নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দর করে কথা বলবেন কিভাবে?

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:১২

আপনি দেখতে যেমনি হন না কেন- কালো কিংবা ধলা, খাটো কিংবা লম্বা, সুন্দর কিংবা অসুন্দর; তাতে কোন আপত্তি নেই। যদি আপনার মন সুন্দর হয়, তবে আপনি জগতের শ্রেষ্ঠ নায়ক/ নায়িকা, আপনি সবচেয়ে বেশী স্মার্ট। আর যদি আপনার মনটা সুন্দর হয় তবে আমি আপনার বন্ধু আপনার শুভাকাঙ্খি, আপনার কল্যাণে জীবনটাও বিলিয়ে দিতে পারি।

যাইহোক, শিরোনামে বলেছি সুন্দর কথা কিভাবে বলবেন। আসলে সুন্দর কথা এমনি এমনি বলা যায় না। সুন্দর কথা বলার জন্য চাই সুন্দর মন। অসুন্দর মন থেকে কখনো সুন্দর কথা বের হয় না। কারণ কথা হচ্ছে মনোভাবের প্রকাশ। অনেকে তাদের বহিরাঙ্গ সাজাতে ব্যাস্ত হয়ে যায়, কিন্তু অন্তরঙ্গ সুন্দর করার কথা চিন্তাও করে না। ফলে তাদের বাহ্যিক চাকচিক্যে মানুষ চকিত হয় বটে, কিন্তু তাদের অসুন্দর মন থেকে প্রকাশিত কুৎসিত কথার ক্রিয়ায় কোকিলও কপাল কুঞ্চিত করে। তাই মনকে আগে সুন্দর করতে হবে। আর মনকে সুন্দর করতে হলে মনে রোপণ করতে হবে সুন্দরের বীজ। উপড়ে ফেলতে হবে সমস্ত অসুন্দরের আগাছা। আসুন জেনে নিই সেই অসুন্দরের আগাছা কি কি…

অজ্ঞতা, অচৈতন্য, গোঁড়ামি, গোঁয়ার্তুমি, হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, ঘৃণা, লোভ- লালসা, কৃপণতা, অপচয়, নির্দয়তা, নিষ্ঠুরতা, পাষন্ডতা, কাঠিন্য, হতাশা, কুসংস্কার, কুচিন্তা, স্বার্থপরতা, ক্রোধ, কু-রুচি, বক্রতা, নির্লজ্জতা, সংকীর্ণতা, নির্বুদ্ধিতা, অসভ্যতা, অশিষ্টতা, অভদ্রতা, অশ্রদ্ধাবোধ, আত্মকেন্দ্রিকতা, লাগামহীনতা, অসংযমতা, অসততা, মিথ্যাবাদীতা, কুটিলতা ও কুধারণা ইত্যাদি।

এগুলো মানুষের মনকে কলুষিত করে রাখে। যার মনের মধ্যে এগুলো দানা বেঁধে থাকে, তার মন হয় অসুন্দর। আর এ অসুন্দর মন থেকে অসুন্দর কথাই বের হয়। তাই উল্লেখিত অসুন্দরের আগাছা উপড়ে ফেলে সেখানে বপণ করুন কিছু সুন্দরের বীজ। এই নিন সেই সুন্দরের বীজগুলো…

জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেক, বুঝ, বিবেচনা, আদব, লেহায, মনন, মনীষা, কোমলতা, মহত্ব, মনোযোগ, মনোচক্ষু মহব্বত, মমত্ব, অনুভূতি, আশা, অভিলাষ, অভিপ্রায়, অমায়িকতা, অভিরুচি, অন্তরঙ্গতা, প্রসন্নতা, প্রাণাবেগ, প্রাণবন্ততা, সৌজন্যতা, সুরুচি, সুধারণা, সুবাসনা, শিষ্টতা, শালীনতা, সদিচ্ছা, সংযম, সহানুভূতি, শ্রদ্ধাবোধ, সহজতা, সজীবতা, সরলতা, সচেতনতা, সমঝোতা, সহমর্মিতা, সত্যপ্রিয়তা, সংবেদশীলতা, সহৃদয়তা, স্বতঃস্ফুর্ততা, সততা, সভ্যতা, স্বকীয়তা, সক্রিয়তা, শুভেচ্ছা, শ্লীলতাবোধ, দয়া, মায়া, মানবিকতা, বদান্যতা, মহানুভবতা, উদারতা, বন্ধুসূলভতা, হৃদ্যতা, মনোজ্ঞতা, মঙ্গলকামীতা, স্বল্পতুষ্টি, কৃতজ্ঞতা, সহনশীলতা, স্নেহপরায়নতা, শ্রদ্ধাবোধ, ভদ্রতা, নম্রতা, হিতাকাংখা। ইত্যাদি।

