নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যা বন্ধে আমাদের কি কিছুই করণীয় নেই?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭


জীবন কোন ফুলসজ্জা নয়, এ কথা সবার জানা। অতি সুখী মানুষ বলতে দুনিয়াতে কেউ নেই। প্রত্যেকেরই কম-বেশী দুঃখ কষ্ট রয়েছে। এসব দুঃখ কষ্ট অতিক্রম করে যাওয়ার মন-মানসিকতা ও সামর্থ মানুষের মধ্যে রয়েছে। জীবন মানুষের কাছে একটি আমানত। একজন সুস্থ্য বিবেকবান মানুষ দুঃখ লাঘবের পথ হিসাবে কখনোই ”আত্মহত্যা”কে বেছে নিতে পারে না। দুঃখের বিষয় এ বোধ-শক্তি ক্রমেই আমাদের মধ্যে থেকে চলে যাচ্ছে। সামান্য দুঃখ-কষ্টের জের ধরেই মানুষ বেচে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। জাতীয় সাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গত চার বছরে দৈনিক গড়ে ২৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। তাদের বেশীর ভাগের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে ১০ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। অবশ্য এসব জরিপের বাইরে আরো যে ঘটনা থেকে যায় , তাতে সন্দেহ নেই। আত্মহত্যার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইভটিজিং, প্রেমে প্রতারিত ও ব্যর্থ হওয়া, অভিভাবকদের বকাঝকা, ছেলেমেয়েদের বাহানা পূরণ না করা, পরীক্ষায় ফেল, পারিবারিক, দাম্পত্য কলহ ও যৌতুক প্রথা। এছাড়াও সামাজিক অপরাধে লজ্জিত হওয়া, অর্থনৈতিক হতাশা, বিষন্নতা ও অশান্তি, জটিল রোগ এবং মানসিক ভারসম্যতা হারিয়ে ফেলার কারণে অসংখ্য মানুষ আত্মহত্যা করছে।

আত্মহত্যার এ প্রবণতা বন্ধ করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মানুষের ব্যক্তি মুল্যবোধ ও চেতনাগত পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক ও পারিবারিক অপরাধগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। যাতে আর কোন প্রাণ ঝরে না পড়ে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ভাই ! আপনার কথাগুলো ভাল লাগল। আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলোই মূলত প্রথম কথা এবং শেষ কথা। নৈতিক শিক্ষার অভাবেই আজ এত অপরাধ-অনাচার সংঘটিত হচ্ছে। তাই প্রশাসনের আশু কর্তব্য হলো এ দিকটাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করা। ধন্যবাদ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বখাটে, ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে রাষ্ট্র ব্যার্থ হচ্ছে। তাই ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি এ ব্যপারে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ধন্যবাদ! হাফিজ রহমান। ভালো থাকবেন!!

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

তারেক ফাহিম বলেছেন: শেষাংশের কথাগুলো বাস্তব রূপ নেওয়ার কামনা করছি।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবী।

মন্তেব্যের জন্য ধন্যবাদ তারেক ফাহিম!

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: গভীর কোন দুঃখ, শোক, ব্যাথা, বেদনা, উদ্বেগ প্রভৃতি যখন মানুষের জীবনে আসে তখন আত্মসম্বরণ করাই মানুষের ধর্ম। কিন্তু যাদের মধ্যে এই আত্মসম্বরণ করার ক্ষমতা কম বা একেবারেই নেই, তাদের মনের জোর কম কিংবা একেবারেই নেই। তাদের মধ্যে হঠাৎ একটি ভয়ঙ্কর তড়িৎ প্রবাহের মত আচমকা আত্মহণনের প্রবৃত্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তখন তাদের বিচারশক্তি একেবারেই লোপ পায়, বিবেচনা করার ক্ষমতা থাকেনা। তখন তারা নিজেদের চোখ দিয়ে দেখেনা, নিজেদের কান দিয়ে শোনেনা, সম্পূর্ন বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে, মনের সমত্ব রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে ফেলে। তাই বলা চলে আত্মহত্যা একটি সাময়িক পাগলামীর চূড়ান্ত লক্ষণ। অবশ্যি পূর্ব লক্ষণ হিসেবে আত্মসম্বরণ করার ক্ষমতা কম বা একেবারেই নেই প্রকাশ পাওয়া স্বাভাবিক।
এই অবস্থায় পরিবার যদি তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয় এবং মনোচিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হয় তাহলে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা কমতে পারে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বয়স্কদের ক্ষেত্রে অনেকের নিয়ন্ত্রণশক্তি কম থাকায় সামান্য কারণে তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কিন্তু শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে পারিবারিক অসচেতনতা বেশী দা'য়ী! তাই ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরী।

আপনার মন্তব্যে আমার বক্তব্যকে আরো শাণিত করেছে। ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা নিবেন।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

নতুন বলেছেন: দেশের আত্নহত্যার সংখ্যার মাঝে অনেক হত্যাকেও আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেয়।

আর পরিবার যদি ছেলে মেয়ে কে বোঝে তবে এই রকমের সমস্যা কম হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, এমন ঘটনাও ঘটছে। তবে আত্মহত্যার প্রকৃত সংখ্যাও কিন্তু অনেক। প্রকৃতপক্ষে মানুষের ব্যক্তি মুল্যবোধ ও চেতনাগত অবক্ষয় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর শিশু কিশোরদের আত্মহত্যার জন্য অনেকাংশে বাবা-মা-ই দায়ী!

আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ!

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভালো একটা বিষয নিয়ে বলেছেন!!

তবে আত্মহত্যা জিনিসটা ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে হয় তাই সরকারী বা যোৗথ উদ্যোগ এক্শেত্রে খুব একটা কাজ দেয় না!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আত্মহত্যা ব্যাক্তিগত পর্যায় থেকে হয় ঠিক। তবে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যেমন- ইভটিজার/ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি, যৌতুক নিষিদ্ধকরণ, দারিদ্র বিমোচন, নারী নির্যাতন বন্ধ, ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, পশ্চিমা সংস্কৃতি প্রতিরোধসহ এ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় ব্যপারে রাষ্ট্র প্রধান ভুমিকা রাখতে পারে।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিলিয়ার রহমান ভাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.