নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঁতেল সমাচার

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে এমন বহু আঁতেল আছে। তারা না যুদ্ধ করেছে, না আন্দোলন করেছে, না পাকিস্তানের বিরোধীতায় কলম ধরেছে। তারা উত্তাল সময়ে পালিয়ে থেকেছে, পাকিদের বেতন খেয়েছে, পাক দেশমাতৃকার সেবা করেছে। ৭১ এর পরে এসে তারাই আবার স্বাধীনতার মহান চেতনাধারী হয়েছে, যুদ্ধের গল্প বানিয়েছে, যুদ্ধ নিয়ে নাটক-সিনেমা বানিয়েছে আর নানা অদ্ভুতসব আবর্জনা তৈরী করেছে। সমাজকর্মীরা সমাজের প্রয়োজনে একের পর এক কাজ করে যায়। কাজের পরে নিজেরা পর্যালোচনা করে, জ্ঞানীদের থেকে পরামর্শ নেয়। এবং ভুল-ত্রুটিগুলো সমাধা করে।

এই আঁতেলরা কোন কাজ করে না। সমাজের আলোড়িত মুহুর্তগুলো তারা ঘরের কোণে কাটায়, বিপ্লবের মুহুর্তগুলো ঘুমিয়ে কাটায়।
এবং বিপ্লব ও আলোড়ন সমাপ্ত হলে তারা নাঁক উঁচু করে বিভিন্ন তত্ত্ব কপচায় আর বিশ্লেষনের নামে আবর্জনা তৈরী করে।

চিরন্তন সত্য ইতিহাসকে এরা ধামাচাপা দিতে চায় নিজেদের আতেলগিরি রক্ষা করার জন্য। ধর্মের কথা বললে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। তবে ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মে এদের কোন আপত্তি নেই, যত বিপত্তি মুসলমানিত্বে। ইসলামের কথা বললেই এদের জাত যায়, সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকে। চোখ বন্ধ করে অনায়াসে রাজাকার আল-বদর, পাকিস্তানি বলে গালী দেয়। এটা হচ্ছে সর্বনিম্ন স্তরের আঁতলামি। এদের কাছে বাঙালী সংস্কৃতি ইসলামের আলোকে সাজানো মহাপাপ, অথচ হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিতে সাজাইলে দোষ নাই। মূর্খের মত কথায় কথায় রাজাকার বলে গালী দিয়ে যৌক্তিক প্রশ্ন এড়িয়ে যায়!

আঁতলামির এই ধারা আজো বহমান। মজার বিষয় হলো এই আঁতালামি এখন ইসলামপন্থীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে। দেওবন্দের মতো একটা কর্মমুখর বিপ্লবী ধারার সাথে যৎকিঞ্চিত হলেও ইলমি সম্পর্ক রাখা কিছু লোকের মাঝেও এখন আঁতলামি রোগ দেখা দিয়েছে।

এবং সেলেব্রিটি হওয়ার লোভে সেই আঁতলামি এতো নিন্মপর্যায়ে নেমেছে যে রীতিমত তা বিতৃষ্ণা জাগানিয়া!!

এরা আঁতেল সমাজেরও নিম্নস্তরের। আদর্শ আঁতেল সমাজের যে কোন বিষয় আজাইরা হলেও তর্ক চালাতে পারে। কিন্তু এদেরকে সামান্য গভীরে গিয়ে প্রশ্ন করলেই আর দিশা পায় না। চোখে শর্ষেফুল দেখে। আঁতলামি করার সামান্যযোগ্যতাও এই নব্য আঁতেলদের নেই।

তাই এইসব আতেলদের তোলা আঁতলামি আলোচনা স্রেফ এড়িয়ে যাই। তাদের তোলা প্রশ্নের জবাবও দেই না।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জানিনা আমাকে কোন আঁতেল বানাবেন, তবুও বলতে হচ্ছে-

ভাত খেতে বেশি সময় লাগে না, তবে ভাত তৈরি করতে বেশ সময়ের প্রয়োজন পড়ে। কৃষক জমি চাষ করে, বীজ বপন করে, ধান মাড়িয়ে, ধান সিদ্ধ করে, শুঁকানোর পর সেই ধান থেকে চাল বের করে বাজারে বিক্রি করে, আর আমি বাজার থেকে চাল কিনে পাক করে খেয়েই তৃপ্তির শ্বাস ছাড়ি!!

