নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প : শিশুদের সততা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪


বাসায় আব্বু -আম্মু কেউ নেই, পুরো ফাঁকা। রিক্ত একা একা সময় অতিবাহিত করছে। এখন সে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কাজের বোঁয়াও ছুটি নিয়ে গ্রামে চলে গেছে। কখন আব্বু -আম্মু বাসায় ফিরে তাকে কোলে তুলে নেবে সেই প্রতিক্ষায় আছে সে। সময় যেন স্থির হয়ে আছে! একটা পাগলের কথা মনে পড়ল তার, কয়েকদিন আগে রাস্তায় দেখেছিল। ঘটনাটা স্মরণ হতেই খিলখিল করে হেসে উঠল সে। কয়েকজন বন্ধুর সাথে দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছিল, আইসক্রিম শেষ হবার পরও কাঠিটা ফেলতে মায়া হচ্ছিল তাই আরো কিছুক্ষণ চাটাচাটি করে তবেই কাঠিটাকে মুক্তি দিল। ঠিক তখনই লক্ষ্য করল ব্যাপারটি। পাগলটি বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। পাশ দিয়ে সুটকেস হাতে এক ভদ্রলোক হেঁটে যাচ্ছিল।সহসা পাগলটি হাতের লাঠি দ্বারা লোকটির পেছনে সজোরে একটা বারি মেরে বসল! সেই সঙ্গে অশ্লীল কয়েকটা গালিও চালান করে দিল। আচমকা গেরিলা আক্রমনে দিশেহারা হয়ে লোকটি হাতের সুটকেসটা ফেলেই ভৌঁ ভৌঁ দৌড় মারল! পেছনে পেছনে লাঠি হাতে পাগলও দৌড়াচ্ছে। দৃশ্য দেখে অনেকেই আর হাসি থামিয়ে রাখতে পারল না। বাচ্চাদের তো কথাই নেই! হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম। কি যেন মনে হতেই রিক্ত দ্রুত গিয়ে সুটকেসটা ধরে ফেলল। কিছুটা ভারী। এখন কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। অপর বন্ধুদের সহায়তায় খোলামাত্রই সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল! পুরো সুটকেস ভর্তি টাকা। কেউ একজন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার পরামর্শ দিল। কয়েকজন তাকে সমর্থনও করল কিন্তু রিক্ত কিছুতেই রাজি হল না। সে দ্রুত বন্ধ করে শক্ত করে ধরে রাখল সুটকেসটি। লোকটিকে সে কিভাবে টাকাগুলো ফেরত দেবে সেটাই ভাবছে।

বাচ্চাদের হৈ চৈ লক্ষ্য করে পাশের কয়েকজন লোক এগিয়ে এল। একজন বলল, ' ওটা আমার কাছে দাও, আমি লোকটির কাছে পৌঁছে দেব। '
রিক্ত লোকটিকে বিশ্বাস করতে পারছে না। তাই সে দিতে অস্বীকার করল। কিন্তু লোকটি যখন প্রায় ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হল তখন সব বাচ্চাই রিক্তোর দেখাদেখি প্রতিবাদী হয়ে উঠল। সকলেই সমস্বরে বলে উঠল, ' এটা যার জিনিস আমরা শুধু তার হাতেই এটি তুলে দেব, অন্য কারো হাতে নয়। '
কিছুক্ষণের মধ্যে লোকটি চলে এল। তাকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। সুটকেসটি ফিরে পাওয়ায় বেশ আনন্দিত হল সে। রিক্তকে কোলে তুলে নিল। বাচ্চাদের সততায় খুবই মুগ্ধ হল লোকটি। তখন মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এই শিশুদের মতো অধিকার বঞ্চিত পথশিশুরাও যেন সূস্থ্য মস্তিষ্কে সুশিক্ষা গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য কাজ করে যাবেন তিনি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সুমন কর বলেছেন: আশাবাদী গল্প। মেসেজটা ভালো।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৩

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
মানুষের মনে ভাল কিছুর উদয় হোক, সেটাই তো আমরা চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.