নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"The whole world is great ashtray\"

রাকীব হাসান

***আশা আছে বিন্দু বিন্দু তাই যুদ্ধ বেঁচে থাকার ***

রাকীব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজার কোটি টাকার ‘স্পেকটার্ম’ ওলোকে ফ্রি দিল বিটিআরসি !!!

১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭





বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি মাল্টি মিলিয়ন ডলারের স্পেকটার্ম বিনামূল্যে অনুমোদন দিয়েছে। মেসার্স নিউ জেনারেশন গ্রাফিক্স লিমিটেড বা এনজিজিএল নামে একটি প্রতিষ্ঠান এমন সুবিধা পেয়েছে যাকে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এনজিজিএল স¤প্রতি রাজধানী ঢাকায় ওয়াইমেক্স সেবা দিতে শুরু করেছে এবং তাদের ব্রান্ড পরিচিতি হচ্ছে ‘ওলো’।



এনজিজিএল’কে বিটিআরসি এমন স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয়ায় ইন্টারনেট সেবা ব্যবসায় আরেক ওয়াইমেক্স সেবা প্রতিষ্ঠান বাংলালায়ন এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে। বিনামূল্যে কোনো ওয়াইমেক্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয়া অবৈধ বলেও অভিযোগ তুলেছে বাংলালায়ন।



হাইকোর্টে এ ধরনের অবৈধ অনুমোদন প্রসঙ্গে বাংলালায়ন অভিযোগে দায়ের করা পিটিশনে বলেছে, ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড যা এনজিজিএলকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বিনামূল্যে এবং প্রায় একই সময় অর্থাৎ এধরনের ব্যান্ড অনুমোদনে সুইডেনে গত ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে একটি প্রতিষ্ঠানতে দিতে হয়েছে ২৩৩ মিলিয়ন ইউরো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যবসায় এধরনের স্পেকটার্ম অনুমোদন নিতে ডেনমার্কে খরচ পড়ে ৪ দশমিক ৩৮৫ বিলিয়ন ইউরো, জার্মানিতে দুই দফায় দিতে হয় ২ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ইউরো, ইতালিতে ২ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ইউরো, ব্রিটেনে ২ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ইউরো এবং যুক্তরাষ্ট্রে গুণতে হয় ১৯ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।



উচ্চতর আদালতে বাংলালায়ন আরো অভিযোগ করেছে যে এ বছরের শেষ দিকে ফিনল্যান্ডে ৮০০ মেগাহার্টজ স্পেকটার্ম অনুমোদনে একটি নিলাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে নিলামে ওই অনুমোদন পেতে কমপক্ষে ১শ’ মিলিয়ন ইউরো প্রদান করতে হবে।



আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে বাংলালায়নের পিটিশন নিয়ে আজ সোমবার শুনানি হতে পারে। এবং এ শুনানিতে অংশ নেবেন প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। বাংলালিয়নের আরেক আইনজীবী অনিক আর হক জানান, এধরনের স্পেকটার্ম অনুমোদনে বড় ধরণের আর্থিক ত্রুটি ধরা পড়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যখন সরকার একই ধরনের অনুমোদনের জন্যে শতশত কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে তখন কোনো প্রতিষ্ঠানকে মাল্টিমিলিয়ন ডলারের স্পেকটার্ম একেবারেই বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে।



বিটিআরসি কমিশনার এটিএম মনিরুল আলম জানান, এধরনের ৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড আšত্মর্জাতিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এনজিজিএল’কে এধরনের স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয়ার ব্যাপারে আšত্মর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের কোনো পরামর্শ নেয়া হয়নি। ২০১১ সালের ১০ আগস্ট সঠিকভাবে ব্যবহারের শর্তে এনজিজিএলকে ওই স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয় বিটিআরসি। গত ডিসেম্বর সরকার ওই অনুমোদন আরো ১৫ মাসের জন্যে বৃদ্ধি করে।



