নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সুরঞ্জনা\"সোনার খাঁচায় বন্দী যে জন -প্রেমিক মাতাল [email protected]

নুর ইসলাম রফিক

প্রেমিক মাতাল

নুর ইসলাম রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ আগস্টের মীর জাফর খন্দকার মোশতাক আহমেদ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯


"১৫ আগস্ট ৭৫" এর মীর জাফর খন্দকার মোশতাক আহমেদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামে ৫ মার্চ ১৯১৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

শিক্ষা জীবনে খন্দকার মোস্তাক আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪২ সালে দিকে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ভুমিকা রাখেন সক্রিয় ভাবে ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনে। পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন খন্দকার মোস্তাক আহমেদ। ১৯৫৪ সালে আহমেদ যুক্তফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থি হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হোন। ১৯৩৫ সালের কেন্দ্রীয় সরকার আর্টিকেল ৯২-এ ব্যবহার করে যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙ্গে দিলে ১৯৫৪ সালে তাকে কারা বরণ করতে হয়। ১৯৫৫ সালের দিকে তিনি কারামুক্ত হয়ে আবার সংসদে যুক্তফ্রন্টের চিফ হুইপ হিসেবে নির্বাচিত হোন। তিনি আবার কারাবন্দি হোন ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করার পর। ১৯৬৬ সালে ছয়-দফার সমর্থন করায় তাকে আবার কারা বরণ করতে হয়। সে সময়ের ১৯৬৯ সালে দেশের আটটি রাজনৈতিক দল আইয়ুব বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করলে তাতে খন্দকার মোশতাক আহমেদ পশ্চিম পাকিস্তান অংশের সমন্নয়ক ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন ১৯৬৯ সালে রাওয়ালাপিন্ডিতে আইয়ুব খানের ডাকা গোল টেবিল বৈঠকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হোন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকারে তিনি পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে তিনি বিদ্যুত, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দ্বায়িত্ব পান। ১৯৭৫ সালে তাকে অর্থমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি বাকশালের কার্যকারি কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ৭৫ এর মীর জাফর খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরোক্ষ মদদে কিছু সেনা কর্মকর্তা কর্তৃক বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি "জয় বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি "বাংলাদেশ বেতার" এর এই নাম পরিবর্তন করে "রেডিও বাংলাদেশ" করেন। তার শাসনামলে তার মদদে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যাপ্টেন মোঃ মনসুর আলী ও এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (৩ নভেম্বর) হত্যা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর সেনা বিদ্রোহের দ্বারা মাত্র ৮৩ দিনের মাথায় অপসারিত হন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনি ৭৫ এর মীর জাফর মোশতাক আহমেদ ১৯৭৬ সালে ডেমোক্র্যাটিক লীগ নামক এক নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। একই বছর সামরিক শাসককে অপসারণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২ টি দুর্নিতির অভিযোগ আনা হয় এবং আদালত তাকে ৫ বছরের শাস্তি প্রদান করা হয়। জেল থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন।

১৯৯৬ সালে ১৫ আগস্ট ৭৫ এর মীর জাফর খন্দকার মোশতাকের ঠিক জন্ম তারিখ ৫ মার্চে মৃত্যু বরণ করেন।

তথ্যসূত্রঃ- উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

এস ওয়াই গ্লোবাল এলটিডি বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক ভাল লাগল । শুভ কামনা রইল নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভাল লাগা ভাল থাকুক।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভ কামনায়।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

শুভ্র বিকেল বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক কিছু জানা হল। শুভেচ্ছা জানবেন। পোস্টটি দুবার আসছে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি এর আগে কেউ করেছেন আমার জানা ছিলনা।
যাই হোক কে কবে করেছেন একটু জানাবেন কি?

