নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সুরঞ্জনা\"সোনার খাঁচায় বন্দী যে জন -প্রেমিক মাতাল [email protected]

নুর ইসলাম রফিক

প্রেমিক মাতাল

নুর ইসলাম রফিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষে পান্তার সাথের ইলিশ পরিত্যাগ করা উচিত

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:২০

বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব পয়লা বৈশাখ (নববর্ষ) উদ্যাপনের সঙ্গে পান্তা ও ইলিশের কোনো সম্পর্ক ছিলনা। বাংলা নববর্ষে পান্তার সাথে ইলিশ মাছ ভোগ একধরনের নব্য-বাঙালিয়ানার প্রচলন তৈরি করা হয়েছে।

এভাবে উন্মাদনা বা ঘটা করে ইলিশ মাছ খাওয়ার অনেক গুলি ক্ষতিকারক দিক আছে। এ সময়ে ইলিশের উৎপাদন কম থাকে। বাজারের চাহিদা বাড়াতে গিয়ে ঝাটকা প্রচুর নিধন হয়। এ সময় ইলিশের ডিম পারা ও বাচ্চা ফুটানোর মৌসুম থাকে। এই মৌসুমি বেলা ঝাটকা নিধন ও মা ইলিশ ধরে ফেলায় ইলিশের উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাছাড়া বৈশাখের গরমে ইলিশ খাওয়া সাস্থ্য সম্মত নয়।

অতিতে নববর্ষ পালনে পান্তা-ইলিশের প্রচলন কখনোই ছিল না। এটা আশির দশকে সৃষ্টি নব্য-বাঙালিয়ানা প্রথা। তাই আমাদের নববর্ষে পান্তার সাথের ইলিশ পরিত্যাগ করা উচিত। নববর্ষ উদ্যাপনে এভাবে পান্তা ইলিশ খাওয়ার মধ্য দিয়ে দরিদ্র বাঙালিদের সাথে ঠাট্টাও করা হয়। কারণ দরিদ্ররা এমন সময় এতো দামে ইলিশ কিনে খাওয়ার ক্ষমতা রাখেনা। এমন নব্য সৃষ্টি প্রথা ও দারিদ্র ভাঙালিদের সাথে ঠাট্টা থেকে সকল বাঙালিজাতিকে বিরত থাকার আহবান জানিচ্ছি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৩৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
পাবলিক তা কক্কনে করবে না।
ট্রেডিশন বলে কথা।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:০১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আমার মনে হয়না এমন হবে। কারণ এখন মানুষ অতিতের দিনগুলির চেয়ে অনেক বেশী সচেতন।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:২০

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: যার টাকা ওড়ানোর দরকার সে ওড়াবে, আপনি আমি বলার কে? আপনি বরং নতুন বানানো একটা শোভাযাত্রা নিয়ে বলতে পারেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:২৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আমার বানানো নতুন সেই শোভাযাত্রাটা হতে পারে পান্তার সাথের ইলিশ ত্যাগ করে বৈদেশিক আয়ের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ইলিশ রক্ষা করা। এবং এর উৎপাদন বৃদ্ধি করা। মাননীয় দপ্তরবিহীন মন্ত্রী কি তখন আমার সঙ্গে থাকবেন?

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৩৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অবশ্যই থাকব যদি পেঁচা, মুখোশ আর শোভাযাত্রার নামটা বদলান।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কিন্তু কেন ঐ সব নাম গুলি বদলাতে হবে?
যদিও আপনার উত্তর ধারণা করছি। তবুও আপনার থেকে শুনতে চাই।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখছেন, 'ব্লগার দপ্তরবিহীন মন্ত্রী' কিভাবে "শর্ত" দিয়েছেন? এভাবে, ১৭ কোটী বাংগালী ৩৪ কোটী ভাগে বিভক্ত এখন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এই বিভক্তির দায় কি আমরা এড়াতে পারি?
এই দায় কি আমাদের ধারা সৃষ্টি নয়?
সংস্কৃতির সাথে ধর্মের সাংঘর্সিকতাই কি এই বিভক্তির একমাত্র কারণ?
এ রকম বহু প্রশ্ন মনের মাঝে জাগিয়ে দিলেন " ১৭ কোটী বাংগালী ৩৪ কোটী ভাগে বিভক্ত" মনে করিয়ে দিয়ে।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:০৭

পিকো মাইন্ড বলেছেন: নববর্ষই তো চালু হয়েছে কয়েক দশক আগে। ইলিশ বয়কট করা বাঙগালির ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে একটি প্রবল ষড়যন্ত্র।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২০

