নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের সম্পর্কে আলাদা ভাবে কিছুই বলার নেই। খুব সাধারন মানুষ। অন্য আট, দশজনের মতোই।

রাসেলহাসান

লেখালিখি করতে ভালো লাগে তাই লিখি। নতুন কিছু ক্রিয়েট করতে সব সময় ভালো লাগে। ফেসবুক লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/rasel.hasan.7

রাসেলহাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তোমাকে লেখা, এটাই আমার শেষ চিঠি!!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৭

জানি তুমি অনেক সুখেই আছো। সুখে থাকাটাই স্বাভাবিক।

তোমার স্বামী অনেক বড় ব্যাবসায়ি! টাকা পয়সার কোন অভাবই থাকার কথা না। তুমিতো চেয়েছিলেই তোমার বিয়ে হোক কোন বড়লোক টাকা ওয়ালা ছেলের সাথে। তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হয়েছে।



আমার মত চাল চুলোহীন ছেলে তোমাকে কি বা দিতে পারতো?

ভালোই করেছো আমাকে ত্যাগ করে।

তুমি সুখে থেকো সব সময় এই দোয়ায় করি "সৃষ্টি কর্তার" কাছে!

শুধু পুরনো কিছু সৃতি আজো ভুলতে পারিনা।



মাঝে মাঝে বুকের ভেতরটায় চাঁপা ব্যাথা অনুভব করি।

ছন্নছাড়া জীবনে আমার আছেই বা কি বল?

স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে একটা ছোট্ট ঘর বাঁধবো।

যেখানে তুমি আর আমি ছাড়া অন্য কেউই থাকবেনা।



আমাদের দুজনের একটা নতুন পৃথিবী হবে, যে পৃথিবীতে শুধু তুমি আর আমিই থাকবো। স্বপ্নের পৃথিবীটাকে লাল, নীল রঙে সাজিয়ে রঙ্গিন করে দিবো।

আমাদের আকাশটাতে কখনো দুঃখের মেঘ জমবেনা,

শুধু আলো আর আলোই থাকবে। কিন্ত সেই স্বপ্ন আজ স্বপ্নেই থেকে গেলো।

আজ আমার পৃথিবীটাতে দুঃখ আর কষ্ট ছাড়া আর কিছুই নেই।

স্বপ্নের আকাশটাতে দুঃখের অন্ধকার মেঘ জমেছে।



কষ্ট গুলো আজ দু চোখের পাতায় ভর করেছে।

মাঝে মাঝে দুঃখ গুলো বৃষ্টির ফোঁটার মত অশ্রু হয়ে অঝোরে ঝরতে থাকে।

জানো যে আমাকে সব থেকে বেশী ভালোবাসতো,

যে তোমার মাথায় হাত রেখে বলেছিল বেঁচে থাকো মা' সব সময় সুখে থেকো।

সেই বাবা আজ আমার পাশে নেই।

২ মাস আগে আমার বাবা আমাকে একা করে চলে গেছে না ফেরার দেশে!



বাবা সব সময় একটা কথা বলতো,

জীবনে কখনো ভেঙ্গে পড়বেনা, সব সময় নিজেকে সামলে রাখবে! পরাজয় মেনে নেয়ার নাম জীবন না" হাঁসি কান্নার মাঝে বেঁচে থাকার নামই হচ্ছে জীবন।



আজ আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ছে।

আমার মন খারাপ থাকলে বাবাই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিতো।

আজ আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত পাশে কেউই নাই!

আমি বোধহয় বাবার কথা গুলো রাখতে পারলাম না।

নিপা" আমি আজ সত্যিই হেরে গেছি। জীবন যুদ্ধে আমি এক পরাজিত সৈনিক। ভালোই করেছো আমার মত ছেলের সাথে সম্পর্কে না জড়িয়ে।

ভার্সিটিতে আমাদের এতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দেখে সবাই হিংসা করতো।

সবাই বলতো তোরা অনেক সুখি হবি।



তোমার কি মনে আছে নিপা?

