নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব কিছুর মধ্যে ধর্ম টানা কি ঠিক?

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

বাংলাদেশী বিশেষ করে মুসলমানদের একটা স্বভাব আমি খুব খেয়াল করি, প্রায় তারা বলে-“ভাই এটা ধর্মীয় বিষয়, এটা নিয়ে কথা বলা ঠিক না” কিংবা বলে- “ভাই, সবকিছুর মধ্যে ধর্মকে টানা ঠিক নয়”।
তথাকথিত মডারেট সমাজ ও ডিজুস তরুণ প্রজন্মের জন্য ধর্ম বিষয়ক কথাবার্তা বলা আরো সংবেদনশীল। তাদের এক কথা, “ভাই ধর্ম বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না, প্লিজ এভোয়েট ইট”।
এটা প্রায় সবাই মেনে নিবেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে মুসলিমদের অবস্থা সংকটকবলিত। তারা রাজনৈতিক ও পরিপার্শ্বিক দিক হতে অমুসলিমদের সাথে পেরে উঠছে না, ফলে অমুসলিমরা মুসলমানদের ঘাড়ে উঠে বসেছে। তাদের অর্থ-সম্পদ-দেশ লুট করে খাচ্ছে, পাখির মত গুলি করে মারছে, আবার যাওয়ার সময় উল্টো মুসলিমদের ‘জঙ্গী’ বলে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।
বলাবাহুল্য, সারা বিশ্বে মুসলিমদের জনসংখ্যা কিন্তু কম নয়, অনেক। এটা প্রায় সবাই মানে, ‘ইসলাম ইজ দ্য ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং রিলিযিওন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’। কিন্তু তারপরও কেন মুসলিমরা পারছে না, কেন তারা অমুসলিমদের হাতে মার খাচ্ছে ?
ঐ যে একটি কারণ, তারা তাদের ধর্মীয় বিষয় আলাপ করতে নারাজ, তারা সব কাজের ভেতর ধর্ম খুজতে নারাজ। ধর্মীয় বিষয়ে কথা উঠলেই তারা সোজা বলে দেয়- “প্লিজ, যাস্ট এভোয়েট ইট”।
এর অবশ্য কারণও আছে। যারা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, বিশেষ করে জায়ানিস্টরা দীর্ঘদিন মিডিয়ায় এন্টি ইসলামীক প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। দিনের পর দিন অপপ্রচার করে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে সমর্থন হয়েছে যে, অমুসলিমরা নয়, খোদ মুসলিমরাই তাদের ধর্ম নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে, প্রকাশ্যে তাদের ধর্মীয় পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করছে, ধর্মীয় পোষাক পরলে অপর মুসলিমই তাকে জঙ্গী ট্যাগ দিচ্ছে, ‘আবার সন্ত্রাসী হয়ে যায় কি না’ এই ভয়ে ধর্ম বিষয় নিয়ে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে, ফেসবুকে লাইক পেইজে যেন কোন ধর্মীয় পেইজ না থাকে কিংবা ভুলেও যেন কোন ধর্মীয় ইস্যুতে লাইক না পড়ে সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
অর্থাৎ বর্তমান মুসলিমরা সমাজ চাইছে, তারা এমন একটা মডারেট পলিসি অবলম্বণ করবে, যেখানে ধর্ম ও বাস্তব জীবন পৃথক হবে। সে সারাদিন বাইরে পড়ালেখা-ব্যবসা বাণিজ্য-বন্ধুবান্ধব করবে কিন্তু ধর্মের পরিচয় বা কাজ করবে না, তবে হ্যা ঘরে এসে দরজা আটকে ধর্ম-কর্ম করবে, কেউ তার ধর্ম দেখবে না, বুঝবে না। ধর্ম-কর্মটা হবে ব্যক্তিগত বিষয়। ধর্ম-কর্ম করলে আড়াল করে করতে হবে, কাউকে দেখানো যাবে না, বুঝানো যাবে না, এই ট্রেন্ডটা কিন্তু নতুন নতুন বাংলাদেশের শিক্ষিত সমাজের মধ্যে প্রবেশে করেছে । এটা অবশ্য বাংলাদেশের এলিট শ্রেনী অনেক আগেই গ্রহণ করেছিলো।
আমি আজ থেকে অনেক দিন আগেই শুনেছি, কোরবানী ঈদ আসলে বাংলাদেশের এলিট শ্রেনীর অনেকেই বিদেশে চলে যায়, কারণ সে কোরবানী সময় পশু জবাই করছে, এটা তার কমিউনিটি বা বিদেশী বন্ধুদের জানাতে চায় না। তবে হ্যা, গ্রামে গরু কেনার টাকা পাঠিয়ে দেয়, সেখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে তার কোরবানী আদায় হয়। এলিট শ্রেনীর সেই কার্যকলাপগুলো এখন সাধারণ শিক্ষিত সমাজেও প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