আপনি যে সুরে কাওয়ালী গাইলেন, তাতে মনে হল আপনি কাওয়ালীর কিছুই জানেননা।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: গায়ে পেতে নিচ্ছেন কেন? নির্দিষ্ট কিছু আতেলদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো লিখেছি। পোস্টের উদ্দেশ্য না বুঝে কমেন্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনি যে খাদ্য চক্রের কথা লিখেছেন, তার সাথে আমার বক্তব্যের কোন বিরোধ নেই। যারা চেতনাহীন, অথর্ব, অন্তসারশুন্য, তারা মানুষকে রাজাকার বলে গালি দেয়, চেতনার সবক দেয়।

আমি তাদের বিরুদ্ধে বলছি।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: কিছু মোটা গোঁফের আঁতেল আছে আমাদের দেশে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৫

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জ্বী, উনারা একাত্তরে কচুবনে লুকিয়ে ছিলেন। পাকিস্তানিরা চলে যাবার পর এসেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ধারণ করতে আর বাঙালীদের উপর খবরদারি করতে।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জিয়ার মত সঠিক রাষ্ট্রনায়ক থাকলে আঁতেলদের কবেই জাদুঘরে পাঠাতেন...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: জিয়াদের কথা বলে লাভ নাই। জিয়ার সৈনিকেরা কি করছে সেটাও দেখার বিষয়!

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৪

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: "এদেশের মুসলমান এক সময় মুসলমান বাঙালি, তারপর বাঙালি মুসলামান, তারপর বাঙালি হয়েছিলো; এখন আবার তারা বাঙালি থেকে বাঙালি মুসলমান, বাঙালি মুসলমান থেকে মুসলমান বাঙালি, এবং মুসলমান বাঙালি থেকে মুসলমান হচ্ছে। পৌত্রের ঔরষে জন্ম নিচ্ছে পিতামহ"

হুমায়ুন আজাদ..

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মুসলমান, তারপর বাঙালী। এর বিপরীত হতে পারে না।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭ কোটি সবাই যুদ্ধে যাওয়া সম্ভব না। প্রয়জনীয় নয়।
রাজাকার-আলবদরে নাম না লেখাইলেই হল।
বিচার আন্তর্জাতিক মান দাবি না করলেই হল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ৭ কোটি মানুষকেই যুদ্ধে যা্বার প্রয়োজন নেই। যোদ্ধাদের সাপোর্ট তো করা যায়। রাজাকার হওয়ার জন্য নাম লেখানো লাগে না।

যুদ্ধবিরতির পর এদের মাতব্বরী করা বড্ড বেমানান!

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
৭ কোটি সবাই যুদ্ধে যাওয়া সম্ভব না। প্রয়জনীয় নয়।
রাজাকার-আলবদরে নাম না লেখাইলেই হল।
বিচার আন্তর্জাতিক মান দাবি না করলেই হল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ৭ কোটি মানুষকেই যুদ্ধে যা্বার প্রয়োজন নেই। যোদ্ধাদের সাপোর্ট তো করা যায়। রাজাকার হওয়ার জন্য নাম লেখানো লাগে না।

যুদ্ধবিরতির পর এদের মাতব্বরী করা বড্ড বেমানান!

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আতেলদের সহজ ভাবে নিন।
তারা এই সমাজেরই লোক।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১০

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: আতেলদের সহজভাবেই নিচ্ছি। তবে এই কাপুরুষ আতেলরা যুদ্ধবিরতীর পর যখন মাতব্বরী করে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শেখায় তখন চুপ থাকা যায়না!

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কিচ্ছু বলার নেই! আপনার শেষ লাইন! চুপ থাকা ভাল।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: আপনাদের গাঁজাখুরী পোস্টে কমেন্ট করে লাভ নেই। আপনার মুখোশ খুলে দেয়া কমেন্টটা আপনি ডিলিট করেছেন। এটা নিন।







আপনার গাঁজার নেশার চেয়ে গান শোনা অধিক স্বাস্থ্যকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.