নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান

লিটল রাইটার এবং জার্নালিস্ট

মোঃ রাকিব খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবেশ ও আমাদের অস্তিত্ব

০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৬


আমরা চারপাশে যা দেখি তাই নিয়ে আমাদের পরিবেশ। পরিবেশীয় উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে মাটি, পানি ও বায়ু যা নানাভাবে দূষিত হচ্ছে।দূষণ যেন আজকাল একটি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। পরিবেশ দূষণের ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ। মাটিতে আজকাল ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়। পলিথিন বা বিভিন্ন প্লাস্টিকজাত দ্রব্য মাটিতে ফেললে তা মাটি দূষণে ভূমিকা রাখে, কারণ প্লাস্টিক অপচনশীল।

পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু এই পানিই যদি দূষিত হয়, তাহলে তার প্রভাব হবে ভয়াবহ। শিল্প -কারখানার বর্জ্য নদী -নালার পানিতে ফেলার ফলে নদীর পানি ভীষণভাবে দূষিত হচ্ছে। এছাড়া মানুষসহ বিভিন্ন পশু - পাখির বিষ্ঠা পানিতে ফেলা হলে তা পানি দূষিত করে এবং বিভিন্ন রোগ -জীবাণু ছড়াতে ভূমিকা পালন করে। জলজ জীবের বাস্তুসংস্থানেও ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। মাছসহ বিভিন্ন জলজ জীবের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পানির অম্লত্ব বাড়লে মাছ মারা যায়।

বায়ুর মাধ্যমে দূষণ খুব দ্রুত ছড়ায়। কলকারখানার ধোঁয়া বায়ু দূষণ করছে। মরা জীবজন্তু যেখানে -সেখানে ফেলে রাখলে তা পঁচে বায়ু দূষণ করে।
গাছপালা পরিবেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনো দেশের শতকরা 25 % বনভূমি বা গাছপালা থাকা উচিৎ। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ক্রমবর্ধমান গাছপালা কর্তনের ফলে তা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বায়ুতে অক্সিজেন কমছে যা প্রাণীর জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। অপরদিকে বাড়ছে কার্বন ডাই অক্সাইড, যা গ্রীণ হাউজ প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। গ্রীণ হাউজ প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর তাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে। শিল্পোন্নত দেশের প্রচুর পরিমাণ কার্বন, সালফার প্রভৃতি দূষণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। বায়ুতে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, নাইট্রাইট, সালফার ডাই অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাসের উপস্থিতি বেড়ে গেলে অম্লীয় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।


বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন -খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প ইত্যাদি সংগঠনের পেছনেও পরিবেশ দূষণের প্রভাব রয়েছে। বেশি বেশি গাছ রোপন করলে তা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সহায়তা করে। বড় বড় বৃক্ষ ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়। এছাড়া অনেক গাছের ঔষধি গুণাবলীও বিদ্যমান। গাছ - পালা না থাকলে পৃথিবী মরুভূমিতে রুপান্তরিত হবে। ফসলের উৎপাদন বহুলাংশে কমে যাবে। খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপরও মারাত্নক প্রভাব ফেলবে। মানুষ পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পাহাড় - পর্বত, গাছপালা ধ্বংস করছে নির্বিচারে, নদীনালা ভরাট করছে। এসব কর্মকান্ডের ফল খুব সুখকর হয়ে ওঠে না সবসময়। প্রকৃতিও মাঝে মাঝে বিভিন্ন দুর্যোগের মাধ্যমে প্রতিবাদের ভয়াল থাবা মারতে পিছপা হয় না । যার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া মোটেও সহজ ব্যাপার হয়।
পরিশেষে বলা যায়, পরিবেশ স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক রাখতে হলে দূষণ কমাতে হবে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক গাছ লাগাতে হবে। তবেই সুন্দর, নির্মল পৃথিবীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:০৯

চাঁন্মিয়া বলেছেন: সুন্দর

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় ভুমিকা রাখুন; আমরা আপনাকে অনুসরণ করবো

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

মোঃ রাকিব খান বলেছেন: অবশ্যই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.