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: নববর্ষ উদযাপন হয়ে আসছে বাংলা সন গণনার সাথেই।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৩১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: জেগে ঘুমালে কাউকে জাগানো কঠিন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: এ দেশে এখন আর কেউ ঘুমন্ত অর্থাৎ অসচেতন নয়। ধর্মের সাথে সংস্কৃতির সাংঘর্ষিকতা এটা স্বাভাবিক। ধর্মিয় সংস্কৃতিতেও ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিকতা আছে।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


@দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ,

লেখক বলছেন যে, পান্তা ইলিশ বয়কট করতে, আপনি শর্ত দিচ্ছেন, পেঁচা মেচা, শোভাযাত্রার নাম বদলাতে; উনি কিভাবে সেখানে হাত দেবেন, উহার সেই ক্ষমতা আছে? আপনারা আসলে সেলুকাস!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:২৪

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ঐতিহ্য বা সাংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বদলানো মানে এটাকে ধংস করা। তবে ঐতিহ্যতে নব্যতা সৃষ্টি ও অপসংস্কৃতি বদলানো বা ধংস করা সকল নাগরিকের জন্য অতি জরুরি।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:০১

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: @ চাঁদগাজী - লেখক বলেছেন নতুন শোভাযাত্রায় যাওয়ার কথা। বর্তমান শোভাযাত্রায় যাওয়া সম্ভব নয় তাই বলেছি। ধন্যবাদ।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যার টাকা আছে সে বাজার থেকে কিনে খাবে। নদী থেকে ধরে না খেলেই হয়। পুলিশের উচিত নদীতে ইলিশ ধরতে না দেয়া। বাজারে সরবরাহ না থাকলে খাওয়া এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা একটা গ্রুপ ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন বন্ধ করেছি এক দশকের বেশি সময় নিয়ে এবং আমাদের প্রতিশ্রুতি চলছে। কাল বাজারে দেখলাম ১৮০০ টাকা কেজিতে ৯০০ গ্রাম/ ১ কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে । বাঙ্গালির জীবনে একটা পরিচ্ছন্ন উতসব এসেছে তাতে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যোগ দেই নানা কর্মকাণ্ডে । যাদের সামর্থ্য আছে তারা নতুন কাপড় কিনছে । গোটা বিষয়টাকে একটা উৎসব আকারে নিয়ে আসতে আপত্তি থাকার কারন খুজে পাই না। বাংলা সন উদযাপন অনেক আগে থেকেই ম্যায় কি হাইজ্যাক করা আকবরের চাদাবাজির সন সৃষ্টির আগে থেকে । উৎসবে রঙ লেগেছে ৮০র দশকের পর থেকে। চালিয়ে যাও বাঙ্গাল , আমি পেচা মেচায় আনন্দ পাই ।

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

ক্স বলেছেন: - প্যাঁচা লক্ষী দেবীর বাহন। এটি দেশে ব্যাপক আকারে দেখা যায়না। বাঙালি সংস্কৃতির সাথে প্যাঁচার কোন রকম কোন সম্পর্ক নেই।
- মঙ্গল শোভাযাত্রা বলতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে কৃষ্ণ ভক্তরা যে শোভাযাত্রা বের করে, সেটিকে বোঝায়।
- জীব জন্তুর মুখোশ পরা মানবতার অবমাননা এবং অর্ধসভ্য জংলিদের উৎসব কালচার। বাঙালি সেই তুলনায় যথেষ্ট আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন।

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: যদি স্বর্গে যেতে চান
ইলিশ দিয়ে পান্তা খান