তবে আমার লেখার যে উদ্দেশ্য, বর্তমান মুসলিম সমাজ যাদের সুদৃষ্টি পাওয়ার জন্য কিংবা যাদের সাথে তাল মিলানোর জন্য মডারেট সাজতেছে, সেই পশ্চিমারা কি তাদের ধর্ম-কর্ম গুরুত্ব দেয়, জনসম্মুখে পালন করে ?
এর সবচেয়ে সহজ উত্তর হচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দেখুন, যে যখন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সময় শপথ নিয়েছিলো, তখন সে কিসের উপর হাত রেখে শপথ করেছিলো ? উত্তর হচ্ছে বাইবেলের উপর। তারমানে তাদের মূল ক্ষমতা নির্ভর করে ধর্ম ভিত্তিক বিশ্বাসের উপায়ে, যা প্রকাশ্য জনগণ স্বীকৃত, এখানে লজ্জার কিছু নেই।
আপনি ইউরোপের পতাকাগুলোর দিকে তাকান, প্রায় ৯০% পতাকায় ক্রুশ কিংবা খ্রিস্ট জাতীয়তাবাদের প্রতীক দেখতে পাবেন। তারা কিন্তু মডারেট সাজতে গিয়ে তাদের ধর্মকে পতাকা থেকে বাদ দেয়নি।
আবার লক্ষ্য করুন, পশ্চিমাদেশগুলোতে কিন্তু উগ্র খ্রিস্টান ডানপন্থী রাজনৈতিকগুলোর প্রচুর্য আছে, অনেকে আবার ক্ষমতায়ও আসছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও উগ্র জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায়। কিন্তু একটু কল্পনা করুন তো, বাংলাদেশে কোন মুসলিম সংগঠন ক্ষমতায় এসেছে, তবে কি হবে ? তাকে কি জঙ্গী ট্যাগ দেওয়া হবে ? কিংবা পশ্চিমাদেশগুলো জঙ্গী দমনের নামে তার উপর হামলা চালাবে না তো?
আমি দেখেছি, অনেকেই বলে, “ভাই ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াবেন না, সভ্য সমাজ ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো পছন্দ করে না”।
আমি জানি না, সভ্য সমাজের সংজ্ঞা কি। কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় প্রত্যেক দেশে নির্বাচন আসলে ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ কথার ফুলঝুরি শুরু হয়। ডানপন্থী দলগুলোর কথা বাদ দিলাম, বামপন্থী দলগুলোও প্রকাশ্যে মুসলিম বিরোধী বক্তব্য দেওয়া শুরু করে,
উগ্র খিষ্টানদের ভোট পাওয়ার জন্য বলে- “আমরা দল ক্ষমতা গেলে এই দেশ হতে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেবো, হালাল খাবার, হিজাব নিষিদ্ধ করবো।মসজিদের মিনালগুলো ভেঙ্গে দিবো, গির্জার থেকে মিনার বড় হতে দিবো না।” একথাগুলো বলতে বা শুনতে কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকানরা লজ্জা পায় না।
আমি বলবো- এই ধর্মীয় আলোচনা প্রকাশ্যে তথা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে করার কারণেই পশ্চিমারা আজ কর্তৃত্ব লাভ করেছে, মুসলিমদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে। অপরদিকে মুসলিম সমাজ ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে পারেনি বলেই তারা মূল ট্র্যাক থেকে ছিটকে পড়েছে।
কারণ ধর্মের দ্বারা জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়, একতাবোধ জাগ্রত হয়, অপর জাতি থেকে শ্রেষ্ট হওয়ার আকাঙ্খা তৈরী হয়। কিন্তু ধর্মকে যদি দূরে ঠেলে দেওয়া যায়, তবে ঐ জাতির জাতীয়তাবোধ ও একতা নষ্ট হয়, তারা পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে, ঐ জাতির বড় হওয়ার ইচ্ছা-আকাঙ্খা নষ্ট হয়ে যায়।
তাই মুসলমানদের আবার মূল ট্র্যাকে ফিরে আসার একটাই পথ, ফের ধর্মীয় আলোচনা শুরু করতে হবে, সবকিছুর মধ্যে ধর্মকে টানতে হবে। যদি এটা মুসলিম সমাজ করতে পারে তবে অবশ্যই তারা কর্তৃত্ব লাভ করতে পারবে, ফিরে পাবে তাদের পুরাতন ঐতিহ্য...

