নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'ঠিক আছে। আপনাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হল। '
'ধন্যবাদ আপনাকে। '
টিভি নিউজ, পত্র -পত্রিকা হতে প্রাপ্ত তথ্য নিম্নরূপ -
গতকাল রাত এগারটার সময় প্রধানমন্ত্রী সসম্মানে কয়েকজন দেহরক্ষীসহ বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্পেশাল বিমান ' বেঙ্গল-৯৯ ' -এ আরোহন করেন। বিমানটি প্রথমে দক্ষিণ -আফ্রিকা যাওয়ার কথা ছিল। তারপর নির্দিষ্ট সময় পর বিশ্রাম শেষে নিউইয়র্ক এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা ছিল। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে অন্য একটি ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো বিমানটি উড্ডয়নের একঘন্টা পর রাডার সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর আর কিছু জানা যায় নি। আরোহীদের সেলফোনগুলোতে অনেক চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পুরো ব্যাপারটাই রহস্যের চাদরে আবৃত রয়ে গেছে। বিমানটির কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। তার মানে কি পুরো একটি বিমান হাওয়া হয়ে গেল! আধুনিক বিজ্ঞান -প্রযুক্তির এ যুগেও কি এর কোনো সন্ধান মিলবে না? ভাবতেও অবাক লাগে!
এদিকে উক্ত ঘটনার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে সেটা নিয়েও বিশিষ্টজনদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। বিভিন্ন দিকে সন্দেহের তীর ছোড়া হচ্ছে। কেউ কেউ যান্ত্রিক গোলযোগকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাদের মতে, অনাকাঙ্খিত যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই বিমানটি ভারত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। হায়রে ভাগ্য! তাদের কপালের লিখন কি এমনই ছিল! আবার কেউ কেউ সন্দেহের আঙ্গুল উঁচিয়েছেন জঙ্গী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর ওপর। তাদের মতে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর আক্রমনের শিকার হয়েছে বিমানটি। কারণ বাংলাদেশ সরকার এদেরকে দমনের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে ইতিমধ্যে। তাই সরকারের উপর তাদের ক্ষোভ থাকার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। হয়তো প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারা এই জঘন্য কাজ করেছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু মতবাদ দিচ্ছেন কেউ কেউ। তাদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে বিবদমান রাষ্ট্রগুলোর কোনোটি হয়তো ভুলক্রমে শত্রু সন্দেহে মিসাইল ছুড়েছে। আর এতেই এ বিপত্তি ঘটে। কেউ কেউ অনাকাঙ্খিত দুর্যোগময় আবহাওয়াকেও দোষারোপ করছে। এমন আরো কত কিছুই তো শোনা যাচ্ছে। রেমেজ তদন্ত কাজে অংশ নেওয়ায় সরকারি গোয়েন্দাদের কেউ কেউ সন্তুষ্ট হতে পারে নি। রেমেজের টীমের সদস্যরা হল লিমিশা, হীরা, মতিন, আসিফ, ইয়াছিন, আরাফাত। প্রত্যেকেই এর আগেও কর্মদক্ষতার চমৎকার পরিচয় দিয়েছে।
.......চলবে
©somewhere in net ltd.