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

ইনাম আহমদ বলেছেন: "বর্ষার মাঝামাঝি।

পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার মরশুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনো সময়েই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলো অনির্বাণ জোনাকির মতো ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে–নৌকার আলো ওগুলি। সমস্ত রাত্রি আলোগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় ম্লান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সংকেতের মতো সঞ্চালিত হয়। এক সময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়। শহরে, গ্রামে, রেলস্টেশনে ও জাহাজঘাটে শ্রান্ত মানুষ চোখ বুজিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। শেষরাত্রে ভাঙা ভাঙা মেঘে ঢাকা আকাশে ক্ষীণ চাঁদটি উঠে। জেলে নৌকার আলোগুলি তখনো নেভে না। নৌকার খোল ভরিয়া জমিতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লণ্ঠনের আলোয় মাছের আঁশ চকচক করে, মাছের নিষ্পলক চোখগুলিকে স্বচ্ছ নীলাভ মণির মতো দেখায়।"
পদ্মা নদীর মাঝি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
পোস্টের লেখক বয়সে অনেক প্রবীণ। তাঁর এটা মনে রাখা উচিৎ ছিলো, আগে মানুষ পয়লা বৈশাখে চাইলেও ইলিশ খেতে পারতো না, কারণ কোল্ড স্টোরেজে ইলিশ রাখার ভালো ব্যবস্থা ছিলো না। এখন পারে কারণ ইলিশের মৌসুমে ধরা ইলিশ সারাবছর সংরক্ষণ করে রাখা যায়।
ইলিশ নদীর মাছ নয় আসলে, সামুদ্রিক মাছ। ডিম পাড়ার মৌসুমে এগুলো দল বেঁধে নদীর ভেতরে প্রবেশ করে। বর্ষা থেকে শীতের মাঝামাঝি একটা সময়ে এগুলোকে নদীতে পাওয়া যায়। বাদবাকি মৌসুমে যেসব ইলিশ ধরা পড়ে সেগুলো নদীর মোহনা অন্ঞ্চল ও সমুদ্র থেকে ধরা হয়।
আমার বাবা-চাচারা গল্প করেন, ইলিশের মৌসুমে আগে এতো ইলিশ পাওয়া যেত যে সেগুলো খেয়ে মানুষ পেটের রোগে ভূগতো। পরিবহন ব্যবস্থা এতোটা ভালো ছিলোনা, সংরক্ষণও করা যেত না বেশীদিন। আর ইলিশ মাছটা আসলে বেশীদিন রাখাও যায়না, খুবই নরম মাছ। আমি কোল্ড-স্টোরেজ যুগের বাচ্চা, জন্ম থেকে ইলিশ সারাবছর দেখে আসছি।
পয়লা বৈশাখ ইলিশের সংকটের কারণ নয়, ডিমপাড়ার সময়ে ইলিশ ধরা ও জাটকা ধরার কারণে ইলিশের দুর্দশা ছিলো মাঝখানে কিছুদিন। সরকারকে ধন্যবাদ, সেটা এখন অনেকটা বন্ধ করা গেছে। আত্মীয় কেউ মৎস্য অধিদপ্তরে থাকলে জিজ্ঞেস করে দেখবেন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়টা কখন।
তবুও দেশে ইলিশের কখনো কখনো সংকট হয় কারণ, কলকাতার দাদারা মাছটা খুব পছন্দ করেন বলে দেশের বাজারে না দিয়ে ওগুলো চোরাচালানে স্বদেশী হিন্দুদের মতো ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। কোস্টগার্ডরা আজকাল অনেক সচেতন হওয়াতে সেটাও কমে গেছে।
বৈশাখে যে ইলিশ পাওয়া যায় সেটার সিংহভাগই আগের বছরের স্টক। ফ্রীজে ঠান্ডা করা মাছগুলো এখন বিক্রি না হলে কিছুদিন পরেই যে নতুন মৌসুম আসবে সেই মাছগুলো রাখবে কই? হয় ফেলে দিতে হবে, নাইলে ডাম্পিং করতে হবে। আর ডাম্পিংয়ের চেয়ে দেশের বাজারে দেয়াটাই কি ভালো নয়?
দাম বেশী কেন? এটার জন্য মুদ্রাস্ফীতি, সরবরাহ-মূল্যের সম্পর্ক, চাহিদা ও মূল্যের সম্পর্ক বিষয়গুলো আগে বুঝতে হবে। হুজুগে বাঙালী হলেও, বিগত কয়েক দশক ধরে যে বৈশাখে ইলিশ খাওয়াটা আমাদের ঐতিহ্য হয়ে গেছে সেটাকে অস্বীকার করা অর্থহীন।
আর অবশ্য আমরা দুর্ভাগা জাতি। সেদিন আমার এক বন্ধু প্রশ্ন করছিলেন, "আমি বাঙালি হিসেবে বাংলা বছরের প্রথম দিন কীভাবে উদযাপন করবো সেটা ঠিক করে দেবার অধিকার অন্যদের কে দিয়েছে?" সকালে একটা লেখা পড়ছিলাম। আমরা এখনো দ্বিধায় আছি স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিলেন। আমরা জানিনা আমাদের নীতি কি ইসলামপন্থী না ধর্মনিরপেক্ষতা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যৌক্তিকতা নিয়েও বহু প্রশ্ন ওঠে। জাতি হিসেবে আমরা কি বাঙালী না বাংলাদেশী সেটাও ঠিক একমত হতে পারিনা আমরা। অসাম্প্রদায়িকতা না মৌলবাদ ঠিক কোনটা আমাদের জন্য সঠিক সেটাও আমরা জানিনা। আর রইলো পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারী।
নববর্ষের শুভেচ্ছা সকলকে। শুভ নববর্ষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.