নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবেকী বসতির মস্তকহীন বাসিন্দা

মশিউল ইসলাম রাজু

গূঢ় অনুভূতির সহজ আস্ফালন

মশিউল ইসলাম রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষ মানুষ কাঁদে না কেন?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৩



প্রতিটি পুরুষ মানুষের জীবনে একটি করে ব্যক্তিগত সমুদ্র থাকে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মত রহস্যে ঘেরা একটি সমুদ্র, যেখানে জাহাজ ভ্রমে, উড়োজাহাজ ভ্রমে কিন্তু অন্বেষীর রহস্য উদঘাটিত হয় না।

চোখ এই সমুদ্রের একমাত্র সীমান্ত। বৈশ্বিক উষ্ণতায় এর জলস্তর বাড়ে অথচ পৃষ্ঠদেশের আয়তন বাড়ে না। বর্ধমান গভীরতাই নতুন জলের ঠাই যোগায়, ঢেউগুলোর তাই চোখ উপচে আর গড়িয়ে পড়া হয় না।

তাদের একটি পাথুরে সৈকতও থাকে। মন খারাপের দিনে তারা সেই সৈকতে সানবেড পেতে হেলান দিয়ে বসতে পছন্দ করে। ধুমপান করে। জীবন ভেবে ফুঁ দিয়ে সিগারেটের ছাই উড়ায়।

ইহকালে মানব চরিত্রের সবচেয়ে অদ্ভুত আর গুপ্ত বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে- পুরুষ মানুষের চোখের জল। নারী মানুষের ক্ষেত্রে যেমন ‘বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না’ তেমনি পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে ‘বুক ফাটে তো চোখ কাঁদে না।’

যাইহোক, এসব কিছুর পরেও, জীবনের কোন কোন বাকে এসে কখনো কখনো পুরুষ মানুষেরাও কান্না করতে চায়, যে কান্না তাদেরকে যাবতীয় দুঃখের চাপ থেকে কিছুটা হলেও উপশম দিতে পারে। কিন্তু চেষ্টা করলেও সাধারণত তারা সেটা করতে পারে না। ফলে, তাদের কষ্টগুলো ভিতরে ভিতরে জমতে জমতে পাথর হয়ে বুকের মধ্যেই গেঁথে যায়।

তবে অন্যদিকে, কাঁদতে না পারাটা মানুষিকভাবে তাদেরকে শক্ত করে তোলে। সাহায্য করে অন্যের কাছ থেকে নিজেদের আবেগ লুকিয়ে রাখতে, যেটাকে তারা আবার নিজেদের এক ধরণের কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচনা করে।

#rajubdeshi

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আবেগ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি ; তাই সে পুরুষ হোক বা মহিলাই হোক। তবে বই প্রকাশের ভাষা ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই যদি যা বুকে রাখা হয় তাহলে পুরুষ বা নারী উভয়েরই মানবজীবন সার্থক । পোস্টগুলি আরেকটু বড় হলে ভালো হয়।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২৭

মশিউল ইসলাম রাজু বলেছেন: চেষ্টা করবো লেখা বড় করবার। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা অধিকতর!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.