নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যে ও সুন্দরের পক্ষে সব সময়

রাসেল উদ্দীন

জীবনের সবকিছু মহান স্রষ্টার জন্য নিবেদিত

রাসেল উদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

থার্টিফার্স্ট নাইটের ইতিবৃত্ত ও কিছু অনুভূতি

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০২


সৌরবর্ষ আমাদের কাছে ঈসায়ী বা খ্রিস্টীয় সন বলে পরিচিত| সূর্য নিজ কক্ষপথে একবার ঘুরে আসতে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড সময় লাগে| সময়ের এই পরিমন্ডলকেই সৌরবর্ষ বলে| আর সদ্য জন্ম নেয়া বর্ষকে আধুনিক পরিভাষায় নববর্ষ বলে|

আগে এটা সামাজিকভাবে পালিত হলেও বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র কোন না কোনভাবে পালিত হয়| পশ্চাত্যের খ্রীস্টান জগতে অতি আনন্দঘন পরিবেশ, জমকালো আলোকসজ্জা, জমজমাট পার্টি এবং উদ্দাম নৃত-সঙ্গীতের মধ্যো দিয়ে পালিত হয় এই নববর্ষ| যিশুখৃস্টের উর্দ্বাহরণের ৩০০ বছরেরও কিছু পর থেকে পোপ সেইন্ট সিলভেন্টারকে উৎসর্গ করে ক্যাথলিক গীর্জা সমুহে বড় ধরণের প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হত| মোটামুটিভাবে এটাই ছিল খ্রীস্টিয় নববর্ষ উদযাপনের ইতিবৃত্ত|

তবে আমাদের উপমহাদেশের মুসলমানরা এই খ্রীস্টিয় নববর্ষ উদযাপন শুরু করে ইংরেজ শাসনামল থেকে| ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ইউরোপের যে ছোট্ট বীজটা পলাশীর আম্রকাননে রোপণ করা হয় কিছু ভুঁইফোড় স্বদেশী দালালদের কল্যাণে, যা ১৯৪৭ ইং সাল নাগাদ প্রায় ১৯০ বছরের দীর্ঘায়ু লাভ করে বিস্তৃত ডাল-পালায় পল্লবিত হয়ে কাবুল থেকে সিংগাপুর পর্যন্ত জঙ্গলে ঢেকে দেয় | ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা যদিও হামাগুড়ি দিয়ে পালিয়েছে এদেশ থেকে, কিন্তু তাদের বিলেতি প্রভাব বলবৎ রয়েছে আমাদের পোশাক-পরিচ্ছেদে, শিক্ষায়, সভ্যতায় এবং অফিস আদালতে| তাদের খ্রীস্টিয় ক্যালেন্ডারও চাপিয়ে দিয়ে গেছে আমাদের উপর| তখন সরকারী, বেসরকারী কাজে ইংরেজী তারিখ কার্যকর ছিল, যেমন এখনো রয়েছে। সুতরাং থার্টিফার্স্ট নাইটের সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণের সখ্যতা গড়ে উঠে তখন থেকেই- একথা বলা ভুল হবে না।

