নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"The whole world is great ashtray\"

রাকীব হাসান

***আশা আছে বিন্দু বিন্দু তাই যুদ্ধ বেঁচে থাকার ***

রাকীব হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পি এস সি (বি সি এস) পর্ব

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২২

বিসিএস এর প্রতি আমার কোন fascination ছিলনা কোন কালেই,সবাই যখন বিসিএস বিসিএস করত আমি তখন ছিলাম একেবারে anti বিসিএস,তারপর কিভাবে কিভাবে যেন আগ্রহ হল,এটা হতে পারে বাবা মা ২জনই সরকারি চাকুরীজীবী হওয়াতে আর আশে পাশের ক্যাডার দের দেখে।

সেই হিসেবে ধরতে গেলে ৩১তম ছিল আমার প্রথম বিসিএস,এর আগে ৩০ তম প্রিলি দিয়েছিলাম কিন্তু সেটা না দেয়ার মতই। তাই ৩১ তম প্রিলি তে দিলাম আন্ধা পড়া, প্রিলি তে হওয়ার পর প্রথম লিখিত হওয়াতে অনেক inspired ছিলাম। ছোটবেলা থেকে গল্পের বই,পত্রিকা,ম্যাপ এগুলোর প্রতি আগ্রহটা কাজে লেগেছিল তখন আর ভাইভা দিয়ে মনে হয়েছিল ওনারা আমার জন্য চাকরি নিয়ে বসে আছেন!!! শুধুমাত্র টেকনিক্যাল ক্যাডার এ লিখিত ও ভাইভা দেয়ার কারনে প্রত্যাশার পারদ তখন এভারেস্ট এর চূড়া পেরিয়ে মহাকাশে,অতঃপর রেজাল্টের দিন নিজের রোলটা ক্যাডার লিস্টে না পেয়ে আমার অবস্থা তখন দিশেহারা,আমার ফ্রেন্ডদের দু এক জন বাদে এমন কেও নেই যারা এগ্রি ক্যাডার পায়নি,আমার চেয়ে আমার কাছের মানুষেরাই মনে হয় অনেক বেশি অবাক হয়েছিল কারন টেকনিক্যাল ক্যাডার না হওয়ার কোন কারন ছিলোনা,মনে আছে টানা ১ মাস কেঁদেছিলাম।

এরপর আসি ৩২তম(নারী কোটা) এর ব্যাপারে,প্রিলি তে টিকার পরে রিটেনের জন্য কোন প্রস্তুতিই নেইনি,এক্সাম দিয়েছিলাম প্রচণ্ড বিরক্ত নিয়ে যেহেতু তখনও ৩১ এর ফাইনাল রেজাল্ট হয়নি কারন আমি ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি যে ৩১এ আমি ক্যাডার পাবোনা,৩২এর ভাইভা দিয়ে খুব বেশি আসা করিনি পোস্ট কম থাকার কারনে যদিও ভাইভা ভাল হয়েছিল এবং শেষে যথারীতি নন ক্যাডার।

৩৩ এর রিটেনে ২বেলা এক্সাম দিয়েও ভাল হয়েছিল...শুধুমাত্র ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা দিয়ে satisfied ছিলাম না ।অবশেষে ভাইভা দিয়ে এটাও নন ক্যাডার ...হায়রে কপাল!!

আমার পরিচিত কিছু কিছু ক্যাডার দের দেখলে মনে হয় এরা ক্যাডার না পেলে হয়ত অন্যায় হত আর কিছু ক্যাডার দেখলে মনে হয় এই দেশের দুর্বল বিচার ব্যবস্থার কারনে যেমন কখনো কখনো দাগি আসামি খালাস পেয়ে যায় এরাও তেমনি পিএসসির সাব স্ট্যান্ডার্ড সিস্টেমের কারনে ফাঁকফোকর দিয়ে ক্যাডার হয়ে গেছে!!!আমার সাথে অনেকেই একমত হবেন ৯০০ মার্কস এর রিটেন এক্সাম ১টা ফালতু সিস্টেম।

এখন আমি আমার আশে পাশের ক্যাডার দের উল্লাস দেখি আর নিজের চোখের পানি মুছি,পরম সৌভাগ্য বলতে হবে যে আমি খুব ভাল কিছু কাছের মানুষ পেয়েছি,এতগুলো ব্যর্থতার পরও আমাকে তেমন কোন কটু কথা শুনতে হয়নি,গত ২১তারিখে আমার ফোন বন্ধ পেয়ে আমার হাজবেনডের কাছে ফোন করে আমার আত্মীয়সজনরা সাহস ও উৎসাহ দিয়ে গেছেন বরাবরের মতো আর আমার মা তো আমার কান্না দেখে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা চলেই এলেন যাতে আমি ভেঙ্গে না পরি,এই স্নেহ ভালবাসা যেন আমাকে আরও ছোট করে দিচ্ছে নিজের কাছে।

আমাকে অনেকেই বলে তোমার চাকরি করার তো কোন প্রয়োজন নেই,কিন্তু প্রয়োজন টা তো এক এক জনের কাছে এক এক রকম,কারোর জন্য টাকাপয়সার আর কারোর জন্য নিজের পরিচয়ে পরিচিত হয়ে মাথা উঁচু করে চলার।

জগতে দুঃখ ,কষ্ট,বঞ্চনা,গঞ্জনার একটা মাত্রা থাকে...বিস্তৃতি থাকে কিন্তু কোন দায়বদ্ধতা থাকেনা,দায়বদ্ধতা থাকে স্নেহ ভালবাসার,সেটার ভার অনেক বেশি।

আবার হয়ত ঘুরে দাঁড়াবো,এক্সাম দিব...ক্যাডার ও হয়ত পাব...কিন্তু তখন দেখা যাবে ক্যাডার হওয়ার ইচ্ছেটাই মরে গেছে...



হৃদয় ছুয়ে যাওয়া লেখাটি Nishat sweety র ফেসবুক স্টাটাস থেকে নেয়া

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.