নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সার্বিক টেকশই উন্নয়নের জন্যে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কার আজ সময়ের দাবি।
আমার গ্রামের বাড়ি থেকে হেটে পনের মিনিটের রাস্তা গেলেই একটা বড়সর বাজার পরে। এই বাজারে প্রতিদিন সকালবেলা ২০-২৫ মন গরুর দুধ বিক্রি হয়। আর শনিবার এবং মঙ্গলবার হল "হাট বার"। ছোটবেলা প্রতি হাটেই বাবা কিছু না কিছু একটা বিক্রি করতেন। পেয়ালার সময় পেয়ারা, তালের সময় তাল, আমের সময় আম, কাঁঠালের সময় কাঠাল, কলা, বেল, লিচি, লাউ, কুমড়া, জিঙ্গা, মিষ্ঠি লাউ, চিচিঙ্গা, টমেটো, বিভিন্ন শাখ আরো কত কিছু ... অগুনিত। যখন কিছুই না থাকতো তখন দু তিন হাট পরপর গোলা থেকে নামিয়ে ১মণ ধান অথবা পাট হলেও নিয়ে যেত। এর এগুলো বিক্রি করা টাকা দিয়ে তেল, লবন, গরুর ভুষি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক দ্রব্যাদি কিনতেন। আর আমি আব্বার সাথে যেতাম। বিক্রি শেষে আমাকে দুই টাকার একটা নোট দিয়ে বলতেন, সন্ধ্যা হই যাচ্ছে, এবার বাড়ি চলে যা।আমি বাদাম কিনে দেবার বায়না ধরতাম। তারপর আরো দুইটাকার বাদাম কিনে দিতেন। আর আমি খুশী মনে বাদাম খেতে খেতে বাড়ি চলে আসতাম। আর বাদাম অর্ধেক খেয়ে অর্ধেক ছোট বোনের জন্যে নিয়েও আসতাম, তবে তা কদাচিৎ, মন চাইলে আরকি। আর সেই যে দুইটা টাকা ঐটার প্রতিই আগ্রহ টা বেশী থাকতো। ওফ, আমি তো এইজন্যই প্রত্যেক হাটে যাইতাম আব্বার পিছু পিছু।
.
আর এখন! এখনো বাড়ি গেলে সেই বাজারে যাই ঠিকই, সাথে মানি ব্যাগে অলওয়েজ দুই হাজার+ টাকা থাকেই। আর বিকাশ একাউন্ট তো আছেই :/ কিন্তু সেই দুইটাকার মালিক হবার যে একটা আনন্দ হত, তা আর এখন অনুধাবনও করতে পারি না।
রিয়েলি আই মিসেং দেট ডেস্।
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০২
ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল বলেছেন: স্বাগতম।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো। গ্রামের স্মৃতি আমার নেই বললেই চলে। তাই এ ধরণের পোস্টগুলো খুব মনোযোগ কাড়ে। আরেকটু বিস্তারিত লিখলে আরো ভালো লাগতো। এখন শুরু না হতেই শেষ। অনেক শুভকামনা।
১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০৫
ব্লগার মুহাম্মদ রাসেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আরো বিস্তারিত লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয়। কম দামী একটা ফোনের সাহায্যে লিখি তো, তাই বেশী বড় করা যায় না। আবারও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২
কল্লোল পথিক বলেছেন: অনেক স্মৃতি মনে করে দিলেন ভাই।
আমারও এমন অনেক স্মৃতি আছে।
ধন্যবাদ ভাই।