নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকারের পোস্টমর্টেম : বিকল্প ফর্মুলা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫


ফোরাত নদীর তীরে একটি কুকুর মারা গেলেও খলীফারা দায় নিতেন। এই দায় অপমৃত্যু, খাদ্য সংকটের এবং দুঃশাসনের। বর্তমানে যারা সরকার পরিচালনা করছেন, তাদের কাছে এসব কিছু স্বপ্ন মনে হবে। যারা ধর্মবিদ্বেষী রয়েছেন, তাদের কাছে মনে হবে “মধ্যযুগীয়” শাসনব্যবস্থা।
আমার জানা মতে, অতীত বর্তমান বড় কোন ঘটনার সাথে সাম্প্রদায়িক কোন সম্পর্ক আবিস্কার করা যায়নি। প্রতি মুহূর্তে রাজপথে লাশ পড়ছে। অনেক গডফাদার-গডমাদার পাওয়া যাচ্ছে। সবকিছু ঘুরিয়ে পেচিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা সরকারের স্বভাবের অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। বিরোধী দলের উপর দায় চাপানোর মত ফাপরবাজী রাজনীতি করা সব সরকারের বৈশিষ্টে পরিণত হয়েছে। তাহলে সরকার, প্রশাসন, বিরোধীদল সমস্যার গভীরে না গিয়ে ভাঙ্গা ক্যাসেট বারবার বাজাচ্ছে কেন? নিশ্চয়ই এর কোন বদ মতলব আছে, কোন এজেন্ডা আছে।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে এসেও যখন ক্ষুধার্ত শিশুর হাহাকার শুনি তখন মনে প্রশ্ন জাগে দেশ স্বাধীন করার কি প্রয়োজন ছিল? মুক্তিযোদ্ধারা যদি জানতেন, স্বাধীনতার চেহারা এত কুৎসিত, গণতন্ত্র এতটা বিভৎস, জাতির কর্ণধররা এমন রক্তখেকো, তবে চড়া মূল্যের রক্ত দিয়ে এমন স্বাধীনতা কিনতেন না। মুরব্বিদের জবান থেকে একাত্তর সালে পাকিস্তানি নকশালদের অত্যাচারের যে বিভৎস বর্ণনা শুনেছি, বর্তমান শাসনব্যবস্থা তার থেকে কম কিসে? ওরা ন’মাস খুন-ধর্ষণ করেছে। আর স্বাধীনতার পর ৪৭ বছর ধরে খুন-ধর্ষণ চলছে। যুদ্ধাপরাধের বিচারের সাফল্যের কথা বলে সরকার মুখে ফ্যানা তুলে ফেলেছে। অথচ নিজ দলের খুনী-ধর্ষকদের আওয়ামী পরিচয়ে সাত খুন মাফ। সিলেটের বদরুল, বগুড়ার লিটনরা খুন ধর্ষণ করেও কারাগারে জামাই আদরে থাকে। খুন ধর্ষণের নৈরাজ্য তৈরী করেও ছাত্রলীগরা সোনার ছেলে উপাধি পায়, ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে ঘুরে। চারশত কোটি টাকার দূর্নীতি উনাদের কাছে সামান্য মনে হয়। অথচ অসংখ্য নাগরিক দু’বেলা খাবারের আশায় পথে পথে ঘুরে। পড়ালেখার খরচ বহন করতে না পেরে শিশুরা গার্মেন্টস, গ্যারেজে শিশুশ্রম দিয়ে পেট বাচায়। ফুটপথ, রেললাইনে অসংখ্য মানুষ এই শীতে খোলা আকাশের নীচে রাত্রীযাপন করে। ওদিকে এক রোবট সোফিয়ার জন্য ষোল কোটি টাকা খরচ করতে পারে রাষ্ট্র। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ মাত্র ১৪ কোটি টাকা। ঔ ষোল কোটি টাকা গবেষণা খাতে ব্যয় করলে বাঙালী ছেলেরাও হয়ত এমন রোবট বানাতে পারত। গত আগস্ট থেকে এ অবধি কমপক্ষে ১৪জন গুম হয়েছে। এখনো কোন হদিস নেই। এটাই আজকের মানবাধিকার।

তবে হ্যাঁ রাজনীতিবিদদের অনেকেই দেশ ও জনগণের কল্যাণ চান, এ সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চান। কিন্তু কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, কোন নীতি বাস্তবায়ন করলে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। আগামীকাল দেশে কেমন সংকট তৈরী হবে, তা আজকের আইন প্রণেতারা জানেন না। তাই নব-সংকট নিরসনের জন্য ৪৬ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান ১৬ বার সংশোধন করা হয়েছে। বুদ্ধিমানদের জন্য এই একটি উপমা-ই যথেষ্ট। পশ্চিমাদের ছুড়ে ফেলা বস্তাপচা "গণতন্ত্র" কখনো মানবতার কল্যাণে আসেনি- এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এই গণতন্ত্র চালু রেখে আসমানের ফেরেশতাকেও ক্ষমতায় বসানো হলে- সমাজের চিত্র একই থাকবে। দূর্নীতি, দুঃশাসন, খুন-গুম, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি বন্ধ হবে না। অতএব, শুধু নেতার পরিবর্তন নয়; নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে।
প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, মানব রচিত মতবাদ কখনো মানুষের কল্যাণে আসতে পারে না। মানুষের জ্ঞান সসীম, কিন্তু সমস্যা অসীম। একমাত্র মানুষের স্রষ্টাই জানেন, কোন নীতির মাধ্যেমে মানুষের শান্তি আসবে। কোন আইনের মাধ্যমে মানবাধিকার বাস্তবায়ন হবে। কোন সংবিধানের মাধ্যমে মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে। আর সেই সংবিধান মহাগ্রন্থ আল কুরআন। কুরআনী শাসন বাস্তবায়নের মাধ্যমেই মনবতার স্থায়ী শান্তি, সমৃদ্ধশালী, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব।

আজকের দিবসবন্দি মানবাধিকার বিশ্বনেতাদের বালখিল্যতা বৈ কিছুই না। বিশ্বব্যাপী যারা মানবতার কবর রচনা করেছে, তারাই আজকে মানবাধিকারের বুলি আওড়াচ্ছে…..

ছবিঃ গুগল

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুড়িংগগার তীরে কুত্তা মেরে দেখি, শেখ হাসিনা এসে পড়েন কিনা!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: বুড়িগঙ্গায় মানুষের লাশ ভাসলেও আপনার নেত্রী টের পান না...
টের পাইলেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা অথবা বিরোধী দলের উপর দায় চাপিয়ে দেবেন হয়তো....

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগে দুই পরিবার মুক্ত হতে হবে দেশ। তারপর সুশাসন...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: দু্ই পরিবার মুক্ত দেশ গঠনই সমাধান নয়। প্রচলিত শাসনব্যবস্থা চালু রেখে অন্য যেকোন ব্যক্তি বা পরিবার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন আনতে হবে...

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগামী ভোটে, ভোট দিয়ে আমার নেত্রীকে আপনি নিয়ে যান; দেখেন, উনি মরা কুত্তা নিয়ে কান্নার শুরু করেন কিনা!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: লেজে-গোবরে মাখা বক্তব্য। দুর্বোধ্য বাক্য!
চাইলে পরিস্কার করে লিখতে পারেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.