তোমার যেদিন জ্বর হয়েছিল সেদিন আমি সারা রাত তোমার বাড়ির সামনে বসে ছিলাম তোমাকে একবার দেখব বলে।

তোমার বাবার ভয়ে বাড়িতে ঢুকতে পারিনি,

সকালে কাজের মহিলাকে দিয়ে তোমার কাছে খবর পাঠিয়েছিলাম।

পরে তুমি কি রাগটায় না করলে আমার উপরে।

বলেছিলে আমি একটা "পাগল"



সত্যিই নিপা আমি একটা পাগল, যে তোমাকে এখনো পাগলের মত ভালোবাসে।

শুধু তোমার সৃতি ভুলতে না পেরে আজো কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারিনি।

আর কখনো পারবেও না। বিয়ে করে কি বা করতাম বল?

আমি কি সেই মেয়েটাকে ভালবাসতে পারতাম?

ওই মেয়েটা কি সুখি হতো?

আর আমার ছোট খাটো চাকরীতে হয়ত মেয়েটার পোষাতোও না।

মেয়েটার তোমার মত উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্বপ্নও থাকতে পারতো।



আমার মত ছেলের জন্য বিয়ে না! আমার মত ছেলের কপালটায় এমন।

আর কার জন্যই বা বিয়ে করবো বল?

বাবা-মা কে দেখা শোনার জন্য?

তুমিতো জানোই নিপা, আমি খুব ছোট থাকতে আমার মা মারা গেছে!

মায়ের ভালোবাসা যে কি জিনিস সেইটা আমি বুঝিনা।

মায়ের আদর আমি পাইনি। আর বাবা তো চলেই গেলো।

তোমাকে এসব বলেই বা কি হবে?



তোমার তো কোন কিছুর অভাব নেই। তোমার তো সবই আছে।

বাবা-মা, স্বামী, সংসার। তুমি সুখে আছো। আরো সুখে থাকো।

তোমার জীবনে কখনো যেন কোন আঁধার নেমে না আসুক

আমি "সৃষ্টি কর্তাকে" সেটা বলবো।



ও তোমাকে একটা কথা বলা হয়নি, এটাই আমার তোমাকে লেখা শেষ চিঠি!

এই চিঠিটা তোমার কাছে পৌঁছাবে কিনা, আমি জানিনা।

কে পৌঁছাবে বল? আমিতো এই পৃথিবীতে আর অল্প কিছু সময় বেঁচে আছি!



জানো? আমি ৩০ টা ঘুমের বড়ি খেয়ে ফেলেছি! যে ছেলে কখনো,

কোন নেশা বা ঘুমের ওষুধ খেতে ভয় পেতো সেই ছেলে আজ

এতো বড় সাহস করে ফেলেছে।

আজ এই অরণ্য চিরতরে পৃথিবীকে বিদায় জানাবে।

আমার মাথাটা না ঝিম ঝিম করছে! তুমি যদি এই চিঠিটা পাও

তবে আমাকে দেখতে এসোনা।

আমি তখন অনেক দূরে থাকবো।

ওই নীল আকাশ জুড়ে থাকবো!

তোমার পাশেই ছায়া হয়ে থাকবো।

কখনো তোমার স্বামীর মনে দুঃখ দিওনা, প্লিজ!

তাকে অনেক ভালোবাসা দিও।

সব সময় ভালো থাকবে। আর আমার কথা মনে করে কখনো যেন তোমার চোখে

এক ফোঁটাও পানি না জমে!

তাহলে কিন্ত আমি অনেক কষ্ট পাবো।

"সৃষ্টি কর্তার" কাছে আমি অনুরোধ করবো তিনি যেন, কখনো তোমার জীবনে দুঃখের ছায়া না দেই। আমার বোধহয় যাবার সময় হয়ে গেছে। বাবা-মা আমাকে ডাকছে, বিদায় জানাচ্ছি তোমায়, কখনো ভুলোনা আমায়...



ইতি, তোমাকে যে মৃত্যুর পরো ভালোবেসে যাবে।।

অরণ্য"

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: হইছে!!!
এমন ছেলের দরকার নাই, প্রেম ভালবাসা বিশ্বাসও করিও না আবার করিও । বিয়েও বিশ্বাস করিও না করিও.. লিভ টুগেদার করল কি করল না তাতেও মাথা ব্যথা নাই ।

বিয়ে করলে আলাদা হতে একটু কষ্ট পোহাতে হয়. এতটুকুই !

দুই চোখে না দেখেও ভাল লেগে যায় তবুও সম্পর্ক থাকে না আবার দুই চেখে দেখে পড়লেও টিকে যায় না !

