহীদি মৃত্যু রয়েছে । যথা- ১. যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে শহীদ, ২. যিনি প্লুরিসি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় সে শহীদ, ৩. যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায় সে শহীদ, ৪. যে শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন রোগে মারা যায় সে শহীদ, ৫. যে আগুনে পুড়ে মারা যায় সে শহীদ, ৬. বিল্ডিং ধ্বসের কারণে যে মারা যায় সে শহীদ এবং ৭. যে মহিলা সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মারা যায় সে শহীদ । ( আবু দাউদ ১৪/৩১০৫ ।

দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ । সুতরাং দেশ রক্ষার লড়াইয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে তাদেরকেও শহীদ বলা হয় । সে হিসেবে ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদেরকে (মুসলিম) শহীদ বলা যায় । এছাড়াও দেশের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারাত অবস্থায় যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকে শহীদ বলা হয় । আল্লাহ ও তার রাসূলের (সাঃ) এর ঘোষণানুযায়ী শহীদগণ বিনা জিজ্ঞাসায় জান্নাত প্রাপ্ত হবেন । সুতরাং তাদের জন্য উত্তরসূরীদেরকে চোখ ভাসিয়ে দোয়া কামনা করার কোন বাধ্যবাধকতা নাই । তবুও যদি দোয়া করা হয় তবে তা উভয়ের জন্যই মঙ্গলের । কিন্তু শহীদের আত্মার মাগফেরাতের নামে যে সব আজগুবি প্রথা চালু আছে তা কতটুকু যৌক্তিক এবং ইসলামে এর বৈধতা কতখানি ? শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য তাদের উদ্দেশ্যে যা কিছু উৎসর্গ করা হয় তাতে যদি ইসলামের বৈধতা না থাকে তবে তার দ্বারা শহীদদের লাভ-লোকসানের কোন সম্ভাবনা নাই কিন্তু যারা এসব কান্ড-কারখানা করছে ধর্মের আলোকে তাদের বিবেকে কি কোন জিজ্ঞাসা জাগ্রত হয় না ? ১৬ কোটির অধিক মানুষের বসবাসের এদেশে সারা বছর শহীদদের কথা ভূলে থাকলেও অন্তত ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ এবং ১৬ ডিসেম্বর ঘটা করে শহীদেরকে স্মরণ করা হয় । ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদবেদীগুলো । কাক ডাকা ভোরে শহীদ মিনারে নগ্ন চরণে পুষ্পমাল্য দান করে অনেকেই মনে করে শহীদদের ঋণ প্রায় সর্বাংশে শোধ হয়ে গেল ! গান আর বাধ্যযন্ত্রের ঝংকারেও শহীদদের আত্মায় দক্ষিণা প্রদানের রীতি চালু রয়েছে ! এ সব দিবসে সন্ধ্যা নামতেই মোমবাতির মোহনীয় আলোতে আলোকিত করা হয় মাইলের পর মাইল । সভা-সেমিনার করে দাঁড়িয়ে কয়েক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় কেবল শহীদদের স্মরণে ! নিরবতার সময়টাতে মনে মনে কি চিন্তা-ভাবনা করা হয় তা জানতে খুব ইচ্ছা জাগে ! চলতি বছর ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস জন্মস্থানে কাটিয়েছি । শহীদদের মাগফেরাত কামনা উপলক্ষে উপজেলা শহীদ মিনারে আয়োজন করা হয়েছিল অনাড়ম্বপূর্ণ ঝমকালো অনুষ্ঠান । উপস্থাপক ঘোষণা দিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা দেশের জন্য প্রিয় জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের আত্মার প্রতি নিবেদন জানিয়ে এখন শুরু হচ্ছে সংগীতানুষ্ঠান । প্রাথমিকপর্বে কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের পরে শুরু হল আধুনিক ধরণের গান । সংগীতের জ্ঞানে পুরো অজ্ঞ হওয়ায় বুঝতে পারিনি সে গানগুলোকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলা যায় ! তবে শহীদের বিদেহী আত্মার শান্তির লক্ষ্যে যা করা হয়েছে তাতে কি হাসা উচিত না কাঁদা উচিত তা স্থির করতে পারিনি । শহীদের স্মরণে প্রচলিতভাবে যা করা হয় তাকে রাষ্ট্রীয় প্রথা বলা যেতে পারে কিন্তু এতে ধর্মীয় স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এমন নগ্ন আয়োজনের প্রায়োজন কেন ? যে ফুলের সুবাস শহীদের নাসিকারন্ধ্রে প্রবেশ করে না, যে মোমবাতির আলো শহীদের কবর আলোকিত করে না, যে গান-বাজনা শহীদেরকে আনন্দ দিতে পারে না এবং যে নিরবতা পালনে শহীদদের কিছু আসে-যায়না-সে সব কর্ম আমরা বোকার মত কেন করছি ? বর্তমানে শহীদদের আত্মার প্রশান্তির জন্য যা করা হয় তা যেমন ইসলাম ধর্ম স্বীকৃত নয় তেমনি বিজ্ঞানও এর দ্বারা কোন উপকারের প্রমান দেয়না । সুতরাং চিন্তার জগতে আমাদের কর্ম যদি আলোড়ন সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয় তবে যে দায়ভার একান্তভাবে আমাদেরকে নিতে হবে ।