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের আত্ম পরিচয়ে গর্ভ বোধ করার অনুভূতি জাগ্রত করতে হবে।
তারা বাইবেলে হাত রেখে প্রেসিডেন্সিয়াল শপথ গ্রহণ করে গর্ব বোধ করে এবং এটা তাদের কালচার!
আমেরিকাকি বহু ধর্মের দেশ নয়? তারপরও এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই!

আমরা কোরআনে হাত নিয়ে শপথ কথা তুলতেই পারিনা। সাধারন ইস্যুতেই ধর্ম নিরপেক্ষতার শোরগোল পড়ে যায়। সব শেষ মৌলবাদী ট্যাগিং!

ভারতের প্রতিটি মুভিতে, সিরিয়ালে বাই ডিফল্ট ধর্ম, মন্দির, প্রার্থনা, পূর্জা আসছে- সেটা হল সংস্কৃতি!
আমাদের নাটক সিনেমায় তো মসজিদ, আজান, নামাজ দূর স্বপ্ন- যদিবা কেউ উপস্থাপনের চেষ্টা করে থেমে যেতে হয় ট্যগিংবাজির ভয়ে!

উভয় ক্ষেত্রে তাদের ধর্মই তাদের সংস্কৃতি! মুসলমানের বেলায় মৌলবাদ!
এই ক্ষেত্র মুসলমানদেরও দোষ আছে! তারা ধর্ম আর সংস্কৃতির মেল বন্ধন ঘটাতে পারে নি!। কেবলই আচার্ সর্বস্বতায় ডুবে আছে!
না গেছে ধর্মের গভীরে! না গেছে সংষ্কৃতির! ফলে ব্যবধান বিশাল-ফাঁকে ঢুকে পড়েছে বহুজাতিক ডমিনেটরদের প্রোপাগান্ডা!
তা জাতিগত অনুভবেও একই মাত্রায় তীব্র!

চলুক আলোচনা!

+++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনার কী-বোর্ডে একদম আমার মনের কথাগুলোই টাইপ করেছে! বিশেষত ভারতের সিনেমা গুলোতে হিন্দুয়ানী সস্কৃতি ফুটে উঠা। অপরদিকে আমাদের দেশের নাটক-সিনেমায় ধর্মনিরপেক্ষতা।

সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু!

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ সত্যকথন। ধন্যবাদ

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ!

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"কারণ ধর্মের দ্বারা জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হয়, একতাবোধ জাগ্রত হয়, অপর জাতি থেকে শ্রেষ্ট হওয়ার আকাঙ্খা তৈরী হয়। কিন্তু ধর্মকে যদি দূরে ঠেলে দেওয়া যায়, তবে ঐ জাতির জাতীয়তাবোধ ও একতা নষ্ট হয়, তারা পরমুখাপেক্ষী হয়ে পড়ে, ঐ জাতির বড় হওয়ার ইচ্ছা-আকাঙ্খা নষ্ট হয়ে যায়। "

-সুন্দর, ইয়েমেনে, সিরিয়ায়, ইরাকে, আফগানিস্তানে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত হচ্ছে, একতাবোধ জাগ্রত হচ্ছে, সুন্দর

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে ধর্মীয় আইন মেনে চললে সব দেশের ইসলামপন্থিদের মধ্যে ধর্মীয় জাতীয়তাবোধ জাগ্রত তৈরী হওয়া সম্ভব!

ধন্যবাদ!

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেক্রেটারিয়েট এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মসজিদ, প্রতি করিডোরে জামাতে নামাজ হয়, দিনেথাজার কোটী টাকার ঘুষ বিনিময় হয়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সকল নামাজীরা পুর্ণাঙ্গ ইসলামের ধ্বজাধারী নয়! কুরআনুল কারীম বারবার সতর্ক করেছে সবকিছুর মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে! অন্যথায় মুসলমানরা পরাজিত হবে এমনটাও বলেছে!

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম আরবী বেদুইনদের এক করেছিলো, তেল সেই ঐক্য ভেংগে দিয়েছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মদ, নারী, ক্ষমতা, সম্মান ও অর্থের লোভ ইসলামপন্থিদের পরাজিত করেছে!

ধন্যবাদ আবারো!