এগুলো হচ্ছে সুন্দর কথার বীজ। এগুলো যদি আপনার মনের মধ্যে বপণ করতে পারেন, তবে আপনার মন হয়ে উঠবে সুন্দর, সতেজ, তরতাজা, স্বচ্ছ ও অনাবিল। তখন সহজেই আপনি বলতে পারবেন সুন্দর কথা। তখন মুখে যা বলবেন তাই সুন্দর লাগবে। এমনকি চাইলেও আপনার মুখ দিয়ে মন্দ, কুৎসিত ও অশ্লিল কথা বের হবে না। কারণ কথা হচ্ছে ধারালো অস্ত্রের মত। যা মানুষের অন্তরকে আঘাত করে। আর জনৈক মনীষি বলেছেন-
“অস্ত্র দ্বারা আঘাতের ক্ষত চিকিৎসা করে জোড়া লাগানো যায়,
কিন্তু জিব্বা দ্বারা প্রাপ্ত আঘাতের ক্ষত জোড়া লাগানো যায় না”।


উপরের কথাগুলো অনুসরণ করুন, আপনি সহজেই হতে পারবেন একজন সুভাষী। আপনার শ্রোতা বা ভক্তদের কাছে আপনি হয়ে উঠবেন একজন প্রিয়ভাষী। আপনার কথা শোনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে থাকবে। আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে চাইবে। আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ খুঁজবে। আপনার কথার আকর্ষণ শ্রোতাদের অন্তরে প্রভাব ফেলবে। আপনার আদর্শকে প্রচার, প্রসার ও বিজয়ী করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সুভাষী হতে হবে। আসুন আমরা সবাই সুভাষী হই...

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

ওমেরা বলেছেন: খুব সুন্দর ও অনুসরনীয় লিখার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। আমার লেখা তবে স্বার্থক হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকেও!!

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০০

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: বেশ সুন্দর ভাষ্য
ভাল লাগল

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সুন্দর ভাষ্য পড়ে আমাদের মনটাও সুন্দর হয়ে উঠুক।

ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা নিবেন!!

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

নোমান গাজী বলেছেন: উপকারী

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনার উপকার হলে আমার লেখা স্বার্থক!

ধন্যবাদ গাজী ভাই!

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৬

প্রামানিক বলেছেন: “অস্ত্র দ্বারা আঘাতের ক্ষত চিকিৎসা করে জোড়া লাগানো যায়,
কিন্তু জিব্বা দ্বারা প্রাপ্ত আঘাতের ক্ষত জোড়া লাগানো যায় না”।


চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: অন্তরের ক্ষত দগদগে থাকে, শুকায় না কোনদিন।

ধন্যবাদ প্রমাণিক ভাই!

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:০৭

জগতারন বলেছেন:

প্রিয় ব্লগার রাসেল উদ্দীন , আপনার অনেক পোষ্টই আমি পড়েছি কিন্তু মন্তব্য করা হয় না। কারন আমি অফ লাইনেই কাজে
থাকাকালীন বেশীরভাগ পোষ্টগুলো পড়ে থকি।
আজকে আপনার এ পোষ্টটি বাসায় বসে পড়লাম, মন্তব্য না করলে অন্যায় হবে। অল্প কথায় সুন্দর একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। এই প্রজন্মের পাঠক-পাঠীকাদের এ বিষয় জানা একান্ত আবশ্যিক।
আপনার এ প্রবন্ধের মত এমন আরেকটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম আজ থেকে আরও অনেক বছর আগে (১৯৭৭ সালে), লিখেছিলেন- (ডাক্তার) লুতফর রহমান সম্ভবত তাঁর উন্নত জীবন বইতে। সেখান থেকে আমাদের সময়ে ১১/ ১২ ক্লাশে বাংলা সাহিত্যে একটি প্রবন্ধ পড়ানো হতো। প্রবন্ধটির নাম ছিল- সাহিত্য

যাইহোক, আপনার পোষ্টটি ভালো লাগলো, আপনার মংগল কামনা করি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনি আমার অনেক পোস্ট পড়েছেন- জেনে ভাল লাগল। বিশেষ করে এই লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশী হয়েছি। আমার লেখা স্বার্থক হয়েছে। 'ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান'- এর 'সাহিত্য' প্রবন্ধ পড়া হয়নি। এবার পড়ে নেব ভাবছি!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা নিবেন! জগতারন

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: মন্দ বলেন নি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ! প্রিয় ব্লগার! রাজীব নূর!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.