বর্তমানে যাকে তাকে শহীদ উপাধি দেয়ার রীতি চালু হয়েছে । শহীদ লকব যেন এখন রাজনীতির অন্যতম পুঁজিতে দাঁড়িয়েছে । মনে রাখা উচিত, শহীদ শব্দটি একান্তই সাম্প্রদায়িক । মুসলিম ছাড়া ভিন্ন কোন জাতি এ শব্দ ব্যবহারের দাবিদার নয় । যাকে শাহাদতের তকমা দেওয়া হবে তাকে অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) প্রদর্শিত পথের অনুসারী হতে হবে । আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে ঘোষণা করেছেন, ‘নবী চরিত্রই হল তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ’ । সুতরাং কেউ যদি শহীদি মর‌্যাদা পেতে চায় তাকে অবশ্যই রাসূলপ্রেমী হতে হবে । আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) যা আদেশ করেছেন তা পালন করতে হবে এবং যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করতে হবে । অথচ সারা জীবন যারা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে গালিগালাজ করেছে সেই তাদেরকেও শহীদ উপাধি দেওয়া হচ্ছে । এমনকি অমুসলিমকেও শহীদ বানানো হচ্ছে । এমন হাস্যকর দাবী শুনলে বিবেক ভোঁতা হয়ে যায় । স্বাভাবিক চিন্তাশক্তিতে স্থূলতা আসে । ভাবতে অবাক লাগে, এমন দাবীও কোন মূসলমান করতে পারে ? ইসলামকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করে কিংবা ইসলামের সীমানায় প্রবেশ না করে যিনি নিহত হয়েছেন তাকে শহীদ উপাধি দেয়ার চেয়ে অধিক মূর্খতা আর কি হতে পারে ? ব্লগার অভিজিতের আত্মার প্রশান্তি কামনা করে যখন কোরআন তেলাওয়াতের মত কাজ করা হয় তখন তা দেখে বিম্মিত না হয়ে কোন উপায় থাকে ? যিনি অমুসলিম তার পাপের ক্ষমার জন্য কোরাআন তিলাওয়াত করে সওয়াব প্রেরণের মত মূর্খতা এ জগতে দ্বিতীয়টি আছে বলে ধারণা নাই । ইসলামের অপব্যাখ্যা করে জীবন উৎসর্গ করে যেমন শহীদের মর‌্যাদা পাওয়া যাবে না তেমনি ব্যক্তি কিংবা দলীয় স্বার্থবাদী রাজনীতির চর্চায় সহিংসতায় নিহত কিংবা হত্যার শিকার হলে তার নামের পিছনে শহীদ শব্দ যোগ করে হয়ত দুনিয়াবী কোন ফায়দা হাসিল হতে পারে কিন্তু এর দ্বারা পরকালে কতটুকু উপকার হতে তা গভীর আলোচনা সাপেক্ষ । এমন কর্মকান্ড দেখলে মনে হয়, এ যেন বিড়ালের পশ্চাৎদেশে বাঘের লেজ সংযোজনের মত বোকামী । সুতরাং কেউ যদি প্রকৃত শহীদদের কল্যানে কোন ধরণের ভক্তিমার্গ উৎসর্গ করতে চায় তবে তা ইসলামিক রীতিনীতিতে হওয়া বাঞ্চনীয় । অন্যথায় ফলাফল শুণ্য । শাহাদাতের মৃত্যুর দাবীদার একমাত্র মুসলিম । অন্যকোন ধর্মানুসারী তাদের ধর্মীয় রীতিতে এ জাতীয় কোন উপাধীর দাবী করতে পারে কিন্তু তার সাথে ইসলামিক পরিভাষার শহীদ শব্দের যোজন যোজন পার্থক্য ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে ।

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।
[email protected]


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.