নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যায়নে মিথ্যাচার

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১


চেয়ারম্যান সাহেবের নিজের চরিত্রের-ই ঠিক নেই, উনি আমার চরিত্রের সার্টিফিকেট দিবেন কিভাবে? মদ-গাজার নেশা, সন্ত্রাসী, লুটপাট, চাঁদাবাজিসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা উনি করেননি। তার সাক্ষর করা চারিত্রিক সনদ না হইলে ইউনিভার্সিটিতে আমাদের ভর্তি নেয় না।
আজীব ব্যাপার! একখানা ফার্স্টক্লাস অফিসারের সত্যায়িত কাগজ-পত্র হইলেই যেন দুনিয়ার সব চোর-বাটপারদের চরিত্র তুলসি পাতা ধোয়া আর বাতাসি পাতা দিয়ে মুছা হয়ে যাবে! বাংলাদেশের ফালতু নিয়ম-কানুনগুলোর মধ্যে এই “সত্যায়ন” অন্যতম। অযথা মানুকে হয়রানি করা ছাড়া কিছুই না। সেদিন স্কুল লাইফের এক বন্ধুর অফিসে গিয়েছিলাম সত্যায়িত করতে ফার্স্টক্লাস অফিসারের খোঁজে। ও বলল, এটা নিয়ে এত টেনশনের কি আছে? এই বলে ড্রয়ার থেকে ৮/১০ টা সীল বের করে বলল, কয়টা লাগবে বল? আমি বললাম, এত অফিসারদের সীল তুই কোথায় পেলি? বলল, উনারাই আমাকে এগুলো দিয়েছেন! উনাদের একটা কলমের খোচায় লাখ টাকা ইনকাম হয়। তোর সত্যায়নে সাক্ষর করার সময় আছে?

আরেক দিন গিয়েছিলাম একটি সরকারী অফিসে। একজন ফার্স্টক্লাস অফিসার বললেন, আপনাকে চিনি না, জানিনা, সত্যায়িত করব কিভাবে? যত্তসব! হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছিলাম। তখন উনি পেছন থেকে ডেকে বললেন, সত্যায়িত করা যাবে, তবে ২০০ টাকা লাগবে। মনে মনে ভাবলাম, যিনি ঘুষের বিনিময়ে সত্যায়িত করতে চান, তার নিজের চরিত্রেরই তো ঠিক নেই। তাই মুখের উপর বলে দিলাম। আমি ঘুষ দেইনা। এরপর গেলাম ঐ অফিসেরই আরেক অফিসারের কাছে। উনি বললেন, এই সামান্য কাজের জন্য আপনারা এত বিরক্ত করেন কেন? নিচে গিয়ে দেখেন একটা ফটোকপির দোকানে আমার সীল-সাক্ষর সবই আছে। যান, যতখুশি নিন!!

মনে মনে নিজেকে অনেক সৎ ভাবতে থাকলাম। কারণ, সব জায়গায় দুই নম্বরী হলেও আমি তো লিগাল পন্থায় চেষ্টা করেছি। এখন দেখি চাহিবা মাত্র সব জায়গায় সীল-সাক্ষর পাওয়া যায়, তাও আবার পুরো ফ্রী।

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই সব কাগজ পত্রের সত্যায়িত ব্যাপার আমারও ভাল লাগে না।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনার আমার ভাল লাগা, না লাগাতে কার কি আসে যায়। ফালতু এই নিয়মের কাছে আমরা জিম্মি!!

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ!

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এ প্রথা তুলে দিয়ে সাক্ষাতকারের সময় মূল কপি দেখালেই তো হয়।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সেটা হলে তো ভালোই হয়! অনন্ত এই অযথা হয়রানি থেকে তো রেহাই পাওয়া যায়।

ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.