নিজস্ব স্বকীয়তা ও বোধ বজায় রেখে নববর্ষ উদযাপন করা কিছুতেই দোষণীয় নয়। এছাড়া হারানো অতিত খুঁজে ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ, পেছনে ফেলে আসা একটি বছরের প্রাপ্তি ও হারানোর হিসাব-নিকাশ কষে দেখা অবশ্যই উত্তম কাজ। নতুন বছরে সকল ভুল শুধরে দৃঢ় প্রত্যয়ে আগামীর পথচলার নীতি নির্ধারণ করা প্রকৃত মানুষের কাজ। কিন্তু বিপত্তি দেখা দেয় যখন এই শুভ নববর্ষ উদযাপনের নামে অশুভ "থার্টিফার্স্ট নাইট" নামক নতুন উপসর্গ আমাদের পরিশীলিত জীবনানুভূতিতে অন্যায়ভাবে পুশইন করা হয়। উচ্ছৃঙ্খল তারুণ্যের উল্লাস প্রদর্শন আর অশ্লীল কর্মকান্ডের প্রকাশ্য দৃশ্যায়ন যার প্রধান উপজীব্য। যতখানি না আনন্দ, তারচেয়ে বেশী ভয়-আশংকা ও দুর্ঘটনা, দুর্ভাবনা যার অমোঘ পরিণতি। শুভ নববর্ষের এই প্রথম প্রহরে মানবিকতার সুস্থ বিকাশ ও বৈধ বিনোদন চর্চাকে ব্যহত করে। অবাধ মদ্যপান ও খোলামেলাভাবে নারী-পুরুষের সহানন্দ ভোগ যা ব্যভিচার ও ধর্ষণ পর্যন্ত গড়ায়, তা দিয়ে মাতিয়ে রাখা হচ্ছে থার্টি ফার্স্ট নাইটকে। রাত বারোটা এক মিনিটে গ্রেনেড বিস্ফোরণের মত আতশবাজির বিকট শব্দ , উল্লাসিত চিৎকার এবং বন্য হৈ-হুল্লোড়ের মধ্যে দিয়ে নববর্ষকে গ্রহণ করা হচ্ছে। সুতরাং বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এ উৎসবের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। বরং থার্টি ফার্স্ট নাইটকে এখন পশ্চাত্যের ভোগবাদী সংস্কৃতি হিসাবে আখ্যা দেয়া যেতে পারে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৩

ওমেরা বলেছেন: লিখাটা অনেক সুন্দর লিখেছেন আমার ভাল ও লাগছে ।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৬

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কিন্তু পশ্চিমা রুচীবোধে অভ্যস্ত কথিত বাঙালীদের কাছে কথাগুলো অত্যন্ত তিক্ত এবং ঢের মৌলবাদী বক্তব্য!

ধন্যবাদ আপু!

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৫১

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।তবে বাঙ্গালীর জেনেটিক্যালি হুজগে মাতার একটা স্বভাব আছে।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: কিন্তু বাঙালীর এই হুজুগীপনা নিজস্ব সংস্কৃতি পালনের বেলায় কেন আসে না? পশ্চিমা কালচার অনুসরণে কথিত মডারেট বাঙালীদের কোন আপত্তি নেই, যত বিপত্তি বিরোধীতা করলে!

ধন্যবাদ!

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা ---

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশের দৃঢ় প্রত্যয়ে শুরু হোক ২০১৮ এর পথচলা।

শুভেচ্ছা আপনাকেও!!

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: বাঙালী কিসে মাতে আমি জানিনা, তবে হিংসায় যে জ্বলে তার প্রমাণ আপনে।
ইহা একটি রাত্রি মাত্র। তা সেটা আপনি নেচে কাটাবেন না ঘুমিয়ে পার করবেন না মসজিদে গিয়ে নামাজ কোরআন পড়ে সেটা আপনার নিজের রুচি। আকাইদ ভাইয়ের (মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, হোকনা জঙ্গি) মতো কাজকাম না করলে সেটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা করার কথা নহে।
তবুও দেখি বহু হুজুরের আত্মারাম জ্বলতেছে। কারণ সম্ভবত এটাই, আপনাগো এইসবের দলে নেয়া হচ্ছে না। ভিতরে আক্ষেপ থেকে এসব হুজুরগিরি বের হচ্ছে।
মাদ্রাসায় যান, গিয়ে ওখানে পার্টি করুন ধর্মীয় স্টাইলে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা। :)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

