নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

রমিত

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।

রমিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো নবাব সিরাজউদ্দৌলার ২৮৭তম জন্মদিন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো নবাব সিরাজউদ্দৌলার ২৮৭তম জন্মদিন

-------------------------------------------------------- ড রমিত আজাদ



গতকাল ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ ছিলো বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব মনসুর-উল-মুলক সিরাজউদ্দৌলার ২৮৭ তম জন্মদিন। দিবসটি উপলক্ষে 'নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরিষদ' আয়োজন করে একটি আলোচনা সভার। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার বিষয় ছিলো

'অতীত ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে নবাব সিরাজউদ্দৌলার আত্মত্যাগের মূল্যায়ন'

প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করেছিলেন লেঃ জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান (সদস্য স্থায়ী কমিটি বি. এন. পি., সাবেক সেনা প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য)।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. রমিত আজাদ।



সভায় আরো বক্তব্য রেখেছেন ১। জনাব শফিউল আলম প্রধান (সভাপতি জাগপা), ২। বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম (বীর প্রতীক) (চেয়ারম্যান কল্যাণ পার্টি), ৩। মোহম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী (বিশিষ্ট কলামিস্ট) ৪। জনাব নবী চৌধুরী (প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ মুসলিম লীগ), ৫। উম্মুল খায়ের ফাতিমা (সম্পাদক সানন্দ) ৬। নবাব সিরাজউদ্দৌলার নবম বংশধর নবাবজাদা আব্বাসউদ্দৌলা, ৭। কর্ণেল ফেরদৌস আজিজ, ৮। কর্ণেল মণিষ দেওয়ান (পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী), ৯। মুহম্মদ তারেক চৌধুরী, ১০। তালুকদার মুনির, প্রমুখ। জনাকীর্ণ হলে সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি সমাজের গনমান্য ব্যাক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনাব রুহুল আমীন মল্লিক।







১৭২৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিরাজউদ্দৌলা নামক ফুট ফুটে সুন্দর এক ফুল ফুটল বাংলার বাগিচায়। এভাবেই জায়েন উদ্দিন ও আমিনা বেগমের ঘর আলো করে পৃথিবীতে আসেন সিরাজউদ্দৌলা। সিরাজের শিক্ষাজীবন কেটেছে নানা নওয়াব আলিবর্দী খানের কাছে। নবাব আলিবর্দী খান শাসনকাজ পরিচালানা ও একজন যুবরাজের জন্য দরকারি সব গুণাবলিতে তাঁকে পারদর্শী করে তোলার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখেননি। তাইতো আলিবর্দী খান ঘোষণা দিয়েছিলেন : “আমার পরে সিরাজউদ্দৌলা বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার মসনদে আরোহণ করবে”।

আলিবর্দী খান নিজেই ইরাজ খানের কাছে তার কন্যা লুৎফুন্নিসার জন্য সিরাজের বিয়ের প্রস্তাব দেন। ১৭৪৫ সালে দু’পরিবারের সম্মতিতে সিরাজ ও লুৎফার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়। তাঁদের ঘর আলোকিত করে একমাত্র কন্যা উম্মে জোহরা। বেগম লুৎফুন্নিসা ১৭৬৭ সালে কন্যা উম্মে জোহরাকে ১৪ বছর বয়সে সিরাজের ভাই ইকরামউদ্দৌলার পুত্র মুরাদউদ্দৌলার সাথে বিয়ে দেন। দুই আপন ভাইয়ের ছেলে মেয়ের বিয়ে হওয়াতে সিরাজউদ্দৌলার পরিবারের বংশের বাতি জ্বলতে থাকল, যা আজও বর্তমান।



বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করতে গিয়ে প্রথম শহীদ বীর নবাব সিরাজউদ্দৌলা। চার চারটি যুদ্ধের সফল অধিনায়ক, স্রেফ একটি বিশ্বাসঘাতকতার যুদ্ধে পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। মাত্র ১৪ মাস ১৪ দিনের রাজত্বকালের পুরো সময়টা কেটেছে অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্য দিয়ে। তা সত্ত্বেও তার দৃঢ়তা, সাহস ও স্বদেশ প্রেম তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দান করে।



পারিবারিক জীবনেও তিনি স্ত্রী লুৎফুন্নিসা এবং কন্যা উম্মে জোহরার সাথে সুখী জীবন যাপন করেছেন। সিরাজ ছিলেন আদর্শবান ও মহান দেশপ্রেমিক নবাব। আদর্শ চরিত্রের ছিলেন বলেই তার তরুণী স্ত্রী তার মৃত্যুর পর প্রায় অর্ধশতাব্দী স্বামীর কবরের পাশে একটি ছোট্ট কুটির নির্মান করে পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ে ইবাদত বন্দেগী করে বাকি জীবনটি কাটিয়ে দিয়েছিলেন।



১৯ সেপ্টেম্বর নবাব সিরাজউদ্দৌলার শুভ জন্মদিনে বাংলার প্রতিটি হৃদয়ের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছে, যাতে আগামী দিনগুলোয় লাল সবুজের বাংলায় সিরাজের আদর্শ, ভালোবাসা, চেতনায় জেগে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নবাব সিরাজউদ্দৌলার শুভ জন্মদিনে
চেতনা ফিরে আসুক সব বাঙ্গালীর প্রানে
ছিল স্বাধীন সূর্য এক বাংলার আকাশে
আও তার রোশনাই আছে টায় মিশে
বিশ্ববুকে গৌরব কত তার উন্নত শির জ
রাংলা , বিহার , উড়িষ্যার অধিপতি বীর
প্রজাপালনে ছিল নবাব অতিব দাম্ভিক
ঐতিহ্য আরাম আয়েশ ছিল ভক্ত সৈনিক
ইংরেজগন তার আদেশ পদ ধুলি লয়ে
বানিজ্য কুটি বসায় এই বাংলা আলয়ে
নবাবের জয়জয়কার ছিল বারমাস
শান্তির নীড়ে উদয় মীরজাফরের বাস
প্রাসাদ যরযন্ত্রে ডুবে তার ভাগ্যতরি
নিয়তির বিধানে নবাব গেল জগত ছাড়ি
আজও রয়ে গেছে তাঁর জৌলুস সুনাম
জানাই তার বিদেহী আত্মায় শ্রদ্ধা, ছালাম ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৭

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
যাক, জাইনে ভালো লাইগলো।
আদর্শ, ভালোবাসা, চেতনায় জেগে উঠুক প্রতিটি হৃদয় ...

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৭

রমিত বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৪

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: ১৯ সেপ্টেম্বর নবাব সিরাজউদ্দৌলার শুভ জন্মদিনে বাংলার প্রতিটি হৃদয়ের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করছে, যাতে আগামী দিনগুলোয় লাল সবুজের বাংলায় সিরাজের আদর্শ, ভালোবাসা, চেতনায় জেগে উঠুক প্রতিটি হৃদয়


অভিন্দন র'ল।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য -------

আগামী দিনগুলোয় লাল সবুজের বাংলায় সিরাজের আদর্শ, ভালোবাসা, চেতনায় জেগে উঠুক প্রতিটি হৃদয়

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

রমিত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.