নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২


বাঙালি বুদ্ধিজীবীর গলিত ও দুর্গন্ধময় লাশ পড়ে আছে। মোহসিনা এই গলিত লাশগুলোর মধ্যে তাঁর স্বামীর লাশটা শনাক্ত করার বৃথাই চেষ্টা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার পাশার স্ত্রী মোহসিনা (পিটার হেজেলহার্স্ট : দি টাইমস, লন্ডন : ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১)

বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে যখন পুরো দেশবাসী-সুদীর্ঘ নয়মাসের অবরুদ্ধ জীবনের সমাপ্তিতে মুক্তির আনন্দে গভীর অপেক্ষায়, তখন কি দেশবাসী জানতেন ১৪ ডিসেম্বরে পুরো রাজধানী শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছু মাইক্রোবাস আর কুখ্যাত রাজাকার-আলবদর সহ বিশ্বাসঘাতকদের সহায়তায় চোখ বেঁধে তুলে নেওয়া হচ্ছে দেশের সেরা সন্তান তথা বুদ্ধিজীবীদের। বিজয় দিবসের পরেই আবিস্কৃত বধ্যভূমিতে দেশের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের চোখ আর হাত পা বাঁধা অগণিত লাশ-শুধু রাজধানীতে নয়, চট্টগ্রামসহ পুরো বাংলাদেশে-যার শ্রেষ্ঠতম সাক্ষী রায়ের বাজারের জলাভূমি আর চট্টগ্রামের ফয়’স লেকের বনাঞ্চল। পাকিস্তানিরা তাদের পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে শেষমুহূর্তে তৈরি করেছিল এক নীলনকশা-বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার তথা যাদের মেধা ও মনন দিয়ে দেশ চলবে- তাদের হত্যা করা। স্বাধীনতা পরবর্তী বীর বাঙালীর সাহসী অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ব্যর্থ পরিকল্পনা করেছিল সেদিন।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। হৃদয়ের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের- যাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আল্লাহ তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে জান্নাতবাসী করুন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২২

ওমেরা বলেছেন: আরেকটু বড় তথ্য বহুল হলে আমার জন্য ভাল হত । এসব সম্পর্কে আমার জানা খুবই কম । ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.