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মানুষ সৃষ্টি দুনিয়াই আগমন শুধুই স্রষ্টার আনুগত্য প্রকাশের জন্য। এখন আধুনিক যুগের মানুষ স্রষ্টার উদ্দেশ্য
অস্বিকার করে দুনিয়াবি কার্যকলাপে লিপ্ত। এটাই এখনকার বাস্তবতা।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, মূূল কথা এটাই। মানুষ তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য ভুলে যাওয়ায় যত ভূল-ভ্রান্তি ও অনাচারে লিপ্ত হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য ভালো লেগেছে! ধন্যবাদ!

৭| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১২

মেরিনার বলেছেন: وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
(Qur'an, 51:56)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কুরআনুল কারীমের এ আয়াতের মাধ্যে মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য ফুটে উঠেছে!

ধন্যবাদ মেরিনার

৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: মদ নারী ক্ষমতা সম্মান,ওঅর্থ লোভ
ইসলামপন্থিদের পরাজিত করেছে।
ঠিক উত্তর দিয়েছেন। সারা জীবন
ঘুসখেয়ে দূর্নীতির টাকার পাহাড়
বাড়ি গাড়ি নারী যত অন্যায় করে
জীবনের শেষে এসে তজবী জপের
মালা হাতে মসজিদে যাওয়া আশা
বড়লোক মুসলিমরা হজ্জ করে পাপ
খুইয়ে আসে। আসলে কি এইটা ইসলামের
কোনও হাদীস কোরআন সম্পর্কীত।
তবে একথা সত্য গরীব মুসলিমরা
যারা দিন আনে দিন খায় তাদের
নামাজ রোজা পরিপুর্ন।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: শেষ বয়সে ইসলাম পালন লোক দেখানো বা সমাজিকতা ছাড়া কিছুই না। অথবা অন্যায় করার শক্তি কমে যাওয়ার কারণে অবসর সময় তজবীহ জপে সময় কাটানো। যৌবন বয়সে ইবাদত করা আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দনীয়।

মন্তব্যে মুল্যবান কথা বলেছেন! ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা নিবেন কানিজ রিনা আপু!

৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা মুসলিমদের দোষ নয়। মুসলিম নামধারী কিছু মুক্তমনা, চেতনাবাজ, কমরেডদের কারণে আজকে এই শংকর ধারার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে, মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী(তেনাকে ইসলামপন্থী ভাবার কোন কারণ নেই) পর্যন্ত বলেছেন, আমাদের কিছু বুদ্ধিজীবি, সংস্কৃতি মনা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া শুভেচ্ছা বিনিময়ে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, কিন্তু ইসলাম ধর্মের কোন বিষয়ে দূরে দূরে থাকেন...

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মুক্তমনা, চেতনাবাজ, কমরেড যেমন দোষী তেমনি আমাদের ইসলামপন্থিরাও কম দোষী নয়। ইসলামকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনে পালন করে অন্যান্য অঙ্গণ বিধর্মীদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ ইসলামের রুপরেখা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

আপনার বক্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ!

১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে প্রতিটি স্থানে মানুষ আজান দিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরতে পারে।
বিদেশেও যেকোন স্থানে এমনকি ভারত -ইসরাইলেও মানুষ আজান দিয়ে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরতে পারে। রোজা হজ্জ যাকাতেও সমস্যা হয় না।
ফেসবুকে লাইক পেইজে কে লাইক দিল না দিল এতে কি ইসলাম বিপন্ন হয়ে যায়?
কে বেশী ধর্ম পালন করলো কে কম করলো এসব নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার কি?
আপনার এবাদত আপনি করেন, অন্যের উপর চপিয়ে দেয়ার দরকার নেই। যার যতটুক তৌফিক আছে সে ততটুকুই করবে।
নিজেরা মারামারি করে ইসলামের এই অধপতন।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলাম শুধু নামাজ রোজা ভিত্তিক ধর্ম নয়। ইসলাম একটি পুর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত মতাদর্শ রয়েছে। যা পালন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। এখানে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ফেসবুকে ইসলামিক পেইজে লাইক না দিলে ইসলাম বিপন্ন হয় না। কিন্তু একজন মুসলিম হিসাবে ইসলামী পেজে লাইক দিবে এটাই স্বাভাবিক। আর “ধর্ম কারো উপর চাপানো যাবে না”- একথা ইসলামই সবার আগে ঘোষণা করেছে (সূরা বাকারা : ২৫৭)।

ধন্যবাদ আপনাকে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.