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

আহা রুবন বলেছেন: দুবার মানে দুবার পেস্ট করেছেন। ভাল করে পড়ে এডিট করেন। ভাল লাগল এই শয়তানের সম্পর্কে জেনে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রশংসা ও ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য/

ভাই এটা আমার নয় সামু/মডুদের কান্ড।
আমি তো শুধু মাত্র মাইক্রোসফট ওয়ার্ড থেকে একবার কপি করে এনে একবার পোস্ট করেছি মাত্র।
কিন্তু পোস্ট বকসে দুইবার পেস্ট হয়ে আছে।

যদিও এটা নতুন নয়। বহুবার এমনটা হয়েছে। অন্যবার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সচেতন থেকে সংশোধন করে নিতাম।
কিন্তু এবার তো বহুদিন পর সামুতে আসা তাই সেই অভিজ্ঞতাটা ভুলে গিয়ে ছিলাম বলে যাচাই না করেই পোস্ট করে দিয়েছি।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শয়তানী পোস্টে +

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ঠিক বুঝ উঠতে পারলাম না।
দয়া করে একটু বুঝিয়ে দেবেন কি?

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোস্তাক আওয়ামী লীগের মাঝে সিআইএ'র লোক ছিল, ব্যক্তিগতভাবে ক্যাৈটেলিজমের পুজারী ছিল

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: জানতাম না তো। অজানা তথ্য জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় চাঁদগাজী।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৩

শুভ্র বিকেল বলেছেন: না না ভাই আমি সেটা বলি নি। আমার কাছে তখন মনে হল একই পোস্ট দুবার হয়েছে এখানে। এখন ঠিক আছে দেখছি। হয়ত আমার বোঝার ভুল ছিল। ধন্যবাদ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:১১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: নাই ভাই আপনার ভুল ছিলনা। সত্যি লেখাটা দুবার হয়ে গিয়েছিল। যদিও আপনারা মন্তব্যে বুঝতে পারিনি তখন।
আপনার মন্তব্যের নিচে আহা রুবন ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছেন। পরে আমি সংশোধন করে নিয়েছি বলে এখন আপনি ভেবে নিয়েছেন আপনার বোঝার ভুল হয়েছে।

ভুলটা নিয়ে আহা রুবন ভাইর মন্তব্যের প্রতি উত্তরে সংক্ষিপ্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি দেখে নিতে পারেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এভাবেই প্রতিবার ভুল ধরে দিয়ে সংশোধন করার সুযোগ করে দেবেন আশাবাদী।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৭

কোলড বলেছেন: Actually, the seed of assassination was planted during liberation war when Kh. Mushtaq, as the foreign minister, tried to open a channel to Pakistan govt. Indira got wind of it and had Tajuddin Ahmed removed Mushtaq from his position. It was said that Mushtaq was roughed up in one of the meeting when he tried to raise the issue of negotiation with Pakistan.

You need ot remember that Mushtaq didn't initiate the coup. He had a personal grudge against Tajuddin and got his revenge by that 4 leader killing in prison. But you can't blame him for Mujib assassination.

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আমি ইংরেজী মোটেও পারদর্শী নই।

তবুও আমার মনে হচ্ছে আপনার ইংলিশ মন্তব্যটা বাংলায় অনেকটা এরকম-

প্রকৃতপক্ষে, খুনের বন্যায় মুক্তিযুদ্ধের সময় খুনের বীজ বপন করা হয়। মুশতাক, বিদেশি মন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান সরকারকে একটি চ্যানেল খুলতে চেয়েছিলেন। ইন্দিরা এটিকে বাতাস দিলেন এবং তাজউদ্দীন আহমদ মুশতাককে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। বলা হয় যে পাকিস্তান সফর নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি মুশতাকের এক বৈঠকে মিলিত হন।

আপনার মনে রাখতে হবে যে মুশতাক অভ্যুত্থান শুরু করেননি। তিনি তাজউদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ৪ জনকে কারাগারে হত্যার প্রতিশোধের সম্মুখীন হন। কিন্তু মুজিব হত্যার জন্য আপনি তাকে দোষ দিতে পারেন না।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:২৯

নীলপরি বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ভালো লাগলো ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিলাপু পাঠ মন্তব্য এবং ভাললাগার জন্য।
তা কেমন আছেন নিলাপু।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

নীলপরি বলেছেন: ভালো আছি । আপনি কেমন ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: নিলাপু আপনি ভাল আছেন জেনে ভাল লাগলো।
আমিও খারাপ নেই আপু আমার সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.