তবে বিটিআরসি বলছে এনজিজিএল’কে বিনামূল্যে স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয়া হয়েছে প্রত্যšত্ম গ্রামাঞ্চলে ডিজিটাল যোগাযোগে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করবে বলে। অনুমোদন পাওয়ার পর এনজিজিএল ৮০৬-৮১৬ মেগাহার্টজ এবং ৮৪৭-৮৫৭ মেগাহার্টজ এই দুই ব্যান্ডে যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় আইএসপি ও মস্কো ভিত্তিক মাল্টিনেট প্রতিষ্ঠান যাদের ব্রান্ড পরিচিতি ওলো তাদের সঙ্গে শুধুমাত্র ঢাকায় ব্যবসা করছে।





বিটিআরসির এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এনজিজিএলকে বিনামূল্যে স্পেকটার্ম অনুমোদন দেয়ার সুপারিশ আসে বলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বিটিআরসির কমিশনার মনিরুল আলম বলেছেন, ওই স্পেকটার্ম অনুমোদনের পর ৮০০ মেগাহার্টজে আর কোনো স্পেকটার্ম অনুমোদনের জন্যে অবশিষ্ট নেই। তিনি এও জানান, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন এধরনের দুটি ব্যান্ড ব্যবহার করছে। র‌্যাবের কাছ থেকে এনজিজিএল এধরনের ব্যান্ডউইথ ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে।





ওলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ছাড়াই ফোর জি তথ্যপ্রযুক্তি সমমানের সরঞ্জাম আমদানি করেছে এবং এলটিই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। অথচ এধরনের নেটওয়ার্কের অনুমোদন এখনো বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়নি। বিটিআরসি থ্রি জি, ফোর জি বা এলটিই লাইসেন্স প্রদানের জন্যে যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তার আগেই ওলো এধরনের নেটওয়ার্ক ঢাকায় ও যশোরে স্থাপন করেছে।





অথচ এলটিই লাইসেন্স ছাড়াই ওলো ঢাকায় ৮টি ও যশোরে ১টি ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক, কোর নেটওয়ার্কস ও এ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। তারা এখন এলটিই কার্যক্রম পরীক্ষায় করে দেখছে। ২০১০ সালে টেলিকম এ্যাক্ট অনুযায়ী কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স ছাড়া এধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্যে ৩ বিলিয়ন টাকা পর্যšত্ম জরিমানার বিধান রয়েছে।







মোবাইল ফোন অপারেটররাও বিনামূল্যে স্পেকটার্ম অনুমোদনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একটি শীর্ষ মোবাইল ফোন কোম্পানির পদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, অনেক কিছুই বলার থাকলেও বিটিআরসির কাছে আমাদের হাত পা বাঁধা বলে আমরা কিছুই বলতে পারি না।







এদিকে এলটিই ব্যবসা করতে ওলো যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি সম্পন্ন করেছে। আর এজন্যে ওলো ব্যবহার করেছে র‌্যাবের নাম। ফলে এক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেই মনে করছেন বিটিআরসির কমিশনার মনিরুল আলম।



Source

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

প্রীতম কুমার দাস বলেছেন: ++++

২| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অমৃত সুধা বলেছেন: গার্ডিয়ানকে ইউনূস:
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর আহ্বান
http://dhakajournal.com/?p=7388

৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আওয়ামী ডিজিটাল মাৎসানায়!!!!!!!!!!!!!!!!!!


প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করবে!!! এইরকম ালের যুক্তি লাইসেন্স দিল ওপেন দে...

দেখ কত হাজার হাজার পার্টি রাজি!!!

শালারা ডিজিটাল ভন্ড!

আজকে কত্তক লিংকু দেইখাতো অবাক!!!
ডিজিটাল যুবরাজের এই কাহিনী লেইখাই মাহমুদুর রহমান দেড় বছর জেল খাটল!!!

আচ্ছা তাতে কি কাহিনি মিথ্যা হইল? না ঢাকা পড়ল না সত্য বরেই আরও দৃঢ় ভাবে প্রমাণ হইল?

Corruption Allegations Surface Against Sajeeb Wazed Joy

Sajib Wajed Joy and Taufiq Elahir durniti

আরো হাজার লাখো তো চোখের আড়ালে.. সময় হলেই প্রমাণ সহ ধরা খাবে....

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৫২

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এক মেজর জিয়া মারা গেছে তাতে কি......সুনীল বাবু.........রাজু......এরা আছেনা দেশটারে ডিজিটাল বানানোর তালে.....।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.