নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দান-সদকার ফযীলত; প্রকাশ্যে কি দান করা যাবে?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭


সকল সম্পদের মালিক আল্লাহ তা’আলা। তিনি যাকে ইচ্ছা সম্পদ দান করেন। এজন্য এ সম্পদ অর্জন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাঁর বিধি-নিষেধ মেনে চলা আবশ্যক। গরীব দুঃখী মানুষকে দান করা প্রত্যেক মানুষের মানবিক দায়িাত্ব। গোপন-প্রকাশ্যে যে কোনভাবে দান করা যায়। দান করার ক্ষেত্রে মানুষকে উৎসাহ প্রদান বা অন্যরা যাতে এগিয়ে আসে সে ক্ষেত্রে দান করার বিষয়ে মানুষের কাছে প্রচার করা যায়। তবে গোপনে দান করা উত্তম।

দান-সদকা করলে সম্পদ কমে না বরং বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: “যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের মত যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত সুবিজ্ঞ।” (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬১)। আবু কাবশা আল আনমারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি শুনেছেন রাসূল সা. বলেন, “সদকা করলে কোন মানুষের সম্পদ কমে না।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)। রাসূল সা. বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন কিছু ব্যয় করবে তাকে সাতশত গুণ সওয়াব প্রদান করা হবে।” (আহমাদ, সনদ ছহীহ)।

দানকারীর জন্য ফেরেশতা দু’আ করেন। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, “প্রতিদিন সকালে দু’জন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন দানকারীর জন্য দু’আ করে বলে, “হে আল্লাহ দানকারীর মালে বিনিময় দান কর (বিনিময় সম্পদ বৃদ্ধি কর)।” আর দ্বিতীয়জন কৃপণের জন্য বদ দু’আ করে বলে, “হে আল্লাহ কৃপণের মালে ধ্বংস দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)।

গোপন-প্রকাশ্যে যে কোনভাবে দান করা যায়। সকল দানেই সওয়াব রয়েছে। আল্লাহ বলেন, ”যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে ফকীর-মিসকিনকে দান করে দাও, তবে এটা বেশী উত্তম। আর তিনি তোমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন।” (সূরা বকারা, আয়াত ২৭১)। তবে গোপনে দান করা উত্তম। রাসূল সা. ইরশাদ করেন, “কিয়ামত দিবসে সাত শ্রেণীর মানুষ আরশের নীচে ছায়া লাভ করবে। এর মধ্যে এক শ্রেণী হচ্ছে- “এক ব্যক্তি এত গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কি দান করে বাম হাত জানতেই পারে না।” (বুখারী ও মুসলিম)।

দান-সদকা গুনাহ মাফ করে ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা যায়। রাসূল সা. বলেন, “খেজুরের একটি অংশ দান করে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা কর।” (বুখারী ও মুসলিম)।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: উপকারি পোস্ট লেখার জন্য ধন্যবাদ

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: তাইলে সদকা দেন!

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: সাধ্যমত দেয়ার চেষ্টা করি

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: মাশাআল্লাহ

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

ওমেরা বলেছেন: খুব ভাল লাগল। কিয়ামতের দিন ৫ টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কেউ এক পাও আগাতে পারবে না, তার ১ টা প্রশ্ন হল কি ভাবে অর্থ সম্পদ আয় করেছ ও কি ভাবে ব্যয় করেছে? কাজেই আমাদের সর্তক থাকতে হবে অর্থ আয় করতে ও তা ব্যয়ও করতে হবে সর্তকতার সাথে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, এই হাদীসটা পড়েছি।

হারাম উপার্জন থেকে ব্যয় আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু!

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সবাইকে হালাল উপার্জনের তওফিক দান করুন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: রাসূল সা: বলেছেন, 'হালাল রুজি সন্ধান করা ফরজের পর একটি ফরজ।' (তিরমিজি)

ধন্যবাদ আপনাকে!

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

দানের শিক্ষা পরিবার থেকে শেখানো উচিত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ভেরী স্মার্ট আইডিয়া!
বাবা-মা দানশীল হলে সন্তানও দানশীলতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে!

মন্তব্যে খুশী হয়েছি! ধন্যবাদ আপু!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.