আবার না দেখেও সম্পর্ক জোড়া লাগে এবং লেগে থাকে আর অমিল অমত নিয়েই সারা জীবন পাড় করে দেয় !
একদিনের সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে । যে সারা জীবন রাখে সেটাই হল প্রকৃত । :)

ভাল থাকুন । .. সুন্দর গল্প হিসেবে গ্রহন করলাম ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

রাসেলহাসান বলেছেন: প্রেম ভালবাসায় না জড়ানোটায় ভালো।
আর কোন প্রেম যে সারাজীবন টিকবে সেটাও নির্দিষ্ট করে বলাও যায়না। আপনার মতামত গুলো ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন। :)

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৯

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: যদিও মনে হচ্ছে চিঠিটা কাল্পনিক। তারপরও বাস্তব হলে আমার উপলব্ধি আর মন্তব্য যা হতো ঐ ছেলেটার উদ্দেশ্যে,
শালা ভোদাই কোথাকার, মরবিই যখন তখন মেয়েটাকে চিঠিটা লিখতে গেলি ক্যান!!!! আর ছেলে মানুষ ঘুমের ওষুধ খাইলে তারে আমার থাপ্পড় ইচ্ছা করে। বালের চিঠি লিখছ তুমি আমার।

উল্লেখ্য, ব্লগার ভাইকে আমি কোন খারাপ কটূক্তি করিনি। উনি ওনার সুন্দর লেখনীতে এক 'ভোঁদাইয়ের' সুন্দর কাহানি তুলে ধরেছেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

রাসেলহাসান বলেছেন: থাক ভাই, বেচারা রে আর গাল দিয়েন না। সহ্য করতে পারবেনা। গল্পটা কাল্পনিকই। :) ধন্যবাদ মত প্রকাশের জন্য। ভালো থাকবেন।

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভোরে এমন একটি চিঠি পড়তে ভালই লাগলো,,,,,,,,,,,,,শুভকামনা,,,,,,,,,,,

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২১

ভিটামিন সি বলেছেন: দেশের সব কিছুই কি দুই নম্বর নাকি??? ৩০টা ঘুমের বড়ি খাইয়াও আবুল জাইগ্যা আছে আবার কোবতেও প্রসব করতেছে ব্লগে??? ভাইরে ১২ টা সিডাকসিন খা। কারবার শেষ। ভালোবাসা না পাওয়ার দুঃখ নিয়া বাইচ্যা থাইক্যা লাভ নাইক্যা।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩০

রাসেলহাসান বলেছেন: :) ধন্যবাদ, ভিটামিন ভাই। মন্তব্য করার জন্য। ;)

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

রবিউল ফকির বলেছেন: এত আবেগী প্রেমিক হওয়া ঠিক না। তবে সত্যিই গল্পের হিরো একজন বোধাই। শুদু বোধাইনা রাম বোধাই। এই যুগে ছেলে মেয়েরা প্রেম করবে একজনের সাথে আর বিয়ে করবে অন্য জনকে এইটাই বাস্তব। কারন হলো প্রেম হয় চোখের দেখায় আর বিয়ে/সংসার হয় মনের দেখায়। তবে প্রেম করে বিয়ে যে হচ্ছেনা তা কিন্তু নয় তেবে সেইটার পরিমান নগন্য।
কথাটা আপনাকে (ব্লগার ভাইকে) না গল্পের হিরুকে বল্লাম।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

রাসেলহাসান বলেছেন: :D :D :) :-P =p অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মন্তব্য প্রকাশের জন্য।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: সত্যিকারের ভালবাসা কাাঁদাবেই।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

রাসেলহাসান বলেছেন: হু, , :(( :((

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

সািহদা বলেছেন: তুমি সুখে থেকো সব সময় এই দোয়ায় করি "সৃষ্টি কর্তার" কাছে!
শুধু পুরনো কিছু সৃতি আজো ভুলতে পারিনা।


ভালো লিখেছেন ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

রাসেলহাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে। ভালো থাকবেন।

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
৩০টা ঘুমের বড়ি?
ভয়াবহ ব্যাপার।
ঘুম এতো জরুরী হলে কেমনে? :)

ভালোবাসা ভালো, পাগলামি ভালো না ভাইডি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩১

রাসেলহাসান বলেছেন: :) প্রেম মানেনা কোন বাঁধা। B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.