নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাটা উতা ঘষাঘষি- দফা সারা মরিচের

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

হানিফ সংকেতের একটি কৌতুকের কথা মনে পড়ে গেল! কৌতুকটি হল-
নিয়োগ কর্তাঃ- বসুন, তা বাড়ি কোথায়?
প্রার্থীঃ- বাংলাদেশে!
নিয়োগ কর্তাঃ- বাংলাদেশে কোথায় সেটা বলতে হবে না?
প্রার্থীঃ- গ্রামে, স্যার!
নিয়োগ কর্তাঃ- কোন গ্রামে?
প্রার্থীঃ- সেটা শুনে লাভ কি? বাংলাদেশের সব গ্রামের চেহারা তো একই রকম…!

উক্ত কৌতুকের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান চেহারা পরিপূর্ণ মিলে যায়। উন্নতি-অগ্রগতির জোয়ার-ভাটায় দেশের একেক এলাকার অবস্থা একেক রকম! লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ জনগণ পোহালেও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের বাসভবনে ঠিকই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থা। কিন্তু দুর্নীতি, দুঃশাসন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, হত্যা-সন্ত্রাস, গুম, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি দুর্বৃত্তায়নের সমীকরণে দেশের প্রতিটি জনপদ-লোকালয় ও গ্রামগুলোর চেহারা সম্পুর্ণ এক ও অভিন্ন!

সামনের নির্বাচনে এমপি হতে হলে তাকে কোটি কোটি টাকা শ্রাদ্ধ করতে হবে। পাঁচ বছরের সম্পূর্ণ বেতন ভাতা যোগ করলেও সেই টাকা পূরণ হবে না। কারণ নির্বাচনে টাকা উড়ে বসন্তের ঝরা পাতার চেয়েও বেশী। বাধ্য হয়ে একজন সাংসদ জনগণের টাকা আত্মসাৎ করবে, এটাই স্বাভাবিক। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো চোর-বাটপার লালন করে যাচ্ছে। দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ রাজনীতির নামে ছ্যাছড়ামো করে পেট চালায়। অতএব দূর্নীতি বন্ধ করতে হলে সবার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নমিনেশন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে!!

মন্ত্রী, এমপিরা জনগণের কথা শোনার সময় পায় না। কথা দিলে রক্ষা করে না। দফতরে গেলে নিজের ভোটারকেও চেনে না। কিছুব্যতিক্রম ছাড়া মন্ত্রী এমপিরা চাঁদার ভাগ পায়, এমন বিশ্বাস এখন জনগণের মাঝে বদ্ধমূল। উনাদের ভোট দিয়ে জনগণ কিছু না পেলেও উনারা কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। একবার এমপি হলে তার চৌদ্দ পুরুষ বসে বসে খেতে পারেন। সন্ত্রাস মুলোৎপাটনের কথা বলা হলেও উল্টে সন্ত্রাসের বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে। নিজ দলের সন্ত্রাসীদের বাঁচিয়ে ভিন্নমতের সন্ত্রাসীদের বাঁচানো সব সরকারের বৈশিষ্টে পরিণত হয়েছে। যার ফলে অপারেশন ক্লিন হার্ট ও যৌথবাহীনি নামিয়েও সন্ত্রাস, ধর্ষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। সারাদেশ জুড়ে যেভাবে অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, দুঃশাসন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, খুন, গুম, সন্ত্রাস মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে, তাতে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটা কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে মানুষ একটু স্বস্তি চাই! একটু মুক্তি চাই! একটু শান্তি- নিরাপত্তা চায়!!

শুধু অপেক্ষা নতুন সূর্যোদয়ের...

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

তারেক ফাহিম বলেছেন: দেশে রাজনীতিক পরিস্থিতির সাথে সাথে জলবায়ুর পরিবর্তন লক্ষ্মনীয়।

ছয় ঋতুর দেশে কয় ‍ঋতু উপভোগ করতে পারেন? ভাইয়া।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: রাজনীতিতে যেমন দুই জোটের কবলে জনগণ পিষ্ট হচ্ছে, জলবায়ুও তাই! শীত আর গরমে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। শরত, বসন্তরা রাজনৈতিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে গেছে। রাজনীতিতে বসন্তের অপেক্ষায় আছি....

মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ তারেক ফাহিম ভাই!

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপাতত কিছুই করার নেই। দুইজনের স্বাভাবিক জীবনাবসানের পর কী হয় সেটা দেখার বিষয়...

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: দুইজনের জীবনাবসানের পর কোন পরিবর্তন হবে না। তাদের ছাচে গড়া নতুন প্রজন্ম হাল ধরে একই কাজ করবে!

প্রয়োজন শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন- প্রয়োজন আমূল পরিবর্তন!

শুভেচ্ছা নিবেন!!

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

ওমেরা বলেছেন: একদিন অপেক্ষার অবসান হবেই ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সত্য সমাগত, মিথ্যা বিতাড়িত!

ধন্যবাদ ওমেরা! ভালো থাকবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.