নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সুরঞ্জনা\"সোনার খাঁচায় বন্দী যে জন -প্রেমিক মাতাল [email protected]

নুর ইসলাম রফিক

প্রেমিক মাতাল

নুর ইসলাম রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিন্তু না তোর জন্য নয় মহিউদ্দিন, সুরঞ্জনার একটি মাত্র কলের আশায়

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫

তুই বহুবার, বহুদূর থেকে আমার কাছে এসেছিস বন্ধুত্বের টান ও অধিকার নিয়ে।
আমি প্রতিবার তোকে ফিরিয়ে দিয়েছি দূর দূর করে।
যদিও প্রকাশ্যে নয় কৌশলে।
জানি তুইও তা বুঝে নিয়েছিস বহু আগেই।
তবুও আসিস বারবার আমার কাছে বন্ধুত্বের টান ও অধিকার নিয়ে।
আজও আসছিস। আমি আজও তোকে তাড়িয়ে দিয়েছি আগের মতোই।
তুই আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রতি বারের মতোই কোন রাগ অভিমান না করেই
চলে গেছিস।

তুই হয়তো এখনো বুঝতে পারিসনি, আমি আর আগের মতো নেইরে।
হয়তো বা বুঝতে পেরেয়েও না পারার ভান করে বারবার আসিস ফিরিয়ে নিতে আমায় বন্ধুত্বের মিলন মেলায়। আমি অনেক বদলে গেছিরে। আমি এখন আর আগের মতো বন্ধু সুলভ নেইরে। কেন নেই? তা তোর অজানা নয়। সেই সুরঞ্জনা'র প্রণয় মেলায় মেতে আমি মন হারিয়ে ফতুর হয়ে গেছি তা তো তোর অজানা নয়। এখন আর আমার পৃথিবীতে আমি ছাড়া কেউ আছে বলে আমার বোধ হয়না। আমার বোধ শক্তি আজ বিলিন। আমি এখন আড্ডাবাজ, নয়রে, এখন আমি একা থাকতেই ভালোবাসি। তাইতো পালিয়ে বেড়াই পরিচিত, অপরিচিত, আত্মীয়, স্বজন, পাড়া পড়শি, বন্ধু বান্ধব থেকে। এখন আর আমার কোন বন্ধু নেই। নেই কোন শুভাকাংখী ও। এখন আর আমি কারো প্রয়োজন বোধও করিনা। যেই আমি কোনদিন তোদের ফেলে একা থাকতে পারতাম না সেই, আমি এখন একা থাকাতেই সুখ পাই।

আমি এখন এতোটাই বদলে গেছিরে, যেমনটা বদলে যায় প্রকৃতি। বসন্তের পরে ঠিক যে ভাবে হুটহাট চলে আসে কাল বৈশাখ।

জানি আমার এই লেখাটা তোর দৃষ্টিতে পরবেনা। না পরারই কথা। কারণ তুই এতো আধুনিক নস। যতোতা আধুনিক ভাবে আমি এই লেখা প্রকাশ করছি।
তাইতো আমি এই লেখাটা লিখলাম। না হয় তোকে বলা বা লেখার সাহস হতোনা আমার। প্রতিবার যখন তোকে দূর দূর করে তাড়িয় দেই,
তুই চলে যাবার পর নিজেকে আর ক্ষমা করতে পারিনারে।
এক পলকে মনে পরে যায় আজ থেকে ছয় বছর আগের
তোর সেই উপকারের কথা। কোন দিন আমি তোর সেই উপকারের কথা ভুলতে পারবো নারে।

হয়তো তুই মনেই রাখিসনি, কি সে উপকার করেছিলিস তুই আমায়?
আর আমার খুব মনে পরেরে তোর সেই উপকারের কথা।
তখন নিজেকে খুব বেহায়া বেলাজ অকৃতজ্ঞ মনে হয়।
নিজেই নিজেকে দাড় করেয়ি দেই বিবেকের কাঠগড়ায়।
নিজেকে নিজেই ক্ষমা করতে পারিনা।


জানিনা তুই তোর এই অকৃতজ্ঞ বন্ধুটাকে ক্ষমা করতে পারবি কিনা।
তাই প্রকাশ্যে তোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার সাহস আমার নেইরে।
তাই বেহায়া বেলাজের মতো ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আড়ালে-
মহিউদ্দিন পারলে ক্ষমা করে দিস আমায় সেদিন। যেদিন এই লেখাটা তোর নজরে পরবে। আমার বিশ্বাস এই লেখাটা একদিন না একদিন তোর নজরে পরবে কোন ক্রমে।
জানিরে সেদিন তুই আমাকে ক্ষমা না করে থাকতে পারবিনা।
বরং আমার ফেলে আসা সৃত্বিগুলি তোকে সেদিন খুব কাদাবে।
তুই অঝোরে কাদবি চক্ষু লজ্জা ভুলে।
আর হাতে থাকা মোবাইলে খুজবি আমার পুরাতন ফোন নাম্বারটি।
জানিনা সেদিন আমি থাকব কিনা এই পৃথিবীতে!!
তবে নাম্বারটি ঠিকি খোলা থাকবে। যা এখনো খোলা আছে। কিন্তু না তোর জন্য নয় মহিউদ্দিন, সুরঞ্জনার একটি মাত্র কলের আশায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.