রাসেল উদ্দীন বলেছেন: সব জায়গায় মৌলবাদের গন্ধ খুজেন ক্যান? আলোচ্য ব্লগে ধর্ম বা ধর্ম সংক্রান্ত কোন আলোচনা করা হয়নি। বরং থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনেরর নামে পশ্চিমা সংস্কৃতি চর্চা, বাঙালী সংস্কৃতিকে অপমান করার নামান্তর- এ বিষয়ে কথা বলেছি। আপনি জাতে বাঙালী, নামটাও মুসলিমদের, কিন্তু বাস্তবতা মনে হচ্ছে উল্টো! কারণ আমি বাঙালী সংস্কৃতির পক্ষেই বলেছি। কিন্তু শালীনভাবে সত্য ও যৌক্তিক উপস্থাপনা করলে গা জ্বলে কেন? পারলে যুক্তি খন্ডন করে পাল্টা যুক্তি দেখান। অথবা চুপচাপ নববর্ষের নামে বেলেল্লাপনা করেন। খামাখা খাজিয়ে ক্ষত বানিয়েন না।

আর আমি কথিত মাদ্রাসার ছাত্র বা মৌলিবাদীদের কেউ নয়। আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমাকে নিয়ে আপনার গবেষণা আগেও ভুল হয়েছে। আগের দুটি পোস্টে জামাআত-শিবির বলে গালী দেওয়ার মত ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন আপনি। অথচ আপনি জামাত-শিবিরের বিরোধিতা করেন, কিন্তু আমি শুধু বিরোধীতা নয়; বরং প্রতিহত করি। জামাত-শিবিরের বিরোধীতায় আমি যতটা শক্ত অবস্থানে আছি, আপনি তার ধারে কাছেও নন।

আপনার গবেষণায় নির্বুদ্ধিতা ও মানসিক দৈন্যতার প্রকাশ পেয়েছে। তাই আমার পোস্ট পছন্দ না হলে কেটে পড়তে পারেন। অথবা চুলকানির মলম ব্যবহার করেন।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনাদের সমস্যাটা কি ??? পহেলা জানুয়ারিতে নব বর্ষ পালন কবে থেকে ধর্মীয় উৎসব হোল ?? এই উৎসব খৃষ্ঠান ধর্মের বা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় উৎসব নহে । বিভিন্ন দেশে তাদের কাছে গ্রহন যোগ্য কালচার দিয়ে এই উৎসব পরে থাকে।

প্রত্যেক দেশে তাদের কাছে গ্রহন যোগ্য কালচার দিয়ে এই উৎসব করে থাকে , পশ্চিমারা পশ্চিমা কালচারে , আরবীরা তাদের কালচারে এবং আমরা আমাদের কালচারে এই উৎসব পালন কোরব সেটাতে দোষের কিছু আছে ?
১৫৬০ পর্যন্ত পহেলা এপ্রিলে বৎসরের শুরু হোত জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরনে । ১৫৬০ সালে ঐ ক্যালেন্ডারকে সংস্কার করে পহেলা জানুয়ারী থেকে বৎসরের শুরু করা হয় এবং এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ি প্রতি চার বৎসর পর ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনে হয় । যিনি এই সংস্কার করে তার নাম অনুসারে ঐ ক্যালেনডার বলা হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ।
এপ্রিল ফুল কালচারটা তৈরী হয় ১৫৬০ সালে , ঐ বৎসর যথারিতি মানুষ জন নব বর্ষের উৎসব করার জন্য এপ্রিলের ১ তারিখে বিভিন্ন পোষাক পড়ে রাস্তায় এসে দেখে সব ফাকা কোন উৎসবের আয়োজন নেই কারন তাদের সবার কাছে নতুন ক্যালেন্ডারের বার্তা ঠিক মত পৌছয়নি তাই তারা অন্য বৎসররে মত ঐ দিনে উৎসব করার জন্য সেজেগুজে বেড়িয়েছিল । এই ভাবে অনেক মানুষ বোকা বনে যায় , তারপর থেকে এপ্রিল ফুলের কালচার সৃষ্ঠি হয় । এপ্রিল ফুল নিয়ে মুসলমানদের মধ্য যে কাহিণী প্রচলোন আছে সেটা ডাহা মিথ্যা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.