নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামপন্থিদের চেতনা সংকট

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

আজ আমাদেরকে- গোটা মুসলিম উম্মাহকে ঘৃণা ও অমর্যাদার চোখে দেখা হচ্ছে। আমাদের পবিত্র ইসলামকে কালিমালিপ্ত করার অপচেষ্টা চলছে। ইসলামের মহান সংস্কৃতি আজ বিলুপ্ত প্রায়। আমাদের দেশের সংস্কৃতিসেবীরা অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে যেন ঠিকাদারী হাতে নিয়েছে। পাঠ্য-পুস্তকতো দুরের কথা, মিউজিয়ামেও স্থান পাচ্ছেনা ইসলামের সু-মহান ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক দর্শন। ইসলামপন্থি মনিষিদের চিন্তাধারা বিকৃতভাবে মুসলিম উম্মাহর সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অত্যান্ত সূক্ষ্ম ও সু-নিপূনভাবে জাতির চেতনায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে ধর্মের উপর অনাস্থা, স্বদেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার মনোভাব। অথচ ইসলামপন্থিরা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে ইসলামী রাজনীতিকে বক্তব্য, বিবৃতি ও মিছিল-মিটিং নির্ভর করে তুলেছেন। আবার অনেকে ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে জোট-মহাজোটে লেজুড়বৃত্তির আশ্রয় নিয়েছে। যার ফলে স্বতন্ত্র ধারায় ইসলামের পুনর্জাগরণ পথ বার বার রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। জনগণের সেন্টিমেন্টে ইসলামপন্থিদের ব্যাপারে বিরুপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।

সত্যিকারার্থে যদি কেউ ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন লালন করে থাকে, তবে সর্বপ্রথম ইসলামী সংস্কৃতির বিপ্লব ঘটাতে হবে। জনগণের চিন্তা-চেতনা, মানসিকতা ও চাহিদা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে হবে। যেখানে অপসংস্কৃতি জাতিকে গ্রাস করে ফেলেছে, ইসলামী রাজনীতির উপর জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, সেখানে ইসলামপন্থিদের অবস্থান সভা-সমাবেশ নির্ভর। বড়জোর অপসংস্কৃতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও দু’একটি ফতোয়া বা বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েই ক্ষ্যান্ত রয়েছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে একতরফাভাবে ইসলামবিদ্বেষীদের হাতে তুলে দিয়ে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান করছেন। পানি পিপাসায় কাতর ব্যাক্তিকে যদি পানির ব্যাবস্থা না করা হয়, তাহলে সে দুষিত ও জীবাণুযুক্ত পানি পান করবে এটাই স্বাভাবিক। অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে এ ফতোয়া তখনই কার্যকর হবে, যখন সুস্থ সংস্কৃতি জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। আজকে কবিতা, সাহিত্য, চলচিত্র, নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে জাতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোলা হয়েছে। চিন্তা-চেতনায় যুক্ত করা হয়েছে অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার, ভোগবাজি, প্রতারণা ও অবৈধ প্রণয়। একটি জাতির সভ্যতা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কালচার ও বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি সাহিত্য, নাটক ও চলচিত্রের মাধ্যমে ফুটে উঠে। যেমন ভারতীয় চলচিত্রে অধিকাংশই হিন্দুদের দেব-দেবীর পূজার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের কোন চলচিত্রে ইসলামী সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হয়নি। বরং পশ্চিমা সংস্কৃতির ভাবধারায় অশ্লিলভাবে চলচিত্র নির্মিত হচ্ছে। যার প্রভাবে শহর থেকে পাড়া-গাঁ পর্যন্ত সর্বত্র অশ্লিলতার সয়লাব বয়ে যাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি বিরুপ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামপন্থি মানেই সেকেলে, দরিদ্র, পরনির্ভর ও সংকীর্ণমনা- এ জাতীয় মনোভাব তৈরী হয়েছে। যার ফলে মুসলমানের ঘরেই সৃষ্টি হচ্ছে ইসলামবিদ্বেষী। মুসলিম উম্মাহকে এমন দুর্দশার মধ্যে নিমজ্জিত রেখে আদৌ ইসলামী বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে আমার বিশ্বাস হয়না। ইসলামের সু-মহান ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক দর্শনকে জাতির সামনে তুলে ধরার দায়ীত্ব ইসলামপন্থিদেরকেই নিতে হবে। আলিফ লায়লার মত অবাস্তব কল্প-কাহীনিতে মনুষ্য হিংস্র প্রাণী, অজগরের মত ভয়ংকর সাপের দৃশ্য প্রদর্শন করে মানুষকে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ভীতু করে তোলা হয়েছে। টম এন্ড জেরীসহ বিভিন্ন কার্টুনের মাধ্যমে শিশুদের চেতনার বিকৃতি ঘটানো হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসার অবাধ প্রদর্শনের মাধ্যমে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষকে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। অতএব স্রোতের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে ইসলামপন্থিদেরকে নির্মাণ করতে হবে ইসলামী চলচিত্র, নাটক ও মুভি। যেখানে ফুটে উঠবে ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রমাণ করবে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব, প্রদর্শন করবে ইসলামী সংস্কৃতির প্রকৃত চিত্র। ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও সাহিত্যিকদের সচেতনতার সাথে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। উপযুক্ত, সঠিক ও সত্য কিচ্ছা কাহীনি রচনা করতে হবে। যাতে বাস্তব সাহিত্য, নাটক-গল্প ও কল্প-কাহিনীর মাধ্যমে অশ্লীল, নোংরা, ভ্রান্ত কাহীনি আর নাটকীয় চিত্র ধোঁয়া আর মরীচিকার ন্যায় বিলীন হয়ে যায়। অত্যান্ত দুঃখ ও আফসোসের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সংকীর্ণ মানসিকতা, একগুয়েমি ও পিছুটানের কারণেই ইসলামী সভ্যতা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ ইত্যাদিতে বিকৃতি ও পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। যার কারণে মুসলিম উম্মাহ ও জাতির সন্তানদের অন্তরে ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে নানা ধরণের ভীতির সঞ্চার ও ভুল ধারণার জন্ম দিয়েছে। মুসলিম উম্মাহ ও জাতির ভিতরে আবার ঈমানী স্পৃহা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হলে এবং সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর যোগ্যতা ও সাহসিকতা তৈরী করতে হলে আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি থেকে সকল প্রকার অপসংস্কৃতি, কল্প-কাহীনি, মিথ্যা ও ধোঁকাবাজি মুক্ত করতে হবে। ধারালো লেখনীর মাধ্যমে ইসলামী ভাবধারার কবিতা, সাহিত্য রচনা করতে কলম হাতে নিতে হবে ইসলামপন্থিদেরকেই। উলামায়ে কেরাম যদি নিজেদের উপর দেশ ও জাতি গঠনের দায়িত্ব অনুভব করেন, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি অনুধাবন করে সময়োপযোগী পরকিল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

