নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Freelance Blogger | Photographer | Contributor to @GettyImages | @HuffingtonPost | BG: O+(ve) Mail: [email protected]

রাজু রহমান

ভালোবাসি কবিতা লিখতে, অবসরে নিজের মনের কথা গুলো ফুটিয়ে তুলি বিভিন্ন ব্লগে বা ফেবুর ওয়ালে। পত্রযোগ https://www.facebook.com/RazuRahmanBD

রাজু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজশাহী বিভাগের খুঁটিনাটি...

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

পরিচিতিঃ রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান শহর। রাজশাহী শহর বিখ্যাত পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষণৌতি বা লক্ষনাবতি, পুন্ড্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র (Silk), আম, লিচু এবং মিস্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারণে রাজশাহীকে রেশমনগরী (Silk City) নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের অনেকগুলির খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। নামকরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয় রয়েছে।



প্রাচীন ও মধ্যযুগঃ রাজশাহী ছিল প্রাচীন বাংলার পুন্ড্র সাম্রাজ্যের অংশ। বিখ্যাত সেন বংশের রাজা বিজয় সেনএর সময়ের রাজধানী বর্তমান রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে অবস্থিত ছিল। মধ্যযুগে বর্তমান রাজশাহী পরিচিত ছিল রামপুর বোয়ালিয়া নামে । এর সূত্র ধরে এখনও রাজশাহী শহরের একটি থানার নাম বোয়ালিয়া।



পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহারঃ বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়। এটি ৩০০ বছর ধরে বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্মচর্চা কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার ( তদানীন্তন ব্রহ্মদেশ), মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মচর্চা ও ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন। খ্রিষ্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।





বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরঃ বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। এটি প্রত্ন সংগ্রহে সমৃদ্ধ। এই প্রত্ন সংগ্রহশালাটি ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এটি পরিচালনা করে থাকে। বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা। বরেন্দ্র জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজপরিবারের জমিদার শরৎ কুমার রায়, আইনজীবী অক্ষয়কুমার মৈত্র এবং রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলের শিক্ষক রামপ্রসাদ চন্দ্রের উল্লেখযোগ্য আবদান রয়েছে। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তারা বাংলার ঐতিহ্য ও নিদর্শন সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি গঠন করেন। ঐ বছরে তারা রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩২টি দুষ্প্রাপ্য নিদর্শন সংগ্রহ করেন।





বাঘা মসজিদঃ রাজশাহী জেলা সদর হতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বাঘা উপজেলায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। সুলতান নাসিরউদ্দীন নসরাত শাহ ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন সমৃদ্ধ অন্যতম দর্শনীয় স্থাপনা বাঘা দরগা শরীফ বা বাঘা মসজিদ । বাঘার এই ব্যিখাত ও বহুল প্রচারিত শাহী মসজিদ এককালে এতদঞ্চলে ইসলাম প্রচারে নিবেদিত এক সাধকের প্রতি বাংলার সুলতানি আমলের অন্যতম সুযোগ্য শাসকের স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধার নিদর্শন।যা বর্তমানে দেশের ৫০ টাকার নোটে ও ১০ টাকার ডাক টিকিটে শোভা পাচ্ছে।





মহাস্থানগড়ঃ বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর। এটি সোমপুর এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে অবস্থিত।





দর্শনীয় স্থান সমূহঃ

মাজার শরীফ

কালীদহ সাগর

শীলাদেবীর ঘাট

জিউৎকুন্ড

বেহুলার বাসর ঘর

গোবিন্দ ভিটা

জাদুঘর

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২৯

রুয়াসা বলেছেন: শুনলাম আপনে অনেক বড় মাপের বলগার। বলগ দিয়া ইনটারনেট চালান। পোস্টে সূত্র উল্লেখ করব কিডা?
তথ্য সূত্রঃ
পরিচিতিঃ রাজশাহী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান শহর। রাজশাহী শহর বিখ্যাত পদ্মানদীর তীরে অবস্থিত। রাজশাহী শহরের নিকটে প্রাচীন বাংলার বেশ কয়েকটি রাজধানী শহর অবস্থিত। এদের মাঝে লক্ষণৌতি বা লক্ষনাবতি, পুন্ড্র ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। রাজশাহী তার আকর্ষণীয় রেশমীবস্ত্র (Silk), আম, লিচু এবং মিস্টান্নসামগ্রীর জন্য প্রসিদ্ধ। রেশমীবস্ত্রের কারণে রাজশাহীকে রেশমনগরী (Silk City) নামে ডাকা হয়। রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের অনেকগুলির খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। নামকরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য রাজশাহী শহর শিক্ষানগরী নামেও পরিচিত। রাজশাহী শহরে এবং এর আশেপাশে বেশ কিছু বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক মসজিদ, মন্দির ও উপাসনালয় রয়েছে।
View this link

আগে ভালা কইর‍্যা লেখা শিখেন মিয়া তারপর রাস্তা ঘাটে নিজেরে ব্লগার কইয়া বেড়াইবেন। খিক।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

রাজু রহমান বলেছেন: ভাই আপনার কমেন্টের ভাষা বড়ই আপত্তিকর !!

আমার পরিসংখ্যান কি ভুল? হ্যাঁ আমি কোন লিংক দেই নি, কারণ উপাত্তগুলো বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা।

আশা করি সুন্দর, সাবলীল ভাষায় কমেন্ট করবেন।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

রুয়াসা বলেছেন: পরিসংখ্যান?? পরিসংখ্যান এখানে আসল কোথথেকে? শোনেন এগুলো কোয়ালিটেটিভ ডাটা। উপাত্ত গুলো বিভিন্ন সাইট থেকে সংগ্রহ করা তাই সাইট গুলোর লিংক দিতে হয় না!!! হাসালেন ব্লগার ভাই। ভাগ্যিস আপনি আমার কোন সাইট থেকে ডাটা গুলো সংগ্রহ করেন নাই। অপরাধ করলে তো আপত্তিকর মন্তব্য শুনতেই হবে, কিচ্ছু করার নাই। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.