All Rights Reserved by Writer.

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ধারালো লেখনীর মাধ্যমে ইসলামী ভাবধারার কবিতা, সাহিত্য রচনা করতে কলম হাতে নিতে হবে ইসলামপন্থিদেরকেই। "

-এটি হয়তো একটি নতুন ধারা হবে বিশ্বে!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা আবশ্যক। জনগণের সেন্টিমেন্টে ইসলামী আদর্শের প্রভাব ফেলতে হলে ইসলামপন্থিদেরকে এমন সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে !

ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই!

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা আবশ্যক। "

-জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা আবশ্যক, এটুকু ঠিক আছে; কিন্তু ইসলামের হারানো ঐতিহ্য কোনটা?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলামের অতিত ঐতিহ্য প্রমাণে আলৌকিকত্বের প্রয়োজন নেই। ইসলাম একসময় অর্ধ পৃথিবী শাসন করেছে। তখন সাহিত্য ও বিজ্ঞান চর্চায় মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল। ছিল অসংখ্য মুসলিম বিজ্ঞানী। গবেষণা, চিকিৎসা বিদ্যা, সমর বিদ্যা, গণিত বিদ্যা, সাহিত্য চর্চাসহ সকল বিভাগে মুসলমাদের শ্রেষ্ঠত্ব ছিল! বিস্তারিত চাইলে একটি পোস্ট দিতে পারি!

ধন্যবাদ আপনাকে!

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে??????


অসীম শুন্যতা মেধায়, মননে, বিনিয়োগে। ওয়াহদানিয়াতের শিক্ষা ভুলে গেছে যে জাতি তাকে ক্রেন দিয়েওকি টেনে তোলা যাবে!!?
জ্ঞানের চর্চা নাই! প্রকৃত সত্য অনুধাবন আর শত ফেরকার বৃত্তাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসার পথ কি?
মিরাকল ছাড়া শতধা বিভক্ত এ জাতির মুক্তির পথ সুদূরপরাহত!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: “মুক্তির পথ নেই”- বলে হাল ছেড়ে দিলে কখনো মুক্তি মিলবে না। মুক্তির জন্য সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালানো মুসলিম জাতির দায়িত্ব।
মহান আল্লাহর ঘোষণা- “আল্লাহ কোনো জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না সেই জাতি নিজেই নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে” (সুরা রা'দ ১৩:১১)”।

মুসলিম জাতি শতধা বিভক্ত হলেও ইসলামের প্রকৃত আদর্শ ধারণ কলে চললে বিজয় আসবেই একদিন!

ধন্যবাদ! বিদ্রোহী ভৃগু

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: দেশকে কেন মধ্যযুগে ফেরত পাঠাতে চান? ধর্মপালন করুন ব্যক্তিগতভাবে।প্রতিটা কর্মের মধ্যে আছে ইসলাম। সেটা পালন করার চেষ্টা করুন। তাতেই ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিম জাতি উভয়েরই উপকার হবে। কারমা বাদ দিয়ে কেবল লোক দেখানো রীতি নীতি পালনের আসলে কোন মূল্য নাই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলাম বিজয়ী হলে দেশ মধ্যযুগীয় হয়ে যাবে এমন উদ্ভট তথ্য কোথায় পেলেন? প্রচলিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদও মধ্যযুগীয় ও সেকেলে। আধুনিক যুগে এগুলো কিভাবে চলছে? বরং গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এসেও দেশের সামগ্রিক অবস্থা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। হত্যা, গুম, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির সয়লাব বয়ে যাচ্ছে দেশে। এগুলো কি আধুনিকতার নিদর্শন? ইসলাম যদি এগুলো বন্ধ করতে পারে, তবে সমস্যা কোথায়? ইসলাম অন্য ধর্মের মত শুধুমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রীক রীতি নয়; বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থ্যা, একটি মতবাদ। ইসলাম জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে পালনীয় নির্দেশনা দিয়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! নিরাপদ দেশ চাই

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। কিন্তু এখন সমাজটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে। ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সবাই ধীরে ধীরে। ইসলাম এখন কেবল দুই ঈদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে...

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলামী আদর্শ পরিত্যাগ করতে করতে ব্যক্তিগত জীবনেও অবশিষ্ট নেই। আছে কেবল বিশ্বাসে ইসলাম! আর দুই ঈদ বাঙালী সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। অনেকেই ইসলামী রীতি হিসাবে ঈদ পালন করে না। দু’রাকাআ’ত নামাজ সর্বস্ব ঈদ, বাকীটা নিজের খুশী মত।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যে খুশী হয়েছি। ধন্যবাদ অসংখ্য!

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৯

ওমেরা বলেছেন: লিখা ভাল লাগছে ধন্যবাদ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০২

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আপনার ভালো লাগছে জেনে খুশী হলাম!

ধন্যবাদ আপনাকে @ওমেরা!

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ইসলাম এখন শুধু দুই ঈদ না, শুধু লোক দেখানো লৌকিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। সবাইকে দেখিয়ে নামাজ পড়া, রোজা রাখা, হজ্বে যাওয়া, মহিলাদের নেকাব সহ বোরখা পড়া এসবই বেড়েছে। কিন্তু কর্মের মাঝে ইসলাম অনুপস্থিত। খাবার হালাল সবাই খোজে, কিন্তু ইংকাম হালাল কিনা সেই ব্যপারে কোন খবর নাই। সমানে মিথ্যা কথা বলা, চাতুরতার আশ্রয় নেয়া, অসততার পথ অবলম্বন করা এইগুলো বিষয়ে কোন তেমন কোন কথাবার্তা বলতে দেখি না ইস্লামি স্কলারদের।যেহেতু কর্মের ব্যপারে কোন জোরালো আলোচনা হয় না, তাই মুসলিম জাতির চরিত্র উন্নয়ন ঘটছে না, তরুন প্রজন্ম হয়ে পড়ছে বিভ্রান্ত এবং বিধর্মীদের কাছে এই ধর্মের অনুসারিদের প্রতি জন্মাচ্ছে না কোন শ্রদ্ধা।

সবচেয়ে খারাপ যেটা, সেটা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ যেটা হচ্ছে সেটা অশহিষ্ণুতা।এইসব নিয়ে কথা বললে শুন্তে হয় আপনি কোন ধর্মের অনুসারী? দয়া করে কুরুচিপুর্ন মন্তব্য করবেন না।
যারা এই ধরনের অসিহিষুতা প্রকাশ করে তাদের প্রতি বলতে চাই যে, আমি একজন মুসলিম। ধর্মীয় রীতি নীতির সাথে, কারমা মেনে চলার চেষ্টা করি। যারা অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে তাদের লোক দেখানো ধর্ম পালনের ব্যপারে কোন সন্দেহ নাই, কিন্তু তাদের কর্মের ব্যপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ইসলামের অনেকেই লৌকিকতার মধ্যে পড়েছে- কথা ঠিক। মুসলিম হয়েও ইসলামী অনুশাসন মেনে না চলা মুসলমানদের পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ। তবে পুর্ণাঙ্গ ইসলাম পালন করার মত মুসলমানদের সংখ্যাও কম নয়। যারা ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন অবধি ইসলাম পালনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



একটা সময়ের পর, যেকোন ধর্ম তার মুল থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক বলেছেন! তবে অনেক ধর্মের অবস্থা এমনটি হলেও ইসলাম ধর্মের মূল রক্ষা করার জন্য ধারক-বাহকরা রয়েছেন এবং থাকবেন। যদিও বিশ্বব্যাপী তাদের আদর